প্রিয় অনুভব পর্ব-০৩

0
399

#প্রিয়_অনুভব
#সাবরিন_জাহান_রোদেলা
#পর্ব_০৩

রুমে এসেই বিছানায় ধপ করে বসে পড়লো নীতি। ওর পিছু পিছু বর্ষা, রীতি, প্রীতিও হাজির। রীতি চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

“নীতি কি হয়েছে? কার স্মৃতি?”

নীতি কয়েক পলক ওদের দিকে তাকালো। পরক্ষণেই লম্বা শ্বাস টেনে হেসে বললো, “কি হবে আবার?”

“তাহলে ওভাবে রিয়েক্ট করলি কেনো? আজকাল একটুতেই কেমন রেগে যাচ্ছিস। প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিস। নাহিয়ানের সাথেও ওরকম করলি। কিছু কি হয়েছে?”

বর্ষা কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কি করেছে নাহিয়ানের সাথে?”

প্রীতি বর্ষাকে সব বললো। সব শুনে বর্ষা নীতির দিকে তাকালো। নীতি চুপচাপ ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। অতঃপর বললো,

“আসলে আপু এই ফোনে আমাদের পুরোনো বন্ধুদের ছবি আছে। ওরা তো সাথে নেই। তাই নীতি এমন করলো। ব্যাপার না ঠিক হয়ে যাবে।”

“কিন্তু..”

“কোনো কিন্তু না, তুমি এখানে কি করছো? শাড়ি পড়ে ঘুরছো কেনো? গয়না কে পড়বে? সাজবে কে? আরে বরের বাড়ির লোক এসেছে। তারা তো ছবি তুলবে। প্রীতি আপুকে নিয়ে যাও তো। আমি আর নীতি রেডি হয়ে আসছি। তোমার মাকে বলো আপুকে আগে সাজিয়ে দিতে। এরপর আমার আর নীতির টার্ন!”

প্রীতি মাথা নেড়ে রীতিকে নিয়ে গেলো। বর্ষা নীতির দিকে তাকিয়ে বললো,

“বসে আছিস কেনো? জলদি রেডি হয়ে নে। ছবি তুলতে হবে তো।”

নীতি কিছু না বলে চুপচাপ রেডি হতে থাকলো। বর্ষা নীতির অন্যমনস্কতা খেয়াল করছে। কিন্তু তাও এড়িয়ে গেলো।

__________________________________

গায়ে হলুদের পর্ব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নাহিয়ানেরা রীতিকে হলুদ দিয়ে চলে গিয়েছে। শাফিনও যে আছে, তাই। সবশেষে নীতি কেবল ফ্রেশ হয়ে নিজের বিছানায় বসলো। ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকলো। প্রতিদিনের মতো আজও সেম নামে সার্চ করলো। অনেক আইডি তার সামনে আসলো। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত আইডিটা এলো না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেরিয়ে এলো।

“এবার বল কি হয়েছে?”

বর্ষার প্রশ্নে ভ্রু কুঁচকে তাকালো নীতি।

“কি হবে?”

“তোর এমন পরিবর্তনের কারণ কি?”

“কিসের পরিবর্তন?”

বর্ষা স্থির চাহনিতে বললো, “তুই আমার ছোটবেলার বন্ধু নীতি। বলতে গেলে সবার থেকে তোকে আমি ই বেশি জানি। তোর প্রত্যেকটা অভ্যাস আমার চেনা। তোর চাল চলন আমার চেনা। তাই আর কারোর ক্ষেত্রে না হলেও আমার ক্ষেত্রে এসব ধরা খুব কঠিন নয়।”

“বেশি ভাবছিস! তেমন কিছুই নয়।”

“বেশি ভাবছি? হাসালি। যেই নীতি আমার সাথে সকালে কথা শুরু করলে রাতে গিয়ে থামতো সে গত ছয় মাস আমার সাথে ঠিকমতো কথা বলেনি। এমনকি, আমি ফোন দিলেও উদাস হয়ে থাকতো। যার ফোন হারিয়ে যাওয়ার কোনো চিন্তা ছিলো না আগে, সবসময় ভাবতো একটা ফোন হারালে আরেকটা পাবে, সে হুট করেই ফোনের জন্য এতটা বিচলিত হলো? তাও কি? কোনো হারিয়ে যাওয়া মানুষের স্মৃতি হারানোর ভয়ে! কে সেই হারানো মানুষ? আর নাহিয়ান ভাইয়ার সাথে তোর ওরকম বিহেভ! আমার জানামতে নীতি কখনো এরকম ছোট্ট ছোট্ট বিষয়ে কারো সাথে ঝগড়া করে না। উল্টো কেউ ঝগড়া করলেও সে সব কিছু পজিটিভলি নিতো। সেখানে অপরিচিতদের সাথে এমন বিহেভ…”

বলেই থামলো। আবার বললো, ”এবার কিছু বলবি?”

নীতি কিছু না বলে বেলকনিতে গেলো। বেলকনির রেলিংয়ের উপর হাত রেখে আকাশের দিকে তাকালো।

মধ্যরাত প্রায়। বিয়ে বাড়ি দেখে এখনও মৃদু আলো জ্বলছে চারপাশে। তবুও অনেকটা শুনশান। মাঝে মাঝে দুই একজনের কথা শোনা যাচ্ছে। নীতির পাশে দাড়িয়ে আছে বর্ষা। নীতিকে সময় দিচ্ছে বলার জন্য। নীতি আর বর্ষা দুইজন দুইজনার বেস্ট ফ্রেন্ড। বর্ষাকে নীতির জন্যই রীতি, প্রীতি চেনে। এমনকি বাড়ির সবাইও। নার্সারি থেকে নীতির সাথে বর্ষার আলাপ। এখনও আছে। এই জিনিসটা বেশ ইউনিক। কারণ আজকাল বন্ধুত্ব বলো আর রিলেশন! সব কিছুই টাইম পাসে পরিণত হয়েছে।

বেশ কিছুক্ষণ পর নীতি বলে উঠলো,

“মেঝেতে বসি চল।”

নীতির কথামতো রেলিংয়ের সামনের দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসলো বর্ষা। ওর পাশেই নীতি বসলো। চাঁদ দেখতে দেখতে বললো,

“মানুষের জীবন সব সময় এক গতিতে চলে না। মাঝে মাঝে ভিন্ন কিছুও জীবনে ঘটে থাকে। কখনো মন্দ, কখনো ভালো। আমারটা কি আমার জানা নেই!”

বর্ষা নীতির দিকে তাকিয়ে রইলো।

“গত বছরের সময়টা মনে আছে? ইন্টারে তুই আমি ভিন্ন কলেজে ছিলাম। ফোনেই আড্ডা বেশি হতো। কিন্তু হুট করেই পড়াশোনার প্রতি সিরিয়াস হয়ে গেলি। বললি ভালো রেজাল্ট করা লাগবে।”

“হুমম, যাতে সেম ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারি। তোর ব্রেইন তো ভালো। আমারটা তো..”

নীতি হাসলো।

“এই জন্যই তোর পড়াশোনার ব্যাস্ততা আমার মনে সন্দেহ জাগালো। যেই মেয়ে পড়াশোনা করতে চায় না, বিয়ে করে সংসার পাতবে বলে, পড়া দেখলেই যার মাথা ঘুরায়, সে হুট করে এত সিরিয়াস?”

বর্ষা চোখ ছোট ছোট করে বললো, “তোর কাছে কোন কাহিনী জানতে চাইলাম বলতো? তুই দেখি বসে বসে আমায় নিয়ে মজা নিচ্ছিস?”

নীতি স্বশব্দে হেসে ফেললো। আবারো চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললো, “কাহিনীটা যে সম্পূর্ণ ভিন্ন! তাই সূচনাটাও এত সুখকর?”

বর্ষা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। বেশ অন্যরকম লাগছে ওর নীতিকে। কি এমন হয়েছে? বর্ষা কি কোনোভাবে নীতির পরিবর্তনের জন্য দায়ী?

__________________________________

গত বছরের স্মৃতিচারণ—

“বর্ষার বাচ্চা! ফোন ধরতে এত সময় লাগে কেনো তোর?”

“পড়ছিলাম ভাই।”

“তুই এত সিরিয়াস কি করে হয়ে গেলি বইন?”

“দেখ নীতি, ফাজলামো পরে করিস। আমি চাই না ভার্সিটিতেও আমরা আলাদা থাকি। সো আমার একটা ভালো রেজাল্ট করা অবশ্যই দরকার!”

“বর্ষা, সত্যি করে বল। তুই আমার জন্য এসব করছিস? নাকি কোনো বয়ফ্রেন্ড জুগিয়েছিস। লুকিয়ে প্রেম করিস না তো আবার? আমি কিন্তু এক পলকেই বের করে ফেলতে পারি।”

“তোর এই সুন্দর বুদ্ধিগুলো খাটিয়ে তুই বের কর আমার বয়ফ্রেন্ডকে। আমি পড়ি। বাই!”

বলেই ফোন রেখে দিলো বর্ষা। নীতি বিরক্ত হয়ে বসে রইলো।

“এই প্রীতি! প্রীতি..”

নীতির ডাক শুনে দৌড়ে এলো প্রীতি।

“কি হয়েছে?”

“ভাল্লাগে না।”

“তো?”

“আয় কিছু করি!”

“পরে করবো। আমার ফেভারিট সিরিয়াল চলছে এখন। কালকে রাতে দেখিনি। এখন রিপিটটা দেখছি। ডিস্টার্ব করিস না।”

বলেই ছুটলো। নীতি গাল ফুলালো। একজনের পড়ালেখার সিরিয়াসনেস। আরেকজনের সিরিয়ালের। উফ….

নীতিদের যৌথ পরিবার। নীতির দাদার তিন ছেলে। বড় ছেলে তোফায়েল আমজাদের বড় মেয়ে রীতি আর ছোট ছেলে আনাফ। মেজো ছেলে মনির আহমেদ এর বড় মেয়ে নীতি ও ছোট মেয়ে সিনথী। ছোট ছেলে হামিদ রহমানের বড় ছেলে রাদিফ আর ছোট মেয়ে প্রীতি। তারা সকলেই স্ব-পরিবারে একসাথে থাকেন।

নীতি বিরক্ত হয়ে রান্নাঘরের দিকে গেলো। তার এখন পড়তেও ইচ্ছে করছে না। রান্নাঘরে গিয়ে দেখতে পেলো তার মা, চাচীরা কোনো গোপন আলোচনায় ব্যাস্ত! তাই সে রীতির ঘরের দিকে পা বাড়ালো ।যদিও নীতি জানে তাদের গোপন আলোচনা পাশের বাড়ির চাচী। বড় চাচী বলবে, “জানিস ছোটো? পাশের বাড়ির রেশমা নতুন শাড়ি কিনেছে।” তারপর ওর মা বলবে, “এ আর নতুন কি? পাঁচশো টাকার শাড়ি আমাদের কাছে এসে বলবে পঁচিশশো টাকা।” তখন ছোট চাচী বলবে, “কিন্তু আমরা তো সব আগেই জানি।” এরপর তিনজন হাসা শুরু করবে। ঠিকই তার কিছুক্ষণ পর নীতি হাসির শব্দ পেলো। নীতিও মুচকি হাসলো।

রীতির রুমে পা ফেলতে যাবে তার আগেই রীতি চেঁচিয়ে উঠে বললো, “খবরদার নীতি। এখন একদম এখানে আসবি না!”

নীতি ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “কেনো?”

“ভার্সিটির অ্যাসাইনমেনটের কাজ চলছে। আমরা গ্রুপ কলে করছি সবাই মিলে। এখন এসে ডিস্টার্ব করিস না।”

নীতি এবার চরম বিরক্ত হলো। এত বড় বাড়ি, এত মানুষ! অথচ কারোর কাছে সময় নেই বিন্দুমাত্র? ধপাধপ পা ফেলে নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো ও। কান্না পাচ্ছে এখন ওর। টেবিলে বসলো পড়বে বলে। কিন্তু আজকে ওর পড়াতেও মন বসছে না। বইয়ের দিকে আনমনে তাকিয়ে রইলো ও। হুট করেই ফোনে নজর পড়ায় কু-বুদ্ধি মাথায় হানা দিলো। বাঁকা হেসে ফোন হাতে নিলো।

“চলো, দেখা যাক। বর্ষা আদো পড়ছে কিনা।”

ফেসবুকে ঢুকে নিজের আসল আইডি থেকে বের হয়ে ফেক আইডিতে লগ ইন করলো। এই আইডিটা খুলেছিলো শখবশত। কখন কি কাজে লেগে যায়। এই ভেবেই। আজ লাগবে। আইডির নাম ‘নীল পরী’। নাম দেখে নিজেই নাক মুখ কুঁচকে বললো , “এটা কি নাম দিয়েছি আমি?”

পরক্ষণেই মনে পড়লো আইডিটা দুই বছরেরও বেশি সময়ের আগে খোলা। তখন যা মনে এসেছে দিয়ে দিয়েছে। প্রথমে নাম পাল্টালো। নাম দিলো ‘প্রিয়’। হুমম, সে তো সবার প্রিয়!

তারপর বর্ষার আইডি খুঁজে বের করলো। রিকোয়েস্ট দিয়ে মেসেজ দিলো, “আপনার বিএফ অন্য মেয়েদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার আমাকেও ডিস্টার্ব করছে। সামলান প্লিজ!”

মেসেজটা সেন্ড করেই ঠোঁট চেপে হাসলো নীতি। তারপর রীতির আইডি বের করলো। সেখানেও মেসেজ দিলো, “হাই মিস! ভালো আছেন? আপনি কি আমার বন্ধু হবেন? আপনার বিএফকে আমার ভালো লেগেছে। আসেন দুইজন সতিন হয়ে যাই।”

অতঃপর হাত পা ছড়িয়ে বিছানায় শুয়ে মেসেজ আসার অপেক্ষা করতে লাগলো। কিন্তু মিনিট খানেক যেতেই নীতি বিরক্ত হয়ে আবার ফেসবুকে ঢুকলো। এটা ও অনেক আগে লুকিয়ে খুলেছিল। বাবাকে দেখতো ফেসবুক চালাতে। ওর মনেও ইন্টারেস্ট জাগে। কিন্তু ছোট ছিল বলে সবাই মানা করে দেয়। কিন্তু তার আগ্রহ কমে না। সে নিজেই লুকিয়ে খুলেছিল। টানা কয়েকদিন চালানোর পর বিরক্ত হয়ে উঠেছিলো ও। ফেসবুকে আসলে করে কি? ব্যস! আর যায়নি সেখানে। কিন্তু আইডিটা ছিলোই। আর পাসওয়ার্ডও মনে রাখার মতো। “বর্ষা পা’গল মেয়ে”— এই পাসওয়ার্ড ও সত্তর বছর পরেও মনে রাখতে পারবে। ফেসবুক স্ক্রলিং করতে করতে হুট করেই একটা গ্রুপ সাজেস্ট এ এলো ওর। সেখানেও ঢুকলো। স্ক্রলিং শুরু করলো। এভাবেই কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আবার ফোন রেখে শুয়ে রইলো। শুয়ে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তা ওর খেয়ালে নেই।

মাগরিবের সময় ঘুম ভাঙলো ওর। কোনো মতে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো। অতঃপর বাইরে গেলো। ফোন আর আইডির কথা ভুলেই গেল।

__________________________________

রাত এগারোটা। খাওয়া দাওয়া শেষে যে যার রুমে ঘুমাতে চলে গিয়েছে। নীতি পড়ছে। রাত জেগে পড়াটা ওর অভ্যাস। মোবাইলে নোটিফিকেশনের শব্দে তার পড়া থেকে মন সরলো। হুট করেই মনে পড়লো আইডি এর কথা। ঝটপট ফোন হাতে নিয়ে দেখলো রীতি রিপ্লাই করেছে, “কে আপনি?”

নীতি বিছানায় গিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসলো। রিপ্লাই করলো, “আপাতত কেউ নই। কিন্তু হতে পারি, সতিন!”

রীতি রিপ্লাই করলো, “মাথায় সমস্যা নাকি? যত্তসব আউল ফাউল পাবলিক। অপরিচিত কারোর সাথে কি করে কথা বলতে হয় জানেন না? অন্যের দিকে নজর দেন কেনো?”

সঙ্গে দুটো গালি ছিল। নীতি ভরকে গেলো। রীতি এমন রেগে গেলো কেনো? কার দিকে নজর দিলো সে? এসব ভাবতে ভাবতেই আবার জিমেইল থেকে নোটিফিকেশন এলো, “59334 is your Facebook password recovery code”

ভরকে গেলো নীতি। এই আইডিটা জিমেইল দিয়েই খোলা। কিন্তু ও তো কিছু করেনি। কি করবে বুঝতে না পেরে একটা গ্রুপে পোস্ট করলো করলো সাহায্য চেয়ে। যদিও ওর তেমন মাথা ব্যাথা নেই এ নিয়ে। বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনো রেসপন্স পেলো না। হুট করেই একজন কমেন্ট করলো, “কেউ আপনার আইডিতে ঢোকার চেষ্টা করছে!”

নীতি সাথে সাথে রিপ্লাই করলো, “কে সে?”

“আমি কি করে জানবো আজব। আমার তো আপনার পোস্ট দেখে বললাম।”

নীতি ভরকে গেলো। আইডি নেম খেয়াল করে দেখলো লিখা, ‘অনুভব’। নিজের মনে নিজেই বললো, “অনুভব? কিসের অনুভব? উনার নাম অনুভব?”

পরক্ষণেই কি করবে বুঝতে না পেরে আইডিতে নক দিলো।

“আসসালামু অলাইকুম অপরিচিত। আচ্ছা আমাকে বলতে পারবেন আমি জানবো কি করে কে চেষ্টা করছে?”

দুই মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মেসেজ রিকুয়েস্ট একসেপ্ট হলো না। নীতি ঠোঁট উল্টে বললো, “কি ভাব! বাবাগো!”

অতঃপর উঠে গিয়ে পড়তে বসলো। এখন না পড়লে ওর পড়াই হবে না। সবাই যখন পড়াশোনা নিয়ে সিরিয়াস হচ্ছে ও তখন আলসেমি করছে। হাস্যকর না?

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে