প্রতারক part 26
#Roja_islam
রাহুল?হিরা?হীর? পূর্ণির? জীবন থেকে অনেক গুলো দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। দিন পেরিয়ে মাস পেরিয়ে বছর পেরিয়ে যায়।
.
কেটে যায় ৩ টি বছর….বদলে যায় অনেক কিছু তাদের জীবনে কিন্তু তাদের কেউ আলাদা করতে পারেনি!! একে অপরের ছায়া হয়ে ছিলো তারা। আর সামনে তাদের আরো খুশীর দিন। সেই খুশী স্থায়ী নাকি অস্থায়ী তা এক মাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন। তবে মজার ব্যাপার হলো | রাহুল ? হীর | হিরা ? পূর্ণির | বিয়ে এক সাথে হবে আর। বিয়ের আয়জনের পুরো দমে প্রস্তুতি চলছে।সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে এখন। এই তো আর মাত্র এক সাপ্তাহ পড়েই তারা পুরিপুরি ভাবে একে অপরের জীবন সঙি হতে চলেছে। হতে চলেছে দুঃখ,?কষ্ট,?সুখ,?দুঃখ,?মান,?অভিমানের সাথী?।কতোই না আশা?, ভরসা, ?কতই না অপেক্ষা এই বিয়ের দিনটার একে অপরকে একদম নিজের করে পাওয়ার আশা! একদিন সেই দিন আসবে ভরশা! অবশেষে সেই দিন খুব বেশী দূর নয় আর কটা দিনের অপেক্ষা মাত্র!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ঐদিন হিরা যখন রাহুল আর হীরের কথা বলে। রাহুল পুরো বিব্রত অবস্থায় চুপ ছিলো পুড়োটা সময়। রাহুল এতো টা নির্লজ্জ হতে পারেনি হীরের মাকে একটা কথাও সে বলতে পারেনি চিন্তিত আর চুপ ছিলো রাহুল কারণ হীরের মা কি উত্তর দিবে তাকে সেই ভেবে। রাহুলের সাথে আরো একজন চুপ আর খুবি চিন্তিত ছিলো সেটা আর কেউ নয়!! হীরের মার!! তিনি চিন্তিত ছিলো মেয়ের জন্য। মেয়ে চখে তিনি স্পস্ট কষ্টের ছাপ দেখেছেন এই ক মাস!! দেখেছেন কত শত আকুতি চোখে মুখে সেটা কিসের তিনি জানতেন না।তবে আজ…… হীরের মার রাহুল কে নিয়ে কোনো আপত্তি ছিলো না। ছিলো মেয়ের খুশী নিয়ে হিরা তার মাকে সব বলে হীরের সম্পর্কে!! কি হয়েছে হীরের সাথে!! সব শুনার পড় তিনি মনে মনে সিধান্ত নেন !! আর মেয়ের ইচ্ছাতেই ইচ্ছা রাখেন। অনেক চিন্তা করার পড়। হীরের মা রাহুলের হাত ধরে এইটুকুই বলেন!! “হীর যখন সময় চায় তাকে আমি সময় দিতে চাই। আমার মেয়ে তার জীবন যে ভাবে সাজাতে চায় সে ভাবেই আমি রাজী তুমি পাত্র হিসেবে ভালো জানি কিন্তু তাও আমি হীরকে জোড় করবো না এখুনী বিয়ে করতে। আর আমি এটাও জানি তুমি অপেক্ষা……….!”
.
রাহুল উনার পুড়া কথা শেষ করার আগেই মুচকি হেসে উত্তর এ বলেছিলো। “আমি অবশ্যই অপেক্ষা করবো।”
.
ব্যস ঐ দিনি এসব কথার শুনার পড় হিরা পূর্ণি ডিসিশন নেয় বুকে পাথর রেখে তারাও হীর আর রাহুলের সাথেই বিয়ে করবে। মোট কথা বিয়ে করলে এক সাথেই করবে তা না হলে না। অদের কথায় সবাই সম্মতি দিয়েছিলো।এভাবে ১ বছর পেরিয়ে যায় দু বছর এর মাথায় হীর নিজেই বলে বিয়ের কথা কিন্তু ঐ সময় হিরার প্রবলেম ছিলো। তাই পিছাতে হয়। আর নেক্সট ইয়ার প্রবলেম হয় পূর্ণির আর হীরের এক্সাম নিয়ে এসব কিছুতে ৩ বছর পার হয়ে যায় এখন সবাই সেটেল। হিরা ভালো চাকরী পেয়েছে তাই রাহুল দের বাসা ছেড়ে দেয় হীর পূর্ণির পড়াশোনা ও শেষ আর রাহুল ও ডক্টর লাইফ ভালোই তাই এবার আর বাধা নেই। দুই পরিবারের সম্মতিতেই দুই বাড়ী থেকে বিয়ের আয়োজন চলছে। হ্যাঁ রাহুলের মা পূর্ণি হিরা রাহুল হীরের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে!! যখন রাহুল পূর্ণি একদমি উনার খোঁজখবর নিতো না ঐদিনের পড় যে দিন অর্ণিক কে নিয়ে রাহুলের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলো শায়লা এর পড় থেকে রাহুল পূর্ণি রেগে উনার সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে তিনি একদম একা হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থর খবর শুনে রাহুল আর রাগ করে থাকতে পারেনা। দৌড়ে যায় মার কাছে আর সেদিন রাহুল খুব কেঁদেছিলো উনার সামনে। কেনো এমন করে তিনি পূর্ণি আর তার সাথে জিজ্ঞেস করে কেঁদে কেঁদে রাহুল। রাহুলের কান্না দেখে ঐদিন হয়তো শায়লা তার ভুল বুঝতে পেরেছিলো। যে মা হারা দুটো সন্তান কে তিনি অযথায়ই খুব কষ্ট দিয়েছেন যার কোনো মানেই হয় না!! এসব ভেবেই তিনি অসুস্থ অবস্থায় ক্ষমা চায় রাহুলের কাছে রাহুল জেনো এক দণ্ডে সব ভুলে যায় আপন করে নেয় মাকে। তারপর থেকে একসাথেই আছে তারা সুখী পরিবারের মত। রাহুল আর ভাবেনি যে শায়লা তার সৎমা। শায়লা হিরা হীর এবং হীরের মার কাছেও অদের বিয়ে ঠিক হয় দিন ক্ষমা চায়। সবাই আপন করে নেয় শায়লা চৌধুরী কে।
.
আর হীর এই তিন বছর হীর মুক্ত পাখি ছিলো। লাইফ কি হীর বুঝেছে!! সত্যি কার ভালোবাসা কি হীর বুঝেছে!! আর এই সব বুঝিয়েছে রাহুল!! হীরের রাহুল ? হীর এখন খুশীতে কাঁদে প্রায় সময়। তার ভাবনায় ছিলো না জীবন এভাবেও পালটাতে পারে?? রাহুল হীরকে ভালোবাসার সঠিক মানে বুঝিয়েছে বুঝিয়েছে!!কাউর কাছে জিম্মি হয়ে থাকা ভালোবাসা না। ভালোবাসা রাতে ৫/৬ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে কথা বলা না। ভালোবাসা হচ্ছে যাকে পেয়ে তুমি প্রতিদিন নতুন করে বাঁচতে শিখবে। যাকে ভালোবেসে আমরা স্বাধীন মনে করবো নিজেকে। যেখানে বিশ্বাস থাকবে। মিথ্যে থাকবেনা। অভিনয় থাকবেনা। থাকবে সত্যি ভালোবাসার মানুষের কাছে মিথ্যে বলার মানেই হয় না।
হীর আর রাহুলের সম্পর্ক্টা হীরকে বাঁচরে শিখায় ভালোবাসতে শিখায় রোজ!!
.
[কিন্তু লুতুপুতু প্রেম করতে গিয়ে যে আমরা রাতে ৫/৬ ঘণ্টা সজাগ থাকি তাতে বাঁচার ইচ্ছে থাকলেও। রাত জাগার কারনে অকালে মৃত্যু হতে পারে!! তাই লুতুপুতু ভালোবাসা থেকে দূর থাকুন সবাই? ]
.
রাজ সকাল সকাল
রাহুল ? হীর | হিরা ? পূর্ণি। বিয়ের শপিং এ এসেছে।সকাল থেকে তারা শপিং করছে। হিরা পূর্ণিকে নিয়ে প্যারায় আছে কারণ এই মেয়ের এক দোকান ঘুরেই খিদে পায় আর হিরাকে এক্টু পড় পড় মলের একেক রেস্টুরেন্ট ঢুকে পূর্ণিকে খাওয়াতে হয়। হিরা মনে মনে ভাবে। এতো খায় তাও মোটা হয় না আস্ত প্যারা। আর পূর্ণি তার এসবে খেয়াল নেই পূর্ণিকে খেতে ভালোবাসে খাবার হলেই হলো। এদিকে রাহুল একের পড় এক শাড়ী হীরের গায়ে দিয়ে দেখছে কোন টা মানায় হীরকে।আর হীর মুখ গমরা করে রেখেছে। তারো কারণ আছে!! হীর লেহেঙ্গা পড়তে চায় বিয়েতে কিন্তু রাহুল চায় হীর বিয়ের দিন লাল টুকটুকে শাড়ী পরুক। তাই হীরের মুখ গমরা কিন্তু রাহুল কে মানা করতেও পারছেনা। অনেক্ষণ ধরে রাহুল ভ্রু কুচকে সামনের শাড়ী গুলার দিকে তাকিয়ে আছে তা দেখে হীর বিরক্ত কণ্ঠে বললো।
.
— কি হলো!!! পছন্দ হয় নি একটাও??
— হইছে তো!!
চিন্তিত হয়ে বললো রাহুল।
— তাহলে নিচ্ছেন না কেনো একটা??
— একটা পছন্দ হয়নি আমার!!
— হীর ভ্রু কুচকে বললো। মানে??
— হীরের কথা উত্তর দিলোনা রাহুল। দোকানের স্টাফ কে বললো। যে কয় টা এখানে আছে সব গুলা প্যাক করে দিন!!
— হীর রাহুলের কথা থ বনে গেলো। হীর রাহুলের থেকে চোখ সরিয়ে সামনে রাখলো সেখানে প্রায় ৩০ টা বিয়ের শাড়ী আছে বেশ দামী আর চ। হীর ভাবছে এতো গুলা দিয়ে হীর করবে কি?? তাও বিয়ের শাড়ী?? হীর দ্রুত বললো। এই কি বলছেন পাগল হইছেন?? এতো শাড়ী দিয়ে করবো কি তাও বিয়ের শাড়ী? আবার দাম ও কত বেশী আল্লাহ আপনার এতো টাকা বেশী হইছে জানতাম না তো আমি!!
— রাহুল মুচকি হাসলো। তারপর হীরের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো। আরে এতো শাড়ী দিয়ে কি করবে বুঝছো না?? ওকে আমিই বলি!! তুমি রোজ রাতে একটা একটা করে পড়বে বিয়ের পড় আর আমি বাসর রাতের মজা নিবো। ভালো হবে না?? প্রতিদিন হানিমুন হানিমুন ফিলিং নিবো!! তার জন্য কিছু টাকা গেলে গেলো!! তাতে কি। বলেই রাহুল হাসতে লাগলো।
— রাহুলের কথা শুনে হীরের কান গরম হয়ে গেলো। চোখ বড় বড় করে কিঞ্চিত রেগেই বললো। আস্ত লুচু গুণ্ডা একটা!!
— রাহুল আলসেমো ঝেড়ে বললো। ঐ হ্যাঁলো যাই করছি হবু বৌ এর সাথে করছি। তাই লুচু হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপর রাহুল স্টাফ কে তাড়া দিলো। প্লিজ ফার্স্ট প্যাক করে দিন সব গুলো।
.
হীর আর কিছু বললো না।ড্রাইভার কে শপিং ব্যাগ গুলা দিয়ে তারা পূর্ণি আর হিরা কে খুঁজতে লাগলো। পুরো মল খুঁজে না পেয়ে রাহুল হিরাকে কল লাগালো।
.
— হ্যালো হিরা কই তোমরা??
— আর কই ভাই আপনার বোনের পাল্লায় পরছি আমি কি আর ঠিক জায়গায় থাকি?? কাঁদকাঁদ হয়ে বললো হিরা!!
— রাহুল অবাক হয়ে বললো। আবার কি করছে আমার গুণধর বোন??
— কি আর করবে এসেছে বিয়ের শপিং করতে। কিন্তু সে রেস্টুরেন্ট এ বসে গিলছে। কোন সময় সব কমপ্লিট করবো বলেন তো ??চিন্তিত কণ্ঠ হিরার।।
— চিন্তা করো না আমি হীর সব কমপ্লিট করেছি। তুমি পূর্ণিকে খাইয়ে বাসায় চলে যাও ড্রাইভার কে নিয়ে আমি তোমাদের শপিং কমপ্লিট করে হীরকে নিয়ে আসছি।
— আপনার বোন মানবে??
— আরে চিন্তা করোনা ও খেয়ে হাটতে পারেনা বেশী চলে যাবে বাসায়। রাখছি।
— আচ্ছা। সাবধানে আসবেন!!
— আচ্ছা!!
.
এতো গুলা বছরে রাহুল আর হিরার সম্পর্ক্টাও ঠিক হয়ে গেছে দুই জন একদম বেষ্ট ফ্রেন্ড এর মতো একজন আর একজনের ডিসিশন ছাড়া কেউ কিছু করেনা। সুযোগ পেলেই দুজন আড্ডায় বসে আর রাজ্যের গল্প জুড়ে দেয়।জেনো কত কথা বলা বাকি তাদের।কেউ বলবেই না তাদের পরিচয় মাত্র তিন বছর এর।
.
রাহুল ফোন কেটে ফোন চ্যাক করলো। ফোনের স্ক্রিনে ঝল ঝল করছে ৪ টা বাজে। হীর জিজ্ঞেস করলো।
.
— কই ওরা??
— পূর্ণি রেস্টুরেন্ট এ খাচ্ছে!!
— হিহি! আবার??
— হাহা ওর আর কাজ কি?? আচ্ছা চলো সব তো কমপ্লিট শপিং তাই না??
— হ্যাঁ ভাইয়া পূর্ণির টাও তো আপনি আগেই কিনলেন। আর এখন আমাদের টাও কমপ্লিট তো এখন বাসায় যাই?
— না এক জায়গায় যাবো চলো!!
— কই যাবো??
— চলো আগে!!
— বললে কি হয়??
— গেলেই দেখবে!! চলো।
— ঢং!!
— না ফ্যাশন!!
.
রাহুল একটা রিকশা ডাকলো। তারপর একটা এড্রেস বললো। তারপর তারা রিকশায় উঠলো। হাল্কা রক্তিম আভায় তারা রিকশায় পাশাপাশি বসে আছে রাহুল হঠাৎ হীরের হাত টা শক্ত করে ধরলো। হীর এবার ভালো করে রাহুলের দিকে তাকালো ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো।
.
— কি হয়েছে ভয় কেনো পাচ্ছো??
— রাহুল অবাক হলো হীর তুমি করে বলছে এটা ভেবে খুশীই হলো!! আবার ভাবলো হীর বুঝলো কি করে সে ভয় পাচ্ছে!! রাহুল বললো। ভয় করছে হীর আমি থাকতে পারবো তো তোমার পাশে সারাজীবন??
— হীরের বুক ধক করে উঠলো রাহুলের কথায়। হীর কিঞ্চিত রেগেই বললো। এগুলা কেমন কথা রাহুল?? কিচ্ছু হবে না!! সব ঠিক হবে যা হবে!!
যা হয় ভালোই হয়!!
— ভয় হয় হীর খুব ভয় হয় ইদানীং। এই ভালো সময় গুলা জেনো হারিয়ে না যায়।
— হীর এবার রাহুল কে আশ্বাস ভরা গলায় বললো। রাহুল জীবনে কোনো কিছুই স্থায়ী থাকে না। এই দেখো কিছু বছর আগেও আমি কতই না কষ্টে ছিলাম। কিন্তু সেই কষ্ট কি এখন আছে?? নেই তো। তেমনি এই ভালো সময় ও সব সময় থাকবেনা। জীবনে উথানপাথান আসবেই তা নিয়ে ভয় পেয়ে এই মুহূর্তটা নষ্ট করার মানেই হয়না বুঝেছেন এবার হাসুন।
— রাহুল মুচকি হেসে বললো। ইউ নো হীর আমি এমন এটকা হীরকেই চেয়েছিলাম যে পরিস্থিতি বুঝে ভেঙে পড়েনা!! আই লাভ ইউ সো ম্যাচ হীর!!
— হীর হেসে রাহুলের কাধে মাথা রেখে রাহুলের হাত জড়িয়ে ধরে বলে উঠে। আই লাভ ইউ মোর!
.
প্রায় ২ ঘণ্টা একটানা রিকশা চলার পড়। লাল লাল পাহার দেখতে পায় হীর দূর থেকে। জায়গা টা তার চেনা কিন্তু প্রায় ৪ বছর আসেনি এখানে। হীর চট করে রাহুলের দিকে তাকালো। রাহুল বললো।
.
— অবাক হওয়ার কি আছে?? আমি জানি এটা তোমার পছন্দের জায়গা!!
— কিন্তু কি করে? আমি তো বলিনি কখনো কারণ….
— জানি কারণ টা শিহাব। কারণ টা এটাই এখানে শিহাবের অনেক স্মৃতি তাই তো এখন তুমি এই যায়গাটাকে তোমার ফেরারিট বলে মানতে চাও না!!
— হীর পুড়াই থ হয়ে গেলো। হীর ভাবছে এতো কিভাবে বুঝে রাহুল তাকে।কিন্তু হীর সেই প্রথম দিন থেকে এতো গুলা বছরেও রাহুলের ক্যারেকটার ই বুঝলো না বুঝবেই কিভাবে। রাহুল এখনো ইমোশনাল তো এখুনী আগুন । হীর অস্ফুট স্বরে শুধু। হু বললো।
— রাহুল হু শুনে হীরের দিকে তাকিয়ে বললো। আচ্ছা হীর তুমি মিস করোনা শিহাবকে কখনো ??
.
হীর কিছু বললো না চুপ করে রইলো। রাহুল ও আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। সে বুঝেছে যা বুঝার। রাহুল হীর রিকশা থেকে নামলো। পাহার এক পাশে আর এক পাশে ছোট ছোট টঙ দোকান আর বেশ দূরে দূরে দুই তিনটা বাড়ী। বুঝাই যস গ্রাম এলাকা। রাহুল হির পাহারের সাইডেই নেমেছে। রাহুল আশপাশ টা এক নজর দেখলো।
.
সবুজ সবুজ অনেক বছর পুড়নো বিশাল বড় বড় গাছ। আর তার সাইডে মধ্যে লাল লাল বড় ছোট পাহার। সাইড দিয়ে বেয়ে বেয়ে পাহারে উঠা যায়। জায়গাটা বিশাল এরিয়া নিয়ে। উপরে খোলা আকাশ আর বাতাসে সেই পুড়নো গাছ গুলায় দোল খাওয়ার সাথে পাতার ঝলমল করার অদ্ভুত শব্দে কেমন জেনো মন প্রান জুড়িয়ে গেলো। রাহুল চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিয়ে চোখ খুলে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে লাল আর সবুজে ঘেরা প্রকৃতির আরেক রুপ দেখতে।রাহুলের পছন্দ হয়েছে জায়গাটা। রাহুল এবার পাশে তাকালো হীর নেই পাশে!! রাহুল চমকে আশেপাশে দেখতে লাগলো। রাস্তার ঐপাশে তাকাতেই দেখতে পেলো হীর পাশে টঙ দোকানে চললে গেছে। রাহুল দ্রুত হীরের কাছে গেলো। গিয়েই এক ধমক দিলো।
.
,
— এই মেয়ে এভাবে না বলে চলে এলে কেনো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি!!
— হীর হাল্কা হেসে বললো। এবার তো পেয়ে গেছো?? এবার আমার সাথে চা খাও!! বলেই দোকানের ছেলের হাত থেকে দু কাপ চা নিয়ে এককাপ রাহুলের হাতে দিয়ে বললো। তুমি প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত ছিলে তাই ডিস্টার্ব করিনি!!
— রাহুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো। হ্যাঁ আসলে আমার জীবনের অর্ধেক সময় তো আমি এই দেশের বাইরেই কাটিয়েছি এইটুকু সুন্দর দৃশ্যই দেখার সময় বা জায়গা পাইনি!! বলের মুখের কাছে চা নিয়ে রাহুল অবাক হয়ে বললো। হোয়াও কত সুন্দর স্মেল আসছে। এক চুমুক খেয়ে রাহুল বললো। হোয়াট আ্য ট্যস্ট!!
— এটা নারকেল এর দুধ এর চা। শুধু মাত্র এখানেই পাওয়া যায়। ভালো না??
— কি বললাম অনেক ভালো!!
.
হীর হাল্কা হাসলো। রাহুল তিন কাপ চা খেলো সাথে হীরো।। তারপর রাহুল বিল পে করে হীরের হাত ধরে পাহারের দিকে চললো। সূর্য ভুবে গেছে অন্ধকার নেমে আসছে। অন্য সময় হলে হীর মানা করতো এখন উপরে উঠা ঠিক হবেনা। কিন্তু কেনো জেনো এখন না করতে ইচ্ছে করছেনা। রাহুল কোনোরকম একটা পাহারে হীরকে নিয়ে উঠলো। উঠা যায় খুব সহজেই এখানে মানুষ উঠতে উঠতে রাস্তার মতই তৈরী হয়েছে পাহারের পাশ ঘেষে। তাই কোনোরকম উঠে গেছে তারা। রাহুল তো এখানে উঠে আরো মুগ্ধ এতো বড় গাছ গুলা জেনো তার নাগালে রাহুল উচ্ছাসিত চোখে আশেপাশে দেখছে নিচের থেকে উপর থেকে আরো সুন্দর লাগে পাহার আর গাছ গুলো। হীর ও অনেক দিন পড় প্রিয় জায়গায় চোখ বুলাচ্ছে চোখে ভাসছে অনেক অনেক স্মৃতি ভয়ংকর অতীত এর স্মৃতি তবে এখন আর কষ্ট হয়না হীরের। কারণ রাহুল তার পাশে আছে। হীর দূরে তাকিয়ে আকাশ পাতাল ভাবছিলো তখনি রাহুল কানের কাছে গিয়ে “ভাউউউ” বলে উঠলো। হীর চিৎকার দিয়ে উঠলো।
.
— রাহুলললল!!!
— রাহুল হীরে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। আরে এই তো আমি!!
— শয়তান ছেলে!! আমি কত ভয় পাইছি!!
— আমায় ছাড়া কি ভাবছিলে তার শাস্তি!! এখন বলো কি ভাবছ!!
— আগে ছাড়ুন কেউ দেখবে!!
— এই ভর সন্ধ্যায় আমি তুমি আর ভুত ছাড়া এই পাহারে কেউ নেই স্লিপিংকুইন!!
— এই আপনি আমায় স্লিপিংকুইন কেনো ডাকেন বলেন তো??
— কারণ আমি জানি তুমি ঘুম পাগল!! আর আমি তোমায় প্রথম কিভাবে দেখেছি জানো??
— হীর অবাক হয়ে বললো। কিভাবে??? মানে ঐ দিন ছাদে আমাদের প্রথম মিট ছিলোনা??
— নাহহহ। বলেই রাহুল হীরকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে তার হাত দুটি ধরে বপলো। কিছু সত্যি কথা বলার আছে তোমায়!! আজ বললো।
— সত্যি কি সত্যি?? কি লুকিয়েছেন বলুন!!
.
.
চলবে
!
[ দেখছেন পেচগুছ ভাঙে লিখে কুলাতে পারিনি। আপনারা দোয়া করেন নি লিখে শেষ করবার পারলুম না। আর এক পর্ব তবে শেষটা আপনাদের পছন্দ নাও হতে পারে। তার জন্য আগেভাগে ই দুঃখিত। আর হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারিনি তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ডিলিট হয়ে গেছে একবার সুন্দর করে লিখেছিলাম কিন্তু কপাল ডিলিট হয়ে গেলো। তাই আবার লিখে দিতে লেট হয়ে গেলো ? আমার কপালি খারাপ। যাইহোক কেমন হইছে জানাবে নেক্সট নেক্সট করবেন না। কালি পারলে নেক্সট দিবো ইনশাল্লাহ ☺]
Roja Islam