#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং : ৬
প্রিয় মা,
আমার সমস্ত পৃথিবীর এক মাত্র নির্ভরতার স্থান। আমার পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যাংক। আমার সমস্ত স্পন্দনের নাম মা। কেমন আছো মা? কতদিন তোমায় দেখিনা? তোমার আঁচলে মুখ মুছতে পারিনা কতদিন। তোমার হাতের মাখা ভাত খাইনা কতদিন। তোমার হাতের ছোঁয়ায় যে সেগুলো হয় জান্নাতের খাবারের মতো। সৃষ্টিকর্তার তৈরি জান্নাত দেখিনি, কিন্তু সৃষ্টির সব চেয়ে বড় জান্নাত দেখেছি। মা সেই জান্নাত তো তুমি।
তোমায় দেখেছি আমার সকল অঙ্গে। আমার সকল অঙ্গ সে তোমার ভেতরে সৃষ্টি। আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে ৫৭ ডেল একক পরিমাণ ব্যথার সঙ্গে লড়াই করেছ। যেখানে একজন সাধারণ মানুষ ৪২ ডেল একক ব্যথা সহ্য করতে পারে। সেখানে ৫৭ ডেল একক ব্যথা যদি কোন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হয়। তাহলে অনায়াসেই দেহের ২০ টি হাড় ভেঙে যাবে। সেখানে তুমি ৫৭ ডেল একক ব্যথা সহ্য করে জন্ম দিয়েছ আমাকে।
মা আমার আকাশে দুটি তারা জ্বলজ্বল করছে প্রতিনিয়ত। একটা তুমি ও অন্যটি আমার বাবা। তোমরা ছাড়া যে আমার পৃথিবী অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তোমরা যে আমার হৃদস্পন্দন। তোমাদের ছেঁড়ে এই ইট পাথরের শহরে বন্দি হয়ে আছি। জীবিকার তাগিদে আমার এই বন্দী থাকা। দেশে ও পৃথিবীময় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতে ক্রোধের আগুন জ্বলছে মহামারী করোনা ভাইরাস নামক অসুখ দ্বারা। এই মুহূর্তে তোমরা সুস্থ থাকলে আমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। ছোট ভাই দিনশেষে প্রতিদিন আশ্বাস দেয়। তবুও মনের কোণে ভয় থেকে যায়।
মা ও মা আমি খুব শ্রীঘ্রই আসবো তোমার কাছে। তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর জন্য। তখন যে আসবে আমার শান্তির ঘুম। তোমাকে ও বাবাকে বলা হয়নি কোনদিন ভালোবাসি। ভালোবাসি তোমাদের এই জীবনের চেয়েও বেশি।
ইতি,
তোমার আদরের
মাসুদ রানা তাসিন।