নেশালো সে পর্ব-১০

0
1841

#নেশালো_সে💖
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম💖

১০.

“আয়াফদের গাড়ি এসে থামলো চট্টগ্রামের একটা বিখ্যাত হোটেলের সামনে’!!তারপর আয়াফ আর আফিয়া দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে চলে গেল হোটেলের ভিতরে’!!এর মধ্যেই হোটেলের ম্যানেজার এসে হাজির ওদের সামনে’!!ম্যানেজার আয়াফকে দেখে বলে উঠলঃ

———-“কেমন আছেন স্যার!

“আয়াফ মুচকি হেঁসে বললোঃ

———–“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি….

————“এই তো চলছে স্যার,তা আপনাদের আসতে কোনো সমস্যা হয় নি তো স্যার….

————“একদমই না!

“ম্যানেজার আয়াফের পূর্ব পরিচিত’!!তাই তেমন কোনো প্রবলেম ছাড়াই ম্যানেজার আয়াফকে ওদের রুমটা দেখিয়ে দিলো’!!আয়াফও ম্যানেজারের কাছ থেকে চাবিটা নিয়ে বিদায় জানিয়ে হাঁটা ধরলো আফিয়াকে নিয়ে তাদের রুমের দিকে’!!অবশ্য ম্যানেজার আসতে চেয়েছিল ওদের সাথে!!কিন্তু আয়াফ বারন করেছে’!!তাই আর আসে নি’!!

“আয়াফ আর আফিয়া লিফটে উঠে পাঁচতলায় চলে গেল’!!কারন তাদের রুম পাঁচতলায়’!!পাঁচতলার তিন নাম্বার রুমে ঢুকেই আয়াফ বিছানায় তার গা এলিয়ে দিল’!!চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ তার’!!আর….

.

“অন্যদিকে আশেপাশে চারিদিকের রুমটাকে ঘুরে দেখছিলাম আমি’!!অসম্ভব সুন্দর একটা রুম’!!চারিপাশে অসম্ভব সুন্দর দেখতে সব ফার্নিচার’!!সাদা তুলতুলে নরম বিছানা’!!আমি হাঁটতে হাঁটতে একদম বেলকনির দিকে চলে গেলাম’!!পাঁচতলার বেলকনি থেকে নিচে তাকিয়ে আছি আমি’!!অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা’!!সারি সারি সব গাছপালা পেরিয়ে একটা বিশাল বড় সমুদ্র দেখা যাচ্ছে এখান থেকে’!!প্রকৃতি সত্যি খুব সুন্দর’!!

||

“বিকেল ৪ঃ০০টা…..

“আয়াফ তার কাজ সেরে হোটেলে চলেছে এসেছে এইমাএ’!!রুমে ঢুকেই দেখলো আফিয়া সাদা তুলতুলে নরম বিছানায় লেপ্টে ঘুমিয়ে আছে’!!চুলগুলো এলেমেলো ভাবে পড়ে আছে মুখে’!!চোখগুলোতে অসম্ভব মায়াবী লাগছে এই মুহুর্তে আয়াফের কাছে আফিয়াকে’!!আয়াফ তার ক্লান্ত মাখা মুখ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে আফিয়ার দিকে’!!আয়াফ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আফিয়ার দিকে’!!ঘুমন্ত ফেসটা একদম মায়া ভরা লাগছে’!!আয়াফ কিছুক্ষণ আফিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে ধরতে গিয়েও ধরলো না’!!তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে চলে গেল সে’!!এই মুহূর্তে চাইছে না সে আফিয়ার ঘুমটা নষ্ট হোক’!!আয়াফ মুচকি হেঁসে চলে যায়’!!

“বেশকিছুক্ষন পর…

“আয়াফ শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসল শুধু টাওয়াল পড়ে’!!চুলগুলো দিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে তাঁর’!!আয়াফ চলে যায় আয়নার সামনে’!!এমন সময় নড়েচড়ে উঠলো আফিয়া’!!বামদিকে ঘুমিয়ে ছিল সে এখন ডানদিকে হলো’!!আফিয়া একটু নড়ে উঠতেই আয়াফের আবার চোখ আঁটকে গেল আফিয়ার দিকে’!!আবারো সেই মায়াবী চোখ আয়াফকে পাগল করে দিচ্ছে’!!আয়াফ আবারো এগিয়ে যেতে লাগলো আফিয়ার দিকে’!!তারপর পাশে বসে বলে উঠল আয়াফঃ

———–“দিনে দিনে আমি যে তোমার প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছি মায়াবতী,আমায় সত্যি সত্যি পাগল বানিয়ে দিয়েছো তুমি সেই প্রথম দিন থেকে,এতদিন দূরে থেকে জ্বালিয়েছো আর এখন কাছে থেকে জ্বালাচ্ছো…..

“বলেই আফিয়ার মুখে ফু দিয়ে সামনের চুলগুলো সরিয়ে দেয় আয়াফ!!হাল্কা ঝুঁকে পড়ে আয়াফ আফিয়ার দিকে’!!তারপর আবারো বলে উঠল সেঃ

———-“খুব তাড়াতাড়ি তোমায় আমি আমার মনের কথা বলে দিবো “মায়াবতী”!তোমার নেশালো চোখ,নেশালো ঠোঁট, আর নেশালো মাতাল করা সেই ঘন কালো চুল….

”বলেই আফিয়ার চুলের গন্ধ নিতে শুরু করলো আয়াফ’!!তারপর বললোঃ

———-“দিনে দিনে তোমায় মায়ায় পড়ে নেশালো হয়ে যাচ্ছি যে মায়াবতী,,আর এই নেশা কাটিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করা দিনে দিনপ দায় হয়ে দাড়াচ্ছে যে “মায়াবতী”….

”এই রকম নানা কথা বলছে আয়াফ আফিয়ার সাথে’!!আর আমাদের ঘুমন্ত আফিয়া এতটাই ঘুমে ব্যস্ত এসব কথা তার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না!’

!!

“ঘুমের মধ্যে হর্ঠাৎই মনে হলো কারো নিশ্বাসের শব্দ বাজছে আমার কানে’!!কেউ অনেকক্ষণ যাবৎ কিছু একটা বলছে আমায়’!!কিন্তু ঘুম মামা এমন ভাবে আমাকে গ্রাস করেছে যে চোখ খুলতেই পারছি না’!!হর্ঠাৎই মনে হলো কেউ কপালে চুমু আঁকলো আমার’!!সাথে সাথে চোখ খুলে তাকালাম আমি’!!চোখ খুলতেই অবাক আমি কারন আমার সামনে কেউ নেই’!!তাহলে কি এতক্ষণ শুধু শুধুই ভুলভাল ভাবছিলাম’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল আমার সামনে থাকা সোফার দিকে’!! আয়াফ বসে বসে বসে খাবার খাচ্ছে’!!তার মানে আয়াফ চলে এসে শাওয়ার নিয়ে নিলো অথচ আমি টেরই পেলাম না’!!আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসলাম আমি’!!এরই মধ্যে আয়াফ বলে উঠলঃ

———-“তাড়াতাড়ি তৈরি হও আমরা বের হবো!

———–“কোথায়…

“সাথে সাথে একপলক তাকালো আয়াফ আমার দিকে’!!সাথে সাথে বলে উঠলাম আমিঃ

————“ওহ!বুঝতে পেরেছি গেলেই দেখতে পাবো!

“অবাক হয়ে তাকালো আয়াফ’!!আসলেই এটাই বলার ছিল তার!বুঝলো কেমনে….

_________________

“ঘড়ির কাঁটায় প্রায় ৫ টা বেজে ৩০ মিনিট এমন একটা সময়ে আয়াফ আর আফিয়া বের হলো’!!ব্লাক শাড়ি পড়েছে আফিয়া সাথে চুলগুলো খোলা,চোখে কাজল সাথে মুঠো ভর্তি করা ব্লাক কাঁচের চুরি হাতে সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে আফিয়াকে,আর আয়াফও ব্লাক শার্ট ব্লাক জিন্স, হাতে ব্লাক ঘড়ি আর চুলগুলো সুন্দর গুছিয়ে নিয়েছে সে’!!এক কথায় বলতে গেলে একদম পারফেক্ট কাপাল’!!দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো’!!তারপর দুজনেই বেরিয়ে গেলো হোটেল থেকে’!!আয়াফ হোটেল থেকে বেরিয়েই বললোঃ

———-“তাহলে যাওয়া যাক!

“আমি অবাক হয়ে বললামঃ

———-“গাড়ি কই!

“আয়াফ মুচকি হেঁসে বললোঃ

———–“গাড়ি নয় হেঁটে যাবো!

“আমি আবারো বেশ অবাক হলাম আয়াফের কথায়’!!যে ছেলে গাড়ি ছাড়া দু-মিনিট চলে না সে বলছে নাকি হেঁটে যাবে’!!আশ্চর্য তো!আমার ভাবনার মাঝে আয়াফ বলে উঠলঃ

———–“কি হলো চলো(হাত বারিয়ে দিয়ে)

“আজকে আয়াফের কাজে একের পর এক অবাক হচ্ছি আমি’!!তবে বিষয়টা খারাপ না’!!আমিও আর কিছু না ভেবে মুচকি হেঁসে আমার হাত বারিয়ে দিলাম আয়াফের দিকে’!!তারপর হাঁটতে হাঁটতেই বেরিয়ে পরলাম আমরা কোনো এক অজানা গন্তব্যে…….

||

“বেশকিছুক্ষন হাঁটার পরই আমরা পৌঁছে গেলাম চট্টগ্রামের বিখ্যাত সমুদ্রের কাছে’!!নাম ”সাগরিকা সমুদ্র সৈকত”!!অসম্ভব সুন্দর দেখতে একটা জায়গা’!!আমার তো দেখেই চোখ আঁটকে গেছে’!!বালির ভিতর দিয়ে হেঁটে চলেছি আমরা’!!তবে পায়ে জুতো থাকায় খুব একটা ভালো লাগছে না হাঁটতে’!!হুট করেই জুতা খুলে হাতে নিয়ে নিলাম আমি’!! আমার এমন কাজে আয়াফ অবাক হয়ে বললোঃ

———–“এটা কি করলে জুতো খুলে হাতে নিলে কেন?

———-“এইভাবে হাঁটতে ভালো লাগছে তো!

———–“কিন্তু পায়ে যে ময়লায় ভরবে তার বেলা…

———–“সেটা তো জুতো পড়েও লাগছিল….

————“তাই বলে…

————“আরে কিউট জামাই, একটু বালি লাগলে কিছু হবে না(আয়াফের গালে একটু বালি লাগিয়ে দিয়ে)

“এদিকে আয়াফ মুখে কিছু লাগতেই হকচকিয়ে উঠলো’!!তারপর সে বলে উঠলঃ

———–“এটা কি করলে…..

———–“কিছু করি নি তো!

“বলেই আমি দৌড়!আর আমার পিছন পিছন আয়াফও!!সময়টা প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসার কারনে তেমন কেউ নেই বলতেই চলে’!!যারা আছে তাঁরাও আমাদের থেকে অনেক দূরে!!তাই আমরা কি করছি সেটা তেমন কেউ খেয়াল করবে না……

||

“এদিকে একপর্যায়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আয়াফ ধরে ফেললো আফিয়ার হাত’!!আফিয়ার হাতের নাগাল পেতেই আয়াফ হাত ধরে দিলো টান সাথে সাথে আফিয়া এসে পরলো আয়াফের বুকের উপর’!!আয়াফ একটু ঝুঁকে বলে উঠল আফিয়াকেঃ

———“যা করেছো তার শাস্তি তো পেতেই হবে……

“আয়াফের কথা শুনে শুকনো ঢোক গিললো আফিয়া!না জানি আয়াফ কি করে তার সাথে’!!হাল্কা মিন মিন কন্ঠে বলে উঠলো আফিয়াঃ

———–“কি করবে তুমি….

———–“কি করবো!

“বলেই আয়াফ তার হাতে থাকা অল্প কিছু বালি লাগিয়ে দিল আফিয়াকে’!!আয়াফের কাজে আফিয়া পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!এভাবেই খুনশুটিতে কাটলো সন্ধ্যার মুহুর্তটা ওদের’!!

…….

“ঘড়ির কাঁটায় ৬ঃ৩০টা বেজে গেছে’ অলরেডি!!চারিদিকে মাগরিবের আযানও দিয়ে দিয়েছে’!!সমুদ্রের দিকে মুখ করে তাকালেই দেখা যাবে এখন সেই সুন্দর সূর্য্যিমামা অস্ত যাওয়ার দৃশ্য’!!সূর্য পুরো লাল বর্ন ধারণ করে ফেলেছে’!!যার জন্য সমুদ্রের পানিও দূর থেকে লাল দেখাচ্ছে’!!অপলকভাবে তাকিয়ে আয়াফ আর আফিয়া সেই মনোরম দৃশ্যের দিকে’!!আফিয়া আয়াফের হাত ধরে বললোঃ

———–“চলো সমুদ্রে পা ভিজিয়ে আসি….

“আয়াফও কিছু বললো না!!বেশকিছুক্ষন সমুদ্রের পানিতে পা ভিজালো আফিয়া’!!ততক্ষণে সূর্য্যি মামাও চলে গেছে অন্যদেশের দিকে’!!আয়াফ আফিয়ার কান্ড দেখে মুচকি হাসছে কারন আফিয়া বাচ্চাদের মতো লাফালাফি করছে’!!অল্পকিছুক্ষন পর আয়াফ বলে উঠলঃ

———–“এখন তাহলে যাওয়া যাক!

“অনিচ্ছা থাকা সত্বেও বলে উঠল আফিয়াঃ

———-“চলো’!!

“কিন্তু কথা হলো আফিয়া তার পা ভিজিয়ে ফেলেছে তাই আবার যদি বালির ওপর দিয়ে হাঁটতে যায় তাহলে আর হাঁটার মতো অবস্থায় থাকবে না আফিয়ার’!!পায়ের ভিতর টিপকে লেগে যাবে বালি’!!আর যেটা মটেও চাচ্ছে না আফিয়া!!কিন্তু কি আর করার এই মুহুর্তে’!!আফিয়া কিছুটা মনমরা হয়ে পা বাড়াতে যাবে তার আগেই আয়াফ তাকে কোলে তুলে নিলো’!!ঘটনাটা আচমকা হয়ে যাওয়াতে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে আফিয়া আয়াফের শার্টের হাতা খামচে ধরলো’!!হাসলো আয়াফ’!!তারপর আফিয়াকে আর একটু উঁচু করে ওর কানের কাছে নিজের মুখ নিয়ে বললোঃ

————“হাঁটতে চাইছো না সেটা বললেই তো হয়!

————“বলবো কেনো!আপনি বুঝে নিবেন (আয়াফের গলা জড়িয়ে ধরে)’!!

“আয়াফ অবাক হয় আফিয়ার কাজে পরক্ষণেই হেঁসে ফেলে আয়াফ’!!

__________________________________________

_______________________

“আয়াফ আফিয়াকে কোলে করে একটা ব্রিজের পর্যন্ত নিয়ে আসে যেটা চট্টগ্রামের “ঐতিহাসিক কালুরঘাট ব্রিজ” নামে পরিচিত!!খুব সুন্দর একটা ব্রিজ’!!রাতে আরো সুন্দর লাগছে’!!ব্রিজের নিচে সমুদ্রের পানি বয়ে চলেছে!!ব্রিজের বাম দিক দিয়ে হেঁটে চলেছে আয়াফ আর আফিয়া’!!রাত হওয়ার কারনে ব্রিজের ওপর দিয়ে জ্বলছে সারি সারি সব আলোকিত ল্যামপোস্ট!!যার মৃদু আলো একটু পর পর এসে পরছে আফিয়ার মুখে’!!তাদের পাশ দিয়ে ব্রিজের মাঝখান দিয়ে চলছে একের পর এক নানা রকমের গাড়ি’!!যা একবারও ওদের চোখ এড়াই নি’!!আফিয়ার তখন বেশ লজ্জা লাগছিল’!!আয়াফ তাকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে’!!অবশ্য সে বেশ কয়েকবার বলেছিল আয়াকে তাকে নামিয়ে দিতে’!!কিন্তু আয়াফ তা শুনতে নারাজ’!!এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল আফিয়ার’!!ফোনটা তুলে দেখলো তার মা ফোন করেছে’!!আফিয়া কিছু বলার আগেই আফিয়াকে নামিয়ে দেয়’!!আফিয়া আয়াফের কাছ মাএ দু’মিনিট দূরত্বে দাঁড়িয়ে ব্রিজে থাকা রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলো’!!

“আর আয়াফও বেশ আরাম করে দাঁড়ানো’!!প্রকৃতির এই শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাসের মজা নিচ্ছে সে’!!এমন সময় আয়াফের কাঁধে হাত রাখলো একটা মেয়ে’!!আয়াফ কারো হাতের স্পর্শ পেতেই পিছন ঘুরে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললোঃ

———-“তুমি…….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

🤍🤍🤍[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!!
আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!🥰]🥱🥱

#TanjiL_Mim♥️

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে