প্রথমদেখায়ভালোবাসা পার্ট ০২
লেখা-jannatul ferdous.
রাগিনীর কথাতে রোদ হতবম্ব হয়ে গেলো।বেশ কিছু দিন ধরেই রাগিনীকে ভালোবাসতো রোদ।আজকে ভালোবাসি বলতেই এখানে এসেছিলো রোদ।কিন্তু রাগীনি যা বললো তাতে রোদ কী করবে কিছুই বুজছিলো না।
হঠাৎ করেই রোদ রাগীনিকে বললো—-
ওই তোমার ফোন দাও।
রাগিনী-কেনো দিবো?
রোদ-তাহলে তোমার বিএফ কে কল দাও আমি দেখবো তাকে।
রাগিনী-কেনো দেখবে?
রোদ-আমার ইচ্ছা কল দাও বলছি।
রাগিনী-আমার সাথে তোমাকে দেখলে রাগ করবে।
রোদ-আমি কিছু শুনতে চাই না।ওকে কল দিয়ে আসত বলো।না হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।
রাগীনি-আচ্ছা,দিচ্ছি।
(রাগীনি কল দিলো শুভকে)
রাগীনি-কই আছো গো?
শুভ–আমি তো বাইরে আছি,এন্ট্রি নিবো?
রাগিনী-না,২০মিনিটের মধ্যেই আসো।
শুভ–আচ্ছা।
২০মিনিট পর শুভ এসে হাজির হলো রোদের সামনে।রোদ অবাক হয়ে গেলো শুভকে দেখে, শুভর রোদকে দেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে গেলো।
রোদ-ওকে ভালোবাসো?
শুভ-ভা……ভা..
রাগিনী-ভালোবাসে তো।
রোদ-ওই হারামি কই তুই?(ফোন দিলো কাউকে)
শুভ্র- অফিসে।
রোদ-তোর আদরের ছোট ভাই শুভ একটা মেয়েকে নিয়ে কপিশপে এসেছে।মেয়েটার নাম রাগিনী আর তোর……
শুভ-ভাইয়া পায়ে পড়ি।আর কিছু বইলো না।আমি সত্যি বলে দিচ্ছি।
রাগিনী আমার ফ্রেন্ড,আমরা একই ভার্সিটিতে পড়ি।আর আমি ওর থেকে জুনিয়র।বিশ্বাস করো ভাইয়া আমি এতক্ষন বাইরে ছিলাম।আমি ওর বিএফ না।বিশ্বাস করো সব ওই ফাজিল মেয়েটার কাজ।আমি আসি ভাইয়া।ভালো থেকো।
বলেই শুভ দৌড়ে পালিয়ে গেলো।রোদ রাগিনীর দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।রাগিনী মাথা নিছু করে দাঁড়িয়ে আছে।
রোদ-কি রাগিনী প্ল্যান সাকসেসফুল হলো না?
রাগিনী-আমি মা….মানে স….সরি।
রোদ-আচ্ছা ঠিক আছে।এত ভয় পেয়ো না।আমি তোমাকে যা বলতে চাই তা বলে দিচ্ছি।
রাগিনী-হুম বলো।
রোদ-দেখো তোমাকে আমার প্রথম দেখাতেই ভালো লাগছে,তারপর ভালোবাসা।যাকে বলে “প্রথম দেখায় ভালোবাসা”।এখন আমি শুধু তোমাকে এটাই বলতে চাই—-
আমার বেঁচে থাকার জন্য তোমাকে চাই,
আমার ভালো থাকার জন্য তোমাকে চাই,
আমার জীবনের গল্পে তোমাকে চাই আর
শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমাকে চাই।
বলতে চাই আমি তোমাকে ভালোবাসি।
রাগিনী-আমি ভালোবাসি…….
রোদ-চুপ না শুনতে চাইনি।জানি তারপর না বাদ দাও।ভালোবাসি আমি,আমার ভালোবাসা আদায় করেই ছাড়বো।
রাগিনী-দূর আমি ভালোবাসি না।
রোদ-একবার বললাম তো আমি আদায় করেই ছাড়বো রাগিনী।তুমি এই রোদের-ই হবে।
রাগিনী-যাচ্ছি আমি।
রোদকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রাগিনী চলে গেলো।
রোদ-ভালোবাসা আদায় করে তো ছাড়বোই।তোমাকে এই রোদের রাগিনী বানাতে না পারলে আমার নামও রোদ না।
পরেরদিন ফেবুর ডিটেইলস থেকে রাগিনীর ভার্সিটিতে চলে গেলো রোদ।এই ভার্সিটি থেকেই রোদও পড়ালেখা করে বের হইছিলো।তাই অনেকেই রোদকে চিনে, কলেজের প্রায় অনেক মেয়ের ক্রাশ ছিলো রোদ।বাইক পার্কিং করে ভাবছে এত স্টুডেন্টের মধ্যে রাগিনীকে পাবে কই?
হঠাৎ করেই চিৎকার শুনা গেলো।মাঠে স্টুডেন্টদের ভিড় হয়ে গেছে। রোদ গিয়ে যা দেখলো পুরাই থ হয়ে গেলো।
রোদ-একি শুভ এভাবে কানে ধরে উঠবস করছো কেন?
রশ্মি-রাগিনীর আদেশে।
রোদ-কেন?
রশ্মি-কাল এই হারামির জন্য কোন ছেলের কাছে রাগিনীর মান সম্মান সব নষ্ট হয়ে গেছে তাই।
রোদ-সেই ছেলেটা হলাম আমি।কই রাগিনী?
রশ্মি-ওই তো ক্যান্টিনে আছে।
রোদ-আচ্ছা।
রাগিনী-ওই কয় বার হইছে রে গিয়ে দেখে আয়।
রোদ-মাত্র ১২০বার।
রাগিনী-আরো ৮০বার বাকি।
রোদ-বাকিটা তুমি ধরবা?
রাগিনী-ওই তুই কে রে?
রোদ-চোখ মেলে তাকান ম্যাডাম।
রাগিনী-তু….তুতুমি।
রোদ-হ্যা আ…আআমি
রাগিনী-রাগিনী পালা(বলেই দিলো দৌড়)
রোদ-বাঁচবে কীভাবে আমার হাত থেকে।তোমাকে তো পেয়েই ছাড়বো।
চলবে…….✌