প্রথমদেখায়ভালোবাসা পর্ব_০৩
লেখা-jannatul ferdous.
রাগিনী যেতেই শুভ এসে বললো—-
ভাইয়া যে মেয়ে কাউকে ভয় পেতো না সেই মেয়ে আপনাকে দেখলেই পালাই।সত্যিই ভাবা যায় না।
রোদ-হুমম।শুনলাম শুভ্রের জন্য মেয়ে দেখতে যাবে?
শুভ-হুমম আজকে বিকেলে।
রোদ-আচ্ছা ঠিক আছে।আসি তাহলে।
শুভ-ঠিক আছে ভাইয়া।
রশ্মি-ওই ছেলেটা কে রে শুভ।
শুভ-রোদ ভাইয়া,শুভ্র ভাইয়ার ফ্রেন্ড।
রশ্মি-দেখতে খুব স্মার্ট,হ্যান্ডসাম.
শুভ-আর কিছু বলিস না।ও রাগিনীকে ভালোবাসে।
রশ্মি-ভালোবাসুক আমি তো শুধু ক্রাশ খাইছি।
শুভ-ক্রাশ কখন তোর বাঁশ হয়ে যায় তাও দেখিস।
রশ্মি-দূর আজকে ১২০ বার কানে ধরেও তোর শিক্ষা হয় নাই?
শুভ-ওই দিন যে তোকে ওই রাগিনীর বাচ্চা ছাদে রোদে দাঁড় করাই রাখছিলো ওর চকলেট খেয়ে নেওয়ার জন্য তা কী আমি দেখি নাই?
রশ্মি-দূর.
সূর্য-আমার উপরে তো ক্রাশ খেতে পারো,এত খারাপ না কিন্তু।
রশ্মি সূর্যের দিকে একবার তাকিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
শুভ-সূর্য ভাইয়া কেমন আছো?
সূর্য-ভালো তুমি কেমন আছো?
শুভ-দেখো ভাইয়া ওই গুন্ডি ১২০বার কান ধরাইছে তাও একটা অভিনয় করতে পারি নি তাই।
সূর্য-তুই ওর জুনিয়র তাই তোকে দিয়েই এসব কাজ করাই হাহাহা।
শুভ-হুম মান সম্মান রাখলো না আমার।আমার উপরেও তো অনেক মেয়ে ক্রাশ খায় নাকি।আর ও আমার প্রেম করার চান্স পুরা শেষ করে দিলো।
সূর্য-আরে রাগিনী তো কয়দিন পরেই জামাইর বাড়ি তখন তো একমাত্র তুই থাকবি ভার্সিটিতে রাগিনীর জায়গা নিয়ে নিবি।
শুভ-এই গুন্ডিকে বিয়ে করবে কে?
সূর্য-রোদ তো ওর পিছনে ঘুরতাছে।আমি সব খবর রাখি।
শুভ-তুমিও তো রশ্মির পিছনে ঘুরতেছো।
সূর্য-হুমম প্রথম দেখায় পুরো মনটাকে দখল করে নিলো।এসব বাদ দে।আচ্ছা বাসায় যাবি?
শুভ-হুম চলে যাবো ভাবছি।
সূর্য-ওকে চল।
সূর্য আর শুভ বের হয়ে গেলো ভার্সিটি থেকে।বিকেলে রোদ,শুভ আর শুভ্র একসাথে শুভ্রের জন্য মেয়ে দেখতে গেলো।
রাগিনী-আমি বলছি তো আমি বিয়ে করবো না।তাই আমি ওদের সামনেও যাবো না।
রাগিনীর মা-আরে গেলেই কী বিয়ে হয়ে যাবে নাকি,চল আমার সাথে।
রাগিনী-উফফ এই শাড়ি অসহ্যকর।
রাগিনীর বাবা-আদরে বাদর তৈরী করছি একটা।রিত্ত ওকে নিয়ে ৫মিনিটের মধ্যে ড্রয়িংরুমে আয়,ছেলে আর তার বন্ধু দেখতে আসছে।
রাগিনী-ওই বলে দে আব্বুকে আমি যাবো না।
রিত্ত-আব্বু আপু বলছে….
রাগিনীর বাবা-শুনছি।ওকে বল চুপচাপ আসতে,না হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।
রিত্ত-আপু আব্বু বলছে…..
রাগিনী-আরে দূর হারামি শুনছি আমি।
রিত্ত-কথা না বলে চলো তো।
রাগিনীর মা-চল মা।তোর চিল্লানি দেখে এমনিতেই ওরা তোকে বিয়ে করবে না।
রাগিনী-ঠিক আছে যাচ্ছি।
উঠতে গিয়েই শাড়ি পেচিয়ে পড়ে গেলো রাগিনী।
রাগিনী-আহহহহ এই দজ্জাল মা আর বোনের জন্য এইসব হচ্ছে।কে বলছে আমাকে শাড়ি পড়াতে।??
রিত্ত-উঠ আপু।
রাগিনী-ধরবি না আমি উঠতে পারি।
রিত্ত-সারাদিন এই রাগ ছাড়া কী দেখাতে পারোছ?তোর ভাগ্যেও জুটবে দেখিস এরকম-ই একটা।এখন রাগ দেখাছ,তখন রাগ দেখালে মাইর খাবি।
রাগিনী-তোরে আমারে নিয়ে ভাবতে হবে না।
রাগিনীর মা-কথা কম চল এখন।
সামনে যেতেই রোদকে দেখে চমকে উঠলো রাগিনী।
রাগিনী-ওরে হনুমানের বাচ্চা আজকে তোরে পাইছি।তোরে আজকে আমি……
রাগিনীর বাবা-মা রে দয়া করে চুপ কর।ওরা পাত্রপক্ষ।
রাগিনী-আমি এই হনুমানকে বিয়ে করবো না।
রাগিনীর বাবা-ও না ওই যে নিছের দিকে তাকিয়ে আছে ও হচ্ছে ছেলে।
রাগিনী-(শালা দেখি লজ্জাবতী লতা।বিয়ের সাধ তোর মিটাবো)–মনে মনে।
এই যে মুখটা তুলুন আপনাকে একবার দেখতে চাই।
শুভ-রাগিনী
রাগিনী-ওরে হারামি তুইও এখানে।
শুভ-এটা আমার ভাইয়া।
রাগিনী-তাইলে এখানে কী করে উনি। বড় ভাইয়া আপনি ভালো আছেন তো?
শুভ্র-জ্বি ভালো আছি কিন্তু আমি তোমার বড় ভাই!!??
রাগিনী-শুভ তো আমার জুনিয়র ভাই আর আপনি শুভর ভাই মানে সিনিয়র ভাই তাই না ভাইয়া।
রোদ-হুম একদম ঠিক বলছে রাগিনী।তুই ওর বড় ভাইয়ার মত,চল এবার।
শুভ-আম্মু বলে দিয়েছে আংটি পড়িয়ে যেতে।
রোদ-আরে কিসের আংটি,চল তো।
রোদ শুভ্রকে টেনে নিয়ে চলে গেলো।
রাগিনী-ওই হারামি।
শুভ-আমি জানতাম না ভাইয়া এখানে আসবে।বিশ্বাস কর আমার কোনো দোষ নেই।
রাগিনী-আমি তোর ১বছরের সিনিয়র তারপরেও তোকে কত্ত ভালো ফ্রেন্ড বানাইছি আর তুই বাঁশ দেস আমারে।
শুভ-আরে ভাইয়া আমার থেকে মাত্র ৪বছরের বড় অনেক ভালো মানাবে।তুই রাজি হয়ে যা প্লিজ।
রাগিনী-আজকে তোরে আমি দেখে নিমু।১২০বারে শিক্ষা হয় নাই তাই না?
রাগিনীর মা-১২০বার মানে?
রাগিনী-তোমার রাগী মেয়ে আমারে ১২০বার কান ধরে উঠবস করাইছে।
রিত্ত-আহারে এত কম কেনো হলো আজকে।
রাগিনী-ওই হনুমানের জন্য।
রোদ-আমার কথা বলছো?
রাগিনী-শয়তানের নাম না নিতেই শয়তান হাজির।
রোদ রাগিনীর সামনে এসে দাঁড়ালো………
চলবে..✌✌