প্রিয় বেগম ২ পর্ব-১২

3
1377

#প্রিয়_বেগম
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ #পর্ব_১২
লেখনীতে পুষ্পিতা প্রিমা

কক্ষে শেহজাদ অপরূপার রেখে যাওয়া কাগজটা পেল। সেখানে লেখা ছিল ‘ আমি সময় হলে ফিরে আসবো। আমাকে খুঁজবেন না। ‘

শেহজাদ লেখাটি দেখে অন্দরমহলে যেতেই অনুপমা ছুটে এসে বলল,

‘ সবাই বলছে ওকে নাকি কারা বলি দেয়ার জন্য খুঁজছে? কোথায় গেল ও? ও কি আমার উপর রাগ করে মহল ছাড়লো। এমন জানলে তো আমি চলে যেতাম। ‘

শেহজাদ চুপ করে রইলো। শবনম এসে বলল, ও শালভার কামিজ পড়ে কক্ষ থেকে যখন বের হলো তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি ও মহল ছাড়বে।
খোদেজা কি বলবে খুঁজে পেল না। কি করে শেরহামের হাত থেকে নিজের ছেলেকে বাঁচাবেন তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। শেরহামের মা সোফিয়ার ছলনায় পরপর গর্ভের তিনটে বাচ্চা, ও জন্মপরবর্তী তিনটে বাচ্চা মারা গিয়েছিল উনার। বহুকষ্টে তিনি শেহজাদকে বড় করেছেন। প্রতিটা পদেপদে ওকে বিপদ থেকে আগলে রেখেছেন। শেরহাম মহলে আসার পর থেকে এমনকিছুর শঙ্কায় ভীত ছিল উনার মন। আজ সেটাই স্বচক্ষে দেখলেন উনি। এখনো বুকের কাঁপুনি থামছে না উনার। এজন্যই ছেলেটা এমন অদ্ভুত ব্যবহার করছে, অশান্ত, অসুস্থ লাগছিল তাকে, খাওয়াদাওয়াও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। খোদেজার বুক ভার হয়ে এল। এই ছেলের কিছু হলে তার পুরো দুনিয়া আঁধার হয়ে যাবে।
শেহজাদ কোনো কথা বলছেনা। কাগজটি মুঠোয় নিয়ে চুপ করে আছে। রূপার এভাবে মহল ছেড়ে যাওয়ার কারণ সে?
খোদেজা এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
‘ শেহজাদ তুমি বিপদে আছ পুত্র। আমার কক্ষে আসো।
শেহজাদের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন উনি। কুমুকে শেরহামের সাথে দেখার বিষয়টা বলতেই সে বিরক্ত হয়ে বলল,
‘ সব ভুল কথা আম্মা। কোনো জাদুটোনা হয়নি। স্বামী স্ত্রীর মাঝে কি মনোমালিন্য হয় না? তাই বলে মহল ছাড়তে হবে? ‘

‘ মনোমালিন্য? ও এই সুলতান মহলে এসেছে তোমার হাত ধরে। তুমি তাকে নিকাহ করে নিয়ে এসেছ। ও ছিলই তোমার জন্য। সেই তুমি ওকে অনাদর অবহেলা করলে ও কার কাছে যাবে? মেয়েরা যাকে নিজের সর্বস্ব ভেবে বসে তার দেয়া আঘাত সইতে পারে না। তার মনের অবস্থা ভেবে কষ্ট হচ্ছে আমার। সে সত্যি ছিল আর কুমু মিথ্যে। ওই নিম**কহারামি আজ আসুক। খু**ন করে ছাড়বো তাকে। ‘

শেহজাদ বলল,
‘ আপনি যা ভাবছেন তা নয়। শেরহাম সুলতান আমার কিছু করতে পারবে না। আমি উনার মুখোমুখি হবো। সৎ সাহস থাকলে উনি তা স্বীকার করবেন। ‘

বলেই সে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার পথে অনুপমাকে দেখে থামলো। বলল,

‘ চিন্তার কিছু নেই। সময় হলে ও ফিরবে বলেছে। আমি অপেক্ষা করব। ‘

অনুপমা স্থির হতে পারলো না। নিজেকে অপরাধী মনে হতে লাগলো। সাফায়াত সৈন্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল চারপাশে। শেরহামকে সেদিন আর পাওয়া গেল না। বাচ্চাগুলোকে উদ্ধার করার জন্য সে পরাগ পাহাড়ে গিয়েছে স্বয়ং। সেখানে দু-তিনদিন থাকবে তা ভেবে।
সেখানে গিয়ে দেখলো শুকনো কাঠের আগুনের কুন্ডলীর চারপাশে কালো পোশাক পড়া জাদুকরের দল অদ্ভুত বিদঘুটে ভয়ংকর শব্দ তুলে তালে তাল মিলিয়ে নাচছে। আর হাতের বোতল হতে র**ক্ত*জল পান করছে। বাচ্চাগুলো ভয়ে কাঁদছে তাদের দেখে। শেরহামকে দেখে সকলের আনন্দ যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেল। সাজিয়ে রাখা ম**দের বোতল তুলে নিয়ে ঢকঢক করে খেতে খেতে সে বাচ্চাগুলোকে ধমক দিল জোরে। বাচ্চাগুলো কান্না থামিয়ে ওর মুখের দিকে চেয়ে রইলো। চন্দ্রলাল এসে তার পাশে বসে বলল,
‘ হঠাৎ কি মনে করে এসেছিস? ‘
শেরহাম বোতলে চুমুক দিতে দিতে রক্তচোখে তাকিয়ে বলল,
‘ আরেকবার বলার আগে বাচ্চাগুলোকে রূপনগরের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দাও। ‘
চন্দ্রলাল চোখমুখ হিংস্র ভয়ানক করে বলল,
‘ ছাড়বো না। তুই বড্ড জেদ করছিস। ঠিক সময়ে জান বলি দিতে না পারলে আমার এতদিনের সমস্ত সাধনা ভেস্তে যাবে। ‘
শেরহাম খাওয়া শেষে বোতলটা আগুনের মধ্যে ছুঁড়ে মেরে গর্জে উঠলো,

‘ ওদের ছাড়ো। আমি তোমাকে মেয়ে এনে দেব। ‘

ওর জোরাজুরি আর আশ্বাস পেয়ে চন্দ্রলাল বাচ্চাদের মুক্তি দিল। শেরহাম থেকে গেল সেখানে। জাগতিক মায়ামোহ থেকে দূরে থাকার জন্য মনুষ্যজাতির ভীড় থেকে একটু আলাদা থাকা প্রয়োজন তার । তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বত্বাকে সে হারিয়ে যেতে দেবেনা কভু। বনে-বাঁদাড়ে ঘুরেফিরে দু’দিন কাটিয়ে ফিরে এল মহলে।

শেহজাদও রূপাকে খুঁজে সবেমাত্র মহলে ফিরেছে। শেরহাম ফিরেছে শুনে অতিথিশালার দিকে যেতেই শেরহামকে প্রাঙ্গনে বসা অবস্থায় দেখতে পেল। কুমুদিনী নিখোঁজ। মসজিদের এক ইমাম সাহেবের কাছে যেতেই উনি কোরআনি চিকিৎসা দিয়েছেন শেহজাদকে। সাথে সকল বাহুবন্ধনী খুলে পুড়িয়ে দিতে বলেছেন। উনার কথামতো কাজ করেছে শেহজাদ। মাথার ভনভনানি, শারিরীক অসুস্থতা কমে গেছে আগের চাইতে। তবে পুরোপুরি কমেনি।

শেহজাদের আগেই শেরতাজ সাহেব গিয়ে ওর সামনাসামনি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো,

‘ তুমি আমাদের কাছ থেকে কি কি চাও বলো। সব দিয়ে দেব তোমায়। আমাদের যদি বের করে দিতে চাও। তাও দাও। কিন্তু তোমার এইসব থামাও। ‘

শেরহাম সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বলল,

‘ হুম। ‘

শেরতাজ সাহেব রেগে গিয়ে বললেন,

‘ তোমার মায়ের মতো হবে তোমার পরিণতি। কি করে পারলে শেহজাদের সাথে এমন করতে? তোমাকে কি দিয়ে দেয়নি সে? নিজের ক্ষমতা, সহায়সম্পদ সব সবটা দিয়ে দিয়েছে। আর কি কি চাও তুমি? ‘

শেরহাম সিগারেট ফুঁকা শেষে দাঁড়িয়ে চোখ গরম করে বলল,

‘ সামনে থেকে সরো। ফালতু কথা বলার সময় নেই। ‘

শেরতাজ সাহেব তার কাঁধ ধরে থামিয়ে দিয়ে বলে,

‘ আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। আজ একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বো আমি। তুমি নিজে কখনো কাউকে ভালোবাসোনি, সংসার গড়তে পারোনি, কেন অন্যের সংসার ভাঙছো? কেন ওদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করেছ? কেন করেছ? ‘

শেরহাম সরু চোখে চেয়ে থাকলো। তারপর উনাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বলল,

‘ বেশ করেছি। আমাকে বোকা বানিয়ে নিকাহ করে নিল আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখবো? বেশ করেছি আলাদা করেছি। ওদের সংসার হতে দেব না আমি। আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করে অন্যজনকে নিকাহ করে নিল আর আমি এত সহজে ছেড়ে দেব ওকে? ভাবলে কি করে? ‘

শেহজাদ পেছনে এসে দাঁড়ায় ততক্ষণে। শেরহাম ফিরতেই সে দুহাতে কাঁধের পোশাক চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলে,

‘ যেখান থেকে পারো ওকে খুঁজে এনে দাও। নইলে তোমাকে আজকেই খু**ন করবো আমি। অনেক সহ্য করেছি তোমাকে। আর না। এসব নোংরামো বন্ধ না করলে তোমাকে বন্দি করব আমি।

শেরহাম ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে যাবে শেহজাদ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। মুখে ঘুষি বসিয়ে কামীলকে বলল, ‘ বন্দি করো একে। হাত পা মুখ বেঁধে ফেলে রাখো। ‘

সৈন্যরা ছুটে আসতেই শেরহামের সৈন্যরা পথরুদ্ধ করতেই হাতাহাতি লেগে গেল। তলোয়ারের খ্যাঁচখ্যাঁচ শব্দে ভয়ংকর হয়ে উঠলো পরিবেশ। তটিনী এসে দুজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে শেরহামের হাতে নখ বিঁধিয়ে দিতেই শেরহাম চোখ ঘুরিয়ে তাকে দেখলো। তটিনীর চোখেমুখে ঘৃণা উপচে পড়ছে। সে শেরহামের হাত খামচে দিয়ে বলল,

‘ থামাও এসব। শেহজাদ ভাই থামাও। থামো বলছি। সবাই থামো। ‘

তার চিৎকারে শেহজাদের সৈন্যরা থেমে যেতেই শেরহামের সৈন্যরাও সরে পড়লো। শেরহাম গা ঝাড়া দিয়ে শেহজাদের দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে গটগট পায়ে হাঁটা ধরলো।

তটিনী তার পিছুপিছু ছুটে গেল। শেরহাম কক্ষে ঢুকে গায়ের পোশাক পাল্টাতেই তটিনী ওর বুকে ধাক্কা দিয়ে বলল,

‘ রূপা কোথায় জেনে থাকলে বলো। তুমি কি ওকেও বশ করেছ? বলো। কোথায়ও? পরাগ পাহাড়ে? ‘

শেরহাম হাত ঝাড়া দিতেই তটিনী পড়ে গেল। পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেতেই তটিনী চেঁচিয়ে কেঁদে বলল,

‘ অন্যের শান্তি বিনষ্ট করছো। তোমার শান্তি স্বয়ং খোদাতায়ালা বিনষ্ট করবেন। ‘

শেরহাম এগিয়ে এসে হাত টেনে দাঁড় করায় তটিনীকে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে

‘ সব দোষ আমার উপর দেয়া বন্ধ কর। নইলে মেরে গু**ম করে দেব বলে রাখলাম।

তটিনীর কান্নার গতি কমতে থাকে। কান্না থামাতে থামাতে বলে,

‘ তুমি না করলে কে করেছে? ‘

‘ তোকে এত কৈফিয়ত দেব কেন? সর। ধুর হ এখান থেকে। ‘

তটিনী চেঁচাতে চেঁচাতে বলল,

‘ আমাকে তালাক দাও। আজই দেবে। তোমার বেগম হয়ে থাকা আমার কাছে মৃত্যু যন্ত্রণার চাইতেও বেশি কষ্টের। আমি থাকতে পারছিনা। আমি এই নিকাহ ভাঙতে চাই। তালাক দাও। ‘

শেরহাম কুটিল হেসে বলল,

‘ দেব। এত আবর্জনা সাথে নিয়ে কে থাকতে চায়? আমার উদ্দেশ্য সফল হলেই তোকে তালাক দেব। ততদিন দূরে থাক। দূর হ। ‘

বলেই তটিনীর হাত ধরে বের করে দিল কক্ষ হতে। তটিনী কান্না গিলে সবার চোখ এড়িয়ে অতিথিশালায় চলে গেল। শেরহামের বেগম বলে সৈন্যরা তাকে কিছু বলতে পারলো না। তটিনী সামাদ আর মুরাদের কক্ষে উঁকি দিতেই দেখতে পেল দুজনকেই আধমরা করে মেরে কেদারার সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। তটিনী দ্বিধায় ভুগলো। ওদের কেন শাস্তি দিয়েছে শেরহাম সুলতান? তার সাথে ওইদিন অসভ্যতা করার জন্য? নাকি শেহজাদ ভাইকে জাদুটোনা করার জন্য?
সে ত্রস্তপায়ে কক্ষের দিকে পা বাড়াতেই শাহানা পথরুদ্ধ করে বলল,

‘ জাহান্নামে পুড়তে চাও তুমি? ‘

তটিনী চুপচাপ বোনদের কক্ষে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। শেরহাম তার পোশাক আলমিরায় খুঁজে না পেয়ে তটিনীকে ডাক দিল তখুনি,

‘ এই তনী! কক্ষে আয় তো। তাড়াতাড়ি আয়। ‘

তটিনী মায়ের দিকে তাকিয়ে বোনদের কক্ষে চলে গেল মাথা নীচু করে । শেরহাম তাকে আসতে না দেখে হনহনিয়ে বেরিয়ে এল কক্ষ হতে। গটগট পায়ে হেঁটে সায়রাদের কক্ষের সামনে যেতেই সেখানে শাহানাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চোখ সরু করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। যা বুঝার বুঝে নিল।
তারপর শাহানার পাশ কেটে কক্ষের দরজা খুললো। দরজা খুলে শেরহামকে দেখে তটিনীর আপাদমস্তক কেঁপে উঠলো লজ্জায়। বোনেরা সবাই চোখ নত করে ডানেবামে তাকাতে লাগলো। শেরহাম তটিনীর হাত ধরে শাহানার সামনে টানতে টানতে নিয়ে এল। সিভান ভুরু কুঁচকে চেয়ে বলল,

‘ বড় ভাইজান শুধুই তনী তনী করে। আর কারো নাম জানেনা নাকি? ‘

_______________

কাশিম টিংটিংকে নিয়ে ফিরতেই শেহজাদ উন্মাদের মতো ছুটে গিয়ে বলল, টিংটিং একা কেন?

কাশিম চোখ নত করে বলল,
‘ বেগম শেহজাদী টিংটিংকে একজন উচ্চবিত্ত লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়ে জাহাজে উঠে ইন্দিরাপুরের দিকে নাকি রওনা দিয়েছেন। আমি টিংটিংকে চড়া মূল্যে কিনে এনেছি। আমি জানি টিংটিং উনার খুব প্রিয়। ‘

শেহজাদ ওর পিঠে হাত বুলিয়ে বলল,

‘ ভালো করেছ কাশিম। আমরা আর অপেক্ষা করছি কেন? ইন্দিরাপুরের দিকে রওনা দেওয়া যাক। ‘

কাশিম বলল, ‘ জ্বি আমরা প্রস্তুত। আপনি প্রস্তুত হয়ে আসুন। ‘

শেহজাদ, সাফায়াত আর তার দলবল জাহাজে করে রওনা দিল ইন্দিরাপুরের দিকে। কিন্তু জাহাজটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিল মাঝপথে। জাহাজ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল। জাহাজের এই ডুবোডুবির খেলা শেষ হলো ভিন্ন এক দেশে গিয়ে।
সেখানকার দূর পাহাড়ের উপর অবস্থিত চার্চ হতে ঘন্টার আওয়াজ ভেসে আসছে ক্রমাগত। উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ গিয়ে তীরে আঁছড়ে পড়ছে। চার্চের ফাদার দেখতে পেলেন পায়ের গোঁড়ালি সমান অব্দি পানির মধ্যিখানে কয়েকজন লোক বসে আছে একটা সৌম্যদর্শন অচেতন পুরুষকে ঘিরে।
তিনি এগিয়ে গেলেন সেদিকে। দেখলেন সেই পুরুষের উন্মুক্ত লোমশ বুকের উপর চাপ প্রয়োগ করছে একটা যুবক। তার নাম জানতে চাইলে, সে বললো আমি সাফায়াত। উনি আমার ভাইজান। জ্ঞান হারিয়েছেন জাহাজের প্রবল ধাক্কায়।

চলবে…

3 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে