পেগন্যান্ট প্রথম পর্ব
লেখক✍ছোট ছেলে
উফফফফ আমি আর পারছিনা এই এবার ছাড়োতো অনেক হয়েছে/ বৃষ্টি
বাবু আর একটু আদর করতে দাও ৫মিনিট পরে ছেড়ে দিচ্ছি/ আমি
ওহহহহহ তুমিও না আমি আর পারছিনা খুব ব্যাথা হচ্ছে ছেড়ে দাও আমায়
এমনিতে আরও অনেক দেরি হয়ে গেছে বাসায় বই কেনার নাম করে এসেছি
আর আদর করতে হবেনা বিয়ের পরের জন্য কিছু রাখো/ বৃষ্টি
আমি জোর করে আরও কিছুক্ষণ বৃষ্টিকে আদর করতে লাগলাম
একটু পরে ছেড়ে দিলাম
এই আমার না খুব ভয় করছে যদি উল্টাপাল্টা কিছু হয়ে যায়
কত করে বললাম সাথে ঐটা নিয়ে আসতে/ বৃষ্টি
প্রেম ভালোবাসায় এত ভয় হলে চলে
আর এখন অনেকরকম পদ্ধতি আছে অযথা টেনশন নেবার কোন দরকার নেই
আমিতো আছি
আর ঐটা দিয়ে কি তৃপ্তি পাওয়া যায়/ আমি
তারপরও আমার খুব ভয় হচ্ছে তুমি যদি তখন মুখ ফিরিয়ে নাও / বৃষ্টি
তোমার কোন ভয় নেই এমনটা কখনও হবেনা ভালোবাসি তোমায়
আর যদিও উল্টাপাল্টা কিছু হয় তাহলে তো ভালোই হবে/ আমি
কেমনে/ বৃষ্টি
কারন…. তোমার মা বাবা আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেনা মেয়ে এবং তোমার
তোমাদের সম্মান বাঁচাতে তোমাকে আমার হাতে তুলে দিবে/আমি
কথাটা তুমি ঠিক-ই বলছো/ বৃষ্টি
নাও ধরো জামাকাপড় পড়ে নাও
তোমার না দেরি হয়ে যাচ্ছে/ আমি
৭+৫=১৪ ২টাকা কম ১২টাকা
এভাবে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বৃষ্টিকে রিক্সায় তুলে দিলাম
মনটা আজ অনেক শান্তি
অনেকদিন আশায় ছিলাম কিভাবে বৃষ্টিকে কাছে পাওয়া যায়
আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো
ঐসব ভালোবাসা টালোবাসা আমি বুঝিনা আমি শুধু বুঝি নারীর দেহ
বাসায় ঢুকতে দেখি আম্মুর হাতে কত গুলো মেয়ের ছবি
একবার ঐটা দেখে একবার অন্যটা
আমাকে দেখে আম্মু ডাকলো
আম্মু/ রিয়ান এদিকে আয় তো বাবা
মায়ের কাছে যেতে অনেকগুলো ছবি দিয়ে বললো
আম্মু/ দেখ বাবা এখান থেকে কোন মেয়েটা তোর পছন্দ
ছবি গুলো হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম
সব মেয়ে গুলো ঠিক আছে কিন্তু বিয়ের জন্য নয় প্রেম করার জন্য
আম্মুকে আমি সোজা বলে দিয়েছি
বউ ঘর সংসার এসব আমাকে দিয়ে হবেনা
আমি এখন বিয়ে করছিনা
আম্মু/ বিয়ে করবিনা চাকরি করবিনা তো করবিটা কি তুই
আম্মু রেগে গেছে কিন্তু তাতে আমি ভয় পাইনা
আমি/ কিছুই করবনা
আড্ডা মারবো বন্ধুদের সাথে
আর তোমাদের টাকা উড়াবো দুহাতে
বলে নিজের ঘরে চলে গেলাম
পিছন থেকে অনেক আদরের ছোটবোন ডাকতে লাগলো
ছোটবোন/ ভাইয়া এই ভাইয়া
আমি/ আমি চোর নাকি ডাকাত এমনভাবে ডাকছিস কেন
ছোটবোন/ ওলে লে…. আমার দুষ্টু ভাইয়া এবার আর তোর রক্ষা নাই
আম্মু এবার তোর বিয়ে দিয়ে ছাড়বে
ছোটবোনের কানটা ধরে বললাম
আমি/ তাই নাকি
তুই শুধু দেখ কার বিয়ে আগে হয়
তোর না আমার
আগে তোকে তাড়াই তারপর নিয়ে আসবো অন্যকাউকে
ছোটবোন/ ভাইয়া এবার কিন্তু আমি কান্না করবো
আমি/ তো এখানে কেন তোর ঘরে গিয়ে কাঁদ
জোর করে বোনটাকে বের করে দিলাম
ঘর থেকে
সন্ধ্যা নেমে আসতে বৃষ্টি ফোন দিলো
ভাবছি ফোন ধরবো কি ধরবোনা
যা চাওয়া ছিলো তা পেয়ে গেছি এখন আর কথা বলে ওর সাথে সময় নষ্ট না করাটা ভালো
তারপরও ফোনটা ধরলাম
আমি/ কি হলো এত ফোন দিচ্ছো কেন
বৃষ্টি/ কথা বলতে ইচ্ছে করছে তাই
আমি/ এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো
এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম
আর বৃষ্টি একের এক এক কল দিয়ে যাচ্ছে
দ্যাতততত এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারিনা
আমি/ কি হলো বললাম না ব্যস্ত আছি
বৃষ্টি/ কি হয়েছে তোমার এমন করছো কেন
আমি/ আরে কিছুই হয়নি আমার পরে কথা বলছি
বৃষ্টি/ আচ্ছা
বাহিরে যাবো এমন সময়
আম্মু/ রিয়ান এই ছবিটা একবার দেখতো
আমি/ ওহহহহ আম্মু তুমিও না
বললাম না এখন আমি বিয়ে করতে চাইনা
আম্মু/ করবি কি করবিনা সেটা পরে দেখা যাবে
আগে ছবিটা তো দেখ
হাতে নিয়ে ছবিটা দেখলাম
ওয়াও যেমন রূপসী তেমন তার শরীরের গঠন
মাকে ছবিটা দিয়ে মুছকি একটা হাঁসি দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম
বাসা থেকে বের হতে বৃষ্টিকে ফোন দিলাম
ফোন দিতে হয়তো আমার দেরি হয়েছে কিন্তু বৃষ্টি ধরতে একটুও দেরি করেনি
মনে হয় ফোনটা হাতে নিয়ে আমার অপেক্ষা আছে সে।
চলবে….