প্রিয় অনুভব পর্ব-০৯

0
697

#প্রিয়_অনুভব
#সাবরিন_জাহান_রোদেলা
#পর্ব_০৯

“ভালোবাসতে কি চাই?”

“বিশ্বাস!”

“বিশ্বাস করো আমাকে?”

প্রিয় মুচকি হেসে বললো,“না করলে কখনো এই মনে তোমাকে জায়গা দিতাম না!এই সঙ্গ কখনো চাইতাম না!কখনো বলতাম না,‘জনাব!ভালোবাসি..’!”

অনুভব এক গাল হেসে বললো,“আমিও!”

“কি?”

“বাসি!”

“কি বাসেন?”

“ভালোবাসি!”

“আমার থেকে কম!”

“জি, না বেশি।”

“কই দেখি না তো!”

প্রিয় হেসে বললো, “জাস্ট একবার আমার হয়ে যান, সত্যি বলছি ভালোবাসায় আপনাকে হারিয়ে দিবো আমার কাছে! দেখিয়ে দিবো ভালোবাসায় আমি ই বেশি স্কোর করেছি। মিলিয়ে নিয়েন!”

__________________________________

অনুভব আর প্রিয়র সম্পর্কটা ছিল স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক। যেখানে বর্তমান সম্পর্কের মতো না ছিল কোনো চাওয়া পাওয়া, না ছিলো কোনো অশ্লীলতা। মিষ্টি ছিল তাদের সম্পর্ক। তাই হয়তো হঠাৎ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্ছেদ মানতে পারছে না নীতি।

“এখানে কি করছো নীতি?”

সালেহার ডাকে স্মৃতিচারণ থেকে বেরিয়ে এলো নীতি। সব জায়গায় কেবল অনুভবের স্মৃতিতে মেতে থাকা যেনো তার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“কিছুনা আন্টি!”

সালেহা নীতিকে একবার পরখ করলো। অতঃপর চোখের কোণে থেকে কাজল নিয়ে ওর কানের নিচে লাগিয়ে বললো, “কারোর নজর না লাগুক! ভীষণ মিষ্টি লাগছে তোমায়।”

নীতি হাসলো কেবল।

“এখানে একা দাঁড়িয়ে আছো যে? প্রীতি, বর্ষা কোথায়?”

“রেডী হচ্ছে!”

“এখনও শেষ হয়নি?”

“আমি দেখে আসছি!”

“আচ্ছা যাও, আমি ওদিকটা দেখি। তোমরা সেই সকালে খেয়েছো। তিনটা বেজে যাচ্ছে। একসাথে বসে পড়।”

বলেই সালেহা চলে গেলেন। নীতি দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে যেতে লাগলো। আর একটা সিঁড়ি বাকি তখনই হুট করে নাহিয়ান সামনে আসলো। সেও নামার জন্যই এসেছে। নীতি ওকে দেখে তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নিলেই নাহিয়ান জলদি করে ওর ডান হাত ধরে ফেললো। নীতি ওভাবেই রইলো। নাহিয়ান হাত ছাড়লেই নীতি পড়ে যাবে। ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে নীতি। বুক ধড়ফড় করছে তার। ওদিকে নাহিয়ান পলকহীন ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। স্বল্প সাজে এক অদ্ভুত রমণী তার সামনে। চোখ ফেরানো দায় আপাতত। এদিকে নীতি আস্তে আস্তে চোখ খুললো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো, “আমাকে কি এমনেই ঝুলিয়ে রাখবেন? টান দিচ্ছেন না কেনো? ”

নাহিয়ান বিরক্ত হলো। নীতির কণ্ঠে ছিল ধমকের আভাস। নাহিয়ান অস্পষ্টভাবে বললো, “রমণীর মুখশ্রী নিষ্পাপ হলে কি হবে? ইনি একজন আদবহীন মহিলা। না না নাহিয়ান, কোনো রমণীর রূপের জালে ফেঁসে যাস নে! এরা পরে ডা’ইনি বের হয়!”

“উঠাবেন!”

নীতির ধমকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো নাহিয়ান। আপাতত এদিকে কারো নজর নেই। সবাই খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। খাওয়ার আয়োজন বাগানের দিকটায় করা হয়েছে। তাই জনগণ সব ওখানেই। নাহিয়ান বাঁকা হাসলো। হাত আরেকটু হালকা করে ধরে বললো, “যদি ছেড়ে দেই?”

নীতি তৎক্ষণাৎ আরেক হাত দিয়ে নাহিয়ানের হাত শক্ত করে ধরে বললো, “ম’রে যাবো!”

নাহিয়ান চমকালো। নীতির চোখপানে তাকালো। ভয়ে চোখ ছল ছল করছে তার। এদিকে পরিস্থিতি এমন যে, নাহিয়ান যদি নিজের দিকে না টানে আর নীতি যদি নিজেই সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তবে সে সফলও হতে পারে, বিফলও। নীতি হাতের বাঁধন আরো শক্ত করে ধরে বললো,

“ছাড়বেন না প্লিজ!”

নাহিয়ান চোখ বন্ধ করে জোরে নিঃশ্বাস নিলো। অতঃপর খানিকটা জোরেই ওকে নিজের দিকে টেনে আনলো। টানের প্রভাবে নীতি সোজা গিয়ে পড়লো নাহিয়ানের বুকে। চোখ বন্ধ করে আছে নীতি। বুক ঢিপ ঢিপ করছে তার। কিছুক্ষণ বাদেই খেয়াল হলো তার হৃদস্পন্দন বাদে আরো একটি হৃদস্পন্দন টের পাচ্ছে সে। খেয়াল হলো তার নিজের অবস্থান। নাহিয়ানের বুক থেকে মাথা সরাতে নিলেই চুলে টান লাগলো তার। পাঞ্জাবির বোতামে চুল আটকে আছে তার। রেগে বললো, “কচুর লোক! একটু আস্তে উঠালে কি হতো?”

“তুমি যেই ভারী, আস্তে টানলে উঠতেই পারতে না।”

নীতি তেজী কণ্ঠে বলল, “তাইলে আমাকে অভাবে ঝুলিয়ে কিভাবে রেখেছিলেন?”

“যেই পে’ত্নী মার্কা সাজ দিয়েছো। ভয়ে ছিলাম। না জানি ঘাড়ে চেপে বসো আবার।”

“আপনার বোতাম সরান!”

নাহিয়ান অবাক হয়ে বললো, “আজব বোতাম সরাবো কি করে? তোমার চুল সরাও!”

“উফফ, সরাবো কি করে? দেখছেন না পেঁচিয়ে আছে। টান দিলে ছিঁড়ে যাবে।”

নাহিয়ান আশেপাশে তাকিয়ে বললো, “আমার রুমে চলো। এখানে এভাবে কেউ দেখলে খারাপ দেখাবে।”

বলে হাঁটতে নিলেই নীতির চুলে টান লাগলো।

“আহ! আস্তে! আপনার মতো টাকলা মুরাদ বানাতে চান নাকি?”

নাহিয়ান গম্ভীর কণ্ঠে বলল, “আমার চুল আছে মিস! আর একটা এমন বাজে কথা বললে আপনার চুল একটানে ছিঁড়ে ফেলবো!”

নীতি সঙ্গে সঙ্গে মুখে আঙ্গুল দিলো। আপাতত চুপ থাকাই বেটার। অতঃপর দুইজন নাহিয়ানের রুমে গেলো। রুমে যেতেই নীতি চুল নিয়ে টানাটানি করতে লাগলো । তাই নাহিয়ান এক ধমক দিয়ে তাকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বললো। আর নিজে সাবধানতার সহিত চুলের প্যাচ খুলতে লাগলো। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই নীতির নজর যায় আয়নায়। নাহিয়ান বেশ মনোযোগ দিয়ে প্যাচ ছোটানোর চেষ্টা করছে। এক ধ্যানে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো নীতি। বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর তার মন একটা কথাই বলে উঠলো, “মানুষটা দেখতে দারুন!”

পরক্ষণেই নিজের ধারণাকে পিষে দিয়ে বললো, “কিন্তু ব্যাবহার এক্কেরে অদারুন!”

‘অদারুন’ কোনো শব্দ আদো আছে কিনা নীতির জানা নেই। কেবল ছন্দ মিলালো সে। ছন্দের কথা মাথায় আসতেই অনুভবের কথা মনে এলো তার। অন্যমনস্ক হয়ে গেলো সাথে সাথেই।

“নেও হয়ে গেছে।”

নাহিয়ানের কথায় আবার আয়নার দিকে তাকালো নীতি। চুল এক পাশে এলোমেলো হয়ে আছে। দ্রুত পায়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো। ড্রেসিং টেবিলের উপরে থাকা চিরুনি দিয়ে চুল ঠিক করে নিলো। অতঃপর নাহিয়ানকে ভেংচি কেঁটে বেরিয়ে গেলো।

“যাহ বাবা, ধন্যবাদও দিলো না।”

পরক্ষণেই চিরুনির দিকে তাকাতেই দেখলো কিছু চুল আটকে আছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “চুলগুলো যখন ছিঁড়বেই, তখন আমাকে দিয়ে এত খাটুনি কেন করালো?”

__________________________________

“মুখ এমন ভার করে রেখেছিস কেনো?”

রীতির প্রশ্ন শুনে ঠোঁট উল্টে তাকালো নীতি। রীতি, নীতি, বর্ষা, শাফিন, প্রীতি, তাহসিন, সাজ্জাদ একত্রে এক টেবিলেই বসেছে। নাহিয়ান এখনও আসেনি। নীতির পাশে রীতি বসেছে। আর ওর পাশের চেয়ার আপাতত ফাঁকা। যেখানে নাহিয়ান বসবে। তাই ওর যত সমস্যা।

“এই লোকটার সাথে বসবো না আমি!”

“কেনো?”

“একদম বিরক্তকর লোক!”

“নীতি! নাহিয়ান মোটেই বিরক্তকর নয়!”

“তোমার সাথে তো কিছু করেনি। তাহলে তুমি কি করে বুঝবে!”

“শুরুটা তুই ই করেছিলি। সেদিন অকারণে ওর উপর রাগ না দেখালে ও ভালো বিহেভই করতো যেমনটা বর্ষা আর প্রীতির সাথে করে।”

“তাইলে বলছো আমার দোষ?”

“আমি বলছি না তোর দোষ! জাস্ট এখন থেকে ওর সাথে ঝগড়া না করে একটু মিশে দেখ, দেখবি আর বিরক্ত লাগছে না।”

নীতি উত্তর দিলো না। কিছুক্ষণ বাদেই নাহিয়ান এসে বসলো। নীতি কয়েক পলক নাহিয়ানের দিকে তাকিয়ে রইলো। অতঃপর রীতির কানে ফিস ফিস করে বললো, “একে দেখলেই তো আমার ঝগড়া ঝগড়া পায়! মিশবো কি করে? ঝগড়া দিয়ে মিশলে হবে না? স্পাইসি খাবার টাইপ ভালো ব্যাবহার করলে হবে না?”

রীতি তখন সবে এক লোকমা পোলাও মুখে দিয়েছে। নীতির কথা শুনে তার খাবার নাকে উঠে গেলো। কাশতে লাগলো সে। শাফিন তাড়াতাড়ি পানি এগিয়ে দিলো। রীতি শান্ত হতেই বললো, “আস্তে খাও। তাড়াহুড়োর কি আছে?”

সঙ্গে সঙ্গে রীতি অগ্নি দৃষ্টিতে শাফিনের দিকে তাকালো। শাফিন ভরকে গিয়ে হেসে বললো, “না না, তুমি তাড়াতাড়িই খাও!”

শাফিনের কথা শুনে উপস্থিত সবাই হেসে দিল। রীতি কড়া চোখে নীতির দিকে তাকাতেই নীতি মেকি হেসে খাওয়া শুরু করলো। এখন চুপ থাকাই ভালো। পাশে থাকা নাহিয়ানের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। নাহিয়ান তা খেয়াল করে বললো, “লজ্জা করে না অন্যের খাবারে নজর দিচ্ছো?”

নীতি চমকে উঠে বললো, “নজর কখন দিলাম?”

“তো এমন করে তাকিয়ে আছো কেনো? খাবে?”

নীতি দাঁত কিড়মিড় করে বললো, “আপনাকে খাবো লবণ মরিচ দিয়ে। আসেন!”

নাহিয়ান তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে বললো, “আস্তাগফিরুল্লাহ! রা’ক্ষসী নাকি?”

সবার নজর ওর দিকে গেলো।

“রা’ক্ষসী কাকে বলেন?”

“তোমাকে!”

“আপু কিছু বলবি না?”

রীতি মৃদু কন্ঠে বলল, “আশেপাশে সব তোদের দেখছে। বস প্লিজ নাহি। থাম নীতি!”

দুইজনই চুপচাপ বসলো। নীতি বির বির করে বললো, “এর সাথে নাকি আবার ভালো ব্যাবহার করবো! ঝগড়াটে ছেলে।”

__________________________________
খাওয়া দাওয়া শেষে অনেকে চলে গেছেন। রীতি আর শাফিনের আজ রীতির ফ্যামিলির সাথে তাদের বাড়ি যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা দুইজনেই কালকে যাবে বললো। নীতি, প্রীতি, বর্ষাকেও রেখে দিলেন সালেহা। বড্ড ভালো লাগে তার, যখন বাড়িটা ভরা থাকে। নীতির থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই তার। প্রীতি আর বর্ষার জন্য ঘুম হয় না। এমনেই ঘুমেরা পালিয়েছে, তাও যতটুকু আছে তারাও হারিয়ে যায় এদের জন্য। কিন্তু সালেহার জন্য তাকে থাকতেই হলো। সারা বিকেল তাদের বড়দের কাজে সাহায্য করতে করতেই গেলো। যদিও তেমন কাজ করেনি কেউ ই।

রাতের খাবারের পর আবার ছাদে আড্ডা বসলো। এবার শাফিন আর রীতি নেই। নবদম্পতি, এখন একটু ফ্রি সময় পেয়েছে। তাই কেউ জ্বালাচ্ছে না। নীতি বসে বসে ফোন ঘাটছে। এই অনুভব নামক মানুষটা কি হাওয়া হয়ে গিয়েছে? নয়তো কোথাও কেনো থাকবে না? ভেবে পায় না নীতি।

“নীতি!”

সাজ্জাদের ডাকে চমকে তাকালো নীতি।

“হু?”

“তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?”

সবার সামনে এমন প্রশ্নে বিব্রত হলো নীতি। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সবাই তার দিকেই তাকিয়ে আছে। নীতি হেসে বললো, “না ভাইয়া!”

“কেনো? সুন্দরী মেয়েদের তো বয়ফ্রেন্ড তো থাকেই।!”

“সবাই এটা ভাবে দেখেই আজ বয়ফ্রেন্ড নেই।”

সঙ্গে সঙ্গে হাসির মেলা বসলো যেনো। নাহিয়ান মাঝে ফোঁড়ন কেঁটে বলে উঠলো, “নিজেকে সুন্দরী ভাবার কারণ নেই। দেখতে একদম ডা’ইনির মতো!”

নীতি চরম ক্ষেপে গেলো। কিছু বলবে তার আগেই রীতির কথাগুলো মনে পড়লো। নাহিয়ানের হাতে গিটার দেখে বললো,

“আপনার গিটার ঠিক হয়েছে?”

সবাই যেনো একটু চমকালো।

“আমার গিটার দিয়ে তোমার কাজ কি?”

“গান গাইবেন, আমরা শুনবো!”

সাজ্জাদ হেসে বলল, “ওর গান শোনা ভাগ্যের ব্যাপার। ওর যখন মনে হয় তখন গান গায়! কিন্তু যখনটা আসতে বছর পেরিয়ে যায়।

“এমন অদ্ভুত কেন?”

“আমি মানুষটা অদ্ভুত, তাই!”

নীতি ফিক করে হেসে দিল। সেও তো অনুভবকে বলতো, “আমি অদ্ভুত, তাই আমাদের সম্পর্কও হবে অদ্ভুত।”

সবাই নীতিকে দেখছে। মেয়েটার হলো কি? নীতি তা বুঝতে পেরে গলা ঝাড়লো। ধুর এত ভালো মেয়ে হওয়া লাগবে না তার।

“আচ্ছা আমি গান গাইবো, গিটার বাজাতে পারেন তো?”

তাহসিন বলে উঠলো, “গান গাইতে পারো?”

নীতি হেসে বললো, “গাইতে তো পারি ই। তবে আশেপাশের মানুষের কান পরে নষ্ট হয়ে যায়।”

সাজ্জাদ আর তাহসিন কিছুটা ভয় পেলো। কাকের গলা শুনতে হবে এখন? নীতি হেসে চোখ বন্ধ করে নিলো। গুনগুনিয়ে সুর তুললো,

“কিছু অক্ষর ছিল এলোমেলো,
একে একে সাজিয়ে রাখলাম।
মুঠো হতে ছড়িয়ে গেলো
মিষ্টি মধুর সে ডাকনাম ।”

গান শেষ হতেই চোখ খুললো নীতি। সবাই ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

“কি হলো?”

প্রীতি জিজ্ঞেস করে বসলো, “এই নীতি, তোর গানের ভয়েস এত ভালো হলো কবে থেকে?”

বর্ষাও তাল মিলিয়ে বললো, “হ্যাঁ, তাইতো। তোকে তো আগে এত সু্র দিয়ে গাইতে দেখিনি। ইভেন আমাদের সার্কেলে গানের কলি খেলাতেও তোর ভয়েস শুনে সব হেসেছিলো।”

“প্রশংসা করছিস, নাকি অপমান?”

সাজ্জাদ হেসে বললো, “আরে অপমান না, ঘোর অপমান করছে। দারুন ছিল কিন্তু।”

“অতটাও না ভাইয়া!”

তাহসিন জিজ্ঞেস করলো, “গান কি শিখো?”

“না!”

“তাহলে?”

নীতি চুপ থেকে মুচকি হাসলো। অনুভব তাকে গান শোনাতো। সেই সবের সাথে সুর মেলাতে মেলাতে অদ্ভুতভাবে হয়ে গেছে তার শিখাটা। ওদের দিকে তাকিয়ে বললো, “গান ভালোবাসি। অনুভব করি! তাই আপনা আপনিই এসে যায় সুর!”

নাহিয়ান কয়েক পলক নীতির দিকে তাকালো। পরক্ষণেই মুখ ঘুরিয়ে নিলো। অদ্ভুতভাবে তার হৃদপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছে । যেনো কোনো দ্রুতগামী বুলেট ট্রেন। অদ্ভুত লাগছে আজকের দিনটা তার। বড়ই অদ্ভুত! হচ্ছেটা কি তার সাথে?

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে