প্রণয়িনী পর্ব-০৩

0
858

#
#মেহরীমা_তাসমীম
||পর্ব ০৩||

ফাঁকা রুম হতে কাঁপতে কাঁপতে বেড়িয়ে এলো মুগ্ধতা।মাথা যেন কাজ করছে না।কি হচ্ছে ওর সাথে কিছুই বোধগম্য নয় তাঁর।বাহিরে বেরিয়ে লোকসমাগমে বসলো সে।সকলের মধ্যে নিরাপদ মনে হতেই এখানে বসলো।পা চলছে না অস্থির লাগছে।তখনকার কথা মনে পড়লেই ভয়ে কেঁপে উঠে।কে ছিলো লোকটা?ঠিক কোন উদ্দেশ্যে ওর পিছু নিলো কোনো উওর নেই।তখন ওর দিকে ঝুকে এলেও কিছুক্ষণ পর ওকে ছেড়ে দ্রুত পায়ে রুম থেকে প্রস্থান করে লোকটি।এসব ভাবনার মাঝে প্রিয়া, আফিফ এবং রিফাতের কথা মাথায় আসতেই চট করে ফোন বের করে দেখলো দুজনের প্রায় কয়েকটা ম্যাসেজ।ম্যাসেজ অনুযায়ী লোকেশন অনুযায়ী রুমটা তালা দেওয়া তাহলে ও কই।আফিফকে আর প্রিয়াকে টেক্সট করে জায়গায় বসে রইলো সে।এতক্ষণে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পথে কিন্তু ওর ভালো লাগছে না এক্ষুনি এখান থেকে চলে যাবে লোকটা ওই লম্পট ছাড়া কেউ হবেনা বলে ধারণা তাঁর।

——–
‘ওই ছেমরি তুই আমাগোরে ভুল জায়গার ঠিকানা দিয়া এইখানে মনের সুখে বইসা আছস?আর আমরা ওইদিকা তোরে খুঁইজ্জা মরি’। সমুগ্ধতা করুণ চোখে তাকালো তিনজনের দিকে।ওর মুখের দিকে তাকিয়ে প্রিয়া বললো,

‘ওই তোর কি হয়েছে।চোখ মুখের এই অবস্থা কেন?’

কিছুক্ষণ বসে থেকে তিনজনের সাথে সেদিনের সবকিছু শেয়ার করলো মুগ্ধতা এবং আজকের ব্যাপারটাও খুলে বললো।ওরা পুরো কথাগুলো মন দিয়ে শুনার পর আফিফ বললো,

‘না রে মুগ্ধতা তোর কোথাও ভুল হচ্ছে উনি এমন নেন উনাকে আমি চিনি।পারিবারিকভাবে উনারা ব্যবসায়ী সেই সূএে পড়াশোনা শেষ করে এই তো বছরখানেক হবে উনি বিজনেসে ঢুকেছেন এবং বুদ্ধিমওার সহিত সকল দায়িত্ব পালন করছেন।আমি ১০০% সিওর তুই ভুল বুঝেছিস’।মুগ্ধতা ওর কথা মানতে নারাজ।কিছুতেই বিশ্বাস হলো না তাঁর।তাই বললো,

‘তুই এর উপরের টা দেখে জাজ করছিস ভিতরটা দেখিসনি কতটা নোংরা আর কুৎসিত’।ঘোর বিরোধিতা জানিয়ে আবারো আফিফ বললো,

‘উনার ভিতর বাহির সবটাই আমার জানা কারণ উনি ভাই বেস্ট বন্ধু।সেই সুবাদে উনার সম্পর্কে সবকিছুই জানি। তাছাড়া তুই বললি সেক্রেটরি উনার হয়ে তোকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু আমার জানা মতে উনার সেক্রেটরি বলে তেমন কেউ নেই সায়েম ভাইয়া সবসময় উনার সাথে থাকেন’।

সায়েম নামটা শুনের কেমন পরিচিত টেকলো মুগ্ধতার নিকট।দৃশ্যপটে ভেসে উঠলো সেদিনের সামনে দৌড়ে আসা ছেলেটির চেহারা তাঁকে লোকটা সায়েম বলে সম্মোধন করেছিলো সে।তারপর অবাক হয়ে বললো,

‘তুই সিওর হয়ে বলছিস তো’।

‘হ্যাঁ রে বাবা আমি সিওর।উনি খুব ভালো মনের মানুষ।আবার আরেকটা কাজও করতে পারিস উনার নম্বরে এখন কল দে তাহলে বুঝে যাবি’।

‘উনি যদি সে না হয় তাহলে আর কল দিচ্ছে না কেন?থাক ভাই ঘুমন্ত বাঘকে জাগাতে চাইছি না আমার দেখার দরকার নেই’।

‘আমাকে নম্বর দে আমি দেখছি তাহলে তো আর তোকে ডিস্টার্ব করবে না’।মুগ্ধতা সিওর হওয়ার জন্য আফিফকে নম্বর দিলো এবং তিনজন মিলে স্টেজের এক কোণে গিয়ে বসলো।আফিফ কল দিতে সায়েম আর আদ্র কে লক্ষ্য করলো প্রিয়া আর মুগ্ধতা।কিন্তু দুইবার কল ঢুকে রিসিভ হলো না।আরেকবার কল দিতেই রিসিভ হলো কিন্তু সায়েম বা আদ্র কেউ নড়লো না।আফিফ সালাম দিয়ে ফোনের মালিকে দিতে বললে সে বললো,

‘ধুর ভাই মশকরা করেন ক্যা আমার সাথে আমিই ফোনের মালিক কিছু বলার থাকলে বলুন’।

‘স্যার আমার চাকরির খুব দরকার ছিলো আমাকে একটা চাকরি দিবেন প্লিজ’।

‘নিজের জ্বালায় বাঁচি এখন আরেক জ্বালা।আমি কি চাকরির দোকান নিয়ে বসে আছি চাকরি দিবো আমি নিজেই বেকার’।

‘তাহলে সরি ভাই!আমি রং নম্বরে ডায়াল করেছি।এটা কোন জায়গা?নাম কি আপনার’?

‘রাখ হালা আমার ঘুম নষ্ট করে এখন কোন জায়গা কোন জমি জানতে আইছস’।

টুট টুট টুট!লাউডে থাকায় তিনজনে শুনলো সবটা এবার সবটা ক্লিয়ার এই লোক সেই লোক নয়।তাহলে লোকটা কে?এসব ভাবতে লাগলো মুগ্ধতা।অন্যদিকে লজ্জাও পেলো বেশ না জেনে সেদিন কি খারাপ ব্যবহারটাই না করেছে সে।এবার কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।আবার আজকের ঘটনা সেটাই বা কে?কিচ্ছু বুঝলো না।প্রিয়া বললো,

‘না জেনে না শুনে এভাবে একটা ইয়াং হ্যান্ডসাম ছেলেকে অপমান করলি তোর কপাল ভালো ছেলেটা তোকে কিছু করেনি।আমি হলে দিতাম কানের নিচে দুইটা’।মুগ্ধতা মুখ বাঁকালো আমতা আমতা করে বললো,

‘ভুল হয়েছে তাই বলে তুই আমার পক্ষ না নিয়ে ওই লোকটার পক্ষ নিচ্ছিস’?আফিফ বললো,

‘থাম তো তোরা।এসব না ভেবে আসল কালপ্রিট ধরার চেষ্টা করি’।রিফাত বললো,

‘আজকের ঘটনাটা বুঝলাম না।আজকে কে হতে পারে? কাজটা একার না সেটা বুঝাই যায় কারণ তখন তালা ছিলো আর মুগ্ধতার কথানুযায়ী ও রুমের ভিতরে ছিলো।তাহলে এমনটা করলো কে’?

