#পতিতা_মেয়ে
#writter_Tannoy_Hasan
#part_3
–আমি তো মাত্র একটা ভাড়াটে পতিতা,আমার কোনো ইচ্ছা নেই৷তবে বাঙ্গালি প্রত্যেকটা মেয়েদের খুব ইচ্ছা,বাসর রাতে লাল শাড়ী পড়ে স্বামির ঘরে যাবে৷তার সাথে নিজের সব কিছু ভাগাভাগি করে নিবে,আর তার সাথে অনেক গল্প করবে,আর সব সময় তার স্বামীর বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে৷কখনই আলাদা হবে না
.
কথাগুলো বলেই মেয়েটা কেমন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল৷একটা জিনিস খেয়াল করলাম,মেয়েটা বেশিরভাগ টাইমই দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে৷বুকের ভিতর কতটা কষ্ট থাকলে একটা মেয়ে বারবার এমন করতে পারে,সেটা হয়ত আমার ধারনার বাইরে৷যাই হোক মেয়েটাকে এত কষ্ট আ পেতে দিবো না৷
তখনই আনিকাকে বললাম
.
–হুম খুব ভালো ধারনা আছে তো তোমার,কাজে লাগানো যাবে
.
—কিসের কাজ
,
-না কিছুনা,তবে আজকে কিন্তু তোমাকে আর ছাড়ব না,বাসর রাত বলে কথা
,
–হা হা হা
.
–হাসছো কেন?
.
–আমার জন্য আর বাসর রাত?আমার মতো পতিতার সাথে তো প্রতিদিনই….
.
–ওই একদম চূপ,আজ থেকে মুখে যেন পতিতা নামটাও যেন না আসে,আসলে খুব খারাপ হবে…
.
–দেখো,সত্যিটা তো আমাকে বলতেই হবে
,
–হুম বলো,কিন্তু আপাতত তুমি আমার বউ,সো আমার বউয়ের মতই তোমাকে থাকতে হবে…..
.
–হা হা হা,হায়রে বউ,তাও আবার দুমাস……
.
ওর কথাটা শুনে একটু অবাকই হলাম৷তারপরও ওকে বললাম
.
–দুমাস হোক,আর দুদিন হোক,এখন তো তুমি আমার বউ,আর এই দুমাস তোমাকে আমার স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতে হবে
.
বলতেই মেয়েটা কেমন অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷তারপর ওকে খাট থেকে নিচে নামালাম৷আর হাত ধরে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যেটে লাগলাম,ও শুধু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আর হঠাৎই বলে উঠল
.
–আমাকে কি কোথাও নিয়ে যাচ্ছো?
,
–হুম৷আমার সাথেই চলো
.
–কোথায়?
.
–আমার সাথে গেলেই বুঝতে পারবা
.
তারপরই মেয়েটাকে ছাদে নিয়ে গেলাম৷অনেক রাত দেখে মেয়েটা একটু ভয় পেয়ে গেল৷কিন্তু ছাদে উঠতেই
.
ওয়াও কি সুন্দর ফুলের বাগান,আর আকাশে কত্ত সুন্দর চাঁদ উঠেছে
,
বলেই মেয়েটা আমার হাত থেকে ছুটে ছাদের ওপর কেমন নিজেকে মুক্ত পাখির মত মেলে ধরল৷ও একবার ফুলগুলোকে ধরছে আরেকবার চাঁদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে৷রাতে চাঁদের আলোতে গোলাপ ফুলগুলোর সৌন্দর্যও আনিকার সৌন্দর্যের কাছেও হার মানছে৷
চাঁদের আলোতে মেয়েটাকে কেমন অপূর্ব সুন্দর লাগছে৷সত্যিই তখন আমি অনেক খশি হয়ে গেলাম কারন মেয়েটা আজ খুব খূশি৷
তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহকে মনে মনে একটা ডাক দিয়ে বললাম
,আল্লাহ,এই মেয়েটাকে যেন সব সময় এমন হাসিখুশি রাখতে পারি,আর কখনই যেন ওকে কষ্ট না দেই…..
.
বলেই মেয়েটার দিকে তাকালাম৷ঠিক তখনই দেখলাম মেয়েটা এক জায়গায় কেমন জড়সড় হয়ে কান্না করতে লাগল,হঠাৎ করে ওর এমন আচরন দেখে ভয় পেয়ে গেলাম৷আর ও তখন আমার সামনে এসেই বলতে লাগল
.
–প্লিজ ,আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও,আমার সহ্য হচ্ছেনা ,
.
হঠাৎই ওর মুখে এমন কথা শুনে আরও বেশি অবাক হয়ে গেলাম৷একটু আগেই যে মেয়েটা অনেক হাসিখুশি ছিল!আর মুহুর্তেই ওর কি হয়ে গেল,নিজের পুরানো খারাপ অতিতটা তাকে কষ্ট দিচ্ছে না তো?
,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
–এই মেয়ে কান্না করছো কেন?
.
–(ফুপাচ্ছে)
,
–কথা বলো
.
–আমাকে এখন থেকে নিয়ে যাও
.
–কিন্তু কেন?
.
–আমার মত একটা পতিতা এমন নিষ্পাপ ফুল ছুতে পারেনা৷আর এই চাঁদের আলো,আমার মত বাজে মেয়ের ওপর মানায় না,কেমন কদাকার দেখায়
.
বলেই মেয়েটা কান্না করতে লাগল৷
.
–এই তুমি এগুলো কি বলছো,একদম উল্টা পাল্টা বলবে না,এখন থেকে তুমি আমার বউ
.
বলেই ওর চোখের পানিটা মুছে দিলাম৷আর ওর কপালে ঠোটের উষ্ণতা একে দিলাম৷
মেয়েটা তখন শুধু নির্বাক হয়ে আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল৷
আর তখনই মেয়েটাক নিজের সর্বোচ্ছ শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম৷
আর ও তখন কেমন কেপে উঠল৷যখন আমার কাছ থেকে ওকে ছুটালাম,তখন ও কেমন করে যেন আমার দিকে তাকিয়েই আছে
হয়ত আনিকা ভাবছে ওর সাথে আমি যা করছি সবই ওকে ভোগ করার জন্য বা তার অসহায়ত্বের সুযোগ নেবার জন্য৷কিন্তু আমার মনে শুধু একটা কথাই যতদিন বেঁচে থাকব,কোনোভাবেই আর এই মেয়টাকে কষ্ট দিবো না,সব সময় ওর পাশে থাকব৷.
.
ওকে নিয়ে ঘরে চলে আসলাম৷আর বিছানায় শুয়ে পড়লাম৷
আনিকা তখন আমার পাশেই শুয়ে ছিল৷আর তখনই আনিকার কথাটা মনে পড়ল,একটু আগেই বলেছিল বাঙালি মেয়েরা চায়,সবসময় তার স্বামীর বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে ,হয়ত ওর ও এমনই ইচ্ছা ছিল৷
যাই হোক
তখনই আনিকাকে জড়িয়ে ধরলাম৷আর ও একদম চুপ হয়ে শুধু আমাকে দেখছিল৷তখন ওর মাথাটা আমার বুকে রাখতে বলে,ওকে জড়িয়ে ধরেই ঘুমীয়ে পড়লাম৷
.
সকালবেলা
.
ঘুম ভাঙতেই দেখলাম মেয়েটা এখনও ঘূমিয়ে আছে?
আহঃ কি নিষ্পাপ মুখ,একদম ছোট বাচ্ছাদের মত করে ঘুমিয়ে আছে৷তখন ওর কপালে আলতো করে একটা চুমূ দিতেই ও কেমন জেগে উঠল৷আর আমার দিকে একবার তাকিয়েই নিচু হয়ে গেল৷
.
তারপর দুজনে ঘুম থেকে উঠলাম৷ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ,দুজনেই হাসপাতালে আনিকার আম্মুর কাছে চলে গেলাম৷
ওর আম্মু তখন ঘুমাচ্ছিল,ওকে হসপিটালে রেখেই চলে আসলাম৷আর আসার আগে ওকে বলে এসেছি,কোনো কারনেই যেন বাইরে বের না য়,সব সময় আম্মুর পাশেই যেন থাকে৷আর কোনো কিছু লাগলে আমাকে যেন ফোন দেয়৷মেয়েটা শুধু মাথা নাড়ছিল৷
.
আমি অফিসে চলে গেলাম৷আজ অনেকদিন পর অফিস যাচ্ছি৷সবাই আমাকে দেখে আজ একটু বেশিই অবাক৷কারন অনেক দিন অফিসে যাই না৷
যাই হোক আনিকাকে নিজের লাইফে জড়ানোর সাথে সাথেই ভাবলাম ,নিজেকেও ঠিক করে ফেলি,ভালো হয়ে যাই,আর ওকে নিয়ে সুখেই থাকি৷
.
.
১৫দিন পর
.
আনিকার আম্মু এখন অনেকটাই সুস্থ৷কিন্তু আরও কিছুদিন হসপিটালে থাকতে হবে আর একটা অপারেশন করতে হবে৷ওই অপারেশনের ওপরই নির্ভর করবে ওর আম্মু বেঁচে থাকবে না,পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে৷তবে ডাক্তার যতটা আমাকে বলেছে,বেঁচে যাবার সম্ভবনাই বেশি৷
আর এই কথাগূলো আনিকা জানেনা৷সে জানে ওর আম্মু সুস্থ আছে,আর খুব শীগ্রয় আবার আগের মত হয়ে যাবে৷
আনিকা আমার লাইফে আসার পর,আমি অনেক পাল্টে গেলাম৷
আমার অফিস,সবকিছু এখন নিয়মিত চলে৷
তবে এখনও আমার একটা ভালো কাজ বাকী আছে?সেটা হলো আনিকার মামা,ওই জানোয়ারের বাচ্ছাটাকে শেষ করে দেওয়া৷
এখন প্রতিদিনই আনিকা আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমায়,খুব শান্তি লাগে মনে৷কীন্তু সবকিছুর ভিতরই আনিকা কেমন অসস্থি ফিল করত৷
.
এইতো সেদিন রাতের বেলা
.
–আনিকা,তুমি কি কাল আমার সাথে আমার অফিসে যাবে?
.
–কেন(অবাক চোখে)
.
–না বলছিলাম কি?আমার সাথে একটূ ঘুরাঘুরি করলে হয়ত তোমার ভালো লাগতে পারে…
.
–ভালো?ভালো বলতে আমার জীবনে কীছুই নেই৷সবই অন্ধকার!তবে আমার জন্য তোমাকে চিন্তা না করলেও চলবে,তুমি নিজের জন্য চিন্তা করো
.
ওর এমন কথা শুনে একটু হতাশ হলাম৷তরপর আবারও বললাম
.
–চলোই না একটু ,তোমার ভালো লাগতে পারে
.
–হুম
.
পরেরদিন সকালে আনিকাকে নীয়ে অফিসে গেলাম৷সবাই কেমন আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে৷আমার সব ফ্রেন্ডদের সাথে ওর পরিচয় করিয়ে দিলাম৷আর সবাই আমাদেরকে স্বাগত জানালো৷
.
ঠিক তখনই আমার অফিসের ম্যানেজার আমার ওখানে আসল ,ওনি আসার পরই আনিকা কেমন অস্থির হয়ে যাচ্ছিল ৷বার বার নিজেকে আড়াল করতে চাচ্ছিল৷ঠিক তখনই ম্যানেজার বলে উঠল
,
–স্যার,এই বেশ্যাটা কে?আর এখানে কেন?
.
সবার সামনে কথাটা বলতেই আনিকা কেমন ভয়ে কাপতে লাগল৷আর আমার মুখের দিক তাকিয়ে থরথর করে কাপতে লাগল৷সবাই তখন কেমন করে যেন আনিকার দিকে তাকিয়ে রইল৷আনিকার চোখ বেয়ে বেয়ে গাল দিয়ে তখন পানি বের হচ্ছিলো৷ওর চোখে পানি দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না৷
.
–ম্যানেজার সাহেব,ভদ্রভাবে কথা বলুন,এভাবে কথা বলার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?
.
-স্যার যেটা সত্যি,সেটা তো আমাকে বলতেই হবে,এই মেয়ে একটা পতিতা,চরিত্রহিনা,আর ওর সাথে আপনি?কত টাকা দিয়ে ভাড়া করেছেন৷মালটা কিন্তু……..
.
–কী বললি কুত্তার বাচ্ছা?
.
বলেই সবার সামনে ম্যানেজার মারা শুরু করে দিলাম৷সবাই তখন আমাকে থামাতে চেষ্টা করলো৷কিন্তু পারছিলনা৷এক পর্যায়ে সবাই ওরা ম্যানেজারকে বাইরে বের করে দিল৷
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
আমার মাথায় তখন রক্ত উঠে পড়েছিল৷ঠিক সেই মুহুর্তে আনিকাকে এভাবে কষ্ট দেবার কারনেও খুব কষ্ট লাগছিল৷মেয়েটা আসতে রাজি ছিল না৷আর আমার কথায় ও এসে সবার সামনে এভাবে…….?ছিঃ নিজের দোষে আজ আবারও ও কষ্ট পেলো৷পুরানো অতিতটা ওকে ভূলাতে গিয়েও মনে করিয়ে দিলাম৷ভাবতেই নিজৈর ওপর তখন রাগ হতে লাগল৷তখনই আনিকাকে খূজতেই দেখলাম আনিকা নেই৷ও গেল কোথায়?
ওকে খুজা শুরু করলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না৷বুকের ভিতর কেমন অস্থিরতা কাজ করছিল৷ও যদি নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলে,তাহলে তো নিজেকে আমি ক্ষমা করতে পারব না৷সব দোষ আমার ৷কেন যে ওকে এখানে আনতে গেলাম?কিন্তু ও কোথায়?
.
খুজতে লাগলাম আনিকাকে৷কিন্তু পাচ্ছিনা৷
অফিসে দাড়োয়ানকে জিজ্ঞাসা করতেই বলল,ও নাকী বের ও হয়নি৷তাহলে গেল কোথায়?
খুব কষ্ট লাগছিল৷নিজের একটূ ভুলের জন্য ওকে হারিয়ে ফেলব না তো?
.
হঠাৎ অফিসের একটা কর্মচারি এসে বলল,ও নাকি ছাদে গেছে৷
তাই আর এক মূহুর্তও দেড়ি করলাম না৷একটা দৌড় মারলাম৷আর ছাদে চলে গেলাম৷দেখলাম মেয়েটা ছাদ থেকে ঝাপ দিতে যাচ্ছে,ঠিক তখনই মেয়েটার হাত ধরে ফেললাম
,
–ঠাসসসসস,এই তোর সাহস হলো কিভাবে?এভাবে নিজেকে শেষ করে দেবার?
.
–আমি বাঁচতে চাইনা!আজ আমার জন্য তোমার কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে.
.
–একদম কোনো কথা বলবে না,আমার কিছুই হয়নি
,
ঠিক তখনই মেয়েটা আমার পায়ে পড়ে গেল,আজ আমাকে হেল্প করতে এসে,আপনাকে কতটা অপমান সহ্য করতে হচ্ছে,সবার সামনে আপনাকে কত ছোট হতে হচ্ছে
.
–প্লীজ আনিকা এভাবে বলোনা৷সব দোষ আমার,আমি তোমাকে না আনলে হয়ত তোমাকে এই অপমান সহ্য করতে হতোনা,তুমি আমাকে মাফ করে দাও,আমার জন্যই
.
–এই তুমি এগুলো কী বলছো?আমার কোনো সমস্যা হয়নি,আমি তো পতিতা,তাই না???আর পতিতাদের এগালো শুনে কোনো সমস্যা হয় না৷তবে তোমার?
.
বলেই আবার কান্না শুরু করে দিল৷
.
–দেখো,একদম কান্না করবা না৷আর মরতে যাচ্ছো কেন?তুমি যদি মরে যাও?তোমার মাকে কে বাঁচাবে?
.
–মায়ের জন্যই তো বেঁচে আছি৷কিন্তু আমি যে আর নিতে পারছিনা৷ওই মানুষটা আমার জীবনটাকে শেষ করে দিছে,শেষ করে দিছে
.
বলেই কান্না করতেই লাগল
.
–কোন মানুষটা
.
–না কিছুনা
.
–কোন মানুষ?আমাকে বলো(একটু ধমকের সুরেই)
,
–না কেউ না৷
.
–বলো বলছা৷আর ওই ম্যানেজার তোমাকে কিভাবে চিনে
.
–(কান্না করতেই লাগল)
.
–বলো বলছি,ও তোমাকে কিভাবে চিনল
,
–ও আমাকে চিনে ,কারন ওই আমার মামা
.
কথাটা শুনেই মাথাটা নষ্ট হয়ে গেল৷কিহহহহহ যেই জানোয়ারের বাচ্ছাটাকে আমি শেষ করার জন্য ভাবছি!যে জানোয়ারটা একটা মেয়ের সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার নষ্ট করে দিছে,যে জানোয়ারের বাচ্ছা,একটা পবিত্র দেহে ,জানোয়ারের মত ঝাপিয়ে ,পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট করে,মেয়েটাকে অপবিত্র করেছে,সে আমার কোম্পানীরই ম্যানেজার?
.
তাকে তো আমি শেষই করে দিবো৷মৃত্যুর যন্ত্রনা যে কতটা কষ্টের,তাকে আমি বুঝিয়ে দিবো,তুই মরার জন্য প্রস্তুত হ কুত্তার বাচ্ছা……,….
.
.
#_____________চলবে________________