#প্রিয়_বেগম
#পর্ব_৯
লেখনীতে পুষ্পিতা প্রিমা
সুভা অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে জঙ্গলের হলুদাভ ঘাসবিছানো শক্ত মাটির উপর। রহমান নামক লোকটার সাথে ধস্তাধস্তি চলছে চালকটির সাথে। হাতাহাতি দেখে মনে হচ্ছে রহমানই পরাজিত হবে। অপরূপা সুভার কাছে ছুটে গিয়ে সুভার মাথাটা তার কোলের উপর নিল। নিজের কান্না দমিয়ে রেখে কম্পিত গলায় ডাকলো, এই সুভু। ওঠ। দেখ আমি অপু। তোর কিচ্ছু হয়নি। সুভু চোখ খোল।
রহমান দূরে ছিঁটকে পড়লো। অপরূপা কেঁপে উঠলো। সুভাকে টানতে টানতে বড় একটা গাছের পেছনে নিয়ে গিয়ে প্রবল ধাক্কা দিতেই হাউমাউ শব্দে কেঁদে উঠলো সুভা। অপরূপা তার গায়ে ওড়না জড়িয়ে দিল। বলল,
কিচ্ছু হয়নি তোর। কাঁদিস না। ওই লোকটা আমাদের সাহায্য করেছে। আমাদের উনাকে সাহায্য করা দরকার।
সুভা পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করলো। রহমান একটা চারাগাছ তুলে নিয়ে দুমদাম পিঠের উপর দিতেই চালকটি গর্জন তুলে চেঁচাচ্ছে। বনের প্রকান্ড গাছগুলোর ফাঁকফোকর পেরিয়ে চাঁদের আলো জমিনে এসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। দূরে একটা টর্চ পড়ে আছে। অপরূপা দৌড়ে গিয়ে টর্চটা তুললো। গাড়ি চালকের দিকে ছুঁড়ে মারতেই সেটি গিয়ে পড়লো রহমানের কপালে। অপরূপা আঁতকে উঠলো।
রহমান তখন দানবটিকে পেটাচ্ছিল। কপালে টর্চটা পড়ায় রহমান কপালে হাত দিতেই চালকটি ছাড়া পেয়ে কোমরে কোনোমতে লুঙ্গি জড়িয়ে পালিয়ে গেল। রহমান কপালে হাত দিয়ে বসে পড়লো। অপরূপা আর সুভা ছুটে গেল। রহমানকে জিজ্ঞাসা করলো
আপনি ঠিক আছেন? আমি দুঃখীত। আমি আপনাকে আঘাত করতে চাইনি। ওই লোকটাকে মারতে চেয়েছি। কি যে হয়ে গেল! শুনছেন?
ব্যাথায় টনটন করছে কপালটা। রহমান কপাল থেকে হাত সরিয়ে পূর্ণ মেদুর চোখে তাকালো। আর্তস্বরে বলল,
আপনাদের সাহায্য করলাম। আর আপনি আমাকে মারলেন?
অপরূপা সন্তপ্ত গলায় বলল,
বললাম তো আমি খেয়াল করিনি। আপনি একটু কষ্ট করে উঠুন দয়া করে। আমরা রাস্তায় উঠতে পারলে কোথাও হতে পানি যোগাড় করব। আপনার এ উপকার কোনোদিন ভুলব না। আপনি না থাকলো আজ কি যে হতো।
রহমান কষ্টেসৃষ্টে পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। সুভা নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
আমি চিরকৃতজ্ঞ আপনার প্রতি।
এভাবে বলবেন না। মানুষ মানুষের জন্য।
অপরূপার পায়ের ব্যাথা ক্রমশ বাড়ছে। সুভাও তার ভর সইবার মতো অবস্থায় নেই। তারপরও দুজন দুজনের হাতে ভর রেখে রহমানের পিছু পিছু জঙ্গলের প্রবেশপথে চলে এল। সেখানে রহিম মিয়াকে কোথাও দেখতে পেল না। অপরূপা বলল
রহিম চাচা কোথায় গেল? এখানেই তো ফেলে দেয়া হয়েছিল উনাকে।
রহমান বলল,
আপনি নিশ্চিত যে এখানেই?
জ্বি এখানেই।
রহমান টর্চ ঘুরিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজলো রহিম মিয়াকে কোথাও পাওয়া গেল না। অপরূপা এবার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে বলল,
চাচা আবার কোথায় গেল? আমার খুব ভয় করছে।
রহমান লোকটা তাকে আশ্বাস দিয়ে বলল,
ভয় পাবেন না। আমার মনে হয় উনি পালিয়েছে।
পালিয়েছে?
পালাতেই পারে। প্রাণের মায়া কার না আছে? প্রাণের মায়ায় হয়ত জঙ্গলের ভেতরে যায়নি।
আপনার প্রাণের মায়া নেই?
লোকটা চন্দ্রকিরণে পূর্ণদৃষ্টিতে অপরূপার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলো অপরূপাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়ে। হেসে বলল,
যাদের একূল ওকূলে কেউ নেই তাদের প্রাণের মায়া থাকে না।
অপরূপা সুভাকে নিয়ে লোকটার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কৌতুহলী মনে প্রশ্ন করলো,
কেউ নেই?
নাহ।
অপরূপার মায়া হলো লোকটার জন্য। রাস্তায় উঠতেই রহমান বলল,
আপনাদের একটা গাড়িতে তুলে দিলে হবে?
অপরূপা গাড়ির কথা শুনে ভড়কে গেল। উত্তর না পেয়ে রহমান হেসে বলল,
আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে আসবো।
আপনি কোথায় থাকেন?
আমি?
জ্বি।
আমি থাকি আকাশের নীচে জমিনে।
অপরূপা জোর গলায় বলল,
বলুন না। থাকেন কোথায়? এই গ্রামে আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না।
রহমান হেসে উঠলো। বলল,
আমি পলাশপুর থেকে এসেছি ব্যবসায়িক কাজে। আমার কাঁচামালের ব্যবসা। পলাশপুর আর ইন্দিরাপুরেই বেশিরভাগই যাতায়াত হয়।
এখন এখান থেকে কোথায় যাবেন?
আমার এক বন্ধুর বাসায় যাব। ওখানে রাতের খাবারের আয়োজন হয়েছে। পালা দেখে ফিরতে ফিরতে দেরী হয়ে গেল। তড়িঘড়ি করে ফিরছিলাম হঠাৎ জঙ্গলে মেয়েলী কন্ঠস্বর শুনে ছুটে এলাম।
সুভা বলল,
আজ আমাদের বাড়িতে চলুন। আপনি আমাদের এতবড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। একটু আপ্যয়ন করতে পারলে খুব খুশি হবো।
রহমান বলল,
না। অন্য একদিন। এই থামো।
রিকশাওয়ালা চলে যাচ্ছিলো। রহমানের ডাকে থেমে গেল। রিকশাচালককে সুভা চেনে। বলল
সোনাই কাকু না?
হ। এত্তরাতে কই গেছিলি?
সুভা একলাফে রিকশায় উঠে বলল
বাড়িতে নিয়ে যাও। পয়সা বাড়িয়ে দেব। এই অপু ওঠ।
অপরূপা রিকশায় উঠতে যাবে ঠিক তখনি রহমানের দিকে তাকালো। এতক্ষণ লোকটাকে সে ভালো করে খেয়াল করেনি। তবে চাঁদের ক্ষীণ আলোয় শ্যামকালো লোকটাকে দেখে বেশ ভদ্রলোক আর ভালো মানুষ মনে হচ্ছে।
আরেহ ভালোই তো হলো। আমার আর এগিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়লো না। যান। ওঠে পড়ুন।
অপরূপা তার কথায় রিকশায় উঠে বসলো। আবার গলা বাড়িয়ে উঁকি দিয়ে বলল
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
রহমান হেসে ফুলে যাওয়া কপালের অংশে হাত ঢলে বলল,
আপনারা সাবধানে যাবেন। বলা যায় না সুন্দর মানুষদের পথেঘাটে অসংখ্য বিপদ।
আমরা সুন্দর মানুষ? কি করে বুঝ…
চট করে নিকাব নামিয়ে আনতে যাবে তখনি রহমান হাসতে হাসতে বলল,
দেখা হয়ে গেছে। যান। খোদা হাফেজ। আবারও দেখা হবে।
রিকশা চলতে শুরু করলো। অপরূপা গলা বাড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে বলল
দেখা হবে তা কি করে বুঝলেন?
রহমান ঠোঁট উল্টে বলল,
ওই এমনিই ।
তারপর কপালে মালিশ করতে করতে বলল,
মলম নিতে যাব।
অপরূপা হেসে সামনে ফিরে গেল। সুভা ঘটনাটির পর চুপসে গেছে ভয়ে। তারপরও অপরূপাকে দেখে বলল,
সাহেবদের সামনে কথা বলতে চাইলি না। আর এখন এই লোকটার সাথে কত কথা।
অপরূপা ভাবুক হয়ে বলল,
কি বলিস? সত্যি?
হ্যা সত্যি। তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুই লোকটাকে কত বছর ধরে চিনিস।
আর বলব না। ভুল হয়ে গেছে। দাদীজানকে আবার বলিস না।
আমি এমনিতেই বলছিলাম। তারমানে এ নয় যে তোর দাদীকে বলব। তবে দাদীর কথা শুনলে আজ এতবড় বিপদ আসতো না।
কথাগুলো বলার সময় সুভার গলা কাঁপছিল। মাথা ঘুরছিলো। অপরূপার কাঁধে মাথা রাখতেই অপরূপা বলল,
বাড়ি ফিরেই একটা মুরগী সদকা দিয়ে দেব। কতবড় বিপদ গেল।
সেদিন বাড়ি ফিরে দাদীর কাছে বকুনিঝকুনি খেল অপরূপা। দাদীকে রহিম চাচা সব বলে দিয়েছেন। দাদীজান তাকে ঘরবন্দী করায় রহিম চাচার কাছ থেকে কিছুই জানতে পারলো না অপরূপা। রহিম চাচা কেন তাকে ফেলে চলে এল! তার কিছুদিন পর রহিম চাচা উদাও। দু তিন সপ্তাহ চলে গেলেও রহিম চাচা বাড়ি ফিরলো না। কুমু চাচীর রোজ কাঁদে। তা দেখে অপরূপার মন পুড়ে।
*************
ফাল্গুনী হাওয়া থেমে চৈত্রের দাবদাহ যখন শুরু হলো সেইসাথে আতপ্ত নভোমণ্ডলে মেঘরাশির আনাগোনা আরম্ভ হলো ঠিক সেসময়কার এক গোধূলি বিকেলে “আবারও দেখা হবে” বলা সেই রহমান নামক আগন্তুকের সাথে অপরূপার দেখা হলো।
সেদিন তার পরীক্ষা ফলাফল বেরিয়েছে। আনন্দে আত্মহারা অপরূপা মাস্টারমশাইদের বাড়ি থেকে বেলা পড়তেই বাড়ি ফিরছিল সুভার সাথে। পথিমধ্যে রহমানের সাথে দেখা হয়ে গেল। একে অপরকে চিনতে তাদের খুব বেশি অসুবিধে হলো না। রহমানের হাতে একটি মাটির হাঁড়ি। অপরূপা আর সুভাকে বিস্মিত হয়ে তাকাতে দেখে চমৎকার হেসে বলল,
ফলাফল ভালো হয়েছে বলে বাড়ি ফিরতে এত দেরী?
অপরূপা বলল
আপনি? কেমন আছেন? এই পথে হঠাৎ?
হ্যা, এই গ্রামে এসেছি চারদিন হলো। সুভার সাথে আমার কিন্তু গতপরশু দেখা হয়েছিল বাজারে। ওকে বলেছিলাম পরীক্ষার ভালো ফলাফল করলে আমি মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে আসবো।
অপরূপা সুভার দিকে তাকালো। সুভা মুচকি হাসলো। তার মুচকি হাসিতে সবকটার জবাব পেয়ে অপরূপা মৃদু হেসে বলল,
আপনার সাথে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো।
রহমান হাঁড়ি দেখিয়ে বলল,
এখন এই হাঁড়ি নিয়ে যে আমি পথেপথে ঘুরছি তার কি হবে?
অপরূপা ম্লানমুখে বলল,
মিষ্টি দিয়ে কি করব?
মিষ্টি কি করে সুভা?
সুভা বলল,
খায়।
আপনি ওর নামও জানেন?
আমি তোমার নামও জানি। অপরূপা। তুমি বললাম কারণ তুমি আমার অনেক ছোট। যাইহোক অপরূপা নামটা কিন্তু খুব সুন্দর। আমার বেশ ভালো লেগেছে।
সুভা মিটিমিটি হেসে বলল,
আচ্ছা মিষ্টি খাই না?
রহমান হাঁড়ি তার হাতে তুলে দিয়ে বলল,
হ্যা অবশ্যই।
মিষ্টির হাঁড়ি থেকে মিষ্টি তুলে খেয়ে সুভা মাথা নেড়ে বলল,
সবাই তো আমাদের কাছ থেকে মিষ্টি খেতে চায়। পরীক্ষা দিলাম আমরা, মিষ্টিও খাওয়াবো আমরা। এটা কোনো কথা হলো? আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি ধন্য। আর ধন্য হব অপা যদি একটা খায়।
অপরূপা চমকে উঠে বলল,
অপা?
রহমান হেসে বলল,
অপরূপা নামটা অনেক বড়। আমি সংক্ষেপে অপা দিয়েছি। ভালো না?
সুভা খেতে খেতে বলল,
দারুণ দারুণ।
অপরূপা তাকে গুঁতো দিয়ে বলল,
কি দারুণ?
মিষ্টি আর নাম দুটোই দারুণ।
রহমান হাসলো। অপরূপাকে বলল
তুমি কি মিষ্টি খাও না?
অপরূপা তড়িঘড়ি করে কাঠের চামচটি দ্বারা মিষ্টি তুলে হাতের তালুতে নিয়ে মুখ পুরে বলল
খাচ্ছি। আপনিও খান। এই নিন।
রহমানের হাতের তালুতে একটা মিষ্টি তুলে দিল অপরূপা। রহমান বলল,,
হাঁড়িটা কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে বয়ে চলেছি। এবার সেটা তোমাদের নিয়ে যেতে হবে।
সুভা গোগ্রাসে দু তিনটে খেয়ে বলল,
এগুলা তুই তোর দাদীর জন্য নিয়ে যা হ। আমার বাড়িতে সব মিষ্টি পেটুক। এসবে এক থাবায় গিলে নেবে।
অপরূপা ওর কথায় হেসে রহমানের দিকে তাকালো। হঠাৎ চোখাচোখি হতেই বেশ অস্বস্তি আর বিবাগে পড়ে গেল অপরূপা। চোখ নামিয়ে বলল,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের বাড়িতে আসুন না? দাদীজানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।
না। শুনেছি তোমার দাদীজান অনেক কড়া। অন্য একদিন যাব।
অপরূপা লজ্জা পেল। সুভা এসবও বলেছে। ব*জ্জাত মেয়ে একটা।
আমি আসি অপা। অন্য একদিন দেখা হবে হুট করে।
অপরূপা মৃদু হাসলো। বলল,
আপনার সম্বন্ধে তো কিছুই জানলাম না।
আমি রহমান। এর বাইরে অন্য কোনো পরিচয় নেই। আমার আমি ব্যতীত কেউ নেই।
অপরূপার কোমল মনে ওইদিন ওই কথাটা বেশ ছাপ ফেলেছিল। মানুষটার জন্য তার খুব খারাপ লাগলো। কত একা মানুষটা!
আর সেদিনের পর হতে হুটহাট কারণে হোক অকারণে তার সামনে রহমানের উপস্থিতি হওয়া, মাঝেমধ্যে সুভার মাধ্যমে দু একটা ছেঁড়া কাগজের চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের খোঁজ নেয়া, আর একসময় চিঠির সাথে ফুল আর ফুলের সাথে একসময় মনটাও আদানপ্রদান হয়ে যায় তাদের যার স্বাক্ষী ছিল স্বয়ং সুভা। ঘরকুনো, একগুঁয়ে ভীতু মেয়েটিকে সুভা চোখের সামনেই একটু একটু করে পাল্টে যেতে দেখলো তারপর থেকে। রহমান বলতেই অপরূপা দিনদুনিয়া ভুলে যায়। দাদীজানের বারণ শোনে না। সেই সাজানো-গোছানো পরিপাটি অপরূপার শতরূপ দেখতে থাকে পাড়াপড়শিও। সুভা ভীষণ চমকিত হয়ে ভাবে, রহমান নিশ্চয়ই কোনো জাদু মানব!
নইলে সেই বছরখানেকের মধ্যে সাত সাতটিবার যাত্রাপালা হয়েছিল গ্রামে। আর সাতবারই রূপনগরের সেই রূপকথার রাজপুত্তুরের মতো সুকুমার মানবটি এসে অপরূপার খোঁজ নিয়ে গিয়েছিল সুভার কাছ থেকে। জানতে চেয়েছিল,
রূপা ভালো আছে?
সুভা যতবার রূপার ভালো থাকার গল্প শুনিয়েছে, রাজপুত্তুর ঠিক ততবার প্রসন্নমুখে বলেছে,
ভালো থাকুক।
সেই মানুষটার কথা শুনেও অপরূপার কোনো হেলদোল ছিল না। থাকবে কি করে তার মনমস্তিষ্ক জুড়ে শুধু রহমান আর রহমান সেখানে রূপনগরের সম্রাটকে তার মনে থাকার কথা নয়।
চলবে……….