#পারফেক্ট_কাপল
#পর্বঃ১০
#ইনান
জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে নিজের রুমে আবিষ্কার করলাম । আমার জ্ঞান ফিরেছে দেখেই অগ্নি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ।
“আমি এখানে আসলাম কী করে ?
আমার কথায় অগ্নি সোজা হয়ে বসে বলে
“তোমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল কিন্তু কিডন্যাপাররা তোমার ফোন বন্ধ করতে ভুলে গেছিল তাই তোমাকে খুব ইজিলি পেয়ে গেলাম
“ওহ!
“হুম এখন যাও রেডি হয়ে আসো
“কোথায় যাবো ।
“আমাদের বাসায়
“আজকেই তো আসলাম এখানে আবার আজকেই চলে যাবো
“তুমি কিডন্যাপ হয়েছো শুনে আম্মু অনেক টেনশন করছে । আর আজকেই চলে যেতে বলছে
আমি আর কিছু না বলে চলে গেলাম রেডি হতে ।
.
.
.
রেড মাফিয়া গ্রুপ
আকাশ আর ঐ মেয়েটি রাগে ফুসছে । তাদের হাতে একটা চিরকুঠ যেখানে বড় বড় করে ‘গাধা’ লেখা ।
ঐসময় তারা রুমে গিয়ে দেখে একটা মেয়েও নেই । সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে আর তাদের জন্য এই চিরকুঠ টা রেখে গেছে ।
“ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ অনেক সাহস পেয়ে গেছে । এদের একটা বিহিত করতেই হবে
রাগে ফুসতে ফুসতে বলে মেয়েটা । আকাশের চোখ লাল হয়ে গেছে । কিন্তু ও একটা বিষয় সিওর হয়ে গেছে ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ এর কিং অগ্নি নয় ।
চলুন জেনে আসি আকাশের সিওর হওয়ার কারণ
কিছুক্ষণ আগে
অগ্নি বার বার ঘড়ি দেখছে আর নিধিকে ফোন দিচ্ছে । কিন্তু নিধি ফোন তুলছে না । এদিকে অগ্নির কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ছে । সে আর কিছু না ভেবে আকাশকে ফোন দেয় । আকাশের সাথে এ কয়েকদিন এ তার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে । সে যায় হোক দুইবার ফোন বাজতেই রিসিভ করে আকাশ
“হ্যা অগ্নি বলো
“আকাশ নিধিকে খোজে পাচ্ছি না
“হোয়াট!
“হ্যা আজকে দুপুরে ও আর ওর দুই ফ্রেন্ড ঘুরতে বের হয় কিন্তু এখন ও বাসায় ফিরে নি বিকেল হয়ে গেছে ।
“আচ্ছা আমি দেথতেছি
এই বলে ফোন কেটে দেয় আকাশ । আর এতে ও নিশ্চিত হয় যে ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ এর কিং অগ্নি নয় ।
.
.
.
ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ
“গুড জব কুইন
কিং এর কথায় মুচকি হাসে কুইন । তখন অভি আর সাব্বির দরজায় এসে টুকা দেয় । কিং তাদের আসার অনুমতি দেয় ।
“কংগ্রেচুলেশন আফা
অভির কথায় চোখ গরম করে কুইন বলে ।
“অভি ভাইয়া তুমি এখন মাইর খাবে আমার হাতে আফা কী হে আপুনি বলতে পারো না
“ঐ অইব্বা তুই মাইর খাবি তুই আফা কেন কস আফামণি কইবি বুঝছোস
কুইন সাব্বিরের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই সাব্বির চুপ হয়ে যায় । তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে এখন ৫ বছরের বাচ্চা । তার মুখের রিয়েকশন দেখে অভি আর কিং হাসতে থাকে আর সাব্বির তাদের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়
.
.
.
বাসায় এসে ঢুকতেই অনি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে । মা এসে আমাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে কোথাও আঘাত লাগছে নাকি ।
“উফ মা দেখো আমি একদম ঠিক আছি ।
আমার কথা শুনে মা আমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বলে
“চুপ থাক আমাকে দেখতে দে
তখন অনি বলে উঠে
“ভাবি আজকে আম্মু তোমাকে এত্তো গুলো খাবার খাওয়াবে ।
আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললাম “এ
“এ না হ্যা । দেখো কিভাবে খাওয়াই
“খাওয়াবো না তো কী করবো ? দেখ মেয়েটা কেমন হয়ে গেছে ঐখানে খেতেও হয় তো দেয় নি ঠিক মতো
মায়ের কথায় অনি কপাল এ হাত দিয়ে বলে
“মেরি মা ভাবি মাত্র ৩ ঘন্টা ছিল কিডন্যাপারদের কাছে । আর এই তিন ঘন্টায় মানুষ শুকায় কেমনে ?
অগ্নি আর থাকতে না পেরে এবার শব্দ করে হেসে দিল । আমার হাসি পেলেও আমি চেপে গেলাম । মা অগ্নির দিকে চোখ গরম করে তাকালো । অগ্নি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে হাসতে হাসতে গিয়ে সোফায় বসে বলে
“মম তুমি পারোও বটে
মা তার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে বলে
“তুই কী বুঝবি মায়ের চিন্তা
এই বলে মা আমার হাত ধরে নিজের মতো বক বক করতে চলে আসে রুমে । রুমে এসে আমায় বিছানায় বসিয়ে আমার পাশে বসে আমার কোথাও ব্যাথা লেগেছে কিনা তা দেখছে । আমি মাকে জড়িয়ে ধরলাম
“আরে আমি ঠিক আছি একদম ।চিন্তা বাদ দাও তো ।
“হুম
আমি মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে চলে গেলাম আমাদের রুমে । রুমে গিয়ে দেখি অগ্নি গালে হাত দিয়ে কিছু একটা গভীর ভাবে চিন্তা করছে ।
“কি চিন্তা করছেন শুনি ?
“আমার গার্লফ্রেন্ড এর কথা
“কী আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে ?
“হুম
আমার সাথে সাথে রাগ উঠে গেলো । অগ্নির কাছে গিয়ে অগ্নির কলার ধরে নিজের কাছে এনে বলি
“তোর বাস্তবে তো দূরে থাক স্বপ্নেও যদি কোন মেয়ে আসে না তাহলে তোর খবর আছে ।
আমার কথা শুনে অগ্নি আমার কমড় চেপে নিজের কাছে নিয়ে বলে
“কেন গো জেলাস ফিল হয়
“জানি না ছাড়ুন আমায়
নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগলাম । এতে কোন কাজ হয় নি অগ্নি আমাকে আরো নিজের সাথে চেপে ধরেছে । আমি অগ্নির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকাতেই সে আমার দিকে শয়তানি হাসি নিয়ে তাকায় ।
এর হাসি দেখে আমার গলা শুকিয়ে গেছে । মনে মনে নিজেকে গালি দিতে ইচ্ছে করছে । এতো জিলাস ফিল করতে কে বলছে । এখন একে সামলা তুই আমি গেলাম হুহ
চলবে