#প্রিয়_বেগম
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ #পর্ব_৩৭
লেখনীতে পুষ্পিতা প্রিমা
বুকে ভর দিয়ে উঠে বসলো সাফায়াত। পেছনে ফিরে দেখলো প্রকান্ড লোহার দরজাটা আটকানো। বাইরে গোলাগুলি তীব্র শব্দ, চিৎকার চেঁচামেচি। মাঝেমধ্যে আহত হওয়ায় তীব্র আর্তনাদ ভেসে আসছে। সাফায়াত শেহজাদকে জোরে ঝাঁকিয়ে ডাকলো,
‘ ভাইজান উঠুন। ভাইজান বিপদ এখনো কাটেনি। উঠুন। এই ভাইজান! ‘
সাফায়াত এক নাগাড়ে তাকে ডেকে গেল। হাত মালিশ করলো। মুখে দোয়া পড়ে ফুঁ দিল। মুখ ধরে ডাকাডাকি করতে লাগলো।
শেহজাদ নড়েচড়ে উঠলো । সাফায়াত বলল,
‘ ওরা আসার আগে উঠে পড়ুন। ‘
শেহজাদ হাতের মুঠো শক্ত করে বড়সড় দম নিয়ে সম্মুখে চোখ তুলতেই বন্দি মানবকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল। অস্ফুটস্বরে ডাকলো, ‘ ভাইজান ‘।
একমুহূর্তও দেরী করলো না সে। দুজনেই ছুটে গেল শেরহামের কাছে। শিকলমুক্ত করতেই শেরহাম ঝুঁকে পড়লো তাদের দিকে। সাফায়াত ধরলো। শেহজাদ চারপাশে চোখ বুলিয়ে পানির খোঁজ করলো। কোথাও পানি রাখা নেই। সাফায়াত বলল,
‘ ভাইজান কি চোখ খুলবে? দেখুন খঞ্জর বসিয়েছে সবখানে। হে আল্লাহ! ভাইজানের এমন পরিণতি তো কখনো চাইনি। ‘
শেহজাদের বুকের রক্ত ছলকে উঠে। কন্ঠরোধ হয়ে আসে। পরিহিত লোহবর্মের ভেতর হতে একটা ঝাঁজালো আতর বের করে ধরে শেরহামের নাকের কাছে। অপেক্ষায় থাকে তারা। শেহজাদ আয়াতুল কুরসী পড়ে ফুঁ দেয় চোখেমুখে। আবেগকম্পিত কন্ঠে ডাকে,
‘ এই ভাইজান! এখনো যুদ্ধ বাকি। চোখ খুলো। ভাইজান।’
অসহনীয় যন্ত্রণায় নিস্তেজ হয়ে যাওয়া শরীরে মৃদুমৃদু প্রাণসঞ্চার হয়। টকটকে লাল চোখদুটো মেলে নিজের অতিপ্রিয় ভাইদুটোকে দেখে শেরহাম। এই ভাইদুটোর সাথে জড়িয়ে আছে তার আনন্দমুখর শৈশব, কৈশোর। কে জানতো বড় হলে তারা একে অপরের শত্রু হয়ে উঠবে? শেরহাম সুলতান কখনো কি ভেবেছে নিজের ভাইকে খু**ন করার নেশা তার রাতের ঘুম কেড়ে নেবে? কখনো কি ভেবেছে ক্ষমতার জন্য সে ভাইয়ের বুকে তলোয়ার চালানোর কথা ভাববে?
তাকে চোখ মেলতে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে শেহজাদ আর সাফায়াত। শেহজাদ ঝাপটে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। শেরহামের গায়ের রক্ত শুঁষে নেয় তার শরীর। সাফায়াত সেই দুই ভাইকে জড়িয়ে ধরে । আবেগঘন মুহূর্ত কাটে তিন ভাইয়ের। একদিন এই তিন ভাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিকারে যেতে দেখে চোখ জুড়িয়েছিল সম্রাট সলিমুল্লাহ’র। তিনি ভেবে নিয়েছিলেন এরা একে অপরের জন্য উসিলাসরূপ। একে অপরের বিপদে তাদের রক্ত কথা বলে উঠবে। আজ যেন সেদিন! আজ একে অপরের ব্যাথায়, দূরত্বের সন্তাপে তিন বীরের চোখে জল। হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। আজ বহুবছর পর তাদের কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত। আজ আত্মার বন্ধন তাদের পুনরায় জোড়া লেগেছে।
আজ তাদের রক্তের কথা বলছে।
প্রবল উত্তেজনামূলক পরিস্থিতিতে শেরহামের প্রশ্ন শেহজাদ আর সাফায়াতকে অবাক করে দেয়।
‘ তোরা কেন এসেছিস এখানে? ‘
শেহজাদ তাকে ছেড়ে দেয়। উত্তর দেয়,
‘ একজন ভাই তার ভাইকে উদ্ধার করতে এসেছে। ব্যস এটুকুই। ‘
শেরহাম দম নিয়ে বলে,
‘ এই লড়াইটা আমার একার। ‘
শেহজাদ তার দু-কাঁধ ধরে ঝাঁকিয়ে বলে,
‘ এই লড়াইটা আমাদের। আমি, তুমি, আমাদের সবার হারজিত এখানে। কি করে তোমার একার লড়াই হতে পারে? ‘
শেরহাম উত্তর দেয় না। শেহজাদের মুখপানে চেয়ে থাকে। সাফায়াত বলে, ‘ ফিরতে হবে তো ভাইজান। তনীর ফুটফুটে একটা বাচ্চা হয়েছে। ‘ ‘তনী’ এই নাম তার জন্য কত আফসোসের!
প্রকান্ড লোহার দরজাটা খুলতে থাকে শব্দ করে। শেরহাম ঘাড় ফিরিয়ে তাকায় দরজার দিকে। শেহজাদ আর সাফায়াত দাঁড়িয়ে পড়ে। শেরহাম ওভাবেই বসে থাকে। আধোআধো চোখে চেয়ে থাকে দরজার দিকে। গায়ের রক্ত ফুটতে শুরু করে টগবগ করে। হাতের শিরা উপশিরা দিয়ে বয়ে যায় গরম রক্তের স্রোত। শেরহাম উঠে দাঁড়ায়। পা ফেলে এগিয়ে যায় জ্বালিয়ে রাখা মশালগুলির দিকে। তুলে নিয়ে ছুঁড়ে মারে দেয়ালে। সেটি মেঝেতে পড়ে যায়। নিভে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। শেহজাদ আর সাফায়াতও মশালগুলি তুলে নেয়। ছুঁড়ে মারে দেয়ালে। পায়ের নীচে চাপা দেয়। সোপানে জ্বালানো মশালগুলি একে একে নিভাতে থাকে। মদের ভাঙা বোতলের অংশগুলি জড়ো করে শেহজাদ প্রবেশ পথে রাখে।
ওদিকে দরজাটি প্রায় খুলে আসে। মশালগুলি সব নিভিয়ে তিন ভাই শিকারের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে থাকে অন্ধকারে।
ডাকাত সৈন্যরা দলেদলে ভবনে প্রবেশ করে মস্তবড় তলোয়ার হাতে। গুলজার চিৎকার করে বলে,
‘ এখানে অন্ধকার কেন? কি হয়েছে এখানে। মা** বাচ্চা তোরা ওদের একা ছেড়েছিস কেন? মশাল নিয়ে আয়। শূ**করের বাচ্চা তোরা বেরিয়ে আয় যেখানে আছিস। আজ তোদের মৃত্যু আমার হাতে।’
বলতে বলতে সে ফিরে চলে গেল। বাকি সৈন্যরা
অন্ধকারাচ্ছন্ন কামরায় কিছুই দেখতে পায় না। সতর্কতা সহিত পা বাড়িয়ে কামরায় প্রবেশ করতেই তাদের পায়ের নীচে কাঁচ ভেঙে ঢুকে পড়ে। আর্তস্বরে ডেকে উঠে। মেঝেতে বসে পড়তেই দুজনের মুখ চেপে ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে নিয়ে যায় শেহজাদ আর সাফায়াত। তাদের কাছ থেকে তলোয়ার বন্দুক কেড়ে নিয়ে গুলি করে সেখানেই হত্যা করে তাদের। বাকিরা কিছুই দেখতে পায় না কিন্তু গুলির শব্দে পিছু হাঁটে। গুলজার আদেশ দেয়। তাড়াতাড়ি মশাল জ্বালা। অপরদিকে শেহজাদের সৈন্যদের সাথে তলোয়ার যুদ্ধ এখনো বহাল আছে। মশাল নিয়ে কামরার দিকে এগিয়ে আসে কয়েকজন। তার আগেই লোহার দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। আর কামরার ভেতর হতে চিৎকার করে ভেসে আসে। তলোয়ার দিকে কো*পাতে থাকে শেরহাম। মেঝে রক্তে ভাসে। তিন ভাইয়ের শরীর রক্তে ভরে উঠে। থু বলে থুতু ফেলে শেহজাদ। রক্তের উষ্ণ গন্ধ নাকে ঠেকতেই সাফয়াতের কলিজা মোচড় দেয়। বেরিয়ে আসতে চায় নাড়িভুড়ি। সে পেট চেপে ধরে বসে পড়ে। শেরহাম পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালায় মশালে। দেখে অসংখ্য কাটা হা**ত পা মা**থা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, বিছিয়ে আছে মরদেহ তাজা রক্তের বিছানায়। শেরহাম ক্রুর হাসে। সাফায়াত চোখ বন্ধ করে নেয়। রক্তের গন্ধ সে সহ্য করতে পারেনা। শেহজাদ তার কাছে এগিয়ে যায়। কামরার একপাশে রটিয়ে দেয়া একটা মোটা তেরপালের ন্যায় কাপড় টেনে এনে তার মুখ মুছে দেয়। শেরহাম তাদের দিকে একপলক তাকায়। তারপর রক্তেমাখা তলোয়ার হাতে নিয়ে বাহুতে মুখ মুছতে মুছতে সোপান বেয়ে ভবনের দ্বিতলের দিকে পা বাড়ায়। এদিকে অস্ত্রের গুদামের দিকে শেরহাম পা বাড়াবে এই ভেবে দরজায় আগুন লাগিয়ে দিতে বলে গুলজার। যে করেই হোক দরজা খুলতে হবে। সবাই মিলে পেট্রোল ঢালতে থাকে।
