পরিশিষ্ট পর্ব-১৭

0
1108

#গল্পের_নাম: পরিশিষ্ট
#লেখিকা: অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব_১৭

সাদিদ ফ্লোরে বসে পড়েছে।সে কান্না করছে।বাচ্চাদের মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করছে।ক্ষণে ক্ষণে তার শরীর কেঁপে উঠছে।তার কষ্টগুলো যেন অন্ধকার ছাপিয়ে চারপাশে বিরহের করুণ সুর ধরেছে।দূরে কোথাও একটা কুকুর অনবরত ডেকে যাচ্ছে।

রোদেলার হাত পা শক্ত হয়ে গেছে।অনেক কষ্টে সে রেলিং থেকে নিজের হাত ছাড়ায়।এগিয়ে এসে সাদিদের সামনে বসে পড়ে।সাদিদের মুখের দিকে ভেজা দৃষ্টিতে তাকায়!তার মানে এতদিন শুধু সে একা কষ্ট পায়নি।এ মানুষটা তার চেয়ে ভয়ংকর মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটিয়েছে।হোক না সে অন্য কারো জন্য কষ্ট পেয়েছে!রোদেলা সাদিদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেও দেয় না।মানুষটাকে সামলে উঠার সময় দেয়।

সাদিদ নিজেকে সামলে নেয়।বাম হাতে চোখ মুখ মুছে বলে,

—“ছিত্তিমার চলে যাওয়ার পর একদিকে বিধ্বস্ত মন,অন্য দিকে ছিনজার প্রাণ সংকট!দুটো মিলে যেন আমার করুণ দশা!দেড় মাস ছিনজাকে হসপিটালের স্পেশাল কেয়ারের জন্য রাখি।তারপর বাড়িতে এনে আমি আর বাবা মিলেই সব সামলাতে থাকি।নতুন করে মহিলা কাজের লোক নিযুক্ত করি!

তিন মাসের ছুটিতে দেশে ফিরেছিলাম আমি।ছুটি শেষ হতে বাবাকে আর ছিনজাকে নিয়ে কানাডা পাড়ি জমাই।দুজন মহিলা নিযুক্ত করি ছিনজার খেয়াল রাখার জন্য। তাছাড়া আমি তো আছিই!আমি ইউনিভার্সিটি গেলে বাবা সবসময় ছিনজার পাশেই থাকতো।আমি তখন ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চার হিসেবে যোগ দিছি।দিনের বেশিরভাগ সময় ল্যাবে কাজ করি।তারপর বাসায় ফিরেই ছিনজার পাশে থাকি।এভাবে বাকি দিনগুলো কাটছিলো।

কিছুদিন আগে বাবা বায়না ধরে,দেশে ফিরবে।একেবারের জন্য।বাবা ছিনজাকে সারাদিন বাংলা শিখাতো।সে স্পষ্ট বাংলায় আমাকে হুমকি দেয়,তার দেশে যাবে।আমারও তখন ইউনিভার্সিটিতে কাজের প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে।ঠিক মতো ছিনজাকে সময় দিতে পারি না।সেজন্য সব ছেড়ে ছুঁড়ে দেশে চলে আসলাম।ঢাকায় একটা ফ্ল্যাট কিনে সেখানেই থাকি এখন।প্রায় আট মাসের মতো হলো দেশে ফিরেছি।প্রথম যখন ছিনজাকে নিয়ে বাংলাদেশ আসলাম,তখন ওর গায়ের রং কাগজের মতো সাদা ছিল।এ কয়েক মাসে দেশী আবহাওয়ায় একটু চেঞ্জ হয়েছে!”

চারপাশে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে।অন্ধকারের নিজস্ব আলোতে চারপাশ স্পষ্ট।সাদিদ পকেট থেকে টিস্যু জাতীয় কিছু বের করে নাক মুছলো।পুনরায় আবার বলল,

—“তোমাদের কলেজে যখন আমার জয়েন করার কথা হয় তখন ভাইস প্রিন্সিপালের থেকে সব ডিটেইলস শুনি।উনি আমায় কলেজের গত বছরের একটা ম্যাগাজিন হাতে ধরিয়ে সব উল্টে পাল্টে বুঝিয়ে দেয়।এক পর্যায়ে নাড়াচাড়া করতে করতে হঠাৎ তোমার ছবিতে চোখ আটকে যায়।

আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি।তোমাকে বড্ড চেনা চেনা লাগছে।কোথায় দেখেছি যেন!কিন্তু মনে করতে পারি না।মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়।পরের সময়টুকুতে স্যারের কথায় আর মনোযোগ দিতে পারি না।সেদিন রিশেপশনের সময় তোমায় এক নজর দেখেই চিনতে পারি তোমার কলেজে আমি গেস্ট টিচার ছিলাম।তবে তোমার হঠাৎ করে সেন্সলেস হওয়া আমাকে প্রচন্ড ভাবায়।

অনেক কৌতূহল জন্মে।সেজন্য তোমারে ব্যাপারে সব ইনফরমেশন যোগাড় করে ফেলি এবং জানতে পারি যে কোন একটা অজ্ঞাত কারণে তুমি আজও বিয়ে করোনি।আমার তখন বুঝতে বেগ পেতে হয় না।কারণ আমি তোমার সতেরো বছর বয়সের আমায় নিয়ে তোমার স্বপ্ন দেখার বিষয়টি বুঝতে পারতাম।বুঝতে পেরেই কিন্তু তোমায় আর দশটা মেয়ের মতোই ট্রিট করতাম।কোনো আলাদা ফ্যাসিলিটিজ দিতাম না যাতে তুমি ভুল ধারণা পোষণ করো।তাছাড়া আমি ভেবেছিলাম এটা বয়সের দোষ।একটু বড় হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

কিন্তু সেই কিশোরী বয়সের আবেগ টাকে যে এত প্রাধান্য দিবে স্বপ্নেও ধারণা করি।যদি কোনো ভাবে আমাকে তোমার সত্যিকার অনুভূতির কথা জানাতে হয়তো আমাদের গল্পটা অন্য রকম হলেও হতো!

তোমাকে সেদিন আমার কেবিনে ডেকে কিছু বলার সুযোগ করে দিলাম।কিন্তু তুমি আমাকে না চেনার ভান করলে।এরপর অহির সাথে আমার একটা এপয়েন্টমেন্ট হয়।অহি নিজে থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করে।হয়তো কোনোভাবে তোমার ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিল।”

রোদেলা বিস্ময় নিয়ে বলে,

—“তার মানে সেদিন হাতিরঝিল আপনার সাথে হওয়া কাকতালীয় কিছু নয়।সব প্রি প্লান ছিল?”

—“অনেকটা তেমনই!অহির থেকে যতটা জানতে পারি তাতে বুঝতে পারি যে তোমার পক্ষে এ জীবনে আর কারো মায়ায় জড়ানো সম্ভব না।এতগুলো বছর একটা মানুষকে না দেখে,না ছুঁয়ে, কথা না বলে শুধু অনুভব করে এতটা ভালোবেসে গেছো!নিজের সবটা উজাড় করে তাকে নিয়ে কল্পনার শহর সাজিয়েছো।তাকে পাবে কি পাবে না এমন হাজারো অনিশ্চয়তা জেনেও তার প্রতি তোমার অনুভূতির বিন্দুমাত্র নড়চড় হয়নি,ভবিষ্যতেও হবে না।তুমি এত পাগল কেন?কেন?

জানো রোদেলা,সেদিন অহির থেকে সব শুনে তীব্র আত্মগ্লানিতে ডুবে যাই। দিন-রাত ঘুমাতে পারি না।কোনো কাজ করতে পারি না।শুধু বুকের ভেতর ক্ষততে জ্বালা পোড়া করে।এই শহরেই কেউ একজন প্রতিটা সেকেন্ড আমার কথা ভাবে,আমায় নিয়ে স্বপ্ন সাজায়,আমার নামে শ্বাস নেয়,নিঃশ্বাস ফেলে যা আমায় প্রচন্ড পীড়া দেয়!নিজেকে ক্ষুদ্র, অস্তিত্ব হীন মনে হয়।

কিন্তু আমি তো এতদিন দিব্যি ভালো ছিলাম।ছিত্তিমার শোক কাটিয়ে উঠেছিলাম অনেক আগেই!তার সাথে কাটানো অতি অল্প সময়ের স্মৃতিও সময়ের নিষ্ঠুরতার কাছে হার মেনে ফিকে হয়ে গেছে।আমি তো ছিনজাকে নিয়ে, বাবাকে নিয়ে হাসি তামাশায় দিন কাটিয়ে দিচ্ছিলাম।এইতো বেশ ছিলাম।এই জীবনে আর কারো হাত ধরার ইচ্ছেও মরে গেছিল।

কিন্তু এই তুমি আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিলে।নতুন করে তীব্র মানসিক যন্ত্রণার কারণ হলে।সবসময় তোমার কষ্টে মনে অপরাধ বোধের সৃষ্টি হয়।ঘুমাতে পারি না,কাজ করতে পারি না,খেতে পারি না!কি একটা বাজে অবস্থা।

