প্রণয়িনীর হৃদয়কোণে পর্ব-১১+১২

0
1835

#প্রণয়িনীর_হৃদয়কোণে
#আফসানা_মিমি
| এগার তম পর্ব |
❌ কোনভাবেই কপি করা যাবে না।❌

বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে
বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে
সইগো বসন্ত বাতাসে
সইগো বসন্ত বাতাসে।

গতকাল রাতে গান গাইতে নিয়েছিলাম। নেংটি কইতর অধির আগ্রহে আমার গান শুনার জন্য বসেছিল। কিন্তু আফসোস অনেকদিন গান না গাওয়াতে গলা একদম বসে গেছে। গলা থেকে সা রে গা মা এর পরিবর্তে অ আ উ আসছে। এজন্যই সকাল সকাল গলা পরিষ্কার করতে নেমেছি। ছাদে আসন পেতে বসে গলা ছেড়ে গান গাইছি। আমার সাথে আছে আমার স্পেশাল বডিগার্ড নেংটি কইতর। যে এখন গরম পানি গ্লাসে ভর্তি ব্যস্ত। কুসুম গরম পানি দ্বারা গড়গড়া করলে নাকি গলা পরিষ্কার হয়। পানি নিয়ে ছাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার গান গাইবো আর গড়গড়া করব। গলা ঠিক হলেই তবে থামবো।

তুমি মোর জীবনের সাধনাআআআআআ

আ বলে গলায় কম জোর পেলাম মনে হল। পানি নিয়ে কতক্ষণ গড়গড়া করে চোখ বন্ধ করেই নিচে কুলি করে দিলাম। হ্যাঁ, এবার গলা পরিষ্কার হয়েছে। ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’ এবার গাইতে পারব। হাত,মুখ নাড়িয়ে এবার গান গাইছি। আমার অঙ্গভঙ্গি অনেকটা প্রফেশনাল গায়িকার মতো লাগছে। আহা, যদি গাইকা হতাম। তাহলে সবার কান ফাটাতাম। সুর তুলছি, গড়গড়া করছি। দশমবারের মতো কুলি নিচে ফেলতেই সাদা কইতরের রাগান্বিত চেহারা দেখতে পেলাম। মুখের ভেতরের পানি আর নিচে ফেলতে হয়নি ভয়ে টুপ করে গিলে ফেললাম। সাদা কইতরের সারা মুখে পানি। সিল্কি চুলগুলো ভিজে চুবচুবে। পাশেই ফুলের টব এবং নিচে কিছু মাটি ছড়িয়ে আছে। হয়তো বেচারা ফুল গাছ লাগাতে বসেছিল।সাদা কইতরের অবস্থা দেখে যতটুক বুঝেছি। আমি এতক্ষণ সাদা কইতরের উপরই গড়গড়া করা পানি ফেলেছি। আজকের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাইছি। সাদা কইতর ভীষণ রেগে কপালের উপর থেকে চুল সরিয়ে বলল,

” তোমাকে কে বলেছে গান গাইতে? আমি যেখানে থাকি সেখানেই কী তোমার এই অকাজ করতে হবে?”

” এখানে থুথু ফেলিবেন, না ফেলিলে পঞ্চাশ টাকা জরিমানা হবে।” এই কথা কোথাও লিখা আছে?

আমার সহজ সরল ভোলা মনে যা আসে তাই ই বলি। এখন সাদা কইতর সেই কথার মানে উলটা করতে আমার কী?
” আয়মান! তোমাকে আমি কাচ্চা চিবিয়ে খাব।”

কাঁচা চিবিয়ে খায় কীভাবে? সাদা কইতরের কাছে প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই পাবো। হাতের গ্লাস রেলিংয়ের উপর রেখে নিজেকে প্রস্তুত করে নিলাম। আমি জানি এখন বিরাট বড়ো ঝগড়া হবে। মহিলা মানুষের মতো কোমড় কেঁচে ঝগড়া করব।

” ঐ মিয়া, আপনি খচ্চর নাকি? কাঁচা খায় কীভাবে হুম! আমার কাছে আসেন একটু লবন,মরিচ দিয়ে দেই।”

সাদা কইতর আগে থেকে আরো বেশি রেগে গেল যেন। বুঝলাম না কি এমন বললাম যার কারণে এই সাদা কইতর সব সময় সাদা থেকে লাল হয়ে যায়? শার্টের হাতা কুনুই পর্যন্ত উঠাতে উঠাতে বলছে,

” দাড়া আসছি আমি! তোকে লবন মরিচ দিয়েই মিশিয়েই খাব।”

বলেই উপরের দিকে ছুটে আসছে সাদা কইতর। এদিকে আমি নিজের প্রাণ বাঁচাতে রাস্তা খুঁজছি। কোথায় যাব, কীভাবে লুকাবো, কীসের নিচে লুকাবো খুঁজছি। সাদা কইতররা যদি ফুলের গাছের টব না লাগিয়ে একটু কবুতরের ঘর বানাতো তাহলে শেখানে লুকাতে পারতাম। এত কথা বলি দেখেই আমার কপালে শনি আসে। আশেপাশে কিছুক্ষণ তাকিয়ে একটি ফুলের টব দেখতে পেলাম যেটা আমার তুলনা একটু বড়ো। সেটার পিছনে আপাতত লুকিয়ে গেলাম এবার সাদা কইতর আমাকে ধরতে পারবে না।

আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছি। সাদা কইতর ছাদে এসেছে আশেপাশে তাকিয়ে আমার খোঁজ করছে। ছাদে একমাত্র নেংটি কইতর ছাড়া আর কেউ নেই। সাদা কইতর ছোট ভাইয়ের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে আমি ভয় পাচ্ছি, যদি নেংটি কইতর আমার কথা বলে দেয় তাহলে!
” হামি বাবু! এখানে কোন দুষ্টু পরীকে দেখেছো?”

হামি বেচারা ভ্যাবলাকান্তের ন্যায় হা করে তাকিয়ে আছে। নেংটি কইতরের চেহারা দেখে বুঝতে পারছি তার মনে এখন এই কথাগুলো চলছে যে,

“এখানে দুষ্টু পরীটা আবার কে? কোথায় থেকে এসেছে? কীভাবে এসেছে? ভাইয়া কখন দেখলো? শুধু কি ভাইয়া দেখতে পারে? আমি দেখনি কেন?”

কিন্তু বেচারা তো জানে না। এসব তার ভাইয়ের সাজানো কু রচনা।

” কোন দুষ্টু পরীকে তো দেখিনি ভাইয়া। কিন্তু আরমান আপুকে দেখেছি। ওই যে ওই টবের পিছনে লুকিয়ে আছে।”

‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়’ কথাটা মিথ্যা নয়। যাকে ভয় পেয়ে এখানে এসে লুকিয়েছি তাকেই এই উজবুক নেংটি কইতর যাকে এত এত ঘুষ খাইয়েছি সে তার ভাইকে সত্য কথাই বলে দিল! সাদা কইতর টবের দিকে তাকিয়ে ভিলেন মার্কা একটা হাসি দিল এরপর নেংটি কইতরকে নিচে নামার জন্য তাগিদা দিয়ে বলল,

” হামি বাবু, তুমি নিচে চলে যাও। তোমার আয়মান আপু গলা পরিষ্কার করা এখনো বাকি আছে। গলা ঠিক হলেই সে তোমাকে গান শোনাবে।”

ভদ্র বাচ্চার মতো নেংটি কইতর চলে গেল। এদিকে আমি বাংলা সিনেমার নায়িকাদের মত হাত বাড়িয়ে নেংটি কইতরকে ডেকেও ডাকতে পারলাম না। কেননা এখন আমার গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না শুধু বের হচ্ছে হায়হতাশ।

এক পা দু পা করে সাদা কইতর আমার দিকে এগোচ্ছে। এদিকে আমি পিছাতে পিছাতে পারছি না টপের ভিতর ঢুকে পড়তে। বিশ্বাস করেন জনগণ, যদি আমি লিলিপুট হতাম তাহলে এখন সুযোগ বুঝে সাদা কইতরের শার্টের পকেটের ভেতর ঢুকে যেতাম। মুখে হাত রেখে চোখ বুজে বসে আছি।

সাদা কইতরের পক্ষ থেকে কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছি না। এমনকি সবসময়ের মতো তার নিশ্বাসের আওয়াজও অনুভব করতে পারছি না। চোখে তাকাবো সেটার উপায় নেই। আমি জানি সাদা কইতর এখন আমার আশেপাশেই আছে।
কিছু সময় পর আমার হাতের উপর টপ টপ করে পানের ফোটা পড়তে অনুভব করি। আমার যতদূর মনে আছে, আবহাওয়া তো ঠিকই ছিল। তাহলে পানি কোথায় থেকে পড়ছে?
চোখ খুলে তাকালাম। ওমা! সাদা কইতর আমার সামনে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছে। যার কারণে সাদা কইতরের মাথার চুল থেকে পানির ফোটা আমার মুখের উপর ঝরছে। এই পানিগুলো আমারই মুখের পানি ভাবতেই গা গুলিয়ে আসছে।

” এই সাদা কইতর, কীসের পানি আমার মুখের উপর ফালাচ্ছো?”

সাদা কইতর কিছু বলছে না। আমার দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ভয় করছে, আমি চলে যেতে গেলে সাদা কইতর আমার হাত ধরে বাঁধা দেয়। এরপর আমাকে খুব কাছে টেনে নিল।

” কিগো! লবন, মরিচ মাখো না! মিশিয়ে খাব তো।”

এতক্ষণে আমি সাদা কইতরের কথার মানে বুঝতে পারলাম। ভার্সিটির ছেলেরা এমন বিশ্রী হয়ে থাকে। আমি না হয় বোকা মেয়ে উলটা পালটা কথা বলে ফেলি তাই বলে সব কথাই ধরতে নিতে হবে? এবার সাদা কইতরের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাবো ভাবছি।

” মনপাখি! এ মনের বাসাতে ইচ্ছে করছে সবসময় বেঁধে রাখি। মনের রাজমহলে রাণী করে রাখি। শাহজাহানের বেগমের চেয়েও বেশি ভালবাসি। তুমি ফুটন্ত ফুল! যে ফুলের পাপড়ি শুধুই আমি। তুমি স্বচ্ছ, তুমি পবিত্র, তুমি অবুঝ মনপাখি।”

পিটপিট করে সাদা কইতরকে দেখছি। এ কোন সাদা কইতর রে ভাই! কেউ কী আমার সাদা কইতরকে তার অচেনা কইতরের সাথে পাল্টিয়ে দিয়েছে? আমার সাদা কইতর তো এমন না! সকাল সকাল নেশা করে এসেছে কী না!

” নেশা চড়েছে! ঘরে দিয়ে আসব?”

সাদা কইতর হাসছে। আমার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলে,
” মনপাখিকে দেখার নেশা চেপেছে।”

” পাগল হয়ে গেলে সাদা কইতর?”

” হুম! তোমার জন্য।”

কি আশ্চর্যজনক বিষয়! সাদা কইতরের মাথার স্ক্রু সব ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। বেচারা সুন্দরী আন্টি ছেলেদের নিয়ে কতো স্বপ্ন দেখে! আর এখন তার ছেলেকে নিজেকে পাগল দাবী করছে! সাদা কইতরের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম। দাঁত দিয়ে নখ কেটে ভাবছি, এই সাদা কইতরকে কোন পাগলা গারদে ঢোকাব। বেচারা আমার নাদুসনুদুস সাদা কইতরের জন্য তো আর যেমন তেমন পাগলা গারদ খোঁজা যাবে না তাই না!
আমাকে ভাবতে দেখে সাদা কইতর বাঁকা হেসে বলে,
” কী ভাবছো সুন্দরী! তুমি যে করেছো আমার মন চুরি।”

হায় আল্লাহ্ সিনেমার ডায়লগ! এবার আমি নিশ্চিত সাদা কইতরের মাথায় সমস্যা হয়েছে। সুন্দরী আন্টিকে এবার ডাকতেই হবে।

” ও সুন্দরী আন্টি! তোমার কপাল পুড়েছে। ধবধবে সাদা কইতর পাগল হয়েছে। দড়ি,রশি আনো সাদা কইতরের হাত পা বাঁধো।”

আমার কথা শেষ হতেই হাতের মধ্যে টান অনুভব করলাম। সাদা কইতর আমার হাত ধরেছে এবং তার ধারালো দাঁত দিয়ে কুটুস করে কামড় বসিয়ে দিয়ে
আমাকে ছাগল উপাধি দিয়ে চলেও গেছে।

“আমি কি করলাম ভাই!
রাক্ষুসে লোক দিল রেগে কেন বলো সবাই?
বলো বলো বলো বলো সবাই।

চলবে…….

#প্রণয়িনীর_হৃদয়কোণে
#আফসানা_মিমি
| বারো তম পর্ব |
❌ কোনভাবেই কপি করা যাবে না।❌

কিছুদিন যাবত একটা বিষয় লক্ষ্য করছি আর সেটা হচ্ছে, সাদা কইতর আজকাল আমার সাথে কথা বলছে না। আমাকে দেখলেই কেমন যেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ভাববার বিষয়! আজকাল আমাকে উদ্ভট কথাও বলে না। এই তো গতকালের ঘটনা। সকাল সকাল সুন্দরী আন্টির কানে চিল্লাছিলাম। আমার হাতির নখের মতো লম্বা নখ কাটার জন্য একটা নেল কাটার কিন্তু কোথাও পাচ্ছিলাম না। সাদা কইতরের মা তখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত ছিল। আমার চিল্লানতে সুন্দরী আন্টি অতিষ্ট হয়ে বলেছিল,

” তুবা আমার মাথা গরম করিস না তো। যা রাদের ঘরে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে নেল কাটার আছে সেখান থেকে নিয়ে নখ কাট। খবরদার নেল কাটার আবার নষ্ট করিস না। সেটা রাদের খুব প্রিয়। আর যেখান থেকে নিবি সেখানেই রেখে আসবি।”

তুবাকে কেউ সোজা কথা বলেছে আর তুবা সেই কথা পালন করেছে তা কখনোই সম্ভব না। সাদা কইতরের ঘরে বসেই হাত পায়ের নখ কেটে নখগুলো মাটিতে ফেলে নেল কাটার নিয়ে নিজের ঘরে চলে আসি।
কিছুক্ষণ পর নেংটি কইতর একটা মিনি পেন্টিংয়ের কাগজ নিয়ে আসে। যেটার মধ্যে একটি পাখি আঁকা ছিল এখন নেংটি কইতরের আবদার ছিল যে সেই পাখিটাকে ছাড়া বাকিগুলো কেটে দিতে হবে
ব্যাস নেল কাটারটা কাজে লাগিয়ে দিলাম। কাগজ কেটে পাখিটাকে ঠিক করে পাঠিয়ে দিলাম নেংটি কইতরকে।
এতটুকুতেও ক্ষান্ত হইনি, আমার তখন আরো কিছু কা’ট’তে ইচ্ছে করছিল। তাই ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পেলাম পেট মোটা আনারস আংকেল বাগানে বসে কি যেন করছে। আরেকটু কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম উনি ফুলের টবে বাঁশ দিয়ে গাছে জিয়ে তারের সাহায্যে আটকে নিচ্ছেন। ব্যস নেল কাটার ব্যবহার করার মোক্ষম জায়গা পেয়ে গেলাম। কিন্তু এখানে এক সমস্যা বাঁধে গেল পেট মোটা আনারস আঙ্কেলকে নিয়ে। এই লোকটা তো আমাকে সহ্য করতে পারে না। আমাকে দেখতে পেলেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।
” কি করছো পেট মোটা আনারস আঙ্কেল?”

যা বলেছিলাম তাই। আমাকে দেখেই মোটা পেট মোটা আনারস আঙ্কেলের নাক কুঁচকে যায়। আমাকে দেখে চোখে মুখে বিরক্তির ভাব চলে আসে। আমিও নাছোড় বান্দা। আজ এই লোকের সাথে সখ্যতা করে ছাড়বোই বলে পন করেছি। তাইতো পেট মোটা আনারস আঙ্কেলের কাছে এসে বসে বলি,
” কথা বলবে না! আমি তোমার সাহায্য করতে এসেছি পেট মোটা আনারস আঙ্কেল।”

” আমার কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।”

না! ব্যাটা আচ্ছা ঘাড় ত্যাড়া ঠিক নিজের ছেলের মতো। এবার একে সোজা করতে হলে কিছু ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে হবে। চোখে কিছুটা জল এনে মিথ্যা কান্নার অভিনয় করে বললাম,

” আমার সাথে সব সময় তুমি এমনভাবে কথা বলো। আজকে যদি আমি অন্যের মেয়ে না হয় তোমার মেয়ে হতাম তাহলে কি আমার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করতে পারতে?”

ইয়েস, পেট মোটা আনারস আঙ্কেলের মন গলে গেছে। কিছুক্ষণ ভেবে নিচের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিল পেট মোটা আনারস আঙ্কেল উত্তর দিল,

” আচ্ছা ঠিক আছে। ওই জিয়ে তারগুলো আমার কাছে এগিয়ে দাও আর ওই যে প্লাস আছে সেটা দিয়ে কে’টে দাও।”
সুযোগ পেয়ে গেলাম। পেট মোটা আনারস আঙ্কেলেলের কথা শেষ হতে লাফিয়ে বললাম,

” আরে প্লাস এর দরকার কি! আমার কাছে নেল কাটার আছে। অনেক দামি। ইঁদুরের দাঁতের চেয়ে ধারালো।এটা দিয়ে কুটকুট করে আপনার সব তার আমি কাটতে পারব।”

পেট মোটা আনারস আঙ্কেল বেশি কিছু বলল না। দুজন মিলে প্রায় আধাঘন্টায় পঁচিশের মতো ফুলের টব ঠিক করে ফেললাম।

কাজ শেষ করে দুজন হাত ধুয়ে দুপুরে খাবার জন্য চলে আসলাম। আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে সুন্দরী আন্টি একটু অবাক হল বটে। একসাথে খাবার খেতে বসলে পেট মোটা আনারস আঙ্কেল আমাকে এটা সেটা এগিয়ে দিতে থাকে তা দেখে সুন্দরী আন্টি আরো অবাক হয় তখন ঠাট্টা স্বরূপ বলে,

” কি সাহেব! তুবার মায়ায় পড়ে গেলে! আমি বলেছিলাম না, মেয়েটা খুব ভালো তবে একটু দুষ্টু।”

আমি তখন খেতে খেতে উত্তর দেই,

” কি ম্যাডাম হিংসে হচ্ছে বুঝি!”

আমার কথা শুনে উভয়ে হেসে ফেলল। আমাদের হাসির মাঝেই সাদা কইতর ফিরে আসে। মুখে প্রতিবারের মতোই গাম্ভীর্যতা। মনে হয় কেউ জোর করে তাকে তিতা করলার রস খাইয়ে দিয়েছে।

” হাত মুখ ধুয়ে খেতে বস।”

সুন্দরী আন্টির সুন্দর কথা শুনে যে কেউ পটে যাবে কিন্তু এই সাদা কইতর তো সাদা কইতর। মুখের মধ্যে কেউ স্কচটিভ মেরে দিয়েছে । সাদা কইতর নিরুত্তর। আমি তখন নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছিলাম। সাদা কইতরের পক্ষ থেকে কোন জবাব না পাওয়াতে তার দিকে ফিরে তাকালাম। বেটা টেবিলের উপরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। সাদা কইতরের দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকাতেই দেখতে পেলাম টেবিলের উপর তার ভাঙ্গা নেল কাটার পড়ে আছে। সাথে সাথে জিহ্বা কাটলাম মনে মনে নিজেকে বকা দিলাম নিজের ভুলের জন্য। আমি চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছি। এই বুঝি সাদা কইতর বলবে,’ আয়মান! কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকো নয়তো তোমাকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিব।’

সাদা কইতর তেমন কিছু বলল না। আমাদের অবাক করে দিয়ে কিছু না বলেই উপরে চলে গেল। পেট মোটা আনারস আঙ্কেল এবং সুন্দরীআন্টি একজন অপরজনের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। পেট মোটা আনারস আঙ্কেল তো বলেই ফেলল,

” রাদ তো কখনো এমন করে না। আজ কী হলো!”

প্রতুত্তুরে সুন্দরী আন্টি কোমড়ে হাতে আমার দিকে ফিরে তাকায়। আমি ইনোসেন্ট হয়ে বলি,

” এখন আমাকে দোষ দিবে না বলে দিলাম।”

না সুন্দরী আন্টি পটলো না। উল্টো বলল,

” আমার ছেলেকে না জ্বালাতন করলে তোর শান্তি লাগে না,তাই না! ”

সুন্দরী আন্টি ক্ষেপেছে। এবার রক্ষা নাই। এখন সুন্দরী আন্টির তালে তাল মিলালেই বেঁচে যাবো।

” আমার কোন দোষ নেই সুন্দরী আন্টি। তোমার স্বামীটা আছে না! ঐ যে পেট মোটা আনারস আংকেল! যাকে খাইয়ে খাইয়ে তো পেট টাকে একদম ফুটবল বানাচ্ছো কিন্তু মাথায় তো কিছু ঢালছো না! নেলল কাটার দিয়ে তার কাটতে বলেছে তাইতো আমি কেটেছি আর কাটতে কাটতে নেল কাটার একদম ঠুস করে ফেলেছি।”

আমার কথা শেষ হতে পেট মোটা আনারস আঙ্কেলকে একটা চোখ টিপে দিলাম যার অর্থ সে যেন কিছু মনে না করে। আমি তো মিছিমিছি বলছি!

আমার অবস্থা থেকে দুজনে আবার হু হা করে হাসতে শুরু করলেন। এদিকে তাদের ছেলে আমার সাদা কইতর অভিমান করে চলে গেছে তাদের খবরই নাই।

খাবার শেষ করে আমার ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছিলাম। আমি খুব ভালো মেয়ে। কারো মনে কষ্ট দিয়ে শান্তিতে থাকতে পারিনা। আমার কারনে সাদা কইতর কষ্ট পাচ্ছে এটা সত্যি আমার জন্য কষ্টকর।

” এই যে, কি করছো এখানে দাঁড়িয়ে?”

নেংটি কইতর কোমড়ে হাত রেখে আমার সামনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছে। আমিও কম না। পাল্টা আদেশ করলাম,

“দেখে আসো তো তোমার ভাই কি করছে?”

” পারব না। আমার পড়া আছে।”

কত বড় স্পর্ধা আমার আদেশ অমান্য করে! এই নেংটি কইতরকে তো পড়ে দেখে নিব। এখন আমার কাজ হচ্ছে সাদা কইতর কি করছে তা দেখা।

সাদা কইতরের ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। উঁকি দিয়ে দেখতে পেলাম সাদা কইতর একটা ব্যাগের ভেতর কাপড়চোপড় ঢুকাচ্ছে। ওমা! এই লোক কী বাড়ি ছাড়া পরিকল্পনা করছে? নাকি আমার জন্য রাগ করে চলে যাচ্চে। বিষয়টা খুবই মন্দ।
অনুমতি না নিয়ে ঘরে ঢুকে গেলাম। এরপর একটু চিন্তিত হয়ে বললাম,

“সাদা কইতর কোথায় যাচ্ছো?”

” যেখানে ইচ্ছে যাই তোমার কী? এখান থেকে চলে যাও আয়মান।”

সারা জীবন গুমরো মুখ হয়ে থাকে আমার সাথে। আমার সাথেও ভালো করে কথা বলছে না।

” আমি তোমার বাসায় আছি বলে তুমি চলে যাচ্ছো তাই না? ঠিক আছে চলে যাও। তুমি যাবে এসে দেখবে আমিও নাই। তোমার পিছু পিছু চলে গেছি।”

সাদা কইতর হয়তো এবার রেগে গেল। চিৎকার করে আমার উদ্দেশ্যে বলল,

” আছো কেন? যাও! এখনই এখান থেকে চলে যাও।”

এই প্রথম, এ প্রথম আয়মান তুবা কারো কথায় কষ্ট পেয়েছে। আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসলো। আমি সাধারণত আনন্দ ফুর্তি করে বেড়াই। কষ্ট খুব কম পাই কিন্তু আপনজনের কাছ কষ্ট পেলে সত্যিই খারাপ লাগে। আমি যতটুকু বুঝলাম সাদা কইতর আমার আগমনের খুশি নয়। কিন্তু আমি তো ইচ্ছে করে এখানে আসিনি সুন্দর আন্টি তো আমাকে নিয়ে এসেছে এখন চলে গেলে তারা কি ভাববে আমি চাইনা সাদা কদরের ব্যবহার তার বাবা মা জানুক তাই কিছু একটা করে এখান থেকে চলে যেতে হবে ছাড়া কই তোর ব্যাগের ভেতর কাপড় ঢুকিয়ে আমার সামনে দিয়ে চলে গেল বাহিরে

কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছি না কিছুই যে সাদাকালো তোর আমার দুষ্টুমিতে শাস্তি দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিল সে সাদা কই তোর এখন আমার সাথে রাগ করছে চিৎকার করে কথা বলছে না এখানে আর থাকবো না কান্না করতে করতে নিজের ঘরে চলে গেলাম এরপর ব্যাগের ভেতর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে সুন্দরী আন্টি উদ্দেশ্যে একটা চিঠি লিখলাম

” সাদা কইতর একটা পঁচা কইতর। বকেছে আমায় খুব। তুমি যদি বিচার না করো আসবো না বলে দিলাম।”
ইতি
তুবা

দুইদিন পর,
আমি বাসায় এসে এই পর্যন্ত চিন্তা করেই যাচ্ছি। সাদা কইতরের উদ্ভট আচরণের মানে কী? আর সে কোথায়ই বা গেল। আলমারির ভেতর থেকে দূরবীন হাতে নিয়ে ছাদে চলে গেলাম। উদ্দেশ্য সাদা কইতরের বাড়ির ছাদ। এই সময়ে সাদা কইতর ছাদে আসে। যদি আজও আসে তাহলে বুঝবো সাদা কইতর বাড়ি চলে এসেছে। আর যদি না আসে তাহলে এই দুইদিন যা করেছি অর্থাৎ কান্না করে আরো পাঁচ টা টিস্যুর বক্স শেষ করব। প্রায় ত্রিশ মিনিট ধরে ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। সাদা কইতরের কোন খোঁজ খবর নাই। তারমানে সাদা কইতর বাসায় নাই। কষ্টে কান্না চলে আসলো। না আমি তো কান্না করার মানুষ না। তার থেকে নিচে চলে এলাম। দেয়ালের ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম আটটা বাজে। অনেকদিন পর আজ কলেজে যাব। না জানি কলেজে গিয়ে কত জরিমানা দিতে হয়। আমার মত দুই নাম্বার স্টুডেন্টদের জন্য কলেজ ফাঁকি বিষয়টা কিছুই না। কলেজ ফাঁকি দিলে আমরা মহা খুশি।

রাস্তা দিয়ে মন খারাপ করে হাঁটছি। এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাদা কইতরের সাথে কত শত দুষ্টুমি করেছি। আর আজ আমি একা! আমি সাদা কইতরকে মিস করছি। অনেক মিস করছি। সাদা কইতরের কথা মনে আসতেই চোখে জল চলে আসছে।

কলেজে প্রবেশ করতেই চোখের সামনে বড়ো একটা ব্যানার ভেসে উঠলো। যার মধ্যে লেখা শিক্ষা সফর। স্থান সিলেট। আমি কখনোই সিলেটে যাইনি। এবার তাহলে যেতে পারব। পিছনের সব দুঃখ যেন ভুলে গেলাম। মনে এখন ভ্রমণের আনন্দ। খুশিমনে কলেজে প্রবেশ করলাম। একেক জনের মুখে একেক কথা! কেউ সিলেট মাজারের কথা বলছে কেউ জাফলং এর পরিস্কার পানির আলাপ করছে। আমার মনে তো ঘণ্টা বাজছে। লিজাকে দেখতে পেলাম কার সাথে যেন কথা বলছে। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম এই লিজা পিজ্জা মাথার চুলে কালার করেছে। দেখতে কটকটির নানী লাগছে। কাছে গিয়ে পিছন থেকে ডাক দিলাম,
” এই কটকটির নানী! চুলে কীসের ঘু মেখেছিস?”

আমার কথায় ক্লাসরুম জুড়ে হাসির রোল পড়ে যায়। লিজাও রেগে গিয়েছে। মুখে মিথ্যা হাসি এনে উত্তরে বলে,

” ইন্ডিয়া থেকে আম্র চাচীর মামী কালার এনেছে সেটা দিয়েছি। একদম আনকমন তাই না তুবা?”
” হ্যাঁ ঘু ঘু কালার আর কি।”

লিজাও হা ছে। কিন্তু আমি জানি এর হাসিটা নিছক লোক দেখানোর। আমার ক্ছে এসে বলে,
” তুবা, সিলেট যাবি না?”

” যাব। তোকে বাসের ছাদে বসিয়ে নিয়ে যাব।”

” হেঁয়ালি করিস না। তোর পাশে আমি বসবো বুঝেছিস? ”

মিজান মনে কি চলছে সেই জানে এসব পাত্তা দিয়ে দেওয়ার সময় আমার নেই আমিতো আনন্দ করব অনেক ঘুরবো জাফলং থেকে পাথর চুরি করে নিয়ে আসবো আরো কত কি ভেবে রেখেছি নির্দিষ্ট দিনটি চলে আসলো যেদিন আমরা সকলে সিলেটের ভ্রমন করতে যাব।
নির্দিষ্ট তিনি রেডি হয়ে কলেজের সামনে চলে আসলাম আমার হাতে নিয়ে বড় একটা শপিং ব্যাগ যেখানে সব রকমের খাবার রয়েছে সারা রাস্তায় খেতে খেতে যাব। গাড়ি ছেড়েছে ভোর সকালে। সকালের সতেজ বাতাসে মন হালকা হয়ে গেছে।
চারদিকে এখনো অন্ধকার। চায়ের দোকানের দোকানিরা ঘুম ঘুম চোখে চুলা ধরাচ্ছে মাত্র। গাড়ি ছাড়ার এক ঘণ্টার মাথায় আচমকা গাড়ি থেমে যায়। ছাত্র ছাত্রীরা তখন নেচে গেয়ে আনন্দ করছিল। আকস্মাত গাড়ি ব্রেক করায় অনেকেই হেলে পড়েছে সামনের দিকে। আমার সিট মাঝ বরাবর হওয়ায় তেমন কিছু হয়নি। হিট থেকে উঠে রীতিমতো বকাঝকা করছে। আমিও উঠে গিয়ে ড্রাইভারকে আচ্ছামত বকতে যাব ঠিক তখনই বাহির থেকে চিল্লা পাললার আওয়াজ শুনতে পাই। বাহিরের মানুষেরা বলছে, “ডাকাত পড়েছে। সবাই পালাও।”

আধুনিক যুগে ডাকাত বিষয়টা অবিশ্বাস্যকর। জানালা বরাবর উঁকি দিয়ে দেখলাম সত্যিই বাহিরে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছে। মনে ভয়ের বাসা বাঁধে।
বসে বসে ভাবছি কীভাবে এই বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়া যায়। বুদ্ধি পেয়েও গেলাম। জানালার গ্লাস সরিয়ে অন্ধকারেই বললাম,

” ও ডাকাত ভাইয়ারা! তোমাদের শত্রু আসতেছে!”

মাঝে মাঝে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়লে বাঁচা যায়। আজ যদি উপর ওয়ালা সহায় হয় তো বেঁচে যেতে পারি।
কিন্তু আমি ভুলেই গিয়েছিলাম এটা হিনেমার জগত না, বাস্তবতা। বাস্তবে এই পরিস্থিতিতে বেঁচে যাওয়া অসম্ভব। আমার জীবনে একজন হিরোর খুবই অভাব। একটা জামাই থাকতো! তাহলে আর এভাবে শিক্ষা সফরে যেতে হতো! জামাইকে ধরে বেঁধে ঘুরতে চলে যেতাম।

বাহিরে কি হচ্ছে কেউ জানি না। হঠাৎ একজন মুখোশধারী লোক বাসে চলে আসে। যার হাতে ইয়া বড়ো দা। সকলের দিকে তাক করে গর্জে উঠে,

” আমাদের ভয় দেখাইছে কে রে? সামনে আয়।”

ছোট বেলা দেখেই ভাবতাম, ডাকাতদের গলার স্বর থাকবে মোটা, শরীরে থাকবে একশ মন গোস্ত। আজ সেই ধারণা পাল্টে গেল। বাসে উঠা লোকটির স্বর একদম চিকন। আর শরীর! মনে হয় হাড্ডি ছাড়া আর কিছুই নেই। কেন যেন এই ব্যাটাকে আমার অতীব পরিচিত মনে হচ্ছে। হেসবে ধ্যান দিলাম না। সিটে বসে নখ কামড়াচ্ছি। কেননা আমি সেই রমণী যে ডাকাতকে ডাকাতের ভয় দেখিয়েছি। লিজা পিজ্জার বাচ্চাটা ন্যাকামি করে আমার নাম বলে দেয়। এই যা আমি ফেঁসে গেলাম। ডাকাত লোকটা আমার কাছে এসে দাঁড়ায়। ইয়াক ব্যাটার মুখ ভর্তি দাড়ি। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সকল ময়লায় ফেলে রাখা চুল এই লোকের দাড়িতেই লাগানো হয়েছে। লোকটা আমার দিকে বটি উঁচু করে বলে,

” এই মাইয়া বাস থেকে নাম।”

আমার মতো ছোট্ট বাচ্চার সামনে ডাকাত এসে কথা বললে ভয় পাবোই। তাই ডাকাতের কথামত নিচে নেমে যাই। ওমা! বাসের আশেপাশে কেউ নেই। ডাকাতের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম। ব্যাটা এক দৃষ্টিতে আমাকে দেখছে। কাহিনী কী? জিজ্ঞেস করতে হয়,

” আপনার বন্ধুদের কী পেট খারাপ হয়েছে? যার কারণে আপনাকে রেখেই প্রাকৃতিক প্রয়োজন সম্পাদন করতে চলে গেছে?”

কিছুক্ষণ আগের গভীরতা এখন আর ডাকাতের চোখে দেখতে পেলাম না। গভীরতার বদলে ডাকাতের চোখের বিরক্তি ভাব। ডাকাত আমার কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,

” আমার এখন ইচ্ছে করছে তোমাকে মাথায় তুলে আছাড় দিতে আয়মান।”

আয়মান! সাদা কইতর! ডাকাত বেশে? ডাকাত উরফে সাদা কইতরের কথায় হাত মুখে চলে গেল। চোখ বড়ো বড়ো করে ঠোঁট নাড়িয়ে বললাম,

” ডাকাত পড়েছে রে ভাই ডাকাত পড়েছে
ডাকাতের মুখোশে সাদা কইতর আমায় ধরেছে।”

চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে