#প্রিয়_বেগম
#পর্ব_৩
লেখনীতে পুষ্পিতা প্রিমা
[কপি নিষিদ্ধ। শেয়ার দিতে পারেন ]
ভোর হতে না হতেই মহলের অভ্যন্তরে ঘুমন্ত মানুষগুলো জেগে উঠেছে। কোরআনের মধুরে সুর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে অন্দরমহলে।
অপরূপার ঘুম ভাঙলো দেরীতে। সারা শরীর ব্যাথা হয়ে আছে। মাথাটা ভার হয়ে আছে। কোনো এক গোপন ব্যাথায় সারারাত বালিশ আঁকড়ে ধরে কেঁদেছে সে । ভাগ্য তাকে কোথায় এনে ছুঁড়ে ফেলেছে যেন । এই মহলের মানুষগুলোকে তার বড়ই অদ্ভুত লাগছে। কাল একজন অকারণেই তাকে আঘাত করলো। সে তো কখনো কাউকে এভাবে আঘাত করতে পারতো না। মহিলা কেন এমন করলেন অপরূপা ভেবেই পেল না।
অন্যদিকে একটা মানুষকে নির্মমভাবে মারলো। এরা এমন কেন?
সে বর্তমান আর ভবিষ্যৎ ভেবে শঙ্কিত হয় । ভাবে এই মহলে তার দিনগুলি কীভাবে যাবে? কখন তার অপেক্ষার প্রহর ফুরোবে? কখন মানুষটা আসবে? উদ্বিগ্ন হয়ে বলবে ‘অপা তোমাকে না আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম।
তার কোনো নড়চড় না দেখে বাবার আদেশে
শম্বুকগতিতে অপরূপার কক্ষটিতে পা রাখলো সায়রা। ঘরের জানালার কপাট মেলে দিল। এক টুকরো ভোরের আলো জানালা দিয়ে ঢুকে মেঝেতে গড়াগড়ি খেল তখুনি। বিছানায় ঘুমিয়ে আছে এক কোমলমতি নারী। ভোরের পাখির কূজন কানে আসতেই সুষুপ্ত চোখদুটো মেললো অপরূপা। ঠোঁট নাড়তে যেতেই প্রচন্ড ব্যাথায় অনুভব হলো। হাত পা টান দিয়ে মাথাটা পুনরায় তুলোর বালিশে ছেড়ে দিতেই চোখের কোণা বেয়ে একফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো।
সায়রা এসে পাশে বসে বলল
ঘুম ভালো হয়েছে? ওঠে পড়ো। আচ্ছা তোমার নামটা তো অনেক বড়। তোমাকে বাড়িতে কি নামে ডাকতো?
অপরূপা উঠে বসলো ধীরেধীরে। সায়রা তার দিকে দৃষ্টি ফেললো।
কাল যেমন বিধ্বস্ত লাগছিল তাকে আজ ভোরের আলোয় তার চাইতেও বেশি স্নিগ্ধ লাগছে তাকে। গতরাতেই সায়রা আর সোহিনী মিলে তাকে নিরলঙ্কার করে একটা সবুজ রঙের সুঁতি শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছে। নিভাঁজ ললাটের দুপাশে বিনানছিন্ন কয়েকটা কোঁকড়া চুল জড়ো হয়ে আছে ঠিক তার মতো করে। অতিশয় নিষ্পাপ চেহারায় সে সায়রার দিকে তাকিয়ে থাকলো। আঁচল টেনে গায়ে আঁচল জড়িয়ে উত্তর দিল,
অপা ডাকতো।
সায়রা তার জবাব পেয়ে পাশ ঘেঁষে বসলো। বলল
তাহলে আজ থেকে আমরাও তোমাকে অপা বলে ডাকবো। তুমি আমাদের নাম ধরে ডাকতে পারো।
অপরূপা পূর্ণমেদুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে পরক্ষণে চোখ নামিয়ে ফেললো। সেই মুহূর্তেই সোহিনী কক্ষে প্রবেশ করলো।
এই অপরূপা রসাইঘরে চলো। মা বেগম তোমাকে ডাকছে। ভয় পেওনা। হ্যা?
সায়রা ওর হাতটা আলতো করে ধরে। বলে,
আম্মাজান মাঝেমাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। তুমি এটা মাথায় রেখো না। একবার উনার মন জয় করতে পারলে উনি তোমাকে অনেক মহব্বত করবেন।
অপরূপা মৃদু মাথা ঝাঁকায়। সায়রা আর সোহিনীর সাথে রসাইঘরে চলে যায়। পাশের কামরা হতে পুরুষালি গলার শব্দ কানে ভেসে আসে। বুক কামড়ে ধরে। মনে হয় ওখানে উনি আছেন।
প্রকান্ড রসাইঘরের একপাশে মাটিতে পাটের চটে বসে গপাগপ খাবার গলাধঃকরণ করছে বাড়ির কাজের বুয়াগুলো।
রসাইঘরেও রাজকীয়তার ছোঁয়া। সব হাঁড়ি পাতিল আসবাবপত্র তার কথা জানান দিচ্ছে। মাংস আর গোলাপজলের গন্ধে ম ম করছে পুরো রসাইঘর।
অপরূপা পা রাখার সাথেসাথেই সবাই একসাথে চোখ তুলে তাকায়। অপরূপা কোনোদিকে না তাকিয়ে খোদেজার দিকে তাকায়। খোদেজার চোখাচোখি হয়ে যাওয়ায় চোখ নামিয়ে ফেলে। বক্ষপঞ্জরে কাঁপুনি ধরে। গলা শুকিয়ে আসে।
অ্যাই সায়রা তোর ভাইজানকে গরম পানি দিয়ে আয়। এই মেয়েরে নিয়া আজ যাত্রাপালা দেখতে যাবি।
সায়রা পিতলের বাটিতে গরম পানি ঢেলে নিতে নিতে বলে
জ্বি আম্মাজান যাব। ভাইজানের কাছে যাই।
সায়রা বেরোনোর সময় সোহিনীকে ইশারা করে কিছু একটা। সোহিনী হাস্যমুখে বলে
মা বেগম আমি আর অপরূপা খেতে বসি?
কোলে নিয়ে বসাতে হবে তোমাদের?
মোটেও না।
সোহিনী অপরূপাকে টেনে নিয়ে নীচে সোনালী রঙের চট পাতে। বাদামী রঙের পেয়ালায় করে হরিণের মাংস আর গরম গরম গমের রুটি নিয়ে খেতে বসে। অপরূপা আবারও খোদেজার দিকে তাকায়। খোদেজা গিয়ে তার পাশে খেতে বসে। বলে,
কাল জবাই করেছে এই হরিণ। রাঁধতে রাঁধতে আমার সময় শেষ। খাওয়ার সময় পেলেম না।
অপরূপা রুটি মাংস বাড়িয়ে দেয়।
আমাদের সাথে খান।
রুটি ছিঁড়ে মুখে পুরে খোদেজা উঠে যায়।
অপরূপা খিদের চোটে তৃপ্তি সহকারে রুটি দিয়ে হরিণের মাংস খায়। কতদিন সে খায় না।
ছয় বছরের বাচ্চাটিকে নিয়ে তার মা আসে। সে মূলত সোহিনীরও মা। তবে আপন মা নয়। তার নিজের মা গত হয়েছে গত বছর পনের হবে। তার কয়েক বছর পর শেরতাজ সুলতান নতুন বিবাহ করেন। সেই ঘরের পুত্র সিভান। হাসিখুশি চঞ্চল দুরন্ত, বড় ভাইজানরা ছাড়া যাদের সাথে সে সারাক্ষণ তুমুল দুষ্টুমিতে মেতে থাকে।
সুন্দর বউ আমিও তোমার সাথে খাব।
অপরূপা তার মিষ্টি হাসে। সিভানের মাও হাসে ছেলের কথায়।
অপরূপার পাশে এসে বসে সিভান। রুটি ছিঁড়ে মাংস খেতে খেতে বলে
আমি বেশি বেশি খাব। কারণ আমার মুখে বেশি রুচি।
সোহিনী তার পেটে গুঁতো মেরে বলে
এজন্যই তো আপনার পেটটা তবলার মতো হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।
কাজের বুয়া সহ সবাই একসাথে হি হি করে হেসে উঠে। সিভান খিকখিক করে হাসে। অপরূপা আবারও তার হাসিতে থমকে যায়। বুকের ভেতর তোলপাড় হয়। কত প্রশ্ন মনে জাগে!
খোদেজা পাতিলের ধোঁয়ায় কাশতে কাশতে জানতে চায়
তোমার বিয়ে কি কাজী বাড়িতে হয়েছে মেয়ে? কোন কাজী বাড়ি সেটা?
অপরূপার গলায় রুটি আটকে যায়। কাশতে কাশতে চোখ লাল হয়ে আসে তার।
খোদেজা মহাবিরক্ত হয়ে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটা নিশ্চয়ই কিছু লুকোচ্ছে।
*****
শেহজাদের ঘরে ঢুকার সময় সাফায়াতের মুখোমুখি পড়ে যায় সায়রা।
শুপ্রভাত সাফায়াত ভাই।
শুপ্রভাত সায়রা বানু।
সায়রা রেগেমেগে কড়া গলায় বলে উঠে
বানু ডাকবেন না। আমার ভালো লাগে না।
আমার বড়ই ভালো লাগে।
ভাইজানের ঘুম ভেঙেছে?
হ্যা।
সায়রা উঁকি দেয়। শেহজাদ চোখের উপর হাত রেখে পা টেনে শুয়ে আছে। কালকের জখমে তার শরীর অবসন্ন। উজ্জ্বল সুকুমার চেহারা ফ্যাকাশে রঙ ধারণ করছে।
সায়রা সাফায়াতকে প্রশ্ন করে,
আপনি নাকি আপনার দেশের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন? তা কবে?
মনে হচ্ছে তুমি বেশ খুশি হবে আমি চলে গেলে?
শেহজাদ হাত সরিয়ে বোনকে দেখে। মনোযোগ দিয়ে কথোপকথন শুনে।
ভাইকে চোখ মেলতে দেখে সায়রা চুপ হয়ে যায়।
আম্মাজান অনুমতি দিয়েছেন। আমরা আজ যাত্রাপালা দেখতে যাব ভাইজান।
সাফায়াত শেহজাদের দিকে তাকায়। দুজনেই বাঁকা হাসে। সাফায়াত বলে,
আজ মঞ্চ সাজবে না।
সায়রা কৌতূহলীবিষ্ট দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
কেন সাজবে না?
কাল নারীশিল্পীর গায়ে চাকু মেরেছে সন্ত্রাসরা। সে হাসপাতালে শায়িত আছে।
সায়রার মন খারাপ হয়। শেহজাদ কথা বলে এবার,
কাল মহলে মেহমান এসেছে শুনলাম । কোথাকার সে?
দক্ষিণা ঘাট থেকে আব্বাজান নিয়ে এসেছেন। এটুকুই জানি। আপনি ঠান্ডা পানি ছোঁবেন না ভাইজান। সাফায়াত ভাই ভাইজানের সাথে খেতে চলে আসুন। আব্বাজান আর বড়চাচা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
সাফায়াত হেসে পেটে হাত বুলিয়ে বলে
আজ কি হরিণের মাংস দিয়ে চলবে? তুমি আসার সাথে সাথে মাংসের ঘ্রাণ পেলাম।
খাদ্যরসিক সাফায়াতের কথায় সায়রা আর শেহজাদ হাসে। সায়রা বেরিয়ে যাওয়ার পথে থেমে যায়। ছোট্ট করে বলে
হরিণের নয় হরিণীর।
সাফায়াত হাসে। শেহজাদকে তাড়া দিয়ে বলে
ওঠে পড়ো ভাইজান। খিদে তো আর তর মানছে না।
শেহজাদ আদেশী সুরে বলে
তুমি যাও। আমি আসছি।
______________________
মহলের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে নিজের কক্ষের দিকে পা বাড়ায় অপরূপা। কি সুন্দর এই মহলটি। একদিন সময় করে সায়রা আর সোহিনীর সাথে পুরো মহল ঘুরে দেখবে সে। আকস্মিক একজন পুরুষের পদধ্বনি টের পেল সে। পরিচিত আতরের গন্ধ নাসিকারন্ধ্র ভেদ করে।
একছুটে সে আড়াল করে দাঁড়ায় মোটা গোলাকার স্তম্ভের পেছনে। কম্পিত বুকে হাত চাপা দিয়ে চোখ বুঁজে থাকে।
শেহজাদ থামে। প্রখর দৃষ্টিতে তাকায় স্তম্ভের দিকে।
সবুজ শাড়িটা দেখা যায়। কিছুক্ষণ নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর নিগূঢ় ভঙ্গিতে হেঁটে চলে যায়।
অপরূপা ধীরেধীরে উঁকি দিয়ে সুদীর্ঘ, সুদেহী, সুকুমার পুরুষটির গমন দেখে। কালকের সেই রক্তভেজা নির্মমতা আর পাশবতায় মোড়া পুরুষটি অপরূপাকে ভাবিয়ে তুলে। কানে আসে চাবুক মারার আওয়াজ আর অত্যাচারে চিৎকার করতে থাকা লোকটার মর্মভেদী আর্তনাদ।
অপরূপা দ্রুত পায়ে ছুটে যায় সেই আওয়াজ অনুসরণ করে। মহল চত্বরে গতকালকের সেই লোকটাকে পেটানো হচ্ছে। রক্তে মাখামাখি তার শরীর। আর কিছুক্ষণ এভাবে চাবুক পেটাতে থাকলে লোকটা অক্কা পাবে। পেটাতে থাকা লোকটিকে দেখে মনে হলো পয়সার বিনিময়ে গতরখাটা লোক। যার সাথে তার বিন্দুমাত্র শত্রুতা নেই শুধুমাত্র পয়সার জন্য একটা মানুষকে এভাবে মারছে? আঘাত করতে করতে পাশবিক আনন্দে লোকটা হাসছেও। দেখতে কৃশকায়, রোগা মনে হলেও মারার সময় বেশ শক্তি প্রয়োগ করছে সে। ফলসরূপ নিজেই হাঁপিয়ে উঠছে। নৃ*শং*স অত্যাচারে চাবুকের আঘাতে লোকটা পানি পানি শব্দ করছে। অপরূপার মায়া হলো। মানবিকতা বোধ জেগে উঠলো।
অপর লোকটির প্রতি রাগে ঘৃণায় অপরূপার গাত্রদাহ হয়। ক্রুদ্ধ বাঘিনীর মতো ছুটে গিয়ে চাবুক কেড়ে নেয় সে। লোকটা অতি আশ্চর্য দৃষ্টিতে তাকায়। বিস্মায়াবিষ্ট চোখে আকস্মিক অভ্যাগমন হওয়া অপরিচিতা সুরূপা নারীর অগ্নিময় দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলানোর আগেই সপাং করে তার পিঠে চাবুকের মার বসে যায়। লোকটা পিঠের পেছনে হাত চেপে ধরে কেন্নোর মতো গুটিয়ে ধপাস করে পড়ে বসে। অপরূপা কন্ঠে তেজ ঢেলে জিজ্ঞেস করে
এখন নিজের কেমন লাগছে?
______________
তার স্বামীকে খুঁজে দেয়ার দায়িত্ব তোমাদের দিয়ে দিলাম। ওর বাড়িতে কে আছে আমি এখনো জানিনা। তোমরা ওর কাছ থেকে জেনে নিতে পারো। তোমাদের কাজ একটাই। দক্ষিণা ঘাটে খোঁজ লাগানো। সবার কাছ থেকে জেনে নেবে ওর স্বামী ওই ঘাটে ফের এল কিনা। ওর খোঁজ নিয়েছে কিনা।
শেহজাদ খেতে খেতে ভাবুক হয়। তার চিন্তা যাত্রাপালা নিয়ে। মাঝেমধ্যে আব্বাজানের কথায় কর্ণপাত করে।
শেহজাদ! পুত্র তুমি শুনছো আমার কথা?
সম্রাট মতিভ্রম হয়।
জ্বি আব্বাজান শুনতে পেয়েছি। আমি শীঘ্রই লোক পাঠাবো।
পরক্ষণে প্রসর ললাটে ভাঁজ পড়ে। গভীর চোখদুটোতে খেলে যায় কৌতূহল।
কোন ঘাটের কথা বলছিলেন আব্বা?
দক্ষিণা ঘাট।
সাফায়াত কিছু বলতে গেলে শেহজাদ হাঁক ছেড়ে তাকে থামিয়ে দেয়।
থামো। দক্ষিণা ঘাট বললেন আব্বা?
জ্বি।
ক’টার সময় কন্যাটিকে পেলেন?
আমি ঘাটে পৌঁছাই পৌনে চারটে নাগাদ। তখন দেখলাম মেয়েটা কাঁদছে।
উনাকে কি জিজ্ঞেস করেছিলেন উনি ক’টা থেকে দাঁড়িয়েছিলেন ওখানে?
অনেকক্ষণ বললো।
অজানা রহস্যকে জানার তীব্র ইচ্ছায় খাওয়া থামিয়ে দেয় সে। চোখেমুখে কেলি করে যায় দুর্বোধ্য রহস্য উদঘাটনের তীব্র উদ্যম।
দূরবীনের সাহায্য আধোআধো একজন লাল টকটকে শাড়ি পড়া একজনকে দেখেছিল সে ঘাটে। ভেবেছিল ডাকাতদের লোক, সং সেজে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার কিছুদূরেই তাদের জাহাজ ছিল। যদি সে এই কন্যাটিই হয়ে থাকে তাহলে তারা মেয়েটার কোনো ক্ষতি করলো না কেন? সম্রাট ভেবেছিল ডাকাতদের একজন সদস্য ওই শাড়ি পড়া মানুষটি। ওটা কি এই কন্যাটাই ছিল?
সে সবাইকে চমকে দিয়ে বলে উঠলো,
আব্বা আপনি না জেনেশুনে ঘরে ডাকাত নিয়ে আসেন নি তো?
তন্মধ্যে কালু মিয়া এসে হাজির হয়। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,
বেয়াদবি মাফ করবেন হুজুর।
শেহজাদ খেঁকিয়ে উঠে বলে,
কি হয়েছে সেটা বলো।
সাহেব, চত্বরে কে জানি কুতুবরে চাবুক মারি বেহুশ বানায় রাখছে।
চলবে………