___________
মহলের চারপাশ জনশূন্য, সুনসান, নীরব দেখে মহলে ডাকাতরা অতি সহজেই প্রবেশ করে।
তাদের আগমন দেখে ভয়ে চুপসে যায় টুনু, মতিবানু আর ফুলকলি। মতিবানু চালাকি করে ফুলকলি আর টুনুকে গোসলখানায় বন্দি করে রাখে। ডাকাত সৈন্যরা চিৎকার করে ডাকে। ‘ কে আছিস বেরিয়ে আয়। ধরতে পারলে সব কটার মা**থা নেব। ‘
বলতে বলতেই তারা শেহজাদের কক্ষ, শেরহামের কক্ষ, খোদেজার কক্ষে প্রবেশ করে। একে একে সবকটা কক্ষে প্রবেশ করে। পুরো মহলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা গর্জন করতে থাকে। গুলি ছুঁড়তে থাকে। জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে থাকে। কুমুদিনীকে ধরে নিয়ে আসে একজন। সে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের সামনে। হাতজোড় করে বলে,
‘ আমি কাজের লোক। ছাইড়া দিন আমারে। ‘
ডাকাত সৈন্য তার কপালে গুলি ঠেকিয়ে বলে,
‘ এরা গিয়েছে কোথায়? সত্যি বল। নইলে মর। ‘
‘ বলতাছি বলতাছি হুজুর। ওরা সবাই জাহাজে কইরা রওনা দিছে। সুলতানদের যেইখানে বন্দি করছে ওইদিকে রওনা দিছে। আমারে ছাইড়া দেন। আমি এইখান থেইক্যা পলায় যাইতাছি। আমারে ছাইড়া দেন। ‘
বন্দুকের নল দিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে দপদপ পায়ে হেঁটে সকলেই মহল ছাড়ে। কুমুদিনী মতিবানদের দেখতে না পেয়ে হাতের কাছ যা পা তাই চুরি করে। শেহজাদের কক্ষে অনেক টাকাকড়ি পায়। তা নিয়ে গাট্টি বোচকা বেঁধে পালিয়ে যায়।
________
জাহাজ থামলো একটা জঙ্গলের সামনে। বহুদূরে কালো কালো আকাশছোঁয়া পাহাড়ের দেখা মিলছে। বৃষ্টি শেষে প্রকৃতিতে বিরাজ করছে ঠান্ডা হাওয়া। আকাশ থেকে মেঘ সরে গিয়েছে।
পাহাড় গুলির দিকে তাকালেই মনে হয় তারা কুয়াশার চাদর গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখে তটিনী। তিনটে বাচ্চার কান্নার আওয়াজে বেহাল দশা সকলের। তারমধ্যে অপরূপার অবস্থা বেশ জটিল। তার হঠাৎ রক্তপাত শুরু হয়েছে। খোদেজা ভড়কে গেল। এভাবে চলতে থাকলে মেয়েটা তো বাঁচবে না। কি দরকার ছিল তার এখানে আশার। প্রিয় মানুষের প্রাণ সংকটের শঙ্কায় নিজের ভালো না চেয়ে এখানে সবার সাথে ছুটে এসেছে সে। এখন তো বিপদ বেড়েই চলেছে। অনুপমা পাগলপ্রায়। মাথা কাজ করছেনা কিছুতেই। মফিজ আর কামাল তাঈফ আর নাদিরের সাথে চরে নেমে আরও কয়েকটা মশাল জ্বালালো। দূর পাহাড় আর জঙ্গল হতে বন্য পশুপ্রাণীর বেওয়ারিশ ডাক ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। শাহাজাহান সাহেব আর শেরতাজ সাহেব অপরূপার জন্য চিন্তিত হয়ে অস্থিরভাবে পায়চারি করে। কি এক দূর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো! ওদিকে সন্তানেরা মৃত্যুর মুখোমুখি। আর এখানে সবাই তাদের জন্য অপেক্ষায় মরিমরি অবস্থা। এই অপেক্ষার শেষ কোথায়? অপরূপা বাচ্চাদের জড়িয়ে ধরে চোখ বুঁজে পড়ে থাকে জাহাজের কক্ষে। তটিনী তার বাচ্চাকে নিয়ে বসে থাকে জানালার কাছে মুখ করে। বাচ্চাটা কেঁদেই যাচ্ছে। বুকের দুধও খাচ্ছে না। তটিনী শান্ত করায় না। তাকিয়ে থাকে জানালার বাইরে জ্বলন্ত মশালের দিকে।
এই একটা রাত এত দীর্ঘ কেন? যেন সকাল আসবেই না আর।
সিভান হামিদার কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে। হুমায়রা মেয়েটাও তটিনীর পাশে ঘুমিয়ে আছে। তটিনী তাকে নিয়ে এসেছিল। মেয়েটাকে দেখলে এত মায়া লাগে। কত ছোট! অথচ এই বয়সে তার কত তিক্ত অভিজ্ঞতা। একমাত্র আপন দাদীটাকেও হারাতে বসেছে। তটিনী ভাবলো, মেয়েটাকে সে রেখে দেবে। শোহরাব আর রূপার বাবুদের সাথে থাকবে সে।
সায়রা, সোহিনী, শবনম তিনটে বাচ্চাকে কোলে তুলে নেয়। জাহাজের ভেতরে পায়চারী করতে থাকে। খোদেজা বলে দেয়, তাদের নিয়ে বাইরে বেরোনো যাবে না। খারাপ বাতাস লেগে যেতে পারে। অপরূপার রক্তপাত কিছুতেই বন্ধ হয় না। মরিয়ম, হামিদা সকলেই তার মাথার শিয়রে বসে সাহস দিতে থাকে। ফজল সাহেব ব্যাপারটা জানার পর কিছু ঔষধ দেন। ঔষধপত্রের ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন ভাগ্যিস। তাঈফের পরামর্শে অপরূপাকে পেট ভরে শুকনো খাবার খাওয়ায় অনুপমা। ঘনঘন পানি খাওয়ায়। রক্তক্ষরণ খানিকটা কমে এলেও পুরোপুরি কমেনা। ভয় কিছুতেই কাটেনা তাদের। অনুপমা ভয় পেয়ে কাঁদতে থাকে। মেয়ের মাথায় কপালে চুমু খেয়ে বিড়বিড়িয়ে বলে, ‘ হে আল্লাহ! বাচ্চাদের উসিলায় তাদের মায়ের অসুস্থতা কমিয়ে দিন। সকল বিপদ কাটিয়ে দিন। ‘
মরা নদীর পাড়ে যাওয়ার জন্য সকলেই প্রস্তুত হলো। নাদির জাহাজ থেকে মহল থেকে নিয়ে আসা কয়েকটা অস্ত্রসস্ত্র বের করে নিল।
তা নিয়ে বেরোনোর সময় অপরূপার মেয়েকে কোলসমেত শবনমকে দেখলো। দুজনই চোখাচোখি হলো। শবনম খানিকটা বিব্রত হলো। বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে এগিয়ে গিয়ে বলল,
‘ আপনারা কোথায় যাচ্ছেন? ‘
‘ নদীর পাড়ে যাব। নদীটা সরু। পাড়ে দাঁড়ালে নাকি ডাকাত আস্তানার পথটা দেখা যাচ্ছে। যদি সুযোগ হয় নদী পার হব। ‘
‘ যদি বিপদ হয়? ‘
তার উৎকন্ঠিত চেহারা দেখে নাদির ঈষৎ কৌতূহলী হয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবে তার আগেই শবনম বলল, ‘ মামুরা বয়স্ক মানুষ। ওখানে কি করবেন উনারা? যদি বিপদআপদ হয়? ‘
‘ আমরা তো আছি। দেখা যাক কি হয়? মফিজ সাহেব আর কালাম সাহেব ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছেন। উনারা খবর নিয়ে আসবেন। জানানো হবে আপনাদের। ‘
‘ আল্লাহ ভরসা। ‘
নাদির মাথা নেড়ে বেরিয়ে গেল। শবনম কোলের বাচ্চাটার গালে চুমু খেল। সোহিনী সায়রা একপাশে বসে রয়েছে ভাইপোদের কোলে নিয়ে। আজ এত খুশির দিনে তাদের উপর এতবড় ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কোথায় এর শেষ?
চলমান..