পূর্ণিমা_সন্ধ্যায়
পর্ব_৩৮
#লেখিকাTasneem Tushar
বিয়ে বাড়ি। চারিদিকে ধুমধাম। উৎসবমুখর পরিবেশ জমে উঠেছে মানুষের আনাগোনাতে। জোরে গান বাজছে, বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে, ছেলে মেয়েরা কে কী পড়বে তা নিয়ে হৈ চৈ চলছে। এদিকে আলিয়াকে বউ সাজাতে বেশ নামকরা মেকআপ আর্টিস্টকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিয়ের মূল অনুষ্ঠান শুরু হতে এখনো ঘন্টা খানিক বাকি। সবাই ব্যাস্ত অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হওয়ার জন্য।
*
আদিল ফোন হাতে নিয়ে বারবার তিয়াশাকে কল করে যাচ্ছে। কিন্তু তিয়াশার ফোন বন্ধ। গতকাল রাতে তিয়াশা ফোন করেছিল, কিন্তু সে ধরতে পারেনি এর জন্য এত রাগ? রাগ করে ফোনটাই বন্ধ করে রেখেছে। সে কি বুঝেনা যে আমি এখনো তাকে ভালোবাসি? আজকে বিয়েতে আসলে তিয়াশার মান ভাঙাতেই হবে।
হঠাৎ আদনানকে আদিলের ঘরের পাশ দিয়ে যেতে দেখেই আদিল ডাক দেয়,
“আদনান শোন তো?”
“কি ভাইয়া? কিছু বলবি?”
“হুম। বেশী ব্যাস্ত নাকি?”
“এইতো একটু ফোন করার চেষ্টা করছি। ফোন ধরছেনা। গতকাল যাওয়ার সময় দেখাও করে গেলনা।”
“কার কথা বলছিস?”
“কে আবার, তিয়াশা। গতকাল রাতে হুট করেই দেখি সে নাই। ফোন দিয়েছিলাম পাইনি। এখন চেষ্টা করছি তাও ঢুকছেনা।”
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আদিলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরে। চিন্তিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি?”
“ঠিক বুঝতে পারছিনা। আচ্ছা তুই যেন কেন ডাকলি?”
আদিল যেটা জানতে চেয়েছিল সেটা আদনান নিজেই বলে দেয়াতে সে উত্তরে বলে,
“না, এমনি। তুই যা তোর কাজ কর।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
বলে আদনান ফোন কানে নিয়ে হাটতে হাটতে চলে যায়, প্রত্যাশা এবার যদি তিয়াশা ফোন ধরে। কিন্তু নাহ তিয়াশার ফোন বন্ধই পাচ্ছে। চিন্তার রেখা আদনানের কপালেও ফুটে উঠে। কি হলো তিয়াশার? কোনো বিপদে পড়লো নাতো?
*
প্যাট্রিসিয়া ও ম্যাথিউ বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে বসে আছে তিয়াশাদের বাসার ড্রইংরুমে। তিয়াশার মা নীলিমা হাবিব তাদের সামনে এসে বসেছেন, চোখে মুখে স্পষ্ট চিন্তার ছাপ। ম্যাথিউ অস্থির হয়ে পা নাড়ছে, আর প্যাট্রিসিয়া আনমনে নখ খুটছে। টেবিলে রাখা পানি ভর্তি গ্লাসটি নিয়ে দুটো চুমুকে পানি পান করে নীলিমা হাবিব বলে উঠেন,
“তাহলে তোমরা কিছুই জানোনা?”
ম্যাথিউ ও প্যাট্রিসিয়া দুজনেই একসাথে বলে উঠে,
“সত্যি বলছি আন্টি, কিচ্ছু জানিনা।”
প্যাট্রিসিয়া বলতে থাকে,
“গতকাল রাতে হুট করেই উধাও হয়ে গেল। কল করে পাইনি। পরে আপনাকে কল দিলে, আপনি জানালেন যে বাসায় চলে এসেছে।”
“বুঝতে পারছিনা কি হয়েছে। রাতে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পর থেকেই দরজা বন্ধ করে বসেছে। নাওয়া খাওয়া নেই, কারো সাথে কোনো প্রকার কথাও বলছেনা। দরজাও খুলছেনা।”
কিছু একটা ভেবে নীলিমা হাবিব আবার বলে উঠেন,
“আচ্ছা, আদনান-আদিল তারা কোন কিছু বলেনি তো আমার মেয়েকে? অথবা হলুদের অনুষ্ঠানে কোনো অঘটন ঘটেনি তো?”
ম্যাথিউ বলে উঠে,
“আন্টি, টি আমাদের সাথেই ছিল সবসময়। হঠাৎ ই দূরে সরে যায়। আর বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু হলে কারো না কারো তো চোখে কিছু পড়তো। কিন্তু তেমন কিছু তো উপলব্ধি করিনি।”
“তাহলে মেয়েটা গেল হাসিখুশি আর এত মনমরা হয়ে ফিরে আসলো কেন?”
প্যাট্রিসিয়া বলে উঠে,
“আন্টি, সেটা তো শুধু তিয়াশাই বলতে পারবে। কিছু মনে না করলে আমরা কি তিয়াশার সাথে একটু দেখা করতে পারি? দেখি চেষ্টা করে সে কিছু বলে কিনা।”
“যাও। সে তার রুমেই আছে। দেখো দরজা খুলে কিনা।”
প্যাট্রিসিয়া ও ম্যাথিউ অনেকবার অনুরোধ করার পরে তিয়াশা ভেতর থেকে দরজা খুলে। তিয়াশার বিধ্বস্ত অবস্থা। একরাতেই মনে হচ্ছে তার চোখের নিচে কালি পরে গেছে। মুখটা ভীষণ মলিন দেখাচ্ছে। প্যাট্রিসিয়া ঘরে ঢুকতেই তিয়াশা তাকে জড়িয়ে ধরে ডুকড়ে কেঁদে উঠে। প্যাট্রিসিয়া ও ম্যাথিউ দুজনেই তিয়াশাকে ধরে তার ঘরে বিছানায় নিয়ে বসায়। তারপর তিয়াশাকে প্যাট্রিসিয়া শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“কি অবস্থা হয়েছে তোর? কি হয়েছে একটু বলতো। গতকাল রাতে কেন ফিরে এলি আমাদেরকে না জানিয়ে? কত চিন্তায় ছিলাম আমরা জানিস।”
তিয়াশা ড্যাবড্যাব চোখে অন্যমনস্ক হয়ে তাকিয়ে আছে। মুখে কোনো শব্দ নেই। প্যাট্রিসিয়া একটু ধাক্কা দিতেই সংবিত ফিরে পেয়ে বলে,
“হুম।”
“কি হুম? গতকাল রাতে কি হয়েছে সেটা বল।”
“আ..আফ…আফরান।”
“আফরান…? তো..তোর প্রাক্তন? ওই বদমাইশ লোকটা? সে কোথা থেকে এলো আবার? তোর মাথা ঠিক আছে তো?”
“হুম। সেই তো…।”
“সেই…তো? সেই তো কি? কি হয়েছে বল?”
ম্যাথিউ এবার অধর্য্য হয়ে বলে উঠে,
“কি করেছে সে?”
তিয়াশা ভীত কণ্ঠে বলে উঠে,
“আলিয়া আপি মানে আদনানের বোনের…হবু বর, সেই ই আফরান!”
প্যাট্রিসিয়া ও ম্যাথিউ দুজনেই চমকে উঠে,
“কী? কী বলছিস আবোল তাবোল? ঠিক বলছিস তো তুই?”
“হুম…একদম ঠিক বলছি।”
“আর একটু পরেই তো ওদের বিয়ে। তাহলে তো আদনান কে এক্ষুণি জানাতে হবে এটা। ওই ফ্রডের সাথে তো কোনো ভাবেই এই বিয়ে হতো দেয়া ঠিক হবেনা।”
ম্যাথিউ হাতে ফোন নিতেই তিয়াশা হুট করে ম্যাথিউ এর হাত থেকে ফোন নিয়ে ছুড়ে ফেলে। ম্যাথিউ অবাক হয়ে বলে উঠে,
“করছিস কি?”
তিয়াশারা চোখে মুখে ভয়ের ছায়া,
“নাহ, কাউকে কিচ্ছু বলা যাবেনা, বললে অনেক বড় ক্ষতি করবে সে আমাদের।”
*
আদনান হুট করেই আদিলের ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করে,
“ভাইয়া, তুই কি জানিস তিয়াশার কি হয়েছে?”
আদিল একটু চমকে উঠে। আদনান কি কিছু টের পেয়ে গেল নাকি? নাহ পাওয়ার তো কথা না। একটু ইতস্তত হয়ে উত্তরে জানায়,
“না…না, আমি কি করে জানবো? তিয়াশা না তোর বন্ধু, তুই-ই তো ভালো বলতে পারবি।”
“আচ্ছা আমার বন্ধু, আর তোর? তোর কিছু হয়না?”
আদনানের এমন প্রশ্নে আদিল বেশ বিব্রত হয়ে যায়, কিছু বলতে নিবে তার আগেই আদনানকে খুঁজতে খুঁজতে আদিলের ঘরে ঢুকে তাদের কাজিন মাইশা। মাইশা ঘরে ঢুকেই আদনানকে দেখতে পেয়ে তার হাত জাপটে ধরে বলে,
“এইতো পেয়েছি তোমাকে? সারাবাড়ি খুঁজছি তোমাকে?”
আদনানের মেজাজ প্রচন্ড পরিমাণে খারাপ হয় মাইশাকে দেখে। একেতো তিয়াশাকে ফোন দিয়ে পাচ্ছেনা। তারমধ্যে প্যাট্রিসিয়া ও ম্যাথিউ দুজনের একজনও ফোন ধরছেনা। তার মধ্যে এখন মাইশা নামক উটকো ঝামেলা এসে হাজির। নিজেকে শান্ত রেখে জোর করে মুখে হাসি টেনে জিজ্ঞেস করে,
“মাইশা, বোন আমার। তুমি এখানে কেন এসেছো? তুমি না তোমার ইউটিউবের ভ্লগিং নিয়ে ব্যস্ত? সেই কাজটাই করো না।”
“একদম ঠিক ধরেছ, সেই জন্যই তো তোমার কাছে আসা।”
মাইশা তার ফোন এগিয়ে নিয়ে আদনানকে দেখিয়ে বলে,
“তোমাকে একটা জিনিস দেখানোর জন্য কতক্ষন ধরে খুঁজছি। দেখো না।”
“কি জিনিস?”
“গতকাল রাতে হলুদের অনুষ্ঠানের আমি একটা ভ্লগ তৈরি করেছি। এখন তুমি একটু দেখোনা কেমন হয়েছে।”
আদনানের ইচ্ছে করছে মাইশার ফোনটা নিয়ে একটা আছাড় মারতে। কিন্তু তারপরেও সে জোর করে মুখে প্লাস্টিক হাসি ফুটিয়ে রেখেছে। এখন যদি ওই ডিভিও না দেখে, এই মেয়েটা বাড়িতে আর শান্তি রাখবেনা। বিয়ে বাড়িতে অশান্তি বাড়াতে চায়না কেউ। এদিকে আদিল ও আদনানের বেহাল অবস্থা দেখে হেসে শেষ। সেও আদনানের সাথে এসে যোগ দিয়ে বলে,
“হুম দেখি তো মাইশা মনি কি ভিডিও তৈরি করেছে।”
খুব অনাগ্রহ নিয়েই ভিডিওটা দেখতে থাকে আদনান, আর আদিল দেখছে আদনানকে আরো খেপানোর জন্য। দেখতে দেখতে হঠাৎ দুই ভাইয়েরই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। একি! এ কী দেখছে ওরা?
আদিল ও আদনান একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ী করে মাইশাকে জিজ্ঞেস করে,
“তুমি এই ভিডিওটা কখন করেছ?”
“আরে বাবা গতকাল রাতে করেছি।”
আদিল তখন বলে উঠে মাইশা কে,
“মাইশা মনি তোমার ফোনটা রেখে যাও। তোমার ভিডিওটা আরেকটু সুন্দর করে এডিটিং করতে হবে।”
আদনান মাইশাকে জড়িয়ে ধরে তার কপালে চুমু খেয়ে বলে,
“এই প্রথম তুমি একটা কাজের কাজ করেছ।”
বলেই আদিল ও আদনান দুজনেই একসাথে বেরিয়ে পরে।
*
তিয়াশা মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে, তার সামনে আদিল ও আদনান। পাশে দাঁড়িয়ে আছে ম্যাথিউ ও প্যাট্রিসিয়া। সবাই তিয়াশার মুখের দিকে তাকিয়ে। আদনান তিয়াশার চোখের সামনে মাইশার ফোনটি ধরে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠে,
“কি হলো, বলবেনা? আমার বোনের হবু বরের সাথে তুমি অত রাতে সেখানে কি করছিলে?”
আদিলও বেশ বিরক্তি নিয়ে বলে,
“আমার বোনের হবু বরের সাথে তোমার কি সম্পর্ক?”
তিয়াশা ভিডিওটা দেখে ভাবে আর গোপন রাখা গেল না। মাইশার ব্লগ এর ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড এ যে তিয়াশা আর আফরানের দেখা হওয়ার সব কিছু রেকর্ড হয়ে গিয়েছে, তা মাইশাও খেয়াল করে নাই।
তিয়াশা আদিলের প্রশ্ন শুনে একটা ধাক্কা খায় এবং চোখ তুলে তাকিয়ে খুব শক্ত ভাবে উত্তর দেয়,
“হুম, সম্পর্ক ছিল।”
“মানে?”
এবার প্যাট্রিসিয়া উঠে দাঁড়ায়। তিয়াশাকে বলে,
“তুই সত্যিটা কেন বলছিস না?”
আদনান জিজ্ঞেস করে, “কোন সত্য?”
প্যাট্রিসিয়া এবার নিজেই তিয়াশার অতীতের ঘটে যাওয়া বিয়ে থেকে শুরু করে ডিভোর্স পর্যন্ত সব ঘটনা খুলে বলে। সবটুকু শুনে আদনান ও আদিল বেশ দুঃখিত হয়। আদিল যে আগে থেকেই সব জানে সেটা সে প্রকাশ করেনি। সব শুনে আদনান বলে উঠে,
“তিয়াশার সাথে যা হয়েছে, সেটা কোনো ভাবেই তার প্রাপ্য নয়। আশা করি তিয়াশা অতীত ভুলে সামনের দিকে সুন্দর ভাবে একটি জীবন গড়বে।”
কিছুক্ষন চুপ থেকে আবার বলে উঠে,
“সব বুঝলাম, কিন্তু তিয়াশার সাথে আমার বোনের হবু বরের কি সম্পর্ক সেটা তো পরিষ্কার না”
এবার তিয়াশা বলে,
“তোমরা বুঝতে ভুল করতেছো। তোমরা যাকে তোমার বোনের হবু বর বলছো, সেই আমার প্রাক্তন স্বামী আফরান।”
আদিল আদনান দুজনেই আঁতকে উঠে। এমন কিছু শুনবে আশা করেনি। আদনানের কপাল কুঁচকে গেছে, আর আদিল তো উত্তেজিত হয়ে বলেই উঠে,
“তিয়াশা, কী বলছো! তোমার কোনো ভুল হচ্ছেনা তো? কিভাবে সম্ভব এটা? দুজনের নাম ও তো এক না।”
তিয়াশা বলে, “নাম দুটো আলাদা হলেও, ওরা দুইজন একই ব্যক্তি। যে আহনাফ ফারাবি, সেই আফরান সিদ্দিক। ওর মন পরিবর্তনের সাথে সাথে সে তার নাম ও পাল্টে নিয়েছে।”
আদনান এখনো পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না তথ্যটা।
“আচ্ছা, তোর কথা বুঝতে পারছি। এটা সত্যি হলে তো আফরান অনেক বড় ধোকাবাজ একটা। আমাদেরকে দ্রুত এই বিয়ে ভাঙতে হবে তো। আমার বোনের বিয়ে এই রকম একটা ধোকাবাজ আর অমানুষের কাছে দিয়ে আমি তার সর্বনাশ হতে দিতে পারি না।”
তিয়াশা তৎক্ষণাৎ বলে উঠে,
“কিন্তু…।”
“কিন্তু কি?”
“গতকাল রাতে সে আমাকে হুমকি দিয়েছে, যে আমি যদি তার আসল পরিচয় ফাঁস করে দেই, তাহলে সে আমার পরিবারের মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করবে। তাইতো গতকাল রাতে আমি ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে এসেছি।”
আদিল ও আদনান দুজনেই তিয়াশাকে আশ্বস্ত করে বলে,
“তোমার কোনো ভয় নেই তিয়াশা। আমরা তোমাদের পাশে আছি।”
তারপর আদিল তিয়াশাকে বলে,
“আচ্ছা, তোমার কাছে কি এমন কিছু আছে যা দিয়ে অন্যদেরকে সহজে প্রমাণ দেখাতে পারবো।”
তিয়াশা কিছুক্ষণ ভাবতে থাকে। এরপর উঠে গিয়ে ওর মোবাইলে ফেসবুক এ ঢুকে ব্যক্তিগত হিডেন এলবাম থেকে কিছু ফটো বের করে দেখায়।
“এগুলা দেখলেই তোমরা তোমাদের প্রমাণ পেয়ে যাবে।”
সবাই তিয়াশার বিয়ের ছবি সহ আরো কিছু ছবি দেখে। স্পষ্ট দেখা যায় তিয়াশারা সাথে আফরান কে।
আদিল বলে উঠে,
“গুড। এটাতেই হবে। আর ভিডিও তো আছেই। আর হ্যা শোনো তুমি আন্টি, প্যাট আর ম্যাট কে সাথে নিয়ে যথা সময়ে অনুষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। সেখানেই সবার সামনে তার মুখোশ টেনে খুলবো।”
তিয়াশা ভীত হয়ে কিছু বলতে যাবে, তখন আদিল তিয়াশার হাত ধরে বলে,
“কোনো ভয় পাবেনা। চলে এসো।”
আদনান আদিলকে বলে উঠে,
“ভাইয়া, আর অপেক্ষা কেন তাহলে? চল জলদি, কিছু কর। আপির জীবনটা বাঁচতেই হবে এই শয়তানটার হাত থেকে।”
আর কিছুক্ষন পরেই আলিয়ার বিয়ে পড়ানো হবে। সময় থাকতে ওরা পারবে তো এই বিয়েটা ভাঙতে?
চলবে…
আগের পর্ব: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/permalink/947465892350797/
[দুঃখিত পর্বটি দেরি করে দেয়ার জন্য। ব্যাক্তিগত কাজে কিছুটা ব্যস্ত থাকার কারণে গল্পটি দিতে পারিনি। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।]