#গল্পের_নাম: পরিশিষ্ট
#লেখিকা:অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব_১৩ (বোনাস পার্ট)
অহি এগিয়ে এসে রোদ্দুরের হাত চেপে ধরে বলল,
—“রোদ্দুর ভাই টিকেট কেটেছি!”
অহি ছুঁয়ে দিতে রোদ্দুরের সমস্ত শিরায় শিরায় যেন ইলেকট্রিক শক লাগলো।এই মেয়ে নির্ঘাত বিদ্যুতের কারখানা।সে এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে বলল,
—“টিকেট কেন কিনলি?”
—“ফেরীতে উঠার জন্য।এই মাথা থেকে শুরু করে উত্তর দিকে সোজা উত্তর দিকে গিয়ে নামবো।ওদিকে অনেক সুন্দর সুন্দর গাছপালা।ভালো লাগবে রোদ্দুর ভাই।চলুন।”
—“এই শোন!সবসময় কানের কাছে রোদ্দুর ভাই, রোদ্দুর ভাই করবি না তো!যেকোনো একটা বলে ডাকবি।হয় রোদ্দুর, না হয় ভাই।তোর চয়েস…কোনটা বলে ডাকবি!”
অহি খিলখিল করে হেসে বলল,
—“আমার রোদ্দুর ভাই বেশি পছন্দ।ওটা বলেই ডাকবো।”
—“তোকে আমি তাহলে অজগর বলে ডাকবো।অজগর একটা!”
—“অজগর নিঃশ্বাস দিলে নাকি মানুষ মরে যায়।আপনিও মরে যান।”
বলেই অহি একটু এগিয়ে আসলো।রোদ্দুরের মুখের কাছাকাছি মুখ এনে সাপের মতো ফোঁস করে বেশ কয়েকবার নিঃশ্বাস ছাড়লো।রোদ্দুর মাথাটা একটু পিছিয়ে কাত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।এই মেয়ের মাথায় শর্ট সার্কিট আছে।দু তিনটে তার ছেঁড়া।না দু-তিনটে নয়!অন্তত হাজার খানেক তার ছেঁড়া!
ঘাটে অসংখ্য ফেরী বাঁধা।অহি রোদ্দুরের তোয়াক্কা না করে একজনকে টিকেট দেখাল।তিনি বলে দিলেন কোন ফেরীতে উঠতে হবে।সে তিন নাম্বার সারির প্রথম ফেরীতে উঠে বসলো।
রোদ্দুর প্রবল অনিচ্ছা নিয়ে ফেরীতে উঠে অহির পাশে বসলো।ছোট্ট ফেরী।দেখেই কেমন ভয় ভয় লাগে!যেকোনো সময় ডুবে যেতে পারে মনে হচ্ছে।
হইহই করে একদল যুবক-যুবতী উঠলো।ফেরী ভরে গেছে।আর কোনো বসার জায়গা খালি নেই।ফেরী ছেড়ে দিল।
অহি কর্ণারে বসেছে।কর্ণার দিয়ে জানালার মতো কাটা।জানালা দিয়ে হু হু বেগে বাতাস বইছে।বাতাসে অহির হিজাবের একটা অংশ বার বার রোদ্দুরের মুখে দোলা দিয়ে যাচ্ছে।তার ভেতর কেমন অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।অন্য রকম, প্রশান্তি,ভালো লাগা আর পরম সুখের অনুভূতি।এ রকম টুকরো টুকরো হাজারো অনুভূতির সাক্ষী হতে চাইলেও তার পাশে বসা থাকা মেয়েটিকে সে সারাজীবন নিজের পাশে চায়!
সামনে বসা একটা ছেলে ফোনে গান বাজাচ্ছে।এই পরিবেশের সাথে যেন গানটা একদম মানানসই।
“যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো,
উড়ে গেল মন পায়রা গুলো
তাও কেন দেখেও দেখোনি…….”
রোদ্দুরের মনের ভেতরও গানের লাইন গুলো ভেসে বেড়াচ্ছে।অহির দিকে আড়চোখে তাকালো সে।মেয়েটির দিকে এখন সরাসরি তাকাতেও কেমন লজ্জা লাগে।আগে তো এমন হতো না!তবে কি এটা নতুন সম্পর্কের রেশ?
অহি জানালার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তার বুকের ভেতর সুখের ঝড় যাচ্ছে।এই হাতিরঝিল সে বহুবার এসেছে।হাতিরঝিলের প্রতিটি গাছ থেকে শুরু করে ধূলিকণা পর্যন্ত তার পরিচিত।কিন্তু কোনোবারই এত ভালো লাগেনি।সে বেশ বুঝতে পারছে,তার এই ভালো লাগার,নতুন অনুভূতির সম্পূর্ণ ক্রেডিট তার পাশের মানুষটার।
ফেরী ছুটে চলেছে উত্তর দিকে।স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার কারণে হালকা পানি ছিঁটে আসছে অহির গায়ে।এতে তার আরো ভালো লাগছে।সে নদীর দিকে তাকিয়েই ডান হাত দিয়ে রোদ্দুরের হাতটা চেপে ধরলো।
রোদ্দুর চমকে উঠলো।কিছু বলতে নিয়েও চারপাশে তাকিয়ে থেমে গেল।নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলো।কারণ অনেকে আড়চোখে তাদের দেখছে আর নিজেরা হাসাহাসি করছে।সে আস্তে করে মুখের সামনে হাত রেখে ফিসফিস করে বলল,
—“অজান্তা,হাত ছাড়। সবাই দেখছে!”
রোদ্দুরের মুখে অজান্তা ডাকটা অহিকে তোলপাড় করে দেয়।বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো ভেসে যেতে ইচ্ছে করে দূর থেকে সূদুর!সে চাপা হেসে বলল,
—“দেখুক!তাতে আমার কি?আমি আমার হবু বরের হাত ধরেছি।তাতে তাদের কেন জ্বলে?”
—“অজান্তা,কথা শোন আমার।হাত ছাড়!বাসায় গিয়ে আমার রুমে তোকে তিন ঘন্টা সময় দিবো।তখন হাত ধরে বসে থাকিস।আমি কারো হাসাহাসির বস্তু হতে চাই না।হাত ছাড়!”
—“ছাড়বো না।পারলে ছাড়িয়ে দেখান।আমি দুই হাত দিয়ে ধরবো।”
অহি সত্যি সত্যি রোদ্দুরের বাম হাত নিজের হাঁটুর উপর নিয়ে দুই হাতে শক্ত করে ধরে বসে রইলো।রোদ্দুর এবার নিজে থেকে অহির ডান হাতটা চেপে ধরে।হাত ধরেই সিটের আড়ালে নিয়ে অহির ওড়না দিয়ে ঢেকে স্তূপ করে রাখে।চট করে কেউ আর বুঝতে পারবে না।
তার কাছে ভালোবাসার সঙ্গাটা অন্য রকম।খুবই ব্যক্তিগত!এমনই ব্যক্তিগত যা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে হয়,জনসম্মুখে তার প্রাইভেসি, আগ্রহ কমে যায় হয়তো!অহি তার ব্যক্তিগত আপন মানুষ।তাকে ঢেকে সবসময় সবার আড়ালে রাখতে চায়।অহির প্রতি তার ভালোবাসাটা,অনুভূতিটা সে একমাত্র অহি ছাড়া আর কাউকে দেখাতে চায় না।
অহি রোদ্দুরের আঙুলের ভাঁজে নিজের আঙুল ঢুকিয়ে দেয়।সে অবাক হয়।রোদ্দুর ভাই তার হাত ধরতেও ভয় পায়?এত কিসের ভয় মানুষটার!
রোদ্দুর এক পলক ওড়নার আড়ালে থাকা হাত দুটির দিকে তাকায়।সামান্য হাত ধরার অনুভূতি এত প্রগাঢ়,এত ভরসার, এত বিশ্বাসের তার জানা ছিল না।অহির হাতটা সে এভাবে সারাজীবন ধরে রাখতে চায়।হোক না তা লোকচক্ষুর আড়ালে!
ডান হাতে ফোনটা বের করে রোদ্দুর ফোন স্ক্রল করে।অহিকে আস্তে করে বলে,
—“অজান্তা!”
অজান্তা তার দিকে সম্পূর্ণ ঘুরে বলে,
—“বলুন রোদ্দুর ভাই।”
—“আমার দিকে তাকিয়ে বলতে হবে না।সামনে তাকিয়ে বা অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বল।”
—“কেন?আপনি লজ্জা পান?ছেলেদের তো লজ্জা পেতে নেই।ছেলেরা হবে নির্লজ্জ।”
—“তোর লাজ লজ্জা কিছুই নেই।তোর মতো যদি আমিও নির্লজ্জ হই তাহলে কি হবে ভেবে দেখেছিস?”
অহি রোদ্দুরের দিকে তাকিয়েই বলল,
—“ভাবাভাবির কি আছে?বি প্র্যাক্টিক্যাল রোদ্দুর ভাই!একটু আমার মতো নির্লজ্জ হয়ে দেখান।”
রোদ্দুর ফোন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে অহির দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকাল।অহির মুখ হাসি হাসি।রোদ্দুর কিছুক্ষণ চেয়ে চোখ সরিয়ে নিল।ও চোখে তাকিয়ে থাকার মতো শক্তি তার নেই।ডুবে যাবে,একদম তলিয়ে যাবে সে।
ফের ফোনের দিকে চেয়ে কথা ঘোরানোর জন্য বলল,
—“তোর পড়াশোনার কি অবস্থা রে অজান্তা?”
—“একদম ঘোলাডাইল।আমার আর পড়তে ইচ্ছে করে না রোদ্দুর ভাই।আমায় তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলুন।কবে বিয়ে করবেন?”
রোদ্দুর খুকখুক করে কাশে।কি সাংঘাতিক মেয়ে।এর তো মুখে বুলি ফুটেছে।যা মন চায় তাই বলে দিচ্ছে।তার মানে অহি তাকে এখন আর বিন্দুমাত্র ভয় পায় না?কি মুসিবত!তাহলে কি সে-ই বাকিটা জীবন একে ভয় করে চলবে?
—“রোদ্দুর ভাই! ”
—“বলে ফ্যাল।”
—“আপনার কয়টা বেবি নেয়ার ইচ্ছে?আগেই বলে রাখি,এসব নিয়ে কিন্তু পরে আর তর্ক করা যাবে না।আমার এগারোটা বেবি নেয়ার শখ।”
—“ও মাই গড!”
রোদ্দুর আর পারলো না।জোরে জোরে কাশা শুরু করলো।তার কাশির শব্দে সবাই ঘাড় ঘুড়িয়ে তার দিকে তাকাল।রোদ্দুর চোখের পলকে অহির থেকে হাত সরিয়ে উঠে দাঁড়ালো।ফেরীর কর্ণারে গিয়ে দাঁড়াতে মাঝি বলল,
—“ভাই, নড়াচড়া কইরেন না বেশি।ডুবে যেতে পারে!”
অগত্যা রোদ্দুর ফের অহির পাশে এসে বসলো।তবে এবার দুজনের মাঝে অনেক দূরত্ব রেখে।একেবারে কুঁজো হয়ে একটু জায়গা নিয়ে!
অহি বুঝতে পেরে বলল,
—“রোদ্দুর ভাই, কাছে আসুন।”
রোদ্দুর বিড়বিড় করে বলল,
—“হোয়াট?”
—“বলছি,কাছে এসে বসুন তো।পড়ে যাবেন!”
—“পড়ে যাবো না।”
—“আরে পড়ে যাবেন।এদিকে সরে বসুন।মাঝে মাঝে ঝাঁকুনি হচ্ছে তো।”
—“নিচে পড়ি পড়বনি।চুপচাপ থাকো।”
অহি আর জোর করলো না।বেশ কিছুক্ষণ পর ফেরী থেমে গেল।গন্তব্যে এসে গেছে।
——————
সন্ধ্যার আযানের শব্দে ঘোর কাটে রোদ্দুরের।বাসায় ফিরতে হবে তো!
অহি আশপাশে থাকলেই সে কেমন ঘোরের মধ্যে চলে যায়।চারপাশ অন্য রকম লাগে।কেমন অদ্ভুত রকমের সে অনুভূতি!কিন্তু সে এসব অহিকে বুঝতে দিতে চায় না।বুঝলেই অহি হয়তো তাকে ক্ষেপাবে!
—“অজান্তা উঠ!তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে।”
অহি উঠতে চায় না।তারা এতক্ষণ একটা রাস্তা থেকে একটু দূরে গাছের নিচে বসে ছিল।দুপুরে ব্রিজের কাছের রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে নিয়েছিল দুজন একত্রে!তারপর থেকেই দুজন চুপচাপ বসে আছে।আহামরি কথাও হয়নি।চুপচাপ দুজন পাশাপাশি বসে থাকারও যেন অন্য রকম অনুভূতি!
রোদ্দুর তাড়া দেয়।
—“অজান্তা উঠে পড়।রোদ আপু বিকেলেই বাসায় পৌঁছে গেছে।আমরা এখনো পৌঁছাইনি।চরম বকা দিবে।আমি একা থাকলে সমস্যা ছিল না।সাথে তুই আছিস,তাতে মেয়ে মানুষ!কিছু হয়ে গেলে?চল তো!”
অহি উঠে দাঁড়ায়।দুজন পাশাপাশি হাঁটা ধরে।অহি হঠাৎ প্রশ্ন করে,
—“রোদ্দুর ভাই,খালামণি,খালু যদি আমাদের সন্দেহ করে?যদি বিয়ে পড়িয়ে দেয় দুজনকে?ধরুন আজ রাতেই তাহলে?”
—“তুই এত বিয়ে নিয়ে পড়েছিস কেন?অনার্স কমপ্লিট কর।তারপর দেখা যাবে!”
—“সে কি!অনার্স শেষ হতে তো এখনো এক বছরের উপরে দেরি।থার্ড ইয়ারের সেকেন্ড সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাই তো এখনো হয়নি।”
রোদ্দুর কিছু বলল না।তবে মনে মনে হিসেব টা কষে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল।সত্যিই তো!একটু বেশি দেরি হয়ে যায় না?এই মেয়েটা কাছে আসলেই তো তার পৃথিবী উলোটপালোট হয়ে যায়।এতদিন থাকবে কিভাবে?
—“রোদ্দুর ভাই আর হাঁটতে পারছি না।”
রোদ্দুর দাঁড়িয়ে পড়ে।অহি নিচে বসে পড়েছে।হেঁটে অনেকখানিই এসেছে তারা।তারা ব্রিজ থেকে উল্টো দিকে অনেক খানি এসেছিল।এখন ব্রিজের কাছে গিয়ে রিকশা নিতে হবে।এখান থেকে পাওয়া যাবে না।
অনেকখানি রাস্তা!রোদ্দুরের নিজেরই কষ্ট হচ্ছে হাঁটতে।হেঁটে তেমন তার অভ্যাস নেই।অহিরও সেইম অবস্থা।রোদ্দুরের মন খারাপ হয়ে যায়।তার জন্য নয়।অহির জন্য!
সে অহির দিকে চেয়ে নরম কন্ঠে বলে,
—“আর একটু কষ্ট কর অজান্তা!সামনেই ব্রিজ।ওখান থেকে রিকশা নিয়ে সোজা বাসা।অনেক রাত হয়ে যাবে রে।তাড়াতাড়ি চল!”
অহি উঠে দাঁড়ালো।পায়ের জুতো খুলে হাতে নিল।সে খালিপায়ে হাঁটবে।এতে একটু ভালো লাগবে।রোদ্দুর কিছু বললো না।শুধু অহির হাতের জুতোজোড়া নিজের হাতে নিল।অহি ছাড়তে চাইলো না।সে জোর করেই নিল।
রোদ্দুর হাঁটার বেগ একটু কমিয়ে দিল।তার পাশের কলিজার কষ্ট হচ্ছে।
চারিদিকে অন্ধকার ঘনীভূত হয়েছে।কিছু কিছু জায়গা রাস্তার ধারের বড় বড় সোডিয়াম আলোতে আলোকিত।গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো পড়ে অদ্ভুত সব প্রতিমূর্তি গঠন করছে।নদীর কুচকুচে কালো পানিতে বিভিন্ন রকমের আলো পড়ে চিকচিক করছে।কালো জলটাও এমন অনিন্দ্য সুন্দর মনে হচ্ছে।অহি,রোদ্দুর দুজনেই কেমন টান অনুভব করলো।এই পথ-ঘাট,এই প্রকৃতি তাদের হাজারো অগোছালো অনুভূতির চিরসাক্ষী হয়ে থাকবে।
কিছু দূর যেতেই অহি রোদ্দুরের শার্টের পেছনের অংশ চেপে ধরলো।রোদ্দুর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে থেমে গেল।এই মেয়েটা এমন কেন?হুটহাট কেমন ছুঁয়ে দেয়!সে কি বোঝে না এতে তার বুকের ভেতর তোলপাড় হয়?
—“থামলেন কেন?হাঁটুন!”
অহির কথায় রোদ্দুর বলে,
—“তুই পেছন থেকে শার্ট খামচে ধরে রাখলে হাঁটবো কিভাবে?”
—“জানি না!ওভাবেই হাঁটুন।আমার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে।নাহলে হাত ধরতে দিন।”
—“মনে হচ্ছে তোকে নিয়ে এখন পাহাড় টাহাড় ট্রেকিং করতে উঠবো।নে হাত ছাড়!শার্ট ধর!স্যরি!শার্ট ছাড়,হাত ধর!”
রোদ্দুর হাত বাড়িয়ে দেয়।অহি হাসিমুখে তার হাত ধরে।দুজনে আবার হাঁটা ধরে।রোদ্দুর এক পলক উথাল পাথাল করে দেয়া বিস্তর ক্ষমতার মানুষটিকে বলে,
—“হাত ধরেছিস, মানলাম।এরপর যেন কোলে উঠতে চাইবি না।সেটা কিন্তু মেনে নিব না।আগেই বলে দিলাম।”
(চলবে)