#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
#চিঠি_নং_০১
প্রিয় শ্যাম,
” আঁকলে পারে বুকের খাঁচায়
মরবো আমি মারণ জ্বালায়।”
লাইন দুটো কেন যেন তোমাকে বলতে ইচ্ছে হল। ভালো লেগেছে না! নিশ্চয়ই আমার বুকে দাগ কেটে নিজে ভীষণ ভালো আছো! রঙচটা দুনিয়ার রঙহীন মানব আমি। তুমি এলে এক ডালি রঙের ঝাঁপি বেশে। স্বআল্পনায় আমাকে রঞ্জিত করে আবার চলেও গেলে। যেতে যদি হত তবে এসেছিলে কেনো? কষ্ট হয় না বুঝি! গেল বছর ঈদে তোমার অপেক্ষায় শাড়ি পরে বসে ছিলাম। তোমার প্রিয় রঙের খয়েরী শাড়িটা। তুমি এলে না। এবার আসবে তো? শিশির মাখা নম্র সকালে ঘাসে পা ডুবিয়ে বসে থাকি। যেমনটা তুমি আমাকে অভ্যস্থ করে দিয়ে গেছ। মানুষ মাত্রই অভ্যাসের দাস। এত সহজে কি আর ছাড়ে!
” যেতে যদি নাহি চাও যেওনা কভু
শুধু যেতে বলে যাও ভালোবাসি নভু।”
ইশ! ভাবছ এত কবিতা শিখলাম কোথ থেকে? শুনেছ নিশ্চয়ই? প্রেমে পড়লে মানুষ কবি, সাহিত্যিক হয়ে যায়? কখনো কি ফিরবে না তোমার নভুর কাছে? এই যাহ, আমিও নভু বলছি। এই নামটা শুধু তোমার মুখেই শোভা পায়। আমার নভা নামটার কি ছিরি বানিয়ে দিয়েছ বলো তো! রাগ করো না আবার। রাগলে তোমাকে টম এ্যন্ড জেরির টমের মতো দেখায়।
কাল মুষল ধারার বারির প্রেমে পড়ে নিজেকে স্নান সিক্ত করার লোভ সামলাতে পারিনি জানো! এইযে এখনো তোমাকে লিখছি মাথার একপাশটা ভার এবং লম্বা নাকের লাল ডগা দিয়ে। বকবে না বলে দিচ্ছি! এই অভ্যাসটাও তোমার থেকেই প্রাপ্ত। শত শত প্রাপ্তি দিয়েও মূল প্রাপ্তির যোগফল এসে শূণ্য কেন হয় বলতে পারো? কারণ সেই প্রাপ্তিদাতা আজ নেই। নক্ষত্রখচিত তারার দেশে তারা হয়ে ভীষণ আনন্দে আছ! আমি তো তোমাকে তারা হিসেবে দেখতে চাইনি! চেয়েছিলাম আমার তারার মেলা দেখার চিরসঙ্গী হয়ে থাকবে। বৃষ্টিতে ভিজতে আমাকে বারণ করবে, খুব বকবে। খুব! কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম, সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনটাও ঘটমান। তফাৎ শুধু এইটুকু যে, সময়ের বিনাশ নেই।
সর্বশেষ বলবো, ওপারে ভালো থেকো। আমার অপেক্ষা করো।
ইতি
তোমার নভু