#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
লেখা:শাকিলা নূর স্মৃতি
চিঠি নং:০১
প্রিয় মদনটাক,
কেমন আছিস?নিশ্চই ভালো আছিস।কারণ তোর দুষ্টুমি মাখানো চেহারায় আমি কখনো আধার নামতে দেখিনি।দাতঁ কেলিয়ে হাসতে দেখেছি শুধু।যাইহোক আমি কিন্তু তোকে ছাড়া বসন্তবিহীন কোকিলের মতো আছি।
আজ তোকে চিঠি লিখব ভেবেই মনের ভেতর বঙ্গপসাগরের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।
তোকে একটা পুরোপুরি চিঠি লিখতে গেলে বাড়িতে কালি ছারা কলমের পাহাড় হয়ে যাবে।অন্যদিকে কাগজ কোম্পানির লোকদের মাথায় হাত পরবে,তবুও লেখা শেষ হবেনা।
তুই তো আগে থেকেই জানিস,আমি শৃঙ্খল ভাবে কিছু করতে পারি না।
হাঁটতে গিয়ে উষ্টা খাওয়া যেমন আমার রুটিনে ছিলো তেমনি তোর রুটিনে আমাকে সাবধান করার রচনা ছিলো।তাই এলোমেলো লেখাগুলো গুছিয়ে পরে নিস।
তোর মনে আছে তুই আমায় নাম দিয়েছিলি”পেত্নি”।আমি রেগে হাতের কাছে যা পেতাম তাই ছুরে দিতাম তোর দিকে।
তবে এই নামটা আজও ভাবায় আমায়।তোর সাথে কাটানো স্মৃতিগুলো ভীষণ যন্ত্রণা দেয় আমায়।
মনে আছে প্রাইভেট পরতে গিয়ে রাস্তার পাশের আম চুড়ির কথা।তুই শুধু টক আমগুলো আমায় দিতি।
সাথে একদল টকখোর থাকতো।কাড়াকাড়ি করে আম খেত।মনে হলে এখনো জিভে জল আসে।
তোর সাথে কাটানো প্রত্যেকটা সময় ছিলো আনন্দের।
জেলখানার আসামী গুলো যেমন অসহায় বোধ করে,সমুদ্রের মাঝে দ্বীপটা যেমন নির্জনতা বোধ করে।জোস্নাহীন হাসনাহেনা যেমন একাকিত্ব মনে করে,মরুভুমিতে পথহারা পথিক যেমন দিশেহারা হয়,তুইবিহীন আমারো একই পরণতি হয়।
তোর মতো একজন কে সবার জিবনে প্রয়োজন।নয়তোণ অসম্পূর্ণ গল্পের মতো সবার জিবন অপূর্ণতায় পরিপূর্ণই থাকবে
তোর জিবনের সমস্ত আধার ধংস হোক,আলোয় আলোয় মোরানো থাকুক।
সব দোয়া ও ভালবাসা চারপাশে বেষ্টনি হয়ে থাকুক।
সবাইকে নিয়ে ভাল কাটুক তোর প্রতিক্ষণ।
এখানেই সমাপ্তি টানছি।
ইতি,
তোর পেত্নি