নিজের অপরাধ বোধ থেকে মুক্তির জন্যই ছিত্তিমার শেষ আবদার পূরণের কথা ভাবলাম।ছিত্তিমা মৃত্যুর আগে আমার হাত আকড়ে বলেছিল, ‘এই পৃথিবীর কেউ একজন আপনাকে আমার থেকে বেশি ভালোবাসে।যদি কখনো তার সামনা-সামনি হোন,তাকে গ্রহণ করে নিয়েন।আপনি তার হাতটা না ধরলেও আপনার হাতটা তাকে ধরতে দিয়েন।’

এখন বুঝতে পারছি ছিত্তিমা তোমার কথা বলেছে।মৃত্যুর আগে মানুষ দিব্যশক্তি লাভ করে না জানি না।হয়তো ভবিষ্যৎ দেখতে পারে।তবে এটুকু জানি যে ছিত্তিমা তোমার কথা বলেছে।”

রোদেলা নিশ্চুপ হয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।তার প্রতিত্তর দেয়ার শক্তিটুকু নেই যেন!সাদিদ তার মুখপানে চেয়ে বলে,

—“তুমি যদি অন্য কাউকে সুখী হতে তাহলে আমার আফসোস থাকতো না।কিন্তু আমি জানি তুমি আমাকে না পেলে চিরকুমারী থেকে যাবে।আর কোনো পুরুষের গলায় বরমাল্য দিবে না।যেটা আমার জন্য আরো যন্ত্রণা দায়ক!রোদেলা,আমি ছিনজাকে আকড়ে ধরে বাকি জীবনটা পাড়ি দিতে পারবো।কিন্তু তুমি অবিবাহিত একটা মেয়ে, একাকী জীবন যুদ্ধে হাঁপিয়ে উঠবে।একা একা জীবন নামক দূর্গম জার্নিটা সমাপ্ত করতে পারবে না।প্রতি পদে পদে বিপদ আর লাঞ্ছিত হবে।একট্ সময় তুমি চরম নিঃসঙ্গতায় নিমজ্জিত হবে।

জীবন নাম ট্র্যাকটা পাড়ি দিতে তোমার পাশে কাউকে প্রয়োজন যে তোমার দুঃখ বুক পেতে নিবে,নিজের জীবন বাজি রেখে তোমায় সব বিপদ থেকে প্রটেক্ট করবে,তোমায় ভরসা দিয়ে আগলে রাখবে।

রোদেলা,আমি আমার জন্য নয়!তোমার জন্য তোমার পাশে থাকতে চাই।ছিনজার জন্য নয়, তোমার জন্য তোমার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে চাই!আমার হাত ধরার অধিকার তোমায় দিলাম।তুমি কি আমার হাত ধরবে?”

রোদেলা কান্না করছে।সে উঠে গিয়ে রেলিং চেপে দাঁড়াল।দৃষ্টি প্রসন্ন করে সামনের অন্ধকারে যেন কিছু একটা হাতড়ে বেড়াচ্ছে।সাদিদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কবিতার লাইন বলা শুরু করলো,

“তুমি যাবতীয় দুঃখকে ছুঁড়ে দাও
আমি বুক পেতে নেবো
বুক ভাঙবেনা ।
দুয়ার বন্ধ করলেই
আমি ফিরে যাবো নির্বিকার ,
অস্বীকার করো মেনে নেবো ।

এলবামে স্মৃতি নেই বলে
আদৌ দুঃখ করিনা ,
সোনালি নিসঙ্গতায় আমার
বিচিত্র দুঃখের সমাবেশ সঞ্চয় – ।
ব্যথা দাও , বুকে রাখবো
ব্যথায় ভাঙবেনা বুক
বুকে ব্যথা আছে ।

-রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্”

রোদেলা কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না।সে নিঃশব্দে কান্না করছে যা সাদিদের বুঝতে অসুবিধা হলো না।সে উঠে গিয়ে রোদেলার থেকে খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে রেলিং ঘেঁষে দাঁড়াল।গম্ভীর গলায় বললো,

—“রোদেলা,আমার গল্পের পরিশিষ্টে হয়তো তুমি আছো বলেই ছিত্তিমা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল।আমি তোমাকে নিয়ে নতুন করে গল্প সাজাতে চাই।তুমি কি তোমার গল্পের পরিশিষ্ট আমায় নিয়ে রচনা করবে?তোমার গল্পের পরিশিষ্টে আমায় স্থান দিবে?”

রোদেলা শব্দ করে কেঁদে উঠলো।দু হাতে শক্ত করে রেলিং চেপে ধরলো।এতক্ষণে সাদিদের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।রোদেলার মতো একটা স্ট্রং একটা মেয়ে কত ছেলেমানুষি কাজ করে!সে শার্টটা টেনে টুনে ঠিক করলো।কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে রোদেলার কাছাকাছি দাঁড়ালো।

মনে মনে গুনগুন করে বলল,

“মন গড়া অভিযোগ…
জানি ভুলে যাবি তুই……
কাছে এসে আলতো করে…
যদি তোর হাতটা ছুঁই!!”

সাদিদ ডান হাত বাড়িয়ে চট করে রোদেলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।তারপর নরম গলায় বললো,

—“এত অভিমান আমার উপর রোদ?আমি তো জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাব!”

রোদেলা আর পারলো না।নিজের সব অভিমানের গোড়ায় জল ঢেলে ডান হাতে সাদিদের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো।যত ঝড়,ঝঞ্ঝা আসুক কখনো এই হাত ছাড়বে না।এই হাতটা যে তার একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল।তার অনেক সাধনার ফল!

———————

মাঝরাতে দরজার উপর ধুমধাম কড়াঘাতে ঘুম ভেঙে গেল রোদ্দুরের।কপাল কুঁচকে এপাশ ওপাশ হয়ে চারপাশে হাতড়ে ফোন খুঁজলো।বালিশের চিপায় পেয়ে গেল।

রাত ৩ টা বেজে ২১ মিনিট।এত রাতে আবার কে দরজা ধাক্কায়?যার ইচ্ছে সে ধাক্কাতে থাকুক।ক্লান্ত হয়ে থেমে যাবে।রোদ্দুর উল্টো ঘুরে আবার চোখ বন্ধ করলো।সঙ্গে সঙ্গে তার কানে অহির গলা ভেসে আসলো।মৃদুস্বরে বার বার বলছে,

—“রোদ্দুর ভাই!রোদ্দুর ভাই!দরজা খুলুন।”

স্প্রিংয়ের মতো তড়িৎ গতিতে উঠে বসলো রোদ্দুর।অজান্তা এত রাতে কেন তাকে ডাকছে?সে এক দৌঁড়ে দরজা খুলে দেখে অহি দাঁড়িয়ে আছে।ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই অহি তাচ্ছিল্যের সুরে বলল,

—“বাব্বাহ আপনার ঘুম!সেই কখন থেকে ডাকছি।”

—“তুই দেখলি না কত রাতে ঘুমিয়েছি?ছাগলের মতো তাও ডাকছিস কেন?কি এমন দরকারী কথা যা রাত তিনটেয় ঘুম ভাঙিয়ে বলতে হবে?সকালে বললে হতো না?”

—” না হতো না!”

—” অজান্তা,কি বলবি উগ্লে ফেল তাড়াতাড়ি!বাসার কেউ দেখলে আজ রাতেই বিয়ে পড়িয়ে দিবে।”

—“খালামণিই তো আপনাকে ডাকতে পাঠালো।”

—“সে কি!কেন?”

—“আমাদের দুজনকে আজ রাতেই বিয়ে দিয়ে দিবে !”

রোদ্দুর বিরক্ত গলায় বললো,

—“অজান্তা,এত রাতে ঘুম থেকে টেনে উঠিয়ে এসব কোন ধরনের পাগলামি করছিস?থাপ্পড় চিনোস?যা রুমে যা!”

রোদ্দুর দরজা বন্ধ করতে নিতে অহি বাঁধা দিল।হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলল,

—“ড্রয়িং রুমে আপনাকে ডাকছে মশাই!সবাই ড্রয়িং রুমে।খালামণির মাথায় আইস ব্যাগ চেপে আছে কুটি!তার মাথা গরম হয়ে গেছে।”

—“সে কি!মায়ের আবার কি হলো?”

—“কারণ সাদিদ ভাই এত রাতে নিজের বাসা থেকে গাড়ি ড্রাইভ করে এখানে এসেছে।ড্রয়িং রুমে বসে আছে এখন।সেটা দেখেই খালামণির মাথা গরম হয়ে গেছে। ”

—“রাত আটটার সময় না গেল! আজ মাত্র দুজনের বিয়ে ঠিক হলো,আর আজ রাতেই এসে হাজির?চল, নিচে যাই তো!”

রোদ্দুর অহিকে সাথে করে নিচে নামে।নিচে মোটামুটি একটা জটলা।সাদিদ সোফার মাঝে বসে আছে।তার একপাশে মুজিবুর রহমান।আরেক পাশে ফজিলা খালা।শাহিনুর বসে আছে সাদিদের মুখোমুখি।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সাদিদের দিকে চেয়ে আছে।তার মাথায় আইস ব্যাগ ধরে কুটি বিস্ফারিত নয়নে সব অবলোকন করছে।

রোদ্দুর চারপাশে তাকিয়ে রোদেলাকে কোথাও দেখতে পেল না।সে বলল,

—“রোদ আপু কই?কুটি গিয়ে আপুকে ডেকে আন তো!কুটি থাক!অজান্তা যা!”

(চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে