#পারফেক্ট_কাপল
#পর্বঃ১২
#ইনান
মেজাজ ৩৬০ ডিগ্রির উপরে আছে । রাগে শরীর কাপছে আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে । এটাই আমার প্রবলেম রাগলেই চোখ দিয়ে পানি পরে । আর আমার এতো রাগের কারণ হচ্ছে ঐ স্টুপিড গার্ল মিলি ।
ভার্সিটি থেকে আসার পর অগ্নিকে টানতে টানতে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেছে । জানি না আমার কিউট বরটাকে ঐ শাকচুন্নিটা কোথায় নিয়ে গেছে ।
রুমের এইদিক থেকে ওইদিক পায়চারি করছিলাম । তখন মা আমাকে ডাক দিল । আমি নিচে চলে গেলাম । নিচে গিয়ে আমি খুশি হয়ে গেলাম কারণ নিয়ান আর আব্বু এসেছে
“কেমন আছো আব্বু
“ভালো আছি । তুই কেমন আছিস ?
“আমিও ভালো আছি । তুই কেমন আছিস পুচকে
“একদম আমাকে পুচকে বলবি না ।
ওর কথায় হালকা হাসলাম আমি । আব্বু কিছুক্ষণ থেকে গল্প করে চলে যায় । নিয়ান থেকে যায় । ও আমার কাছে থাকবে কিছুদিন ।
আমি রুমে এসে এদিক থেকে ওদিক পায়চারি করছি আর নিয়ান আমার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে
“আপু
“কী বলবি বল
“কী হয়েছে রে তোর ? এরকম করছিস কেন ?
“আরে তোর জিজুর জন্য এরকম করছি
“কেন ভাইয়ার কী হয়েছে
আমি নিয়ান কে পুরো ঘটনা বললাম । নিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে একটা ভাব নিয়ে বসে বলে
“ডোন্ট ওয়ারি বেহনা । নিয়ান ইজ হেয়ার
“কী করবি তুই ?
“মিলি কে দূরে দূরে রাখবো ভাইয়ার কাছ থেকে আর তোর ঐ কাজটাও করে দিবো । এই কাজের জন্য ই তো আসা
“কিভাবে ?
নিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দেয় । আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না এর মাথায় কী চলছে
.
.
.
রেড মাফিয়া গ্রুপ
মেয়েটা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে । আকাশ এপাশ ওপাশ করছে । আকাশের এমন করার কোন কারণ খোজে পাচ্ছে না মেয়েটা ।
“এইভাবে পায়চারি করছো কেন ?
“ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ আমাদের কিছু বিশ্বস্ত লোকদের মেরে দিছে
“হোয়াট ?
“হ্যা
“তুমি এই কথা আমাকে আরো আগে কেন বল নি
এই বলে মেয়েটা পাশে থাকা ফুলদানিটা ভেঙে ফেলে । মেয়েটার রাগ দেখে আকাশ ভয় পেয়ে যায় । এই মেয়ের রাগের ব্যাপারে ৪ বছর ধরে অবগত সে
.
.
.
অগ্নি আর মিলি রাত ৯ টায় বাসায় আসে । অগ্নি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে । আমি তার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে রুমে চলে আসি । আমার পিছন পিছন অগ্নিও আসে
“নিধি প্লীজ রাগ করে থেকো না
“আমার সামনে থেকে সরুন
“না । এখানে আমার কী দোষ ? মিলিই তো আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে
অগ্নির কথায় আমি রেগে তার কলার চেপে ধরে বললাম
“ও নিয়ে গেলেই তোর যেতে হবে!
“প্লীজ লক্ষী বউ আমার রাগ করে না । আচ্ছা কী করলে তোমার রাগ কমবে ?
“যা বলব তাই করবেন ?
“হুম
“ওকে আমি আপনাকে মেয়ে সাজাবো আর আপনি চুপচাপ থাকবেন ।
“নাআআ
“তাহলে থকুন আপনি গেলাম
অগ্নি আর কোন পথ খোজে না পেয়ে রাজি হয়ে গেলো । অগ্নির মুখের রিয়েকশন দেখে মুখ টিপে হাসলাম
.
.
.
মিলি নিজের রুমে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে । অগ্নিকে নিয়ে আজ সে অনেক্ষণ ঘুরেছে । মিলি ভাবছে নিধিকে কিভাবে পথ থেকে সরাবে । হঠাত্ মিলির ফোনটা বেজে উঠে । মিলি বিরক্তি নিয়ে ফোনটা তুলে
“হ্যালো আকাশ
“তা প্ল্যান কতোটুকু এগিয়েছে
“প্রথম ধাপ শেষ
“আর হে এই প্ল্যান এ সাকসেস হতে হলে যদি নিধিকে মেরে ফেলতে হয় তাহলে তাই করো ।
“ওকে! কুইন এর সাথে কবে দেখা হবে ।
“কালকে দেখা হবে ।
“ওকে
মিলি ফোন রেখে দিয়ে আবারো আরাম করে বসে
.
.
.
অনি নিয়ানের সাথে গল্প করছে । গল্প করছে ভুল হবে সে নিধির সম্পর্কে নানা রকম প্রশ্ন করছে । নিয়ান বিরক্ত নিয়ে উত্তর দিচ্ছে । নিয়ানের ইচ্ছে করছে অনির মাথা ফাটিয়ে দিতে
“আচ্ছা নিয়ান ভাবি কী গুলি চালাতে পারে ?
“না আপু এগুলোতে ভয় পায়
“ওহ!
“হুম ।আচ্ছা আমি আসি
এই বলে নিয়ান ঐখান থেকে চলে যায় । নিয়ান চলে যেতেই অনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে
“কিভাবে পাবো আমি ওদের খোজ । কিভাবে ?
.
.
.
রেড মাফিয়া গ্রুপ
“কুইন মিলি তোমার সাথে দেখা করতে চায় ।
“আমাকে দেখার খুব ইচ্ছে দেখা যায়
“হুম
“ওকে কালকে তোমার বাসায় ওর সাথে দেখা হবে
এই বলে ফোন কেটে দেয় মেয়েটি
.
.
.
আমি অগ্নিকে সাজাচ্ছি আর বেচারা ইনোসেন্ট ফেস করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
“হয়েছে ?
“না
“আর কতক্ষণ লাগবে ?
“৫ মিনিট
অগ্নি আর কোন কথা বলে না । আমি আবারো কাজে মন দিলাম ।৫ মিনিট পর আমার সাজানো কমপ্লীট হলো । আমি অগ্নিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে হু হু করে হাসতে লাগলাম । শাড়িতে ওকে জোস লাগছে
“এভাবে হেসো না প্লীজ
“কেন ?
“আমার এখানে লাগে
বুকের বাম পাশে হাত রেখে বলে । ওর কথায় আমি সোজা হয়ে বসলাম । গলাটা পরিষ্কার করে বললাম
“কয়েকটা পিক তুলি চলুন
“এই না
“বউয়ের জন্য এতটুকু করতে পারবেন না
ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছি রাজি না হয়ে যাবে কোথায় । হায় রে নিধি তুই এতো ভালো ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে পারিস আগে জানতাম না তো । আয় সোনা তোর কপালে একটা চুমু খাই
.
.
.
সকালে
আকাশের কথা অনুযায়ী মিলি চলে যায় আকাশের বাসায় । আকাশের বাসায় যাওয়ার সময় মিলির বার বার মনে হচ্ছিল কেউ ওকে ফলো করছিল কিন্তু সে কাউকে দেখতে পায় না । মিলি গিয়ে আকাশের বাসায় ঢুকে পড়ে
“ওহ মিলি এসে গেছো
“হ্যা
“চা খাবে নাকি কফি
“কফি
“ওকে
আকাশ তার সার্ভেন্টদের বলে দেয় কফি আনতে । মিলি বার বার এদিক ওদিক দেখছে । আকাশ তার কারণ বুঝতে পেরে মুচকি হেসে বলে
“কুইন কে খোজছো ?
“হ্যা । কোথায় কুইন
“ওয়েট
“ওকে
“সুইটহার্ট প্লীজ এখানে চলে আসো । আর কতো লুকিয়ে থাকবে
আকাশের কথায় একটা রুম থেকে মেয়ে বের হয়ে আসে । মিলি মেয়েটাকে দেখে বসা থেকে দাড়িয়ে যায় । তার মুখ থেকে আপনা আপনি বেরিয়ে আসে
“অনি
চলবে
বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।