#প্রিয়_বেগম
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ #পর্ব_২৪
লেখনীতে পুষ্পিতা প্রিমা
ডাকাতের আনাগোনা বেড়েছে তাই শাহজাহান সাহেব আর শেরতাজ সাহেব গিয়েছেন হাসপাতালে। সকালে সবাই যাবে। রাতে মেয়েদের বেরোনো নিরাপদ নয়। বিশেষ করে অপরূপা। এদিকে ডাকাতের ঘাঁটি থেকে ফিরে কাজী ডেকে এনে অসুস্থ কুমুদিনীর সাথে সামাদকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে শেরহাম। কুমুদিনী কেঁদেই যাচ্ছে। মতিবানু আর ফুলকলি তাকে নিয়ে মহলে চলে এল। খোদেজা বলল, উচিত কাজ হয়েছে। বিয়ের আগে পরপুরুষের সাথে ঘুমানোর সময় মনে ছিল না? নষ্টা কোথাকার! অপবিত্র হয়ে গেল মহলটা। আজ আমার শ্বাশড়ি থাকলে তোর গর্দান নিতেন নয়ত অন্ধ কুঠরিতে বন্দি করতেন। আমি বলে ছাড় পেয়েছিস। দূর হ চোখের সামনে থেকে।
কুমুদিনী কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে সরে পড়ে।
শেরহাম প্রাঙ্গনে বসে আছে। দূরদূরান্ত হতে কয়েকটা লোক এসেছে ব্যবসার খাতিরে। তাদের সাথে কথা বলছে। শেহজাদের অনুপস্থিতিতে তার সব গোলমেলে লাগছে। সবকিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করে দূরে কোথাও চলে যাওয়ার পরিকল্পনা তার। এই মনুষ্যজাতির ভীড়ে আর থাকবে না।
বসে থাকতে থাকতে ঝিমুনি চলে এল। রাত্রি গভীর। তটিনীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খানিকটা উন্মনা হলো। কক্ষের দিকে পা বাড়াতেই সোহিনী এসে বলল,
‘ ভাইজান খাবার দিয়ে এসেছি। খেয়ে নেবেন। থালা-বাসন টেবিলে রেখে দেবেন। ‘
শেরহাম কপাল কুঞ্চন করে বলল,
‘ তনী কোথায় গেল? ‘
সোহিনীর বলতে ইচ্ছে হলো না তারপরও বলল।
‘ ফুপুআম্মা রেগে গিয়ে কক্ষে বন্দি করে রেখেছে। আব্বাজানের মুখেমুখে তর্ক করছিলো।’
‘ কোন কক্ষে? ‘
সোহিনী আঁতকে উঠে বলল,
‘ আর কোনো ঝামেলা বাঁধাবেন না ভাইজান। সকালে ছেড়ে দেবে। এখন রেগে আছে তাই বেঁধে রেখেছে। ‘
শেরহাম কক্ষে চলে গেল। খাওয়া-দাওয়া সেড়ে অতিথি কক্ষের দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই অপরূপার মুখোমুখি হলো। অপরূপা চোখ সরিয়ে নিল। শেরহাম চোখা দৃষ্টিতে একপলক তাকিয়ে হনহনিয়ে চলে গেল। অপরূপা সেদিকে ফিরে তাকালো। এত ছলনা জানা মানুষ কেন তার অন্যতম শত্রু শেহজাদ সুলতানকে উদ্ধার করলেন? মহলে আগমনের পূর্বে যে ডাকাত সর্দার শেরহাম সুলতান শতবার প্রাণে মারতে চেয়েছিলেন শেহজাদ সুলতানকে তিনি কেনই বা এমন একটা সুযোগ হাতছাড়া করলেন? যার ধ্বংস চেয়ে, যাকে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়ার জন্য হাজারো ছলনা আর মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন শেরহাম সুলতান, সেই তিনিই উদ্ধার করেছেন উনার প্রাণের শত্রুকে? তাহলে কি এই আগাগোড়া পাপিষ্ঠ মানুষটির ভেতরে এখনো মানবস্বত্তা বেঁচে আছে? তার দাদীজানের মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাকে জাদুটোনা করে আধপাগল বানিয়ে শেহজাদ সুলতানকে নাকানিচুবানি খাওয়াতে চাওয়া মানুষটাকে সে এই যাত্রায় কোনো দোষ দেবেনা। তারকাছে এখন তার প্রাণপুরুষের প্রাণটা আগে জরুরি। সেটি উদ্ধার করে আনায় সে কৃতজ্ঞ কিন্তু ক্ষমা করতে পারবে না কখনো। তার প্রিয় দাদীজানের মৃত্যুর কারণ এই লোকটি। কখনোই ক্ষমা করতে পারবেনা সে। তার অনুভূতি নিয়ে ছলনা করার জন্য সে ক্ষমা করবে না। অনুভূতি খেলার বস্তু নয়, যত্নে বুকে আগলে ধরে রাখার জিনিস তা যেদিন তিনি বুঝতে শিখবেন সেদিনই অপরূপা তাকে ক্ষমা করবে। এখন সে আতঙ্কিত হয় তটিনীকে নিয়ে। তাদের মধ্যে দা-কুমড়োর সম্পর্কের দেয়াল ভেঙে একটু একটু করে সম্পর্কের ভীতটা মজবুত হয়ে উঠছে। এবার
মেয়েটার অনুভূতি নিয়ে ছলনা করবেন না তো তিনি? এবার তো বুঝুক যে উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এই মহলে এসেছেন তাতে তিনি ব্যর্থ। শেহজাদ সুলতানকে পরাজিত করে জয়ী হয়েও উনি আজ পরাজিত। চারপাশে শূন্যতা আর শূন্যতা। কবে বুঝতে শিখবেন আপন মানুষদের মূল্য? কবে সবার ভালোবাসা, মায়া-মহব্বতের মূল্য দিতে শিখবেন? কখনো কি সেই সুদিন আসবে? নাকি এই পাপের মূল্য চুকাতে চুকাতে নিঃশেষ হয়ে যাবেন? সে খুব করে চায় এই মানুষটা ভালোবাসা কি তা বুঝুক। হৃদয়ের টানে মুখ থুবড়ে পড়ুক উনার সকল অহমিকা, দম্ভ, ক্ষমতার লোভ। যে মেয়েটি উনাকে দুমুঠো ভাত বেড়ে খাওয়ানোতে সুখ খুঁজে পায় তার পায়ের কাছে ভালোবাসার মুক্তো খুঁজে এনে ফেলুক। আর এখানেই অপরূপার জয়। সে গর্ব করে বলতে পারবে দিনশেষে সবাইকে ভালোবাসার কাছে নত হতে হয়। ক্ষমতা, অহংকার, দম্ভ, লোভ-লালসা কবে মানুষকে শান্তি এনে দিয়েছে? শান্তি তো বিশ্বাসযোগ্য, ভরসাস্থল ভালোবাসার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আকাশে তারা গোনায়, নৌকায় বসে চারপা একসাথে ভিজিয়ে কাঁধে মাথা রেখে ছুটে চলা সমুদ্দুরের বুকে, অশ্বের পিঠে করে উদ্দেশ্যহীন ছুটে চলা অরণ্যের বুকে, ভাগাভাগি করে খাওয়া একটা খেঁজুরের অসীম তৃপ্তির মাঝে, চোখে চোখ পড়ার পর হেসে উঠায়, দেখতে না পেলে বুকের ভেতর হাহাকার অনুভব করায়। শেরহাম সুলতানের দম্ভ মাটিতে মিশে যাক একজন নিজের মানুষের অভাবে। পুঁড়ে ছাই হয়ে যাক সমস্ত অহমিকা। যে দুচোখে তিনি পাপের সাম্রাজ্য কল্পনা করেন দেখেন সেই চোখে ভালোবাসার সুরমা পড়ুক। পঁচা হৃদয়ে খোদাতায়ালার প্রতি প্রেম জন্মাক। সবাই একটা নতুন মানুষের শুভজন্ম দেখুক।
