#পতিতা_মেয়ে
#writter_Tannoy_Hasan
#part_2
মেয়েটার প্রতি হঠাৎ এত মায়া হচ্ছে কেন?
কেন ওর মুখটাকে খুব আপন মনে হচ্ছে?
ওর কাছ থেকে একটু দূরে সরে গিয়ে সোফায় বসলাম৷আর তখনই একটা সিগারেট ধরালাম৷সিগারেট টানতেছি আর ভাবতেছি মেয়েটার মায়ের কি এমন হইছে যার কারনে ও এমন একটা পথ বেছে নিছে?কাজ করেও তো পারতো নিজের মায়ের চিকিৎসা করাতে৷ভাবতেই সিগারেট টানতে লাগলাম৷তখন খেয়াল করলাম মেয়েটা কেমন কাশতে লাগল৷হয়ত সিগারেট টা সহ্য করতে পারছে না৷আর মেয়েটা ভয়েও কিছুই বলতে পারছেনা৷শুধু আমার দিকে তাকিয়েই কাশতে লাগল৷সিগারেট টা নিভিয়ে দিলাম৷আর ওকে জিজ্ঞাসা করলাম
,
–এটার গন্ধ সহ্য করতে পারো না?(ভালোভাবেই বললাম)
.
–না(মাথা নাড়িয়ে)
.
–এদিকে আসো,
.
ও আমার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসল৷আর তখনই বললাম
,
–সোফায় বসো
,
ও সোফায় বসল,বসার পরই ওর শাড়িটা এনে ওকে আবার পড়িয়ে দিতে লাগলাম৷মেয়েটা তখন কেমন অবাক হয়ে আছে৷আর শাড়ী পড়াতে বাধা দিচ্ছে,প্রথমে ভাবছিলাম হয়ত আমি পড়িয়ে দিচ্ছি বলে সংকোচ বোধ করছে৷পরে ও নিজেই বলল
.
–কি হলো,শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন কেন?আপনি তো এখনও কিছুই করেন নি,আপনি আপনার কাজ করবেন না?(ভয়ে কাপা কাপা কন্ঠে)
.
–না
,
আমার মুখ থেকে না শব্দটা শুনে মেয়েটা কেমন হতভম্ভ হয়ে গেল৷আর চোখ দুটো বড় বড় করে,জিজ্ঞাসা করল
,
–কেন করবেন না?আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়নি? আমি আর বাধা দিব না,কোনো বাধা আসলেও বাধা দিব না৷প্লীজ আপনি আপনার কাজ করুন
কান্না করতে করতে আমার পা জড়িয়ে ধরল৷অনেক চেষ্টা করছিলাম কিন্তু পা ছাড়াতে পারছিলাম না৷
একটা মেয়ে কতটা মায়ের পাগল হলে?কতটা মাকে ভালবাসলে? মাকে বাঁচানোর জন্য নিজের সব কিছু অন্যের হাতে নিজের ইচ্ছায় এভাবে বিলিয়ে দিতে পারে,সেটা এই মেয়েটাকে না দেখলে কখনই বুঝতামই না৷
.
–দেখো,এই মুহুর্তে আমি কোনো কাজ করার মোডে নাই৷আমি এখন কিছুই করব না
,
–প্লীজ আপনি না করবেন না৷টাকাগুলো আমার খুব দরকার৷তাছাড়া আপনি নিজেই একটু আগে শুনেছেন!আম্মু কি বলছে,টাকা না ছাড়া আম্মু কে বাঁচানো যাবে না,যেকোনো মুল্যে আমার টাকা লাগবেই
,
,
–আচ্ছা,তোমার মায়ের কি এমন হইছে যার কারনে তুমি এই পথ বেঁছে নিছো?
.
মেয়েটা তখন হাউমাউ করে কান্না করে দিল৷আর কেমন ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলতে লাগল
,
–আমার মায়ের লিভার ডেমেজ হয়ে গেছে,ডাক্তার বলছে,মাকে বাঁচাতে অনেক টাকা লাগবে,
.
–হুম বুঝলাম অনেক টাকা লাগবে,কিন্তু কাজ করেও তো তুমি টাকা জোগার করতে পারতে এই পথে আসলে কেন?
.
—হা হা হা
.
মেয়েটার এমন অদ্ভদ হাসি দেখে অনেকটা অবাকই হলাম৷জিজ্ঞাসা করলাম
,
–হাসছো কেন?
.
–সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে কাজ করার অধিকার হয়ত সৃষ্টিকর্তা কোনো সুন্দরি মেয়েকে দেয়নি,আর এই পথে আসতে আমাকে এই সমাজের মানুষ বাধ্য করেছে,বাধ্য করেছে আমার ভাগ্য
.
–কিভাবে?আচ্ছা তোমার এই পথে আসার গল্পটা আমাকে বলবে?খুব শুনতে ইচ্ছা করছে(খুব আগ্রহের সাথে)
.
–হা হা হা,পতিতাদের জীবন কাহিনী শুনে আপনি কি করবেন?
.
–শুনার ইচ্ছা,প্লীজ বলো,
.
মেয়েটাকে অনেক রিকোয়েষ্ট করার পর মেয়েটা রাজি হলো৷ওপরের দিকে তাকিয়ে মেয়েটা একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল,আর তারপরই বলতে লাগল
.
–জানেন,ছোটবেলায় আমার বাবা মারা যায়,তারপর থেকেই আমার মা আমাকে মানুষের মত মানুষ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করে৷নিজে না খেয়ে আমাকে খাওয়াতো,নিজে কষ্ট করে আমার লেখাপড়া চালাতো,হঠাৎ করেই একদিন বাসায় এসে দেখি মা অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে,তখন মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম৷অনেকগুলো টেষ্ট করালো,টেষ্টের টাকাগুলো মানূষের কাছ থেকে ধার করে পরিশোধ করি,কিন্তু রিপোর্টের পর জানা গেল,মায়ের লিভার ডেমেজ হয়ে গেছে,এখন বাঁচাতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন কিন্তু আমার হাতে কোনো টাকা ছিল না,কিভাবে টাকা জোগাড় করা যায়,সেটাই তখন ভাবতেছিলাম কিন্তু কোনো উপায় পেলাম না,কেউ আমাদের পাশে এসে দাড়ালো না৷চারিদিকে শুধু অভাব আর অভাব৷আর সবকিছু কেমন কদাকার?আমি তখন সবকিছুই অন্ধকার দেখেছিলাম,কি করব বুঝে উঠে পারছিলাম না
.
বলেই আকাশের দিকে আরেকটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল.
.
–তারপর?
.
–তারপর অসূস্থ মাকে বাসায় নিয়ে গেলাম৷মা বলল ঢাকায় মামার বাসাতে আসতে কারন আমার মামা অনেক বড়লোক,হয়ত বোনের অসূস্থতার জন্য ওনি আমাদের হেল্প করবে৷মায়ের কথা মতই সেদিন প্রথম এই ঢাকা শহরে আসলাম,মামার বাসায় যেতে মামা অনেক খুশি হয় কিন্তূ টাকার কথা বলতেই মখটা কেমন অন্ধকার করে ফেলে,মুখটা অন্ধকার করেই বলল,আমাকে কিছুদিন থাকতে,ওনি একটা ব্যবস্থা করবে,মাকে এই অবস্থায় ছেড়ে দূরে থাকতে খুব কষ্ট লাগছিলো,তবুও থাকলাম কারন মাকে তো আমাকে বাঁচাতেই হবে,এই দিকে মামা,মাকে একটা হসপিটালে ভর্তি করে দিল আর আমাকে ওনার কাছেই রেখে দিল৷দু তিন দিন পর মামিসহ মামাতো বোনেরা কোথাও বেড়তে গেল৷বাসায় আমি একা শুয়ে আছি,আর মায়ের কথাই ভাবছিলাম হঠাৎ কেউ একজন আমার রুমে ডূকল৷তাকাতেই দেখলাম আমার মামা,আমি একটু হাসি দিলাম কিন্তু সেই হাসিটা বেশি স্থায়ী হলো না
.
–কেন
.
–কারন তখনই মামা দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিল,ভালো মানুষের পিছনে মামার এত জঘন্য একটা রুপ সেদিনই আমার কাছে প্রকাশ পায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মামা,আমার ওপর ঝাপিয়ে পরল,মামাকে বাবা পর্যন্ত ডেকেছিলাম,পায়ে হাত দিয়ে বারবার বলেছিলাম,বাবা যে জায়গায় মামাও সে একই জায়গায়,আমি তোমার মেয়ে মত,কিন্তু সেদিন এই অসহায় মেয়েটা,নিজের আপন মামার হিংস্রতার কাছ থেকেও রেহাই পেলো না,পশুর মত আমাকে ………..
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
বলেই কেমন ফুপিয়ে কান্না শুরু করে দিল৷ওর কথাটা শুনে আমিও নিজেও কেদে দিলাম৷কি বলছে এই মেয়েটা?আর কিভাবে মানুষ এতটা নিচ হতে পারে?আল্লাহ,তুমি এর আগে ওই জানোয়ারের বাচ্ছাটাকে শেষ করে দিলে না কেন?ওই জানোয়ারের বাচ্ছাকে আমি মাফ করব না৷আমি নিজে ওকে শেষ করে দিব৷
আমি তখন কেমন থরথর করে কাপতে লাগলাম৷একটা মেয়ে কতটা কষ্ট পেতে পারে,কেনই বা এমন পরিস্থিতে আসে,ওকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না,মানুষ পতিতাদের অনেক খারাপ বলে কিন্তু একটা মেয়ে কেন পতিতা হয়?কেন নীজের সব কিছু টাকার জন্য অন্যের কাছে বিলিয়ে দেয়,সেটা হয়ত সবারই অজানা৷আর এগুলো ভাবতেই তখন শুধু চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি বের হচ্ছে…কাপাকাপা কন্ঠে বলতে লাগলাম
.
–তা তার পর
.
মেয়েটা ওপরের দিকে তাকিয়ে অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাস ফেলল,তারপর কিছুক্ষন নিরবতা৷একটু পরই নিরবতা ভেঙ্গে বলতে লাগল.
.
–সেদিন আমার সব কিছু ওনি কেড়ে নিয়েছিল,প্রচন্ড ব্যাথায় সেদিন বিছানা থেকে উঠতে পারিনি৷ওনার হিংস্রতা এতই বেশি ছিল যে,আমাকে একটুও ছাড় দেয় নি,ওনার কাজ শেষে একটা কথাই বলছিল,তোকে ভোগ করে অনেক আনন্দ পেলাম,আর মনে রাখিস এগুলো যদি কাউকে বলিস,তাহলে এই ভিডিওটা দেখ?আমাকে তখন একটা ভিডিও দেখালো,যেটাতে মামার হিংস্রতাই দেখতে পেলাম৷ভিডিওটা দেখিয়ে বলল,তোর এই ভিডিও আমি ভাইরাল করে দিব,তোর আম্মুর চিকিৎসার একটা টাকাও দিবো না৷তোর মা মরে যবে,
তখন নিজের কথা ভুলে গেলাম,মায়ের মুখখানায় মনে পড়ে গেল৷না মাকে কোনোভাবেই মরতে দেওয়া যাবে না৷তখন আমি চূপ করে গেলাম৷এর পর থেকেই মামা সহ,তার অনেক বন্ধু মিলে প্রতিদিন আমাকে হাত পা বেধে ,জোর করে ধর্ষন করত,আর আমাকে দিয়ে মামা ব্যবসা শুরু করে দিল,আর তারপর একটা সময় মামা আর মায়ের চিকিৎসার জন্য আগের মত টাকা দেয়না৷মায়ের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হতে লাগল৷মামাকে কিছু বললেই আমাকে পতিতা বলে মারধর করতো৷যখন দেখলাম মায়ের আর চিকীৎসা চলছে না৷তখনই ওখান থেকে পালিয়ে বের হয়ে গেলাম৷আর বের হয়েই আপনার কাছে.
.
কথাগুলো বলেই মেয়েটা থরথর করে কাপতে লাগল৷আর প্রচন্ড কান্না করতে লাগল৷
আমি তখন নিজেও নিজেকে শান্ত করতে পারছিলাম না৷আর এই মেয়েটি কিভাবে নিজেকে শান্ত করবে?
জীবনে অনেক পতিতার সাথে রাত কাটিয়েছি কিন্তু কোনোদিন কারও এই পতিতা হবার গল্প শুনিনি৷শুধু ভোগ করেই চলে এসেছি৷জানতেও চাইনি তাদের এই পতিতা হবার কারন৷আর আজ যখন কোনো মেয়ের মূখে তার জীবন কাহিনি শুনলাম নিজের বুকটাই তখন তাদের জন্য কষ্টে ফেটে যাচ্ছে৷না এই মেয়েটা অনেক কষ্ট করেছে৷আর করতে দিবো না৷ওর কষ্টের জীবন আমি এখানেই শেষ করে দিবো৷কষ্ট ওর এখানেই শেষ,এবার ওর মূখে একটু হাসি দেখতে চাই,
.
তখন বুঝতেই পারলাম ,মেয়েটা টাকার জন্য সব করতে পারবে,এখন আমি তাড়িয়ে দিলে আমার কাছ থেকে চলে গিয়ে আবার অন্য কারো সাথে মিশবে!
তার চেয়ে ভালো এই মেয়েটাকে অনেক দিনের জন্য আমার কাছেই রেখে দেই৷তখনই বললাম
.
.
–আমি তোমার পাশে থাকতে চাই,রাখবে তোমার পাশে?
.
–হা হা হা!পতিতাদের সাথে থাকতে নেই,আর আমি ছেলে জাতটাকেই এখন ঘৃনা করি,আপনি আপনার কাজ শেষ করুন৷এমনিতেই রাত প্রায় শেষ পর্যায়,
.
বুঝতে পারলাম,ছেলেদের প্রতি ওর যথেষ্ঠ ঘৃনা জন্মে গেছে,এভাবে মেয়েটাকে আমার কাছে রাখতে পারব না৷অন্য একটা বুদ্ধি খাটাতে হবে.
–ওই যে একটা ব্যাগ দেখছো,ওই ব্যাগে অনেক টাকা আছে,প্রায় ১০লক্ষ টাকার মত আছে৷আমি জানি এই ১০লক্ষ টাকা তুমি পতিতা পেশায় কয়েক মাসেও কামাতে পারবা না৷তো আমি যদি তোমাকে ওই টাকা গুলো দিয়ে দেই,বিনিময়ে আমাকে কি দিবা?
.
কথাটা বলতেই মেয়েটা কেমন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল৷আর বলতে লাগল
,
–আপনি যা চাইবেন তাই৷দরকার পরলে সারাদিন,সারারাত,সব সময় আপনার সাথে কাটাবো ,কিন্তূ তারপরও আমার মাকে বাচাঁনোর জন্য টাকাগুলো দরকার(বলেই কান্না শুরু করে দিল)
.
–হুম৷একটা শর্তে তোমাকে টাকাগূলো দিবো
,
–কী শর্ত?
.
–কাল থেকে শুরু করে টানা দুমাসের জন্য তুমি আমার৷সব সময় আমার সাথে থাকতে হবে৷যা বলব তাই করতে হবে,কোনো কথায় না করতে পারবা না৷এই দুমাসে তোমার কাছে আমার যেটা যেটা ইচ্ছা সব তোমাকেই পূরন করতে হবে৷আমার সাথে রাত দিন,সব সময় কাটাতে হবে,রাজী আছো?
.
–আমি রাজি,তবুও টাকাগূলো আমার চাই,আমার মাকে বাঁচাতেই হবে,,
,
অবাক হয়ে গেলাম৷মেয়েটা বিন্দু পরিমানও ভাবার টাইম নিলো না৷এক কথায় সে রাজি৷
.
–ভেবে বলছো তো?
,
–হুম,আমি রাজী
.
–ঠিক আছে,টাকাগুলো তুমি কালই পাবে৷আর এখনি আমার সাথে চলো
.
–কোথায়?আপনি আপনার কাজ করবেন না?আমাকে তো সকালে বাসায় যেতে হবে
,
–হুম৷চূপ চাপ এখন আমার সাথে চলো,
.
-হুম
.
তখনই মেয়েটাকে আগে ওর শাড়িটা পড়িয়ে দিলাম৷আর ওকে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বললাম৷তারপরও ওকে নিয়ে আমার গাড়িতে উঠলাম৷ও কেমন ভয়ে ভয়ে গাড়িতে উঠল৷
প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে মেয়েটা৷হয়ত ভাবছে তাকে কোথাও নিয়ে কীছু করে ফেলব৷গাড়ি ড্রাইব করছি,
.
হঠাৎই মেয়েটাকে বললাম
,
–এই মেয়ে,এতক্ষন আমার সাথে আছো,অথচ নামটাই জানিনা,আর কাল থেকে তো তুমি আমার সাথেই থাকবা,তো নাম কি তোমার?
.
–জ্বি,মোসা:আনিক–জ্বি,মোসা:আনিকা আক্তার
,
–খুব সুন্দর নাম,রুপের সাথে নামের অনেক মিল আছে৷আর আমার নাম আবিদ হাসান ৷সবাই আবিদ বলেই ডাকে৷এখন থেকে তুমিও আবিদ বলেই ডাকবা
,
–আমি নাম ধরে ডাকতে পারব না৷স্যার বলে ডাকি(একদম নিচু স্বরে)
.
–কি বলছি?আমি যেটা বলছি চূপ করে সেটাই শুনবা,বুঝছো?
.
–হুম৷
.
–বলো আবিদ
,
–আ আ
,
–আ আ করছো কেন?বলো আবিদ
,
–আবিদ
.
–হুম৷এবার বলো গ্রামের বাসা কোথায়?আমরা এখন সেখানেই যাবো
,
–কিন্তু…
.
–কোনো কিন্তু নাই,এই দিকে তোমার আম্মুর অবস্থা অনেক খারাপ,তাই দেড়ি করা একদমই লাভ হবে না৷
.
–হুম
.
তারপরই ওর থেকে ঠিকানা নিয়ে ওদের গ্রামের বাসায় চলে গেলাম৷যেতে যেতে প্রায় সকাল হয়ে গেল৷আর ওর আম্মুকে ওখান থেকে নিয়ে আসলাম৷ঢাকাতে এনে বড় একটা ভালো হসপিটালে ভর্তি করে দিলাম৷
.
তখনই আনিকা বলে উঠল
,
— আপনার এই ঋন কিভাবে শোধ করবো আমি?হয়ত নিজের জীবন দিয়ে দিলেও আপনার এই ঋন আমি শোধ করতে পারব না
,
–শোধ করার দরকার নেই৷আর হ্যা শর্ত অনুযায়ী,আজ থেকে আমি যা যা বলব,সব তোমাকে মানতে হবে
.
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
–হুম,বলুন আমাকে কি করতে হবে
,
–এখন থেকে আমাকে তুমি করে বলবা,আর আমার নাম ধরেই ডাকবা,যদি এর ব্যাতিক্রম করো,তাহলে……
.
–এই না,আপনি যেট বলবেন ,সেটাই করব
,
–আবার আপনি?
.
–তুমি
,
–হুম৷তোমার আম্মু এখন ঘুমাবে,ডাক্তার ওনাকে ঘুমেহ ঔষধ দিছে৷
,
–হুম
.
আনিকাকে নিয়ে বাসায় আর আসলাম না৷একদম কাজি অফিসে চলে গেলাম৷কাজী অফিস দেখে আনিকা বলে উঠল
,
–কাজী অফিসে কেন?আর কার বিয়ে?
,
–তোমার আর আমার বিয়ে
.
–মানে(অবাক হয়ে)
.
–তুমি আমার কাছে দুমাস পর্যন্ত আছো,আর আমি তোমাকে পতিতা পরিচয়ে আমার বাসায় রাখতে পারব না৷সো দুইমাসের জন্য আমার বউ হয়ে থাকবা
.
কথাটা শুনার পর আনিকা কেমন থ হয়ে গেল৷
.
–দুমাসের জন্য বিয়ে?
.
–হুম
,
–আমি পারব না এই বিয়ে করতে
,
-দেখো শর্ত অনুযায়ী তোমাকে করতেই হবে৷আর আমার সাথে দুমাস ওইভাবে মেলেমেশা করলে পাপের পরিমানটা অনেক বেশি হবে,আর এভাবে করলে সেটা আর হবে না
.
— হা হা হা
.
–হাসছো কেন?
.
–হাসব না তো কী করব?তোমরা বড়লোকরা পারই বটে৷তোমাদের কাছে সব কিছুই কেমন পুতুল খেলা মনে হয়৷আর আমাদের পুতুল ভেবে কত কিছুই না করছো৷সবই টাকা?
তবে কষ্ট নেই,আমি পুতূল হয়ে তোমার খেলায় থাকতে রাজী আছী৷কারন ….
.
–এতকীছু জানিনা৷চলো
.
তারপর আনিকার সাথে শর্ত মতাবেক বিয়েটা হয়েই গেল৷দুমাসের জন্য একটা পতিতা মেয়েকে বিয়ে করে নিলাম?
ওকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম৷
আপাতত একটা বাসর সাজালাম৷
বাসর ঘরে আনিকা বসে আছে৷
ডুকতেই আমাকে সালাম করল
.
–আরে আরে সালাম করছো কেন?
.
–বাসর রাতে বাঙালি মেয়েদের এটাই করতে হয়
,
–হুম৷তবে এটা তো মাত্র কয়েকদিনের বিয়ে,তাই না?
.
–হুম৷তবে একটা কথা মনে রাখবে,বাঙালি মেয়েদের বিয়ে বিয়েই৷৷সেটা শর্তে কয়েক দিনের জন্যই হোক বা সারাজীবনের জন্য
,
–হুম৷
.
তারপরই আনিকাকে বিছানায় উঠালাম৷আর জিজ্ঞাসা করলাম
.
–একটা সত্যি কথা বলবে?
.
–হুম
.
–আচ্ছা বাসর রাতে,তোমার কি কি ইচ্ছা ছিল
,
–হা হা হা
.
–হাসছো কেন?
.
-আপনি আমাকে ভোগ করবেন তো করেন?এত নাটকের কি দরকার?
,
–একদম চুপ করে থাকবা ,আমি যেটা বলছি সেটা বলো
.
–আমি একটা ভাড়াটে পতিতা,আমার কোনো ইচ্ছা নেই৷তবে বাঙ্গালি প্রত্যেকটা মেয়েদের খুব ইচ্ছা,বাসর রাতে লাল শাড়ী পড়ে স্বামির ঘরে যাবে৷তার সাথে নিজের সব কিছু ভাগাভাগি করে নিবে,আর তার সাথে অনেক গল্প করবে,আর সব সময় তার স্বামীর বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে৷কখনই আলাদা হবে না
,
.
.
.
চলবে……..