পারবো না ছাড়তে তোকে
পর্ব-২৪
রোকসানা আক্তার
পাশে থাকা গোলাপ গাছ থেকে একটি লাল গোলাপ ছিঁড়ে নিই।তারপর ফুলটি শাড়ির আঁচলের নিচে লুকিয়ে রেখে সদরের দিকে চলে আসি।
বাসার মধ্য ঢুকেই চারদিকটায় উঁকিঝুঁকি মারি কেউ আশপাশ আছে কিনা।কাউকে না দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি রুমে প্রবেশ করি।
আমায় দেখামাত্রই নিলয় ভাইয়া হাত থেকে উপন্যাসের বইটি একসাইডে রেখে বেতের চেয়ার ছেড়ে বেলকনি থেকে আমার সামনে এসে দাড়ান।আর ভ্রু’দুটো নাচিয়ে বলেন,
–কোথায় গিয়েছিলে এ ভরদুপুরে?কত্তবার তোমার নাম ধরে ডাক দিয়েছিলাম!কোনো আওয়াজ তুলো নি।
–ভালোবাসা আনতে…
এ বলে আমি চোখগুলোতে পিটপিট ভাব এনে মুঁচকি হাসতে থাকি।উনি ভ্যাবাছ্যাকা খেয়ে উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করেন,
—ভালোবাসা আনতে মানে??
আমি আর কিছু না বলে শাড়ির আঁচলের নিচ থেকে গোলাপটি বের করে নিলয় ভাইয়ার সামনে তুলে ধরি এবং বলে উঠি,
–আই লাভ ইউ সো মাচ! “ভালোবাসি”-কখনো বলা হয়ে উঠেনি।
উনি আমার হাত থেকে গোলাপটি নিয়ে বলেন,
–আই লাভ ইউ টু,আই লাভ ইউ থ্রী,আই লাভ ইউ ফোর,মিথি।
এ বলে বুকে জড়িয়ে নেন।
তার দু’দিন পর,এ বাসায় হুট করে জেরিন আপুর আগমন! উনাকে দেখেই আমি আচমকা।উনি যে আসবেন নিলয় ভাইয়া আমায় বলেননি,এমনকি জেরিন আপু নিজেও!আমি জেরিন আপুকে আনন্দে জড়িয়ে ধরি।চুমুর পর চুমু বসিয়ে বলি–
–তুমি যে আসবে আপু আমায় বলো নি কেন?
উনি কিছু না বলে জাস্ট এটাই বলেন–” সারপ্রাইজ “..
তারপর উনার সাথে বসার রুমে দু’পা গেঁথে বাচ্চাসুলভ আড্ডার আসর জমিয়ে দিই।নিলয় ভাইয়া আমাদের বাচ্চামো ভাবভঙ্গি দেখে মুখ চেপে হাসেন আর কোথা থেকে ছটাং ছটাং এসে আঙ্কেল,খালামণির সাথে কিছুক্ষণ পর পর দু-একটি কথা সারেন।
গেটের দারোয়ান খোকন চাচা বাহিরে থেকে দৌড়ে এসে নিলয় ভাইয়ার কাছে হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলে উঠেন,
–সাহেব,ডেকোরেটর লোক এসছে।
ডেকোরেটর লোকজনের কথা শুনে আঙ্কেল ওপাশের সোফা ছেড়ে বাহিরের দিকে চলে যান।আর নিলয় ভাইয়া খোকন চাচাকে বলেন,
–আচ্ছা চাচা,আপনি উনাদের বলুন ভেতরে আসতে।
খোকন চাচা সম্মতি দিয়ে আবার গো ব্যাক হোন।প্রায়ই পাঁচ মিনিট পর ডেকোরেটর লোকজন ডেকোরেশন সরন্জাম নিয়ে বাসার মধ্যে ঢুকে।আমি এবং জেরিন আপু ওদিকে খাণিকক্ষণ তাকিয়ে আমি জেরিন আপুকে বলে উঠি,
–হঠাৎ ডেকোরেটর লোক এ বাসায়?কোনো পার্টি-টার্টি আছে নাকি আপু?
–তা তো জানি না ভাবী।আচ্ছা, পরে আমরা নিলয়কে জিজ্ঞেস করে নিবনি।
–আচ্ছা।
নিলয় ভাইয়া আমাদের সামনে এসে বলেন,
–জেরিন তোরা অন্যরুমে গিয়ে কথা বল।ইনারা এখানে সরন্জামগুলো সেট করবেন।
নিলয় ভাইয়ার কথায় আমি এবং জেরিন আপু সোফা ছেড়ে আমাদের রুমে চলে আসি।রুমে এসে আপুকে বেনারসি,কাতান,জামদানী শাড়িগুলো একের পর এক দেখাতে থাকি।
–বাহ ভাবী,খুব সুন্দর তো শাড়িগুলো!চোজ কার ছিল??
–নিলয় ভাইয়ার।
–হু, নিলয়ের চয়েজ আছে বৈ-কি!
পরে সবাই মিলে দুপুরের লাঞ্চ করতে বসি।ড্রাইনিং-এ বসার পর সাবিলার অনুপস্থিত পরখে আসে। খালমণি বারংবার সাবিলাকে ডেকেই যাচ্ছেন ।কিন্তু সাবিলার কোনো সাড়াশব্দ আসছে না।পরে অত্যক্তি নিয়ে খালামণি ছকিনা খালাকে দিয়ে একপ্লেট এক্সট্রা খাবার সার্ভ করে দেন সাবিলার রুমে।
দুপুরের খাবার শেষ করে আমি রেস্ট নিতে রুমে চলে আসি।আর জেরিন আপু গেস্ট রুমে।
তবে নিলয় ভাইয়া ডেকোরেশনের কাজ দেখাশুনার জন্যে নিচেই থেকে যান।
আমি ক্লান্তিমগ্নে শরীরটা বিছানার উপর এলিয়ে দিই।কখন যে চোখের পাতা বন্ধ করে একটা শান্তির ঘুমে নিমজ্জ হয়ে পড়ি,তা ঠাহর করতে পারিনি ।সন্ধে নাগাদ
চোখের পাতা ফাঁক হয়ে আসে চারপাশ থেকে মানুষদের হৈ হৈ-এর শব্দে।কাচুমাচু দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসে মুখের উপর ছড়ানো চুলগুলো কানের পেছনে গুছতে থাকি।
গালে স্পর্শে হাতে ভেঁজা ভেঁজা অনুভূত হয়।বিছানা থেকে নেমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখ তুলে তাকাতেই সমগ্র মুখের উপর লালার পানি দেখতে পাই ।আমি “আউ”-করে চিৎকার দিয়ে উঠি।আর পেছন থেকে নিলয় ভাইয়া শতানী হেসে বল উঠেন,
–রুমে কি বাঘ আসলো নাকি যে এভাবে লাফিয়ে উঠছো!
আমি উনার দিকে তীর্যক দৃষ্টি দিয়ে চোরের মুখখানা ভালোভাবে দেখে নিই।আর গরগর করে বলে উঠি,
–চোরের আবার বড় গলা!ঘুমের মাঝে কেউ মুখে এভাবে চুমু দিয়ে থুতু ভরিয়ে ফেলে?চুমু কীভাবে দিতে হয় তাও তো বোধহয় এখনো জানেন না!
–লালপরীর ঘুমন্ত মুখখানা দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারিনি।তাই আর..
–তাই বলে গরুর মতো পুরো মুখ ভিঁজিয়ে দিবেন?ইস,কী সুন্দর মুখখানা কী বিদঘুটে বানিয়ে ফেললো!
দাড়ান আপনি শাস্তি আপনার…
এ বলে উনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে গেলেই বাহির থেকে নিলয় ভাইয়ার ডাক আসে।নিলয় ভাই মুখে বিরক্ত ছাপ নিয়ে বলেন,
–দাৎ,বউটার সাথে একটু ফাইট করারও সুযোগ টুকু দিলনা।
এ বলে উনি দরজার দিকে ঘুরে দাড়াতেই আমি পেছন থেকে বলে উঠি,
–আচ্ছা শুনুন?ডেকোরেটরদের সাডেন বাসায় আনার কারণ কী?
উনি আমার দিকে ড্যারাচোখে তাকিয়ে ঠোঁট বেঁকে একটা মুঁচকি হাসি টানেন।ছোটস্বরে বলেন,
–জানি না।
আর না দাড়িয়ে হনহন গো আউট ফ্রম দ্য রুম।আমিও রুম থেকে বের হয়ে জেরিন আপুকে খুঁজতে থাকি
পুরো বাড়ির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। বাড়ির কোথাও উনাকে না পেয়ে ছাদের দিকে চলে আসি।ছাদের আসতেই সাবিলাকে দেখতে পাই।সে ছাদের রেলিং ধরে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে।আমি কোনো কু-শব্দ না করে ওর পাশে গিয়ে দাড়ায়।গলায় খেচকি টেনে বলি,
–একা একা এখানে দাঁড়িয়ে আছিস যে?
আমার কথাশুনে সাবিলা আমার দিকে একটা ক্ষীণ দৃষ্টি দেয়।তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে,আর আস্তে আস্তে বলে,
–ভালোবাসা খুবই কঠিন একটা বস্তু!কেউ চাইলেও পায় না,আর কেউ না চাইলেও সহজেই যে কারো ভালোবাসা পেয়ে যায়।সত্যি পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত।
–সাডেনলি এসব কথা– ঠিক বুঝলাম না….
–মিথিলা,তুই অনেক লাকী! নিলয় ভাইয়ার মতো একজন মানুষকে লাইফ পার্টনার হিসেবে লাইফে পেয়েছিস যিনি তোর প্রতি খুব কেয়ারিং, লাভিং,এলাটিং…!! আই প্রে ইউ মে আল্লাহ ব্লিস ইউ।
–কোনো কারণে তোর মন খারাপ?
সাবিলা আকাশ থেকে দৃষ্টিটা নিচু করে মৃদু কন্ঠে বলে উঠে,
–নাহ তেমন কিছু না।বায় দ্য ওয়ে.. তোকে মে বি জেরিন আপু ডাকছেন।
তারপর আমি জেরিন আপুর ডাকার শব্দে শুনে সিড়ি বেয়ে নিচে চলে আসি। গফ করে জেরিন আপু আমার একহাত টেনে ধর একদল মানুষের সামনে দাড় করিয়ে দেন।
মানুষগুলোর দিকে তাকাতেই আমার চোখগুলো হকচকিয়ে উঠে।কারণ,আমার সামনে এখন –আমার খালামণিরা,আমার একগাদা কাজিন,ফুফা-ফুফি,জেঠাই জেঠী, কাকা-কাকী ইত্যাদি।
উনাদের এমন উপস্থিতি আমার পুরো মাথা ভনভন করে ঘুরতে থাকে।তারপর টাল সামলে বলি,
–তোমরা সবাই!!?আন্টি,ফুফি?কাকী আপনারা!?প্লিজজ আমায় বলুন না কেউ কি উপলক্ষে এ এরেন্জ!?প্লিজজ কেউ বলো
–আপু,আজ তোমার বিয়ের এরেন্জমেন্ট। (কাজিন)
–বি-বিয়ে এরেন্জমেন্ট মানে??আমারতো বিয়ে হয়েছে!
–বিয়ে হয়েছে।কিন্তু এরেন্জমেন্ট তো হয়নি!সো,সেই বিয়ের এরেন্জ।বুঝছিস?(ফুফি)
আমি সবার সামনে কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না।অতি খুশীর তালে পুরো শরীর থরথর কাঁপছে এবং মুখ দিয়ে কোনো কথা আসছে না।
সবার দৃষ্টি অগোচরে একদম পেছনে আমার নজর পড়ে আমার মা,বাবা এবং রিধিকে দেখতে পাই।তারা দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে আঙ্কেলের সাথে কথা বলছেন।
আমি একমুহূর্তে আর দাড়িয়ে না থেকে সবার মাঝখান দিয়ে দৌড়ে গিয়ে মাকে,বাবালে জড়িয়ে ধরি।
–মা-বাবা,তোমরা আসছো??কেন এত অভিনয় আমার প্রতি সবার।
একদম কেদেই দিই।মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,
–কাঁদিস না মা।কাঁদিস না।এটাই তোর নিজঘর।তাছাড়া,তোর খালামণি,আঙ্কেল আমাদের থেকেও তোকে অনেক ভালোবাসবেন।
পাশ থেকে আঙ্কেল বলে উঠেন,
–বুঝলে আপা?আমার একমাএ ছেলের বিয়ের এরেন্জ যদি জাঁকজমকপূর্ণ না করি তাহলে আক্ষেপটা সারাজনম শূন্যতাই থেকে যাবে।
–বুঝলাম ভাইজান,বুঝলাম।।
নিলয় ভাইয়া আমাদের কাছে এসে আমার মা-বাবাকে সালাম করে উঠেন।
অতঃপর একে-অপরের সাথে কথাবার্তার আসর বসান।
পুরো ড্রাইনিংটা সাদাকালো,লাল,গোলাপী ফেস্টুন, বেলুন,ফিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং
বাহারী ধরনের ফুলের প্রাণোচ্ছল সাঁজ।
প্যান্ডেলগুলো খুব দামী কাপড়ের…
বাসায় ব্রান্ডের শিল্পী এসেই গানের তালে তালে সবাইমিলে জোয়ার ভাসাতে লাগলো।
আমাকে কয়েকজন বিউটিশিয়ান মেয়ে রুমে নিয়ে চলে সাঁজগোঁজ করানোর জন্যে…
উনারা হলুদ শাড়ি,ফুলের মালা,ফুলের দুল,ফুলের বেছলাইট,ফুলের নুপুর ইত্যাদি দিয়ে সাঁজাতে থাকে।
তারপর সাজানো শেষে আয়নার সামনে আমাকে হলুদসাঁজে দাড় করায়।নিজের দিকে নিজে তাকিয়ে অনেকটা লাজুকতা আভাস চলে আসে।
তারপর আর এভাবে আর নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে রিধি,জেরিন আপু,সাবিলা সবাই মিলে আমাকে স্টেজে নিয়ে বসায়।নিলয় ভাইয়া এবং আমার হলুদ একসাথেই এরেন্জ করা হয়েছে।
আমাকে উনার পাশের সিটে বসানো হয়।সোফার উপর বসার পরই নিলয় ভাইয়া আমার কানের পাশে মুখটা এনে ফিসফিস করে বলেন,
–মিথি?তোমার জন্যে আরেকটা সারপ্রাইজ আছে।
–কি সারপ্রাইজ?
–তা একটু পরই জানতে পারবে।
–তারপর হলুদ দেওয়া সবার শুরু হয়ে যায়।একে একে সবাই এসে হলুদ,মিষ্টি,কেল,ফল ইত্যাদি পরিবেশনা করে যায়।
লাস্ট মুহূর্তে, যখন হলুদ প্রায়ই সমাপ্তির কাছাকাছি তখনই কেউ একজন “মিথিলা”–বলে জোরে চিৎকার করে উঠে।আমি সম্মুখে তাকিয়ে চোখগুলো খাঁড়া করে ফেলি।অতি আনন্দে আমার চোখের টলমল পানির স্রোত বইতে শুরু করে।
এন্জিলা সিস্টার হাত থেকে চাকা ব্যাগটা রেখেই দৌড়ে এসে আমায় আঁকড়ে ধরেন।আর মিথি মিথি বলে জড়িয়ে নেন।আমিও উনাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরি
যেন দুজন-দুজনকে আজ শতযুগ পর দেখলাম।
।সিস্টার আমাকে বেখেয়ালে মুখে শুধু চুমু বসাতে থাকেন।
এভাবে অনেকক্ষণ আমাদের মান-অভিমান চলে।তারপর সিস্টার আমাকে ছাড়িয়ে সিটের উপর এগেইন বসান আর বলেন,
–মিথি?তোমাকে এতটাদিন অনেক মিস করেছি তা তোমায় বলে বুঝাতে পারবো না।
–সিস্টার আমিও তোমাকে বুঝাতে পারবো না।
পাশ থেকে ভাইয়া চোখ কানিয়ে বলেন,
–কি মিথি পেলেতো তোমার সারপ্রাইজ?
–য়ু,এটা আমার জন্যে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ।
আমার শেষ হলুদটা এন্জিলা সিস্টারের মাধ্যমেই সমাপ্তি ঘটে।।
রাত ১২ টার পর,
আমরা হোল ফ্যামিলি সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি এতগুলো মানুষের মধ্যে আমি শুধু একজন মানুষকে এই মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছি না।মানুষটি বিভিন্ন ভেঁজালের টাল সামলে সময়ই পাচ্ছেন না।উফস রে বিয়ে!,
এসব ভাবনার মাঝে নিলয় ভাইয়া শিষ বাজাতে বাজাতে কোথা থেকে এসে আমাদের সামনে হাজির হোন।উনাকে দেখামাত্রই আমার বুকে পানি চলে আসে।আর উনার পা থেকে মাথা অব্দি দেখে নিই।সত্যি উনাকে অনেক সুন্দর লাগছে যেন কোন রাজকুমার!আর আমি কি সেই রাজকুমারের বউ রাজকুমারী!
নিলয় ভাইয়া গলার হাঁক ছেড়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে
বলে উঠেন,
–সবাই কি আমাকে একা রেখেই এন্টারটেইনমেন্ট করছো?
ফস করে আমার এক কাজিন পাল্টা বলে দেয়,
–আহারে ভাই,তুমি হচ্ছো দুলামানুষ। তোমাকে এই সময়ের জন্যে একটু চুপচাপ এবং ভদ্রতা নিয়ে থাকতে হবে।নাহলে সবাই বলবে ছেলেটা অকালপক্ব।
–এটা ভুল বলছিস রোদেলা।যাদের বিয়ে তারা যদি আনন্দই না করতে পারে তাহলেতো আর মজা নেই।
–এইজন্যে তো নিলয় ভাইয়াকে বাদ দিয়ে ভাবীকে আমাদের সাথে নিলাম।
তা শুনে সবাই খিলখিল হেসে উঠে।নিলয় ভাইয়া অভিমান করে বলেন,
–গেলাম!!তোমাদের এখানে থাকলাম না। হু..আর বউ?তুমি ও ওদের সাথে তাল মিলিয়ে আমায় বের করে দিচ্ছ।তার মজা পরে বুঝবে।
–আরেহ ভাই..পরে নাতো পরে নাতো…বলুন বাসর ঘরে।
আবারও সবাই হেসে দেয় রোদেলার কথায়।রোদেলা এমনিতে অনেক পটু।
পরবর্তী পর্ব পড়তে পেইজটি তে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন এবং গল্পের লিংক পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন। কমেন্টে গ্রুপের লিংক দেওয়া আছে
চলবে….