_____________
মহলের সকলেই দেখতে গেল শেহজাদ আর সাফায়াতকে। শেহজাদ গতরাত অব্দি সকলের অপেক্ষায় ছিল। সকালে সবাইকে দেখে সে উত্তেজিত হয়ে পড়লো। সাফায়াতও সকলকে দেখে ভীষণ আনন্দিত। শাহানা আর খোদেজা তাদের দেখে কান্নায় মুষড়ে পড়েন। দূরন্ত, হৈহল্লায় মাতিয়ে রাখা দুটো প্রাণকে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে আর সহ্য হচ্ছে না।
মরিয়ম শেহজাদের শিয়রে বসে মাথায় ঘনঘন হাত বুলিয়ে বলল,
‘ তোমাকে খুব প্রয়োজন সবার। ‘
শেহজাদ অবসন্ন কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
‘ আম্মাজান তোমায় যত্নে রেখেছে মা? ‘
সকলেই খোদেজার দিকে তাকায়। খোদেজা মরিয়মের দিকে তাকায়। চোখ সরিয়ে নেয় ইতস্তত বোধ করে। মরিয়ম স্মিত হেসে বলে,
‘ তোমার আম্মা তোমাকে ভালোবাসে ভীষণ, তাই তুমি যাদের ভালোবাসো তাদের ভীষণ যত্নে আগলে রেখেছে। যেমন আমি, আর তোমার অনাগত সন্তানের মাকে। ‘
শেহজাদ প্রচন্ড বিস্ময়ের সাথে তাকায়। সকলের ঠোঁটে মৃদু হাসির ছটা দেখে বিড়বিড়িয়ে বলে,
‘ আলহামদুলিল্লাহ। ‘
সকলেই বলে উঠে ‘ আলহামদুলিল্লাহ ‘
মরিয়ম বলে,
‘ ওইতো অপরূপা এল। ‘
শেহজাদ চোখ ঘুরালো সেদিকে। অপরূপাও তাকালো। শেহজাদের সাথে তার চোখাচোখি হতেই সে দ্রুতপায়ে বেরিয়ে গেল। মরিয়ম হেসে বলল, এমা লজ্জা পেল নাকি!
________
সাফায়াত ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ করে রেখেছিল সায়রাকে দেখে। সায়রা তার পাশে এসে বসে থাকলো। সবাই বলছিলো উনি নাকি ফটরফটর করছিলেন সবার সাথে। এখন ঘুমাতে হলো!
চলে যাবে যাবে করেও গেল না।
মুখ গোমড়া করে সাফায়াতের দিকে তাকালো। তারপর চোখ বুঁজে গালে দু’হাত ঠেকিয়ে বসে রইলো অপেক্ষায়, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখুক। তার সাড়াশব্দ না পেয়ে সাফায়াত চোখ মেলে ফিসফিস করে ডাকলো,
‘ সায়রাবানু! ‘
সায়রা চোখ মেলে অবাকচোখে তাকায়। তার চোখজোড়া জলে ভরে উঠে। কান্নাজড়ানো গলায় বলে উঠে,
‘ বানু ডাকলে আমার রাগ হয়। ‘
‘ তোমায় রাগলে যা লাগে! ‘
সায়রার গালজোড়া রক্তিম হয়ে উঠে। মুখ লুকোয় সাফায়াতের হাতের তালুতে।
_____________
তটিনীর হঠাৎ অসুস্থতা দেখে সকলেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। কিন্তু সে ডাক্তারের সম্মুখে যেতে রাজী নয়। সকাল থেকে কিচ্ছু খায়নি। শেরহাম তার কাজকর্ম শেষে রাতে বাড়ি ফিরে জানতে পারলো তটিনীর এমন তেমন হয়েছে। সে কক্ষের দিকে যেতে যেতে ডাকলো,
‘ এই তনী কক্ষে আয়। ‘
শাহানা বলল,
‘ ও অসুস্থ। যেতে পারবে না। ‘
‘ কেন? হাঁটতে পারছেনা?’
শাহজাহান সাহেব সে পথে যাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করলেন,
‘ কি হয়েছে? ‘
শাহানা সবটা খুলে বললো। শেরতাজ সাহেবও এসে সবটা শুনলেন। শেরহামকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
‘ তুমি চেঁচামেচি করছো কেন? ওকে ঘুমাতে দাও। সকালে ডাক্তার ডেকে আনবো। ‘
শেরহাম গর্জে ডাকলো,
‘ এই তনী বেরিয়ে আয়। ‘
বলতে দেরী হনহনিয়ে গিয়ে বোনদের কক্ষের দরজা খুলতে দেরী করলো না। তটিনীকে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকতে দেখলো। বলল,
‘ কি হয়েছে তোর। ওঠ। ওই!’
তটিনী মুখ তুলে চাইলো। শাহানা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলল,
‘ ও ঘুমোক। ওকে বিরক্ত করো না শেরহাম। ‘
শেরহাম তটিনীকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে বলে,
‘ অনেকক্ষণ ধরে সবার নাটক দেখছি। সরো সামনে থেকে। আমি কাকে বিরক্ত করব কাকে করব তা সবাইকে বলে দিতে হবে নাকি? নাটকবাজের দল। ‘
সবাই সরে পড়লো। তটিনী তার কোলে কেন্নোর মতো গুটিয়ে গেল লজ্জায়। ছিঃ আম্মা আর মামুদের সামনে কোলে তুলে নিল বেয়াদব লোক! যেন কত বউ দরদী সে!
সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে তটিনীকে নিয়ে চলে গেল সে। শাহানা রোষে ফুঁসতে লাগলো। শাহজাহান সাহেব বললেন,
‘ আল্লাহ জানে কি হবে। ‘
তটিনীকে বিছানায় রাখামাত্রই শেরহাম ধমকে উঠে বলে,
‘ ডাক্তার দেখাচ্ছিস না কেন? এত নাটকের কি আছে? ‘
তটিনী শুয়ে পড়লো। বলল,
‘ খেয়েদেয়ে আলো নিভাও। আমার শরীর খারাপ লাগছে। ‘
শেরহাম কোনো কথা না বিরক্ত নিয়ে খেতে বসলো। খেতে খেতে তটিনীর দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ তোকে জাদুটোনা তো করিনি। কি হয়েছে? ‘
তটিনী চেঁচিয়ে বলল
‘ আলো নিভাও। আমার চোখে আলো সহ্য হচ্ছে না। ‘
শেরহাম হতচকিত হয়ে তাকালো। খাওয়াদাওয়া শেষ করে পকেট থেকে কয়েকটা আচারের প্যাকেট ছুঁড়ে মেরে বলল,
‘ এগুলো খেয়ে মর। ‘
তটিনী চোখ মেলে তাকালো। আচার দেখে জিভে চোখে জল এল তার। সত্যি এতক্ষণ আচার খেতে ইচ্ছে করছিলো। কেউ সন্দেহ করবে তাই কাউকে বলতে পারছিলো না। শেরহাম তাকে মহানন্দে আচার খেতে দেখেছিল গতকাল। আঙুল চেটেপুটে খাচ্ছিলো। কি রাক্ষসী রে! আচার মানুষ এভাবে খায়! সে বিড়বিড় করলো,
‘ রাক্ষসী! ‘
তটিনী তা শুনে মিনমিন করলো,
‘ তোর বাচ্চা রাক্ষস। ‘
শেরহাম আলো নিভিয়ে বলল,
‘ শুনলাম তোর ভাইদের নাকি আগামী সপ্তাহে নিয়ে আসা হচ্ছে? ‘
তটিনী আচার খেতে খেতে বলল,
‘ হ্যা। ‘
পাশে পুরুশালী শরীর এসে শুয়ে পড়লো। শক্তপোক্ত বাঁধনে তাকে টেনে শরীরের সমস্ত বিষণ্নতা শুঁষে নিয়ে হাতের ভাঁজে হাত রাখতেই আচারের প্যাকেট পড়ে গেল তটিনীর হাত থেকে। গলার পাশেই পুরুষালী মুখটা বড়সড় নিঃশ্বাস ফেললো। প্রগাঢ় চুম্বন দিয়ে বলল,
‘ তোর আচারের ব্যামো হলো কেন? ‘
‘ তোমার জন্য। ‘
‘ আমি কি করলাম? ‘
‘ কিছুই করোনি। তুমি ধোঁয়া তুলসীপাতা। আমি কিছু একটা চাইলে তুমি আমাকে দেবে?’
‘ কি? ‘
তটিনী তার বুকে চুম্বন করে ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় বলল,
‘ বলো দেবে। ‘
‘ আগে বল। ‘
‘ মেহফিল হবে ভাইজানরা ফেরার পর। তুমি আমার সাথে মসজিদে যাবে। ‘
শেরহাম তৎক্ষনাৎ সরে পড়লো তার উপর থেকে। শরীরের উম কমে যেতেই তটিনী বলল,
‘ আচ্ছা ঠিক আছে। যেওনা। আবার ধরো। ‘
শেরহামের কোনো সাড়াশব্দ না পেতেই সে বাহুতে কিল বসিয়ে বলল,
‘ তুই আমাকে আর ছুঁলে খবর আছে শয়তান। ‘
শেরহাম তাকে আবারও ছুঁলো। গলায় মুখ ডুবিয়ে হাসলো। তার এত এত অপ্রিয় মানুষের ভীড়ে এই একটা মেয়ে যে তার প্রিয় হয়ে উঠেছে অবচেতন মন তা স্বীকার করে।
তটিনীর নড়চড় দেখে শেরহাম মুখ তুলে তাকায়। হারিকেনের আলোয় বিরক্তিমাখা মুখটা দেখে তটিনী। দীর্ঘ পেশনে পুরুষালী ওষ্ঠজোড়া লোভনীয় হয়ে উঠেছে। শেরহাম ভুরু কুঁচকে বলে,
‘ কি হয়েছে?’
তটিনী তার বন্ধন দৃঢ় করে শেরহামের মুখের নিকট ঘেঁষে আবদার করে বলে,
‘ আবার। ‘
শুধু আহ্বানের অপেক্ষা! পুরুষালী বলিষ্ঠ সিক্ত ঠোঁটজোড়া তার তিরতির করে কাঁপতে থাকা অধরযুগল বন্দি করে নিতে দেরী করেনি। ভালোবাসার অতি প্রগাঢ় আলিঙ্গনে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে দুজন।
****
শেহজাদ আর সাফায়াতকে ফিরি আনা হয় মহলে। তাদের আগমন উপলক্ষে হৈহৈ রব পড়ে যায় চারিপাশে। মেহফিলের আয়োজন শুরু হয়।
চলমান…
Golpo ta khub sundor hoise khub vlo lage kintu opekkha korte korte birokto hoye jai tokhon ar mon chai na j ar ai golpo ta pori tobe apnr lekha vlo please taratari golper porer part gula diyen ar ending ta happy raikhen Sherham ar Totiny er o mil korayen please Shezaad ar Oporupar o please please🥺🥺❤️
আরো পর্ব চাই,,, তাড়াতাড়ি চাই