গভীর ভাবনায় মগ্ন তিনজন।তারপর প্রিয়া বললো,

‘থাক এসব বাদ দিয়ে চলে অনুষ্ঠান টা দেখি’।

সকলে মিলে অনুষ্ঠান দেখতে ব্যস্ত।লাস্ট ইয়ারের কয়েকজন গান গাইছে অসাধারণ তাদের গানের গলা।এক ঝাঁক তরুনীরা নৃত্য করেছে।সবকিছু চমৎকার ছিলো।এবার আসলো অতিথির বক্তব্যের পালা।ওখানে বসে বসে আদ্রের বক্তব্য শুনলো মুগ্ধতা।যাকে কারো ভালো লাগে না তার কোনোকিছুই ভালো না।এই যেমন খানিক্ষন আগে এই লোকটাকে সহ্য হচ্ছিলো না কিন্তু এখন লোকটার কথাবার্তা সবকিছুই ভালো লাগছে।কথা বলার ধরণ চোখের চাহনি অঙ্গভঙ্গি এমনকি ঠোঁটের কোণের এক চিলতে হাসি সবকিছুই ভালো লাগছে।খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে তাকে।হঠাৎ দুজনের চোখাচোখি হতেই তড়িৎ চোখ ফিরালো সে।লজ্জা আড়ষ্টতায় মাথা নুইয়ে ফেললো।
———
আদ্রের যাওয়ার সময় ফোন হাতে নিয়ে তাড়াহুড়ায় বের হয়ে গাড়িতে উঠতে যাবে তখন পাশে চোখ যায় তখন সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আফিফকে।আফিফ সাথে ওই অসভ্য মেয়ে ছাড়াও আরও দুজন।আদ্র গাড়িতে উঠতে গিয়ে উঠলো না।ওখানে দাঁড়িয়ে বলল,

‘আফিফ তুই এখানে কি করছিস বাসায় যাস নি’আফিফ ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো হেসে এগিয়ে এসে বললো,

‘না ভাই এখনও যাই নি।ওই যে ওরা আমার বন্ধু।গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু কিছু পাচ্ছি না’!

আদ্র তাকালো সবার দিকে।মুগ্ধতার দিকে তাকানো টা যেন ও নিতে পারছিলো না তাই মাথা নিচু করে নিলো।আফিফ সবাই কে ডেকে বললো,

‘এই এদিকে সবাই আয়’সকলে এগুলো কিন্তু মুগ্ধতা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো।পেছন ফিরে প্রিয়া ওকে টেনে টুনে নিয়ে গেলো।এবার আফিফ বললো,

‘ভাইয়া ও প্রিয়া,মুগ্ধতা আর রিফাত।আর ইনি হলেন ভাইয়ার বন্ধু কম আমাদের বড় ভাই’।আদ্র চমৎকার হাসলো।সবাইকে হাই বললো।সকলে হাসলেও মুগ্ধতা না হাসলো না কথা বললো।ওড়নার কোণায় আঙ্গুল পেঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।সবটাই দেখলো আদ্র।এতক্ষণ পর সায়েম এসে বললো,

‘ভাই আজকে মেয়েটাকে যা লাগছিলো না দেখে আমার পুরো ভাবী ভাবী ফিলিংস চলে আসছে আহা!আসলেই মেয়েটা ওর নামের মতোই মুগ্ধ করতে পারে মানুষকে।আহ!কোথায় ওই পেত্নী আর কোথায় এই ম আদ্রের গরম চাহনি দেখে দমে গেলো সে।আফিফকে ওদের সাথে দেখে বললো,

‘তোরা সব-কয়টা এখানে কি চাই বলতো’।

‘কি চাইবো তোমার আরও ভাইয়ের থেকে মিষ্টি দুইটা ভাবী চাই আর কিছু না।এখন দাও’।

‘ওটা দেওয়ার কিছু নেই ওসব তুই সাথে করে নিয়েই ঘুরিস সো নো প্যারা’।

সকলে হতবাক হয়ে গেলো ওর কথায়।রিফাত বললো,

‘ভাই কি কইলেন’?আদ্র দাঁতে দাঁত চেপে বললো
‘ও কখন কি বলে সেসব নিজেও জানে না।চলো তোমাদের বাসায় পৌঁছে দেই’।

‘নাহ ভাইয়া থাক তুমি যাও আমরা চলে যাবো’।

‘অলরেডি রাত ন’টা বাজে কখন যাবি।চল তোদের ড্রপ করে আমি যাচ্ছি’।সকলে রাজি হলো কিন্তু মুগ্ধতা কিছুতেই যাবে না।সায়েম কাছে এসে ফিসফিসিয়ে মুগ্ধতার কানে কানে বললো,

‘আপনি সেদিনের সেই মেয়েটা না?বাপ রে কিভাবে মিছিমিছি আমার ভাইটাকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন আজ একবার আমাদের সাথে চলুন সেই দিনের সুদ তুলবো’।এমন হুমকি শুনে গলা শুকিয়ে গেলো তার।এতক্ষণ যাবে না বললেও ভেবেছিলো যাবে সরি টরিও বলবে কিন্তু না এসব কিছুই করা যাবে না।গেলে উল্টে বিপদে পরবে।তাই রিফাতকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘এই রিফাত চল তাহলে আমরা আসছি’।

প্রিয়া বললো,

‘তুই কি আজ ওদের বাড়িতে থাকবি’?
‘নাহ!ও আমায় গাড়ি উঠিয়ে তারপর বাসায় যাবে তোরা যা’।আফিফ বললো,

‘এভাবে তোকে একা ফেলে আমরা যাবো না।কারণ সিরিয়ালে সবার শেষে তোর বাসা।একা একা গেলে একটা বিপদ ঘটতে পারে তুই সাথে চল রিফাত হেঁটেই চলে যাবে এই সামনে ওর বাসা’।সকলে গাড়িতে উঠলেও মুগ্ধতা উঠলো না জেদ নিয়ে বসে রইলো।এবার আদ্রের রাগ চাপলো তবুও প্রকাশ না করে ওর সামনে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বললো,

‘অসভ্যতা আপনার মাথা মগজে থাকলেও আমাদের সেটা নেই।অন্যকে হেনস্তা করার কলা কৌশলও জানিনা তাই এত দাম না বাড়িয়ে চলুন।একা গেলে হয়তো রাস্তায় অঘটনও ঘটতে পারে।নাকি সেটার জন্য একা যেতে চাচ্ছেন?’।বলে গিয়ে সামনের সিটে বসে পরলো সে।প্রিয়া নেমে কয়টা ঝাড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে ওকে তুলে রিফাতকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলো।অন্যদিকে মুগ্ধতা রেগে গাল ফুলিয়ে বসে রইলো।

——-
তানিশা বার বার আদ্রকে কল দিচ্ছে কিন্তু কিছুতেই রিসিভ করছে না সে।সবসময়ের শান্ত শিষ্ট মেয়েটির এবার রাগটা যেন বেড়ে গেলো কিছুতেই মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলো না।আদ্রের মাকে কল দিয়ে কান্নাকাটি করলো অভিযোগ করলো তার নামে।তারপর নিজেকে শান্ত করে আবারো কল দিলো কাঙ্ক্ষিত নাম্বারে।অবশেষে রিসিভ হলো ওপাশ থেকে হ্যালো বলতেই ওর কানে গেলো রিনিঝিনি উচ্চ স্বরে কোনো মেয়েলি কন্ঠের হাসি।মেয়েটি হেসেই চলেছে।তানিশা কোনোকথা না বলে চুপচাপ শুনলো সেই হাসি।আদ্র কি বলছে নাকি বলছে না সেদিকে কোনো হুশ নেই তার সে তো ওই মেয়েটার ভয়েস শুনতে ব্যস্ত।আদ্র কল কেটে রেখে দিলো।কল কাটতেই তানিশার ধ্যান ভাঙ্গলো।ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে সহ্য হচ্ছে না তার।আবার কল করলো সে।এবার চোখ মুখ কঠিন করে শান্ত স্বরে বললো,

‘কোথায় তুমি’?
‘বাসায় যাচ্ছি।কোন দরকার’?
‘মেয়েটি কে’?
‘রাদিফের ভাই আফিফ আর বন্ধু বান্ধব মুগ্ধতা, প্রিয়া’।
‘তুমি আমায় ঠকাচ্ছে না তো আদ্র’?
‘এটা বলার কারণ’?
‘মনে হলো তাই’।
‘রাখছি এখন ব্যস্ত’।

