@পূর্ব-রোদ?
#পর্ব_৩৪
#লেখিকা_আমিশা_নূর
“দশ তারিখ” শব্দটা শুনে রোদ থমকে গেলো।দশ তারিখ!তাহলে তো মাত্র চারদিন বাকি।চারদিন পর পূর্ব তিন বছরের জন্য গায়েব হয়ে যাবে?ইচ্ছে করলে যখন তখন পূর্বকে আর ছোঁয়া যাবে না।বিনা কারণে ঝগড়া দেওয়া হবে না।সকাল বেলা পূর্বের চেহারা দেখা হবে না।কেমন কষ্ট এটি?এতো কষ্ট!
।
।
ভোর পাঁচটায় এলার্মের শব্দ কানে আসতেই পূর্ব মাথা তুলে আন্দাজে এলার্মটা অফ করে দিলো।পাশে এক দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকিয়ে রইলো।আজ দশ তারিখ!আজকে রোদের সাথে পূর্বের শেষ দেখা।বেঁচে থাকলে আবার তিন বছর পর দেখা হবে।এটা মাথায় আসতে পূর্ব দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো।উপর হয়ে সে রোদের কপালে চুমু দিতে গেলে সামনে হাত দেখতে পেলো।পূর্ব ভ্রু-কুচকে দেখলো রোদ ঘুমের ঘোরে কপালে হাত রেখেছে।পূর্ব হাত’টা সরাতে চাইলো কিন্তু হাতটা একদম শক্ত করে রেখে রোদ।তখন পূর্ব বুঝলো রোদ ইচ্ছে করে এমনটা করছে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে খাড়া হাতের উপর মাথা রেখে তাকিয়ে রইলো।তখন রোদ হাই তুলে ঘুম ভাঙ্গার অভিনয় করলো।পূর্ব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে রোদের অনেক আগেই ঘুম ভেঙ্গেছে।এখন অভিনয় করছে মাত্র।
রোদ হাত-পা নেড়ে পূর্বের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো।তখন পূর্ব হুট করে তার কপালে চুমু দিতে আসলে পূর্বের ঠোঁট জোড়া’র উপর হাত রাখলো।
“একদম চুমু দিবে না বলে দিলাম।”
“কেনো?কী করলাম?”
“অভ্যাস পরিবর্তন করছি।তুমি প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে অভ্যাস খারাপ করে রেখেছো।তুমি চলে যাওয়ার পর কী করবো আমি?”
আগের মতো দৃষ্টিতে পূর্ব রোদের দিকে তাকালো।রোদের প্রশ্নের উত্তর পূর্বের কাছে নেই।তখন হুট মাথায় আসায় বললো,”দূরে থাকবো বলে ভালোবাসা কমে যাবে শঙ্খপুষ্পি?”
একথা শুনে রোদ নরম হয়ে এলো।দূরে থাকলে কিছুতে ভালোবাসা কমবে না।কিন্তু কষ্ট হবে ভীষণ।কান্না আসবে থেমে থেমে!রোদের গলা ভারি হয়ে গেলো।কিন্তু সে নিজেকে যতোটা সম্ভব আটকানোর চেষ্টা করলো।কারণ রোদ মনে মনে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছে আজ কিছুতেই পূর্বের সামনে চোখের জল ফেলবে না।কিছুতেই না!
।
।
“আম্মি কী রান্না করেছো?”
“পূর্বের যা পছন্দ।না জানি ছেলেটা কখন আবার আমার হাতের রান্না খেতে পারে।”
চাঁদনি মোহাম্মদের একথা শুনে রোদ কৃত্রিম হাসি দিলো।এখন নয়টা বাজছে।সকালে নাস্তা করার পর চাঁদনি মোহাম্মদ রান্নায় লেগে আছেন।অথচ শরীর অতোটা ভালো না।কিন্তু উনার কাছে ছেলে বড়।তাই রোদ আর বারণ করেনি।এখন পূর্ব রুমে জামা-কাপড় গুছিয়ে নিচ্ছে।রোদ সাহায্য করতে চেয়েছিলো কিন্তু পূর্ব বাঁধা দিয়েছে তাই রোদ রাগ করে রান্না ঘরে চলে এসেছে।তখন তার কানে কলিং বেলের আওয়াজ ভেসে আসলে দরজা খুলতে যায়।
দরজা খুলে দেখলো সামনে রাফিয়া,নাবিলা,তিহান আর তার মামুনি দাঁড়িয়ে আছে।তাদের দেখে রোদ অবাক হলো না।কারণ রোদ জানতো পূর্বের বিদায়ের সময় তারা আসবে।ঠোঁট জোড়া বাঁকা করে রোদ দরজার পাশ থেকে সরে আসলো।
নাবিলা পূর্বের কথা জিজ্ঞেস করতে রোদ জানিয়ে দিলো উপরে আছে।নাবিলা আর তিহান পূর্বের দিকে গেলো।ছায়া আহমেদ তার বান্ধবী’র কাছে গেলো।
।
।
“পূর্ব সব গুছিয়ে ফেলেছিস?”
“হুম।আর শুন Anniversary’র কিছু পিক ফ্রেম করতে দিছিলাম।ফ্রেমগুলা আসলে তুই রোদকে দিয়ে দিস।”
“ইন্না-লিল্লাহ!রোদ জানে না?”
“নাহ।নাবিলা তুই কিন্তু মনে করে ফ্রেম কালেক্ট করে দিবি।”
“ওক্কে রোদের জামাই।”
বাক্যটি বলে নাবিলা চেয়ারে আরাম করে বসে পরলো।কিন্তু নাবিলা’র আরাম’টা তিহান-পূর্ব’কে অসস্তি ‘তে ফেলে দিলো।আজ প্রথম নাবিলা পূর্বকে এমন অদ্ভুত নামে সম্মোধন করলো।তিহান খুব উচ্চস্বরে বললো,”ইন্না-লিল্লাহ।”
তিহানের কথায় পূর্ব অবাকের জগত থেকে বেরিয়ে নাবিলা’কে বললো,
“রোদের জামাই কী?আমার নাম নাই।”
“ও মা!নাম থাকবে না ক্যান?ক্যান তুই রোদের জামাই না?নিকনেইম’টা বেশ লজিক্যাল।”
নাবিলা’র কথায় পূর্ব কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো।কারণ নাবিলা’র ডাকা নামটা যুক্তিসম্মত।পূর্ব বিষয়টা এড়িয়ে বললো,
“মেঘ কোথায় আছে এখন?”
“সকালে মা’কে কল করেছিলাম।মা বললো অফিসের কাজে বাইরে গেলো।”
“ওহ।সেদিনের পর থেকে রোদকে আর কলও করলো না।”
“হুম।করবেও না।”
নাবিলা’র কথায় পূর্ব সস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।যাক তাহলে মেঘ নামের কালো ছায়াটা তাদের মাথার উপর থেকে সরে গেলো।
।
।
পূর্বের যাওয়ার সময় হলো।কিন্তু রোদ কিছুতে তার সামনে আসছে না।রোদ রুমের এক কোণে হাটু গেড়ে বসে আছে।চোখ থেকে নিরবে চোখের জল পড়ছে।রোদের কিছুতে পূর্বের সামনে যেতে ইচ্ছে করছে না।কারণ পূর্বের সামনে গেলে চোখের জল ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।তখনি তার দরজায় কেউ টুকা দিলো।রোদ চোখের জল মুছে রুম থেকে আওয়াজ দিলো,”কে?”
ওপাশে থাকা চাঁদনি মোহাম্মদ বললো,”রোদ বাইরে আয়।”
উনার কথা শুনে রোদ হাতের পিট দিয়ে চোখের জল ভালোভাবে মুছে নিলো।ঠোঁটে কৃত্রিম হাসির বাঁকা রেখা ঝুলিয়ে দরজা খুললো।
চাঁদনি মোহাম্মদ রোদকে দেখে তার মনের অবস্থা বুঝতে পারলেন।তিনি আলতো করে রোদকে জড়িয়ে ধরে বললেন,”রোদ,পূর্বের সাথে একবার দেখা কর দয়া করে।”
রোদ একবার ভাবলো মানা করে দিবে।পরে কি যেনো ভেবে চাঁদনি মোহাম্মদ’কে ছেড়ে দিয়ে নিচে গেলো।রোদের যাওয়ার পনে থাকিয়ে চাঁদনি মোহাম্মদ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন।তার ছেলের চলে যাওয়া’তে নিজেরও খুব কষ্ট হচ্ছে।তাই তো পূর্বকে আগে যেতে দিতে চাইছিলো না।কিন্তু শর্ত জিতে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা পূর্ব নিজে অর্জন করেছে।এখন তার রোদের জন্য কষ্ট হয়।কী করে ভালো থাকবে মেয়েটা?
নিচে গিয়ে রোদ দেখে পূর্ব’রা বাইরে আছে।ধীরগতিতে রোদ পূর্বের সামনে গেলো।পূর্বের হাতে থাকা ঘড়িটা নাড়তে নাড়তে বললো,”নিজের খেয়াল রাখবে।পৌঁছে জানাবে।”
পূর্ব শীতল দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকালো।মেয়েটা কতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চোখের জল আটকানো।কিন্তু ব্যর্থ হয়ে চোখে জল ভর্তি হয়েছে।পূর্ব চাইনা রোদ এক বিন্দুও কষ্ট পাক।কিন্তু অদ্ভুত কারণে রোদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় তারই কারণে।পূর্ব এক টানে রোদকে জড়িয়ে ধরলো।রোদও এই ফাঁকে চোখের কোণে লেগে থাকা অভি বিন্দু মুছে নিলো।
পূর্ব তার কপালে পরম আবাশে চুমু দিয়ে বললো,”নিজের যত্ন নিবে।আর একদম কান্নাকাটি করবে না শঙ্খপুষ্পি।”
“হু।”
“এয়ারপোর্ট অবধি চলো।”
“নাহ।নাবিলাপু আর তিহান ভাইয়া যাক।”,
ততক্ষণে নাবিলা আর তিহান তাদের কাছে এগিয়ে আসে।তারা দু’জনও রোদকে বলে এয়ারপোর্টে যেতে।কিন্তু রোদ সোজাসাপ্টা মানা করে দিয়ে আবারো নিজেকো রুম বদ্ধ করে নে।পূর্ব তার মা-বাবা,মামুনি’র থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে বসে পরে।
রোদ বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে পূর্বের যাওয়া দেখছে।তার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত মনে করছে।কীভাবে তাকে ছাড়া থাকবে এসব ভাবছে।হঠাৎ রোদের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত কাজ করা শুরু করলো।তার মস্তিষ্ক জানান দিলো পূর্বকে আরো পাঁচ মিনিট বেশি দেখতে পাওয়া যাবে।রোদ তাড়াতাড়ি নিজের ব্যাগ নিয়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো।বাসা থেকে রোদকে এভাবে বেরুতে দেখে রাফিয়া তার পিছু নিলো।রোদ গাড়িতে উঠার সময় রাফিয়াও একই গাড়িতে উঠে বসে।
রাফিয়া রোদকে জিজ্ঞেস করতে চাইলো সে কোথায় যাচ্ছে।কিন্তু পরক্ষণে কিছু একটা মাথায় আসতেই আর জিজ্ঞেস করলো না।সে চুপচাপ দেখতে চাইলো রোদ কী কী করে।তখনি সে দেখলো তাদের থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে পূর্বদের গাড়ি।রাফিয়া কথাটা রোদকে বলতে চেয়ে আর বললো না।সে চুপচাপ রোদের বিষয়টা অনুভব করছে।
পূর্ব’ গাড়ি থেকে নেমে নাবিলা-তিহান’কে বিদায় জানিয়ে এয়ারপোর্টের ভিতরে প্রবেশ করতে যাবে তখন দেখলো রোদ হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে আসছে।পূর্ব তাকে দেখে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলো।রোদ তার কাছাকাছি আসতেই হুমড়ি খেয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।পূর্ব ঠোঁট বাকা করে রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।পূর্ব জানতো রোদ তার পেছনে অবশ্যই আসবে।
এয়ারপোর্টে এনাউন্সমেন্ট শুরু হওয়ার পূর্ব রোদকে ছেড়ে দিলো।তারপর কিছু সর্তকবাণী শুনিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো।রোদের মাথাটা ভনভন করছিলো।সামনে সবকিছু ঝাপসা দেখছিলো।একসময় ঝাপসা থেকে সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেলো।রোদ তার শরীরের ভর সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পরে গেলো।
তিন মাস পর……
রোদ চার মাসের গর্ভবতী!
সেদিন মাথা ঘুরে যাওয়ার পর যখন হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন ডাক্তার জানান দে তার দেহে আরো একটি ছোট্ট দেহ বাস করছে।প্রেগন্যান্সির কথা রোদ পূর্ব’কে জানায়নি।এমনকি কাউকে জানাতেও দেয়নি।প্রেগন্যান্সির কথা শুনলে পূর্ব কানাডা’র সবকিছু ফেলে বাংলাদেশ চলে আসবে।তখন পূর্বের স্বপ্নটা অপূর্ণ থেকে যাবে।
এই তিন মাসে রোদ নিজেকে অনেকটা সামলে নিয়েছে।প্রথম প্রথম পূর্বের জন্য খুব কাঁদতো।পূর্ব যখনই ফোন করতো না কেঁদে ফোন ছাড়তো না।তাই রাগ করে পূর্ব একবার এক সপ্তাহ ফোন করেনি।তারপর থেকে রোদ আর কান্না করে না।করলেও সেটা গোপনে করে।সবার থেকে আড়াল করে কাঁদে।তবে নিজের সন্তানের কথা ভেবে নিজের যত্ন নে খুব।যদিও রোদের যত্ন নেওয়ার জন্য মানুষের কম নেই।নাবিলা ঢাকায় থেকে গেছে পূর্বের বাড়িতে।মাঝে একবার সিলেট গিয়ে তার মায়ের সাথে দেখা করেছিলো তারপর থেকে ঢাকায় আছে।মূলত নাবিলা রোদের যত্নের জন্য সিলেট যায়নি।চাঁদনি মোহাম্মদ একার সম্ভব না রোদকে সামলো।তাই সে এখনো আছে।
রোদ এক ধ্যানে ফ্রেমে বন্দি থাকা পূর্ব-রোদে’র ছবির দিকে তাকিয়ে রইলো।পূর্ব চলে যাওয়ার কয়েকদিন পর নাবিলা এনে দিয়েছিলো।রোদ যখনি রুমে একা থাকে সারাক্ষণ বড় ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে।হঠাৎ দরজা নাড়ার শব্দে রোদের ধ্যান ভাঙ্গলো।সে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো রাফিয়া আর নাবিলা চুপিচুপি রুমে ঢুকছে।কিন্তু চুপিচুপি ঢুকার অর্থ রোদ খোঁজে পেলো না।রাফিয়া’কে দেখতে পেয়ে রোদ বললো,
“পেত্নী,সেই কবে এসেছিলি আর আজকে এলি।”
“ও মা!তুই আমাকে মিস করছিলি?”
“তোকে মিস করি নাই।তোকে যে বললাম আমার জন্য তেঁতুল আনতে, আনছিলি?তেঁতুল না এনে একেবারে উধাও হয়ে গেলি।”
“এই নে তেঁতুল।”
রাফিয়া দুহাত বাড়িয়ে দিলো।দুহাতে মাত্র দুইটা তেঁতুল ছিলো।দুইটা তেঁতুল পেয়েই রোদ খুশি হলো।নিজের হাতে তেঁতুল নিয়ে লবনের কথা জিজ্ঞেস করতে নাবিলা একবাটি লবণ এগিয়ে দিলো।রোদ বুঝতে পারলো না দুইটা তেঁতুলের জন্য একবাটি লবণ কেনো?
তখন তাকে অবাক করে দিয়ে নাবিলা পেছন থেকে এক থলে তেঁতুল বের করলো।এতো তেঁতুল দেখে রোদের মুখটা হা হয়ে গেলো।অমনি রোদ রাগি কন্ঠে বললো,
“এতো তেঁতুল থাকতে আমাকে মাত্র দুইটা দিলে নাবিলাপু?এতো তেঁতুল তোমরা কী করবে?”
“খাবো।” (নাবিলা)
“কিন্তু এতে তেঁতুল পেলে কোথায়?” (রোদ)
“তোমার শ্বাশুড়ি আম্মা আচার করার জন্য এনেছিলো।ঐখান থেকে রাফিয়া চুরি করেছে।” (নাবিলা)
“চুরি?রাফিয়া..”
রোদ রাগান্বিত দৃষ্টিতে রাফিয়ার দিকে তাকালো।রাফিয়া তার দিকে ভ্যাংচি কাটলো।রোদের কিছুতে সহ্য হচ্ছে না তাকে দুইটা দিয়ে ওরা দুজন এতো খাবে।হঠাৎ রোদের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসায় বললো,
“ফটাফট সব তেঁতুল সমান তিন ভাগে ভাগ করো নয়তো আম্মি’কে সব বলে দিবো।”
“এ্যাঁএএ!রোদ এইটা ব্ল্যাকমেইল।” (নাবিলা)
“যাই হোক।ভাগ করলে করো নয়তো…. আম্মিইই”
রাফিয়া তাড়াতাড়ি রোদের মুখ চেপে ধরলো।রাফিয়ার ইচ্ছে করছে নিজের কাপলে নিজের থাপ্পড় লাগাতে।তার আগেই বুঝা উচিত ছিলো রোদ একটা বদের হাড্ডি।একরাশ বিরক্তি নিয়ে নাবিলা সব তেঁতুল তিন ভাগ করলো।তারপর সবাই মিলে ঠিক করলো ছাদে গিয়ে তেঁতুল খাওয়া হবে।তিনজন চুপিচুপি ছাঁদে গেলো।
[চলবে]