প্রণয়ের রংধনু পর্ব-০১

0
1021

#প্রণয়ের_রংধনু ✨
#পর্ব- ১
#Jannatul_ferdousi_rimi (লেখিকা)

বিয়ে শুরু হওয়ার আগ মুহুর্তে নিজের বাগদত্তাকে সকলে সামনে টেনে হিচড়ে নিয়ে এসে,তার গালে থাপ্পড় বসিয়ে বসিয়ে দিলো অভি।লজ্জায় অপমানে
অনন্যা মাথা নুইয়ে ফেললো। কিছুক্ষন পরেই তার এবং অভির বিয়ে শুরু হওয়ার কথা অথচ অভি তাকে সকলের সামনে এনে গাঁয়ে হাত তুললো? অশ্রুে আখিজোড়া টলমল করছে অনন্যার। দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও পাচ্ছেনা। অপরদিকে অভির রাগে শরীর থরথর করে কাঁপছে। যেই রমনীকে প্রাণীর অধিক ভালোবেসে ছিলো, সে কিনা তাকে এমন বিচ্ছিরি ভাবে ঠকালো? অনন্যার মাথা তুলে উপস্হিত সকলকে পর্যবেক্ষন করলো। বিয়ের আসরে নববধুর গাঁয়ে তার হবু স্বামী হাত তুললো, অথচ কেউ সামান্যটুকু প্রতিবাদ করলো না? তার বাবা- মা পর্যন্তও না? তার বাবাও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন,মায়ের মুখেও ফুটে উঠেছে অসহায়ত্বের ছাপ! অনন্যা অভির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে বললো, ‘ অভি তুমি আমায় মা/রলে?
আমি তোমার বাগদত্তা! তোমার ভালোবাসা! কি করে পারলে তুমি? ‘
অভি সঙ্গে সঙ্গে উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে শুধালো, ‘ ভালোবাসা কিসের ভালোবাসা? আমি ভাবতেও নিজের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিচ্ছে, আমি তোমার মতো নষ্টা মেয়েকে এতোদিন ধরে ভালোবেসে এসেছি। ছিহ! ‘
অনন্যা বুঝতে পারছে কিসের জন্যে তাকে দোষারুপ
করা হচ্ছে। তার ভালোবাসার মানুষটি অব্দি তাকে
‘নষ্টা মেয়ে’ উপাধিতে ভুষিত করছে। অভি একরাশ ঘৃণা নিয়ে সামনের দিকে আঙ্গুল তাঁক করে। অভির ইশারা অনুসরণ করতেই, এক মুহুর্তের জন্যে থমকে যায় অনন্যা। থরথর করে কাঁপতে থাকে তার সবার্ঙ্গ। কেননা সামনে সাদা পর্দায় অস্পষ্টভাবে পদর্শিত হয়েছে অনন্যার সাথে একজন যুবকের অন্তরঙ্গ মুহুর্তে, যদিও অস্পষ্ট ভিডিও! ভিডিওতে হোটেলের একটি রুমে, যুবকটি বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে অনন্যা! হুট করে ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। যুবকটি আর কেউ নয় বরং শহরের নামকড়া বিসনেজম্যানের ছেলে আরবাজের খানের জ্যেষ্ট পুত্র ফারিশ খান। যার সাথে পূর্ব কোন পরিচয় ছিলো না অনন্যার। এইসব ভিডিও সম্পূর্ন ভিত্তিহীন! সবকিছু মনগড়া! কিন্তু তার কথা কি আদোও কেউ বিশ্বাস করবে? সকলেই মুখেই একরাশ অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট! অভির মা, অনন্যার বাবা জনবা লতিফ সাহেবের সামনে এসে, কঠোর গলায় বললেন, ‘ আপনার মেয়ের চরিত্র সম্পর্কে যদি আগে অবগত হয়ে যেতাম, তবে আজ এইভাবে অপমানিত হতে হতো না। ছিহ! শহরের একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আপনি! অথচ মেয়েকে এই শিক্ষা দিয়েছেন? আপনার কি টাকার অভাব পরেছে নাকি? যার জন্যে আপনার মেয়ে, ফারিশ খানের টাকা দেখে তার সাথে রাত কাটাতেও দিদ্বাবোধ করলো না। ‘
জনাব লতিফ হাওলাদার ব্যাথিত হয়ে, বুকে হাত রাখলেন। বেশ কয়েকবছর যাবত হার্টের সমস্যা তার শরীরে বাসা বেঁধে আছে। লতিফ সাহেবের মনে হচ্ছে তার হার্ট অ্যাটাক হবে! যাকে বলে বড়সড় অ্যাটাক! তার একমাত্র আদরের মেয়ের চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তুলে দেয়া হয়েছে এর থেকে বড় অপমান তার কাছে আর কিছুই নেই। অনন্যা অভি হাত ধরে করুণার সুরে বললো, ‘ অভি! বিশ্বাস করো! ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমি তো ওই লোককে চিনিও না। তুমি তো আমাকে এতোবছর ধরে দেখছো অভি। টানা পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো আমাদের। দয়া করে আমাকে বিশ্বাস করো।’

অনন্যার বিপরীতে অভি কিছু বলতে চাইলে, কেউ বলে উঠে,
‘ তারমানে আপনি বলতে চাইছিলেন? সেই রাতে আমাদের মধ্যে কিচ্ছুটি হয়নি মিস অনন্যা? ‘
গম্ভীর স্বরে বলা মানবটির কথা শুনে তার দিকে তাঁকিয়ে, চমকে উঠলো অনন্যা। তার সামনে স্বয়ং ফারিশ খান দাঁড়িয়ে রয়েছে। শক্তপোক্ত হলুদে ফর্সা মুখশ্রী, বিশাল দেহী শরীর। উচ্চতা ছয় ফুটের উপরে। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। চুলগুলো কোকড়ানো। সবমিলিয়ে সাদা ব্লেজার পরিহিত সুদর্শন একজন পুরুষ। তবে তার মন ঠিক ততটাই নোংরামিতে ভরে আছে, তা বুঝতে বাকি নেই অনন্যার। ফারিশ খানের পিছনে তার বেশ কয়েকজন বডিগার্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফারিশ খানকে দেখেই লতিফ হাওলাদাটর হুট করে ঘামতে লাগলেন। শরীর যেন ঢলে পরবে। মস্তিষ্ক কাজ করা সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে গেছে তার। অপরদিকে, অনন্যা ফারিশের শার্টের কলার ধরে চেঁচিয়ে বলতে থাকে, ‘ আমি আপনার সাথে রাত কাটিয়েছি? আমি তো আপনাকে চিনিই না, সেখানে রাত কাটানোর প্রসঙ্গ থাকছে কোথায়? আর এইসব মিথ্যে, বানায়োট ভিডিওটার মানে কি? আপনি সবাইকে বলে দিন, দয়া করে এইসব

ফারিশ ঙ্গে নিজের মুখশ্রী শক্ত করে, নিজের শার্টের কলার থেকে অনন্যার হাত সরিয়ে শান্ত সুরে বলে, ‘ ডোন্ট ডেয়ার টু টাচ ফারিশ খান। জাস্ট ডোন্ট।’

অত:পর ফারিশ লতিফ হাওলাদারের দিকে তাচ্ছিল্যের সাথে বললো, ‘ ফারিশ খানের একদিনের বেড পার্টনার হওয়া অনেক মেয়ের কাছেই ড্রিম! সেই সুযোগ আপনার মেয়ে কীকরে হাতছাডা করে?তাইতো সেইদিন আমার অফার কি সুন্দরভাবে এক্সেপট করলো। আপনার মেয়ের কি সুন্দর চরিত্র!জাস্ট ওয়াও! ‘
বলেই জোড়ে জোড়ে হাতে তালি দিতে থাকলো ফারিশ। দৃষ্টি তার লতিফ হাওলাদের প্রতি নিবদ্ধ! লতিফ হাওলাদার ধপ করে বসে পরলেন চেয়ারে।
এই মুহুর্তে অনন্যার কাছে ফারিশ খান নামক যুবককে দুনিয়ার সবথেকে বড় নিকষ্ট ব্যাক্তি মনে হচ্ছে। এতো বড় মিথ্যে কথাগুলো কীকরে অকপটে বলে দিতে পারছে সে? তার কি একটুও নিজের বিবেকে বাঁধছে না? অনন্যা ধীর কন্ঠে হাত জোড় করে বলতে লাগলো, ‘ দয়া করে এইসব মিথ্যারচার বন্ধ করুন।’

‘ ইউ সেইড আম লাইয়িং রাইট? মিসেস শেফা হাওলাদার, বলুন তো ২১ আগষ্ট রাতে,আপনার মেয়ে কী বাড়িতে ছিলো? ‘

হঠাৎ ফারিশ অনন্যার মাকে প্রশ্ন করায় তিনি চমকে উঠেন। থতমতে হয়ে জবাব দেন, ‘ আসলে না। ‘
পরেরটুকু তাকে আর বলতে দিলো না ফারিশ। হাত থামিয়ে, অনন্যাকে পাল্টা প্রশ্ন করলো, ‘ সেই রাতে নিজের বাড়িতে ছিলেন না আপনি। তবে কোথায় ছিলেন? ‘

ফারিশের প্রশ্নে চুপ হয়ে যায় অনন্যা। সেই রাতের কথা তার মনে নেই। সে একপ্রকার অজ্ঞান হয়ে ছিলো, কিন্তু কোথাও একটি বিরাট বড় ভুল হচ্ছে। সে কখনোই এমন কাজ করবে না, তা হোক সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানরত অবস্হায়। তাকে চরমভাবো ফাঁসানো হচ্ছে। চারদিকে কানাঘুষা শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলে ছিহ, ছিহ, করা শুরু করে দিয়েছে। অথচ কেউ ফারিশের দিকে ভুলেও আঙ্গুল তুলছে না। তুলবেই বা কেন? একটা সমাজের কাছে সবসময় একজন মেয়ের দোষই প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। অভি এগিয়ে এসে, অনন্যাকে ঘুড়িয়ে তার বাহু শক্ত করে চেপে বললো, ‘ কেন করলে এমন? কিসের অভাব তোমার? এতো নিচে নেমে গেলে তুমি? আমি ভাবতেও পারছি না অনন্যা! মা চলো! এখানে থাকার আর মানেই হয়না। ‘

অভির চোখে নিজের জন্যে ঘৃণা দেখে কাঁদতে কাঁদতে, অনন্যা অভির হাত ধরে বলতে লাগলো, ‘ আমায় বিশ্বাস করো। তোমার অনন্যা এমন কাজ করতে পারে না। দয়া করে যেও না অভি। আমার তোমাকে বড্ড বেশি প্রয়োজন। আজকে তো আমাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। ‘

‘ বিয়ে? তাও তোমার মতো চরিত্রহীন মেয়েকে? কখনো না! তোমার মতো মেয়ের দিকে এই অভি শিকদার কখনোই ফিরে তাঁকাবে না। একজন প্রস্টেটিউট আর তোমার মধ্যে পার্থক্যই বা কী? ‘

অভির কথা শুনে, তার হাত ছেড়ে দিলো অনন্যা। শেষ অব্দি তাকে পতিতার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে? এতো অসম্মান কিংবা অপমান সে সইতে পারছে না। ফারিশ বাঁকা হেসে বিড়বিড়িয়ে বলে, ‘ জাস্ট সো ক্লড লাভ ইয়ার! ভালোবাসে অথচ নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস করতে পারেনা। ‘

অভির মা ছেলেকে এবং বাকি বরপক্ষকে নিয়ে, চলে যেতে উদ্বত হলে, পিছন থেকে অভিকে উদ্দেশ্য করে, অনন্যা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে,

‘ মি: অভি শিকদার, কে বলতে পারে? এই নষ্ট মেয়ের কাছেই হয়তো আপনাকে একদিন ফিরে আসতে হবে, কিন্তু সেদিন চাইলেও আপনি আর ফিরতে পারবেন না। সমস্ত পথ আজ নিজ হাতে আপনি বন্ধ করে দিয়ে যাচ্ছেন। যেই কঠিন মুহুর্তে আপনার সঙ্গ আমার যেখানে সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয়, সেখানে আপনি আমাকে একা করে চলে যাচ্ছেন। আজ না হয় কাল, বিরাট বড় এক ধাক্কা আপনি খাবেনই। মনে রাখবেন, কিন্তু। ‘

অভির মা মুখ বেকিয়ে, ছেলের হাত ধরে বললেন, ‘ চোরের মায়ের বড় গলা! এতো কান্ড করেও, নষ্টা মেয়েটার কথা যেন থামছেই না। শুনো রাখো মেয়ে,আমার ছেলেকে আমি যথেষ্ট ভদ্র, সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়ে দিবো। যে তোমার মতো নষ্টা হবেনা। ‘

কথাগুলো বলেই, অভির মা তার ছেলেকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলেন। বিয়ের আসরে নিজের মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যেতে দেখে, বুকে হাত রেখে ব্যাথায় কাতড়ে উঠলেন লতিফ সাহেব। নিজের বাবার এমন ভয়ংকর অবস্হা দেখে দ্রুত তার বাবার কাছে ছুটে এলো অনন্যা। লতিফ সাহেবের চোখমুখে অসহাত্ব! হাত – পায়ে চরম খিঁচুনি ধরে গিয়েছে তার। অনন্যার মা স্বামীর অবস্হা দেখে দ্রুত ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বললেন। ফারিশ সবকিছুই শান্ত হয়ে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে। অধরের কোণে তার বাঁকা হাসি বিদ্যমান। আজ লতিফ সাহেবের এই অসহায়ত্ব তাকে পৌচাশিক আনন্দ দিচ্ছে। সে তার চশমা ঠিক করে, নিজের বডিগার্ডদের নিয়ে বেড়িয়ে যায়। তার কাজে সে সফল হয়ে গিয়েছে। অনন্যা সেই নিকৃষ্ট মানুষটির যাওয়ার পানে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাঁকায়। সে বুঝতে পারছে না, কেন এইসব করলো লোকটা?

_________________

লতিফ সাহেবের বড়সড় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাকে আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। নিজের প্রানেরপ্রিয় মেয়ের এমন অপমান সহ্য করা কোন পিতার পক্ষেই বোধহয় সম্ভব নয়। আইসিউর বাইরে অনন্যা এবং তার মা অপেক্ষা করছে। অনন্যার মা কেমন পাথর হয়ে বসে আছেন। কি থেকে কি হয়ে গেলো! অনন্যার গাঁয়ে এখনো বিয়ের বেনারসী। কাজল ঘেটে তার একশা হয়ে আছে। ডক্টর কিছুক্ষন পরে বেড়িয়ে বললেন, ‘ জনাব লতিফের অবস্হা খুবই করুন! তাকে ২৪ ঘন্টা আপাতত আইসিউতেই থাকতে হবে। ‘
মিসেস শেফা এগিয়ে এসে বললেন, ‘ উনি ঠিক হয়ে যাবেন তো? ‘

‘ আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বেশ বড়সড় ধাক্কা অ্যাটাক হয়েছে। আপ্নারা দ্রুত কেশ কাউন্টারে জমা দিয়ে দিন। ‘

মিসেস শেফা মাথা নাড়িয়ে ‘ ঠিক আছে ‘ বললেন।
অনন্যা ডক্টরের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করে, ‘ আমি কি একটিবার আমার বাবাকে দেখতে পারি? ‘

‘একদমই নয়! কোন সাহসে তুমি তোমার বাবাকে দেখতে চাইছো? আজ যা হয়েছে সবটা তোমার জন্যে অনন্যা। তোমার মতো মেয়েকে জন্ম দিয়ে, আজ আমরা এতোটা অসম্মানিত হয়েছি। তোমার বাবা আজ মৃত্যু পথযাত্রী। তোমার মতো মেয়ে জন্মের সময় মা/রা গেলেই বোধহয় ভালো হতো।’

নিজের মায়ের মুখে এমন কথা শুনে অনন্যার আজ সত্যিই ম/রে যেতে ইচ্ছে করছে। তার মা অব্দি তাকে বিশ্বাস করলো না।

হঠাৎ সেখানে তাদের ম্যানেজার রফিক সাহেব এসে হাজির হলেন। রফিক সাহেবকে দেখে, মিসেস শেফা বললেন, ‘ ম্যানাজার সাহেব! আপনাকে ক্যাশ আনতে বলেছিলাম, এনেছেন আপনি? ‘

‘ সরি ম্যাম! আজকেই জানতে পারলাম, স্যার নাকি আমাদের কম্পানির প্রায় ৮০℅ শেয়ার ফারিশ খানকে বিক্রি করেছে। আমাদের তো আর কিছুই রইলো না। ব্যাংকেও লোন চলছে। সেখানে এতোগুলো ক্যাশ কীভাবে ম্যানেজ করবো? ‘

মিসেস শেফা মাথায় হাত দিয়ে বসে বললেন, ‘ তাহলে উনার কি তবে চিকিৎসা হবেনা? ‘

অনন্যা তার মায়ের কাছে বসে তড়িৎ গতিতে বললো ‘ হবে মা! তোমাদের মেয়ে বেঁচে থাকতে, তার বাবার চিকিৎসা বন্ধ হবেনা। ‘

কথাটি বলেই দ উঠে দাঁড়ায় অনন্যা। রাগে তার শরীর কাঁপছে। তাদের আজকের এই অবস্হার জন্যে ফারিশ খান দায়ী। লোকটাকে আজ জবাব দিতেই হবে। কেন সে এমন করছে! অনন্যা দ্রুত হসপিটাল থেকে হনহনিয়ে বেড়িয়ে যায়। মিসেস শেফা চোখ বুজে কাঁদতে থাকেন। রাস্তায় দ্রুত হেটে যাচ্ছিলো অনন্যা। উদ্দেশ্য ফারিশ খানের অফিস! কিন্তু হঠাৎ তার সামনে একটি কালো গাড়ি চলে আসে, অনন্যার শরীর দূর্বল ছিলো। সে গাড়িটাকে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে, অজ্ঞান হয়ে পরে।

চলবে কি?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে