#পতিতা_মেয়ে
#writter_Tannoy_Hasan
#part_1
একটা হ্যাচকা টান দিতেই মেয়েটার পুরো শাড়ী খুলে নিচে পড়ে গেল৷পরনে শুধু আর মাত্র দুইটা কাপড়৷মেয়েটা তখন কেমন দুই হাত দিয়ে মুখটা গুজে রেখেছে৷আর এমন বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়েটাকে দেখে নিজের ভিতর কাম ভাবটা পুরো জেগে উঠেছে৷তাই আস্তে আস্তে ওর সামনে গেলাম৷ওর মুখ থেকে হাতটা সরাতেই দেখতে পেলাম,কেমন ভয়ার্ত চোখ জোড়া দুটি পানিতে ছলছল করছে৷গোলাপি রঙের ঠোট দুটি কেমন করে কাপছে৷মনের ভিতর তখন কামভাবটা আরও তীব্র হয়ে গেল৷মুহুর্তেই ওর ঠোট দুটি আমার দখলে নিয়ে নিলাম৷ও কেমন হাত দিয়ে বাধা দিতে গিয়ে পারল না৷
.
খাটের ওপর ওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলাম৷খাটের ওপর শুয়েই মেয়েটা কেমন ভয়ে কাপতে শুরু করল৷সেদিকে আমার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই৷কারন ২০হাজার টাকার বিনিময়ে ও আমার সাথে রাত কাটাতে এসেছে৷কি ভাবছেন টাকার কথা কেন বললাম?
ও আমার নিজের বউ না৷আর মেয়েটাকে একরাতের জন্য ভাড়া করে এনেছি৷পতিতা
হ্যা ও একটা পতিতা মেয়ে৷
.
গভীর রাতে যখন মদ খেয়ে সিগারেট টানতে টানতে মাতাল অবস্থায় হাটতে হাটতে বাসায়
ফিরছিলাম৷ঠিক তখনই অনুভব করতে লাগলাম কেউ আমাকে পিছন থেকে ফলো করছে৷পিছনে তাকাতেই দেখলাম একটা মেয়ে আমার পিছু নিচ্ছে৷মহিলা ছিনকারী না তো?আমার সাথে আবার তখন প্রায় লাখ টাকার ওপরে ছিল৷প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকার নেশা করি আমি৷বড়লোক ঘরের নষ্ট ছেলে আমি৷বাবা মা কেউ নাই৷আছে বুকভরা কষ্ট আর কোটি কোটি টাকা৷যাই হোক মেয়েটার দিকে মাতাল অবস্থায়ই তাকালাম,দেখলাম মেয়েটা বোরকা পড়ে আছে৷তখন একটু অন্যরকম লাগতে শুরু করল৷
.
–এই মেয়ে,এভাবে পিচু নিচ্ছিস কেন?(মাতলা ভাবে)
,
–(চূপ)
.
–কি রে কথা বলছিস না কেন?
,
–(চূপ)
.
মেয়েটার এমন চূপ করে থাকার কারনে বিরক্ত নিয়ে চলে আসতে লাগলাম৷একটু পরই দেখলাম মেয়েটা আবারও আমার পিছু নিচ্ছে
.
–ওই মেয়ে,তোর সমস্যা কি বল তো?
.
–(কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেল)
,
–কি বলবি বল,নয়ত আমার পিছু ছাড়
.
–আমাকে কিছু টাকা দিবেন?(নিচু স্বরে)
,
টাকা চাওয়ার কথা শুনে একটু অবাক লাগল৷
.
–তোকে টাকা দেব কেন আর কত টাকা দিব?
.
–জ্বি ১০হাজার দিলেই হবে
.
–তোকে এতগুলো টাকা কেন দিতে যাবো?আমার কি লাভ এতে?
.
কথাটা শুনে মেয়েটা একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল৷আর তারপরই বলল
.
–বিনিময়ে আপনি আমাকে সারারাতের জন্য পাবেন(নিচু স্বরে)
.
—লাগবেনা তোকে,টাকা দিতে পারব না
,
বলেই হাটতে যাবো,ঠিক তখনই ও আমার পায়ে পড়ে গেল৷আর অনেক কান্না শুরু করে দিল
,
–প্লিজ আপনি না করবেন না৷টাকাটা আমার অনেক প্রয়োজন৷আর আমাকে দেখলে আপনি হয়ত না করবেন না,কারন আমার ভিতর রুপ,যৌবন সব আছে,প্লিজ আপনি না করবেন না,১০হাজার না দিলে,৫হাজারই দেন,টাকাটা আমার অনেক দরকার,প্লীজ(কান্না করতে করতে)
,
–তো দেখি তো তুই কেমন দেখতে
.
বলার পরই মেয়েটা বোরকার নিকাবটা খুলে ওর মুখটা বের করল৷
মূখটা খুলতেই আমি কেমন অবাক হয়ে গেলাম৷চেহারাটাতে এত পরিমান মায়া যে,যেটা লিখে প্রকাশ করতে পারব না৷পুর্নিমার চাঁদের চেয়েও সুন্দর৷এমন একটা মেয়ে কিভাবে ,নিজেকে টাকার বিনিময়ে এভাবে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে?ভাবতেই অবাক লাগছে৷
যাই হোক মেয়েটাকে আমার হেব্বি লাইক হইছে৷তাই ১০ এর পরিবর্তে ২০হাজার টাকা দিবো বলেই মেয়েটাকে আমার বাসায় নিয়ে গেলাম৷আজ সারারাত ভোগ করব৷এমন একটা সুন্দরী মেয়েকে ভোগ করব ভাবতেই মনের ভিতর কেমন খুশিতে নাচতে লাগল৷মদের নেশার চাইতেও তখন এই মেয়েকে ভোগ করার নেশাটাই আমার বেশি জাগ্রত হলো৷
.
যাই হোক অযথা টাইম নষ্ট করা যাবে না৷এবার গল্পে আসা যাক,
.
মেয়েটাকে খাটের ওপর ফেলে দিয়েই ওর ওপরই শুয়ে পড়লাম৷ও বাধা দিতে গিয়েও পারল না৷শুধু চোখ দুটি বন্ধ করে রেখেছে৷আর ওর ঠোট দুটি তখনও এমনভাবেই কাপতে শুরু করল যে,যেটা লিখে প্রকাশ করতে পারব না৷ওর কাপা কাপা ঠোট দুটি আবারও নিজের দখলে নিয়ে নিলাম৷ও আবারও কেমন করে একবার আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো৷তারপর আবারও চোখ দুটি বন্ধ করে ফেলল৷ওর নাকের গরম বাতাস আমার মুখের ওপর পড়ছে৷পাগল করে তুলছিল আমায় তখন৷ওই সময় ওর ঠোটের অপর আরও বেশি ঝড় বইতে লাগল৷ওর পুরো শরীরটা কেমন গলা কাটা মুরগীর মত ছটফট করতে লাগল৷
,
আর তখনই মেয়েটা নিজেকে কেমন আমার কাছ থেকে ছুটিয়ে নিল৷আর তখনই ও বিছানা থেকে উঠে রুমের এক কর্নারে চলে গেল৷আর তখন ওর চোখ দিয়ে কেমন অশ্রু ঝরতে লাগল৷ তারপরই আমাকে কাপা কাপা কন্ঠে মেয়েটা বলতে লাগল
.
–আ আমাকে কি একটু সময় দেওয়া যাবে,যদি আপনি দয়া করে আমাকে একটু সময় দিতেন(একদম ভয়ে কাতর হয়ে কাপা কাপা কন্ঠে)
.
মেয়েটার এমন আচরন দেখে আমি একদমই অবাক হয়ে যাই,কারন আজ পর্যন্ত অনেক পতিতাকে আমি ভোগ করেছি,কারও মুখেই এমন কথা শুনিনি৷তবে এই মেয়েটা যেন কেমন?
মনে হচ্ছে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও নিজেকে আমার কাছে তুলে দিছে৷আর নয়ত আমি ওকে জোর করে তুলে এনে এগূলো করছি৷তারপরও ওর প্রতি আমার কোনো মায়া লাগল না,বরং রাগ হচ্ছিলো,আমার খুব ভালো একটা মূহুর্ত নষ্ট করে দিল৷তখনই
.
–এই পতিতা মেয়ে,এইদিকে আয়,তোদের মত পতিতাদের এত ছাড় দেবার সময় আমার নেই,১০ হাজার চেয়েছিস,২০হাজার নগদ দিছি,সো আমিও ওই রকমভাবেই কাজ চালাবো,এই দিকে তাড়াতাড়ি আয়,শালির পতিতা কোথাকার
.
যতবারই মেয়েটাকে পতিতা বলেছী ততবারই মেয়েটা কেমন শিউরে উঠেছে৷মনে হচ্ছে মেয়েটা প্রত্যেকবারই পতিতা নামক শব্দটা শুনে শকড খাচ্ছে৷
.
মেয়েটা গুটি গুটি পায়ে আস্তে আস্তে আবারও আমার দিকেই আসছে৷আর তখন ওর শরীরটা কেমন কাপতেই লাগল৷সুন্দর মুখ খানা একদমই লাল বর্ন ধারন করছে৷চোখের কাজল একদমই লেপ্টে গেছে৷আস্তে আস্তে ও বিছানায় শুয়ে পড়ল৷আর বলতে লাগল
,
–আপনি আপনার কাজ শুরু করে দেন!এমনিতেই আপনার অনেক টাইম আমি নষ্ট করে দিছি(বলেই মেয়েটা কেমন অসহায় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
,
সেদিকে আমার কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই৷আমার দরকার মেয়েটার শরীর৷এত সুন্দরী একটা মেয়েকে কোনোভাবেই হাত ছাড়া করা যাবেনা৷
.
আমাকে ওকে ভোগ করতেই হবে৷সুন্দরী মেয়েদের অহংকার অনেক বেশি৷তাই তাদেরকে সুযোগ পেলে আমি কখনই ছাড় দেই না৷এর একটা কারন ও আছে৷যাই হোক আমি সময় নষ্ট করব না৷
আমি আবারও বিছানায় গেলাম৷আর তখনই ওর ফোনটা বাজতে লাগল৷
আর ও তখন আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে৷মনে হচ্ছে ফোনটা ওর অনেক জরুরি৷আর আমার ভয়ে সে ধরছে না৷
ফোনটা একের পর এক বাজতেই লাগল৷ও কেমন পাগলের মত দিশেহারা হয়ে গেল৷একবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার আমার দিকে৷
তখনই বললাম
,
–এই পতিতা মেয়ে,ফোন ধর,আর স্পিকার বাড়িয়ে দিবি,যদি তোর অন্য দলবল হয়,তাহলে কিন্তু তোকে এখানেই শেষ করে দিবো,ফোন ধরে লাউড দে
.
ও মাথাটা নাড়ানো৷আর ফোন ধরার অনুমতি দেবার পর মেয়েটা অনেক খুশি হল৷চোখে পানি থাকার পরও ঠোটের কোনে এক তরফা একটু হাশি ফুটল৷তখন মেয়েটাকে সত্যিই পরীদের চেয়েও হয়ত বেশিই সুন্দর লাগছিল৷
.
ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে
.
—মারে তুই কই গেছছ?আমি আর বাঁচমু না রে মা?ডাক্তার কইছে,আমারে বাঁচাইতে হইলে মেলা টেকা পইসা লাগব,আর আমাগো তো এত টেকা পইসা নাই,তুই তাড়াতাড়ি আয় মা,ডাক্তার আমারে হাসপাতাল থেইকা,টেকার লাইগা বাইরে বের কইরা দিছে,টেকা দিতে পারলে আমার চিকিৎসা করব৷নয়ত আর করব না(কান্নারত অবস্থায় ওপাশে একজন মহিলা)
.
–না মা ,তোমার কিচ্ছু হইবো না,আমি তোমারে বাঁচামু,তোমার কিচ্ছু হইতে আমি দিমূ না৷দরকার পড়লে নিজেরে শেষ করে দিমু৷তবুও আমার বেহেশতকে (মাকে) টাকার জন্য শেষ হতে দিমু না৷তুমী একটু সহ্য করো,আমি টাকা নিয়ে আসতেছি
,
–তুই কই রে মা,
.
–এইত একটু বাইরে আছি,আর আমি আসতেছি
.
— এত রাইতে তুই বাইরে কেন?ভালা মাইয়ারা তো এত রাইতে বাইরে থাকে না!আর তুই যদি খারাপ কীছু করছ তাইলে কিন্তু আমি এহনই নিজেরে শেষ কইরা দিমু
.
–না মা,আমি খারাপ কিছু করছী না৷আসলে শহরে একটা আংকেলে কাছে আসছি,উনি তোমার এই কথা শুনে অনেকগূলো টাকা দিছে৷আর টাকা গুলো নিয়েই আসতেছি৷আর অনেক দুরের রাস্তা তো,তাই আসতে অনেক দেড়ি হইতাছে৷আমি আসতেছি মা,তুমি আরেকটু অপেক্ষা করো
,
বলেই ফোনটা কেটে দিল৷আর কেমন করে কান্না করতে লাগল৷বার বারই ও চোখ মুছে নিজেকে ঠিক করে আমার কাছে বিলিয়ে দিতে চাচ্ছিল কিন্তু ওর চোখের পানি কোনো ভাবেই থামছে না৷
.
ওর এই কথাগুলো শুনে মুহুর্তেই আমি কোনো পাথরের মূর্তি হয়ে গেলাম৷এ আমি কি করছিলাম?
এমন একটা অসহায় মেয়েকে…………..
.
ছিঃ আবিদ ছিঃ,,,তুই এতটা খারাপ কিভাবে হইলি?তুই তো একটা সময় এমন ছিলি না৷তুই তো একটা সময় প্রত্যেকটা মেয়েকে অনেক সম্মান আর শ্রদ্ধা করতি,আর সেই আবিদ ,তুই কিভাবে মেয়েদের প্রতি এত নিচ হতে পারলি,ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে,ঘৃনায় নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে,
.
হঠাৎই মেয়েটা বলে উঠল
,
–আপনার টাইম নষ্ট হচ্ছে তো,প্লিজ আপনি আপনার কাজ শুরু করুন,আমি প্রস্তুত,
,
মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখলাম চোখ দুটো কেমন কালো কাজলে লেপ্টে আছে৷মুখখানায় কত মায়া জুড়ে আছে আর সেই মূখটা কিভাবে আমার দিকে কেমন অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে………………………
.
.
.চলবে…………….