#পতিতা_মেয়ে
#writter_Tannoy_Hasan
#part_17_last_with_HAPPY_ENDING
আবিদ,আমি সব কিছু পারব ৷শুধু ডেলিভারির সময় তুমি আমার পাশে থেকো,ব্যথার সময় আমি যেন তোমাকে আকড়ে ধরে রাখতে পারি,আর তোমার বুকে মাথা রাখতে দিও,আমাকে একটু তোমার বুকে আগলে রেখো,দেখবে আমি সব কিছু পেরে উঠব৷
–হূম
–আবিদ,থাকবে তো আমার পাশে?
–হুম থাকব,কিন্তু ডেলিভারির সময় কি ডাক্তাররা আমাকে তোমার সাথে ভিতরে ডুকতে দিবে?
–ভিতরে ডুকতে দিবে কিনা ,তা জানিনা তবে তোমাকে আমার সাথে থাকতে হবে,তুমি ডাক্তারদের ম্যানেজ করে হলেও আমার সাথে থাকবি৷প্লীজ এই টুকু করতে পারবে না?
–হুম পারব,আমি আমার পাগলিটার জন্য সব করতে পারব
বলার পরই আনিকা কেমন অদ্ভুদভাবে একটা হাসি দিল৷ওর হাসিটা দেখার পরই কলিজাটা কেমন ঠান্ডা হয়ে গেল৷
মনে মনে বলতে লাগলাম ,,আল্লাহ তূমি কিন্তূ সবকিছুই শুনছো,আর ওর পাশে থাকার,আর আমার পাগলিটা যেন সবকিছু পেরে উঠে তার জন্য তুমি সহায় হও আর ওকে সেই তৌফিক দান করো৷
আস্তে আস্তে ওর ডেলিভারির সময় খুব নিকটে চলে আসল৷আমি সবসময় ওর পাশেই থাকতাম৷কারন কি হয়ে যায় বলা তো যায় না৷আর আনিকার আম্মুও ওর সাথেই থাকত৷
হঠাৎ একদিন অফিসের জরুরি কাজ এসে গেল৷কলিগ ফোন করে জানালো৷আমি তখন খুব কঠিনভাবেই না করে দিলাম,পরিষ্কার বলে দিলাম,আমি অফিসে যেতে পারব না৷ঠিক সেই মুহুর্তেই আনিকা পিছন থেকে আসল৷আর এসেই বলল
–জরুরি কাজ যেহেতু,তোমার যাওয়াই উচিৎ
–দেখো আনিকা,কাজের চাইতেও তুমি আমার কাছে বেশি জরুরি
–হুম,আমি জানি,আর তোমাকে কিন্তূ যেতেই হবে
–কিন্তু যেতে পারব তো?অনেক দিন ধরেই তো বাইরে যাওয়া হয় না
–আবিদ,তুমি এখন সম্পূর্ন সুস্থ,এখনও যদি তুমি আলসেমি করো,তাহলে তো ,তুমি আরও সমস্যায় পড়বে
–আমার কোনো সমস্যা হবে না,কারন….
–কারন কী?
–কারন আমার একজন পাগলি আছে,যে কখনই আমাকে সমস্যায় পড়তে দিবে না
–হুম,এবার যাও
–না
–যাও বলছি
–হুম.কিন্তু তোমার কিছু হলে?
–আমার কিছুই হবে না,আম্মু আছে,আর কোনো প্রবলেম হলেই তোমাকে ফোন দিবো
–হুম
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
তারপর কি আর করার অনেক জোড় করে আনিকা আমাকে অফিসে পাঠিয়ে দিল”যেতে একদমই ইচ্ছে করছিল না৷কারন পাগলিটার ডেলিভারির এখন একদমই লাস্ট স্টেপ৷
যাই হোক,অফিসে চলে গেলাম৷খুব তাড়াতাড়ি
কাজ শেষ করেই ওকে ফোন দিলাম৷কিন্তু ফোন ধরছে না
কয়েকবার ফোন দিলাম৷কিন্তু ফোন বেজেই চলছে৷ ও ফোন ধরছে না৷তখনই হেব্বি ভয় পেয়ে গেলাম৷
বাসার ল্যান্ড ফোনে ফোন দিতেই আনিকার আম্মু ফোন ধরল
–হ্যালো মা,আনিকা কোথায়
–ওরে তো একটূ আগেই দেখলাম ওয়াশরুমে গেছে,তারপর তো আর দেখিনি
–মা,আপনি এখনি ওয়াশরুমে গিয়ে দেখেন,ও আছে কি না
–ঠিক আছে বাবা,আমি যাচ্ছি
বলেই ওনি ,চলে গেল অন্যদিকে আমি লাইনেই আছি,কেন জানি খুব ভয় হতে লাগল৷
হঠাৎই চিৎকারের আওয়াজ শুনেই বুকটা ধুক করে উঠল৷
আনিকার মা তখন ফোনের সামনে এসেই কান্না করে দিল ৷আর বলতে লাগল আনিকা ওয়াশরুমেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে৷
শুনেই মাথাটা ওলট পালট হয়ে গেল৷
ওর আম্মুকে বললাম এখনি তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যেতে৷আর তখণ ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে বললাম,সে যেন তাদেরকে ঢাকা হসপিটালে নিয়ে যায়৷
আর আমিও সরাসরি হাসপাতালে চলে গেলাম৷
গিয়েই দেখলাম আনিকা বেডে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে,আর চিৎকার করছে৷ডাক্তাররা পাশেই দাড়িয়ে আছে৷ডাক্তারদের এমন কান্ড দেখে অনেক রাগ হলো,কারন যে জায়গায় আমার কলিজা এত কষ্ট ভোগ করছে,সে জায়গায় তারা চুপ করে দাড়িয়ে আছে৷
ডাক্তারদের সাথে রেগে গেলে আনিকা চিৎকার করে বলে উঠল
–আবিদ(কষ্টে কেমন জানি করছে)
–খূব কষ্ট হচ্ছে তোমার তাই না,দাড়াও এই ডাক্তারগুলোকে এখনি উচিৎ শিক্ষা দিব(কান্না করতে করতে)
–নাআআআ আবিদদদদদদ,আমি তাদের নিষেধ করেছি?(শ্বাস বেড়ে যাচ্ছে)
–কেন
–আমি তোমাকে ছাড়া ডেলিভারির রুমে যাবো না,তুমি আমার পাশে থাকবে
–এই পাগলি,,আমি তো আছিই,আর আমার জন্য তুমি এত কষ্ট করে কেন এখনও এখানেই পড়ে আছো
–আবিদ,আমি তোমাকে ছাড়া ভিতরে যাবো না,আর আমার সাথে তুমি যাবে,আর কোনো পুরুষ ডাক্তার ভিতরে যেতে দিও না আবিদ,প্লিজ
–কিন্তূ এখানে মেয়ে ডাক্তার আছে?
–জানিনা,তবে আমার এই কথাটা প্লীজ পূরন করো
–হুম
এরপরই আনিকা ব্যথায় চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷
তখনই বুকটা খা খা করতে লাগল৷মুহুর্তেই ঢাকা সিটি হাসপাতাল থেকে পরিচিত একজন নারী ডাক্তারকে আনা হলো৷
আমাকে ডাক্তার নিষেধ করলেও ,অনেক বুঝানোর পর যেতে দিল৷
আনিকার আবারও জ্ঞান ফিরল৷ও খূব চিৎকার করতে লাগল৷
হঠাৎই আনিকা উল্টো দিক থেকে শোয়া অবস্থায় আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল৷আর বার বার বলতে লাগল
–আবিদ,আমাকে খূব শক্ত করে জড়িয়ে ধরো
সেই মুহুর্তে মূখ দিয়ে কিছুই বলতে পারছিলাম না৷শুধু ঠোট দুটি কাপছিল৷আর চোখ দিয়ে টপটপ পানি পড়ছে,মা হবার যন্ত্রনা যে কতটা কষ্টের,কতটা বেদনার সেটা আমি নিজ চোখে না দেখলে হয়ত কখনই বুঝতাম না৷মা হবার জন্য যে একটা মেয়েকে এতটা কষ্ট ভোগ করতে হয়,সেটা যদি সব স্বামীরা তার স্ত্রীর ডেলিভারীর সময় পাশে থেকে দেখত,আমার মনে হয়,তাহলে কখনই কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে মারা তো দূরের কথা,খারাপ ব্যবহার করতেও দ্বিধাবোধ করত৷সেই মুহুর্তে আমি তখন আনিকাকে নিজের সমস্থ শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম৷
আনিকার ওই কষ্টের মুহুর্তে আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কেমন মুচকি মুচকি হাসতে লাগল৷
আর হঠাৎই কেমন কুকড়িয়ে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল৷
পাশ থেকেই ওয়া ওয়া আওয়াজ আসতে লাগল৷বুঝতে পারলাম আমার সন্তান হইছে৷মেয়ে সন্তান হইছে আমাদের৷একদমই ওর মতই হইছে৷
কিন্তু আনিকা ঠিক আছে তো?
ওর দিকে তাকাতেই কেমন হো হো করে কেদে উঠলাম৷
ডাক্তার তখন আমাকে ধৈর্য ধরতে বললেন৷
সব কিছু পরিষ্কার করা হলো৷প্রায় ঘন্টাখানেক পর ওর জ্ঞান ফিরল৷ওর জ্ঞান ফিরার পর প্রথমেই আমার মেয়েকে কোলো তুলে নিল৷আর আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিল৷আর আমি তখন ওর কপালে একটা চূমু দিলাম৷দুজনেই হাসিমুখে হাসছি৷আর আমার মেয়ে ওয়া ওয়া কান্না করছে৷
দুদিন পর
আজকে আনিকাকে নিয়ে বাসায় যাচ্ছি৷বাসায় যাবার পর আনিকা আমাকে বলে উঠল
–আবিদ,তুমি খূশি হওনি?
আমি তখন ওর মাথায় আবারও একটা চুমু দিয়ে বললাম
–আমার মত খুশি আজ,এই পৃথিবীতে কেউ নেই,
আর আমি আরও খুশি হবো,যদি তুমি আরেকটা কাজ করতে পারো
–কি কাজ সেটা?
–সেটা অনেক বড় একটা কাজ,অনেক বড় একটা দায়িত্ব
–কি সেটা
–আনিকা,একটা সন্তান হবার পর,সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের অনেক দায়িত্ব থাকে,আর বাবার চেয়ে সেই দায়িত্বটা মা ই বেশি পালন করে
–হুম,তুমি বলো,আর হ্যা তুমি আমার পাশে থাকলে আমি সব পারব
–আনিকা,আমার মেয়েটাকে তুমি ইসলামিক পরিবেশে বড় করবা৷পর্দা শিখাইবা,নামাজ শিখাইবা,আমার মেয়ে বর্তমান সমাজ থেকে একদমই আলাদা করে বড় করে তুলবা৷আজ থেকে আমরা এমন ফোন ব্যবহার করব,যেটাতে শুধু কথা বলা যাবে,আর কোনো কিছুর দরকার নেই,
আনিকা পারবা না এই কাজ গুলো করতে?(আনিকার হাত ধরে)
–আবিদ,তুমি শুধু আমার পাশে থেকো,আমাকে সাহস দিও,আমি সব পারব৷আমি আমাদের মেয়েকে একজন ধর্মপরায়ন মেয়ে হিসাবে বড় করে তুলব৷তবে তোমাকে সব সময় ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে
–আমি নামাজ পড়ব আনিকা,
–আমিও তোমার কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করব
ওর এমন সুন্দর ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম৷আর ও আমার মেয়েকে কোলে নিয়েই আমার দিকে মুচকি হাসছে৷
৩বছর পর
–এই আবিদ,শোনো শোনো,দেখে যাও আমাদের আদিবা কি বলছে?(জোড়ে খূশিতে চিৎকার দিয়ে)
আমি অন্যরুম থেকে দৌড়ে আসলাম৷আর হ্যা আদিবা আমার মেয়ের নাম৷আমার নামের সাথে কিছুটা মিল রেখেই আনিকা ওর নাম রেখেছে৷
যাই হোক আমি খূব আগ্রহ নিয়ে আনিকার কাছে গেলাম৷যাবার পরই দেখলাম আমার ছোট্ট মেয়েটা
কি যেন বলছে,আরও সামনে যেতেই আমার কানে শব্দ আসতে লাগল,আমি স্পষ্ট ভাবে আদিবার কন্ঠে শুনতে পাচ্ছিলাম
আল হামদুলিল্লাহীর লব্বিল আলামিন
আল লকমানীর লহীম
মালিকিয়াও মিড্ডিন
ইয়া কানাবুদু ,ইয়া কানাসতাকিন…..
. **নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
এই টূকু বাচ্ছার মুখে এমন ভাবে তিলাওয়াত শুনে আমি একদমই অবাক হয়ে গেলাম৷কারন ও এখনও ভালো করে কথাই বলতে পারেনা৷অথচ সুরা তিলাওয়াত করছে৷
দৌড়ে গিয়ে আমার মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলাম৷
আর তখন চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে৷তবে সেটা কষ্টের না,খূব আনন্দের৷
আমার মেয়েকে কোলে তোলে নিয়ে ওর গালে,কপালে চুমু দিচ্ছিলাম
–আব্বু,আব্বু,আমালে চককেট দাও,আমি হামু,চককেট দাও(কথাগুলো পূরোপুরি স্পষ্ট না)
আমি হাসিমুখে আনিকাকে ইশারা দিলাম,ড্রয়ির থেকে চকলেট আনার জন্য৷
তারপর ওকে চকলেট দিলে,আদিবা আমার গালে দূটো চুমু দিল৷
আমি আদিবাকে কোলে নিয়ে দাড়ালাম৷আর তারপরই আনিকাকে কাছে আসতে বললাম৷ও কাছে আসার পর ওর কপালে আমি কয়েকটা চুমু দিলাম৷আর তখন বলতে লাগলাম
–আনিকা,আজকে তোমাকে কি যে বলব,সেটার ভাষা আমার জানা নাই,শুধু একটা কথাই বলব তোমাকে পেয়ে আমার জীবন ধন্য,তোমার মত স্ত্রী যেন বাংলার প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে হয়
–আর তোমার মত স্বামিও যেন,প্রতিটা ঘরে ঘরে থাকে
–আনিকা,এভাবেই আমার মেয়েটাকে ইসলাম শিখাবা৷
–হুম৷আর তুমিও আমার পাশে সব সময় থাকবা
-হুম
–আচ্ছা,আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবে?
–কোলে তো আদিবা
–তো কি হইছে?ধরবে কিনা বলো?
তারপর কি আর করার?আদিবাকে চকলেট দিয়ে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিলাম৷
আর আনিকাকে তখণ খূব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম”
একটূ পরই দেখতে পেলাম আদিবা আমাদের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে,তখন খেয়াল করলাম ও আমাদের দিকে দূ হাত বাড়িয়ে রাখছে,
আর বলছে
–আমালে নেও,আমালে নেও
ও বোঝাতে চাচ্ছে ওকে আমরা জড়িয়ে রাখি৷
ওর এমন কীর্তি দেখে আমি আর আনিকা দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলাম”
ভালো থাকুক এমন ভালোবাসাগুলো,আর ভালো থাকুক এমন ভালাবাসার মানুষগুলো৷
.
প্রতিটি মুসলিম ঘরে ,এক একজন মা হয়ে উঠুক এমন ইসলামী ধর্মপরায়ন৷,তাহলেই পুরো পরিবার হয়ে উঠবে ধর্মপরায়ন৷তবেই আসবে শান্তি,তবেই আসবে আল্লাহর রহমত৷ সুখি হোক প্রতিটা পরিবার৷ভালোবাসায় ভরে যাক সমস্ত পৃথিবী৷
.
.
#গল্পটা_নিয়ে_কিছু_কথা_ : গল্পটা লেখার প্রধান উদ্দেশ্য ২টা৷যথা,
১৷আমাদের সমাজে কেউ ইচ্ছা বা নিজ ইচ্ছায় কেউ পতিতা হয় না,তাদেরকে এই পেশায় আনতে আমাদেরই সমাজের মুখোশধারি কিছু হিংস্র জানোয়ার তাদেরকে বাধ্য করে৷
আর তখন নিরীহ নিষ্পাপ ফুল গুলো এমন একটা পর্যায়ে চলে যায়,তখন তারা আর সেই অন্ধকার পথ থেকে ফিরে আসতে পারেনা৷বা তাদেরকে ফিরে আসার জন্য কেউ হাত বাড়িয়ে দেয় না”
কিন্তূ এই সকল মানুষগুলো যে,একটূ ভালবাসা পেলে নিজেকে কতটা পরিবর্তন করতে পারে,সেটা হয়ত গল্পে কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি৷আর তাদের কে ভালবাসলে কখনই সেটা বৃথা যাবে না৷
আপনার আমার জীবনও হয়ে উঠতে পারে অনেক সুখের৷
একটা কথা মনে রাখবেন,বর্তমান সমাজে ওরা হয়ত সবার সামনে পরিচিত পতিতা,আর এমন হাজারও মেয়ে আছে,যারা ভদ্রবেশি পতিতা৷
যাই হোক ওই দিকে গেলাম না৷
সবাইকে একটা অনুরোধ,ওদের প্রতি সবাই সদয় হোন৷ওদেরকে ভালোবাসতে শিখুন৷
.
২৷বর্তমানে আমাদের সমাজে বেশিরভাগই মা ই ,তাদের ছেলে মেয়ে ,একটু কথা বলতে শিখলেই বা একটু বড় হলেই সন্তানদের আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে,তাদেরকে আধুনিক করে গড়ে তুলছে৷যেটা হয়ত তার জন্য একদমই ভালো না৷
তার দুনিয়া আর আখেরাতের কথা চিন্তা করে,তাকে ইসলামি শিক্ষা দিন,আল্লাহর কসম,আপনি নিজে ঠিক হয়ে যখন,আপনার সন্তান ইসলাম শিখাবেন!আল্লাহ তখণ আপনার পরিবারকে শান্তি আর ভালোবাসায় পরিপুর্ন করে দিবে৷