কেটে গেলো।তানিশা বিছানায় পা ঝুলিয়ে কাদলো কিছুক্ষণ।এত অবহেলা সহ্য করার মতো নয়।আর কল দিবে না সে।দেখা যাক কতদিন এভাবে কাটে।
—————–

গাড়ি চলছে আপন গতিতে।সায়েম ড্রাইভ করছে।অন্যদিকে প্রিয়া আর মুগ্ধতা মিলে ফুসুরফাসুর করেই চলেছে মূলত ওর ফোনের ম্যাসেজগুলো নিয়ে কথা বলছিলো প্রিয়া আর সেজন্য হাস ছিলো মুগ্ধতা।আফিফ উঁকি ঝুঁকি দিয়ে দেখেছে কিন্তু কথা বলছে না।আর মুগ্ধতা পরেছে মহা ফ্যাসাদে সরি বলবে নাকি বলবে না দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে সে।অনেক্ক্ষণ উশখুশ করলো কিছু বলতে গেলেই কথা আটকে যায়।আফিফ ওর পরিস্থিতি বুঝে আদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘ভাইয়া আপনার সাথে মনে হয় মুগ্ধতার কোনো সমস্যা হয়েছে।আসলে ও তখন বুঝতে পারে নি।জানতো না আপনি সে নন তাই এরকম করে ফেলেছে।ওর ব্যবহারের জন্য ও দুঃখিত’।মুগ্ধতা মাথা নিচু করে রইলো।আদ্র পেছন ঘুরে একবার তাকালো দেখে বুঝা অনুতপ্ত সে।কিন্তু আদ্র কিছু বললো না।সায়েম বললো,

‘সমস্যা!বাপরে যেই কান্ড ঘটাতে যাচ্ছিলো একটুর জন্য আমরা বেঁচে ফিরেছি নইলে মান সম্মান খুইয়ে রাস্তায় মারা পড়তাম’।মুগ্ধতা সেইভাবেই রইলো।প্রিয়া বললো,

‘আসলে এই জিনিসটা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলো আর তখন ওই লোকটাও কিসব বলছিলো আর ও জিজ্ঞেস করতেই ভাইয়াকে দেখিয়ে দিলো তাই তো এতবড় সমস্যা বাঁধলো।আমি বুঝলাম না লোকটা ভাইয়াকে কেন দেখালো’?আদ্র এবার মুখ খুললো বললো,

‘এসব নিয়ে আলোচনা করতে আমার ভালো লাগছে না।যে ভুল করেছে সে একবারও বলেনি তোমরা বলছো সো এসবের মানে হয় না।সে যদি ভুল বুঝে ক্ষমা চাইতো আমি মেনে নিতাম কিন্তু সে তো কথা বলতে পারে না বোবা প্রাণী।সো বোবা দের কাছে আমি কিছু এসপেক্ট করিনা।তার ভুলটাই সে সঠিক মনে করে’।

কথাগুলো শুনে মুগ্ধতা মাথা তুলে তাকালো।সে বোবা কথা বলতে পারেনা।লোকটা তাকে অপমান করে দিলো।সবাই সরি বললো তাতে হলো না ওকেই বলতে হবে।বলবে না সরি সে।বলতো যদি ভালোভাবে বলতো তাহলে কিন্তু এভাবে খুঁচিয়ে বলেছে বলবে না সরি।প্রিয়া আফিফ চোখ দিয়ে ইশারা করলো সবটাই দেখলো আদ্র কিন্তু নড়লো না মেয়েটি।আদ্র হালকা হাসলো মেয়েটার জেদ দেখে অবাকও হলো বেশ।একটা ভুল করেও কীভাবে জেদ নিয়ে বসে আছে।ওকে আরেকটু চেতাতে বললো,

‘আফিফ থাম না!তুই ফোর্স করলেই কি বোঝবার মুখে কথা ফুটবে নাকি।সেচ্ছায় যে বোবা হয় তার মুখে কথা ফুটানোর সাধ্য তোর কেন কারো নেই’।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে