#নীড় #দ্বিতীয়_পর্ব
#সুহা
সারারাত নিজের ভিতরের চাপা আর্তনাদের যন্ত্রনায় দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি আনিক, বহু কষ্টে ফজরের নামাজের পর একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলো। কিন্ত দরজায় বিকট শব্দে তার ঘুম পুরোপুরি ছুটে যায়। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙায় বুক ধড়ফড় করছে তার। নাইমা দৌড়ে দরজা খুলতেই ঘরে প্রবেশ করলো আবির তার পিছু পিছু কয়েকজন লোকও ঢুকলো। লোকগুলো দেখতে মোটেও সুবিধার না। এভাবে লোকসহ আবিরের আগমন দেখেই আনিকের বুঝতে বাকি রইলো না যে কয়েক মুহূর্ত পরেই সে গৃহহীনা হবে।নাইমা আবিরকে জিজ্ঞাসা করলো –
কিরে আবির তুই এই সাত সকালে এত লোকজন কে নিয়ে এভাবে আইলি কেন? কী হয়েছে রে?(নাইমা)
এ বেশি কথা বলিস না চুপচাপ বের হ ঘর থেকে। আমি আমার জায়গা খালি করতে আসছি। চল বের হ!(আবির)
নাইমা আবিরের এহেন আচরণে স্তব্ধ হয়ে পরে। আর আনিক সে তোহ মূর্তি হয়ে গেছে। বহু কষ্টে নাইমা নিজেকে ধাতস্থ করে জিজ্ঞাসা করে –
এগুলো কী বলতাসিস তুই? আমাগো সাথে এমন আচরণ করতাসিস কেন? তুই তুই মজা করতাসোস তাই না বল? দেখ আমার এই মজা ভালো লাগতেসে না রে ভাই!(নাইমা)
এই চুপ কর, যত্তসব! কে রে তোরা তোদের সাথে আমি মজা করবো? এই দেখ দলিল কালকে রাত্রে তোর জামাই সাইন করলো না এটা সেই দলিল এখানে লেখা আসে এই পুরা জমি এখন আমার, তোদের কোনো ভাগ নাই। আর আমার জমিতে কোনো ছোটলোকের জায়গা হবে না যা বের হো।(আবির)
বলতে বলতে আবির নিজেই নাইমা আর আনিকেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলো আর লোকগুলো তাদের জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলে দিতে লাগলো। আনিক আর নাইমা অবাক হয়ে পড়লো। আবির এটা করতে পারলো!
ঘন্টার ব্যাবধানেই তাদের সব জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিলো এবং বাড়িতে ডুজার প্রবেশ করলো। ডুজার বাড়ির ভিতরে ঢুকলে নাইমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আনিক কে বলে
এই তুমি কিছু কও না কেন? আবির এগুলা কী করতেসে! আম …আমাদের এভাবে বাড়ি থিক্কা বের কইরা দিলো। এহন আবার বাড়ি ভাঙ্গার গাড়ি লইয়া আইসে।ওই কিসু কও না।(নাইমা)
আনিক নিরুত্তর রইলো। তার নীরবতা দেখে নাইমা দৌড়ে আবিরের সামনে গিয়ে বললো –
ভাই ভাই তুই এগুলা কী করতাসোস? বড় ভাই এর লগে কেউ এমন করে? ভাই না আমার এমন করিস না তোর দুইডা পা ধরি।(নাইমা)
বলতে বলতে আবিরের পা জড়িয়ে ধরে নাইমা। কিন্ত এতে আবিরের ব্রুক্ষেপ হয় বলে মনে হয় না, উল্টো তাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়।
আনিক এবার মুখ খুললো- আবির! এসব কী যেই ভাবি তোরে মায়ের মতো রাখসে তারে তুই?
এই চুপ ফক্কিনীর দল তামাশা করতেসিস বের হো আমার বাড়ি থেকে।(আবির)
কী বেপার আবির এরা এখনো এখানে কী করে? ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করো এদের। উপর থেকে অনিমা চিল্লিয়ে বলে উঠলো।
আনিক এবার নাইমা কে তুলে দার করিয়ে বললো –
চলো বৌ আমরা আর এখানে থাকমু না।আমি যে আমার ভাই এর বোঝা হয়ে গেসিলাম বৌ। তার যোগ্যতার সাথে যে আমি তাল মিলাইতে পারতাম না। তাই আমারেই সে তার জীবন থেকে সরায় দিলো। তুমি কষ্ট নিয়ো নাহ তো আমি একটা না একটা ব্যবস্থা করেই নিমু। আপাতত চলো তোমারে তোমার বাপের বাড়ি রাইখা আসি, একটা ব্যবস্থা করতে পারলেই তোমারে নিয়ে আসমু।
আর তুমি? তুমি কই থাকবা? একটা ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত তোহ তোমারো তোহ থাকার জায়গা লাগবো।
আমি? আমি পইড়া থাকমু নে কোনো ফুটপাথ কিংবা ব্রিজে। আমার আর থাকা!
কোথাও যামু না আমি। তোমার সাথেই থাকমু যদি তুমি রাস্তায় থাকো রাস্তাতেই থাকমু তাও তোমারে একা সারমু না।
কেন? সবাই আমারে ছাইড়া চইলা গেসে তুমি কেন পারবা না? আমারে এত মায়া কইরা কী পাইবা? কিসুই তোহ দিতে পারলাম না তোমায় আজকে তোহ অপমান হইয়া ঘরছাড়াও হইলা আমার জন্য। পরেও এত মায়া আমার লাইগা?
তুমি যে কোন বিরল হীরা তা মানুষ না চিনলেও আমি চিনি তাই তোমারে কোনোদিন ছাড়তে পারমু না আমি। আর আমি বেঈমান না বুঝলা?
নাইমার কথায় এত কষ্টের মাঝেও যেন এক প্রশান্তি অনুভব করলো। শেষবারের মতো নিজের সেই টিনের চালের ঘরটাকে টাকে দেখে নিলো যা কয়েক মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপ এ পরিণত হবে।এই ঘরের সাথে যে তার বাবা-মায়ের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই তোহ এই ঘরটাকে কখনো পরিবর্তন করেনি কিন্ত ভাগ্যর কী নির্মম পরিহাস এই ঘরটাই রইবে না আজকের পর।
জিনিসপত্র বলতে যা ছিলো তাদের তা অর্ধেকই ভেঙে গেছে। যা যা নেয়ার মতো ছিলো তাই গুছিয়ে নিয়ে নিলো।
অতঃপর সামনের দিকে দৃষ্টি ফেলে নাইমার হাত ধরে পাড়ি দিলো এক অজানার পথে। যেখানে অপেক্ষায় আছে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। যেখানে হয়তো সৌভাগ্য তাদের নিয়ে যাবে নতুন এক দিগন্তে নয় দুর্ভাগ্য ঠেলে দিবে নিকষ কালো আঁধারে।
১৫ হাজারের চেয়ে এক টাকাও কম নিমু না মিয়া। থাকলে থাকো নয়তো যাও কানের কাসে প্যান প্যান কইরো না। বলেই মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো লোকটা।
আনিক একবার শুকনো মুখে তাকালো নাইমার দিকে অতঃপর পূর্ণরায় ছুটলো নতুন করে ঘর খুঁজতে। কিন্তু এই ব্যস্ত শহরে ঘর পাওয়া কী এতোই সোজা!একদমই না!কিন্ত তবুও খুঁজতে হবে জীবন নামক এই যুদ্ধে সংগ্রাম করতেই হবে।
ঠান্ডা লাগতেছে বৌ?
একটু বেশি না তুমি টেনশন লইয়ো না, চলো চলো আমরা বাড়ি খুজি।
বাড়ি পাইয়াই যামু এত্ত তাড়াহুড়া করা লাগবো না আসো এইহানে বসো। ব্যাগ থিক্কা গরম কাপড় বাইর কইরা পরো।আমি সামনের দোকান থিক্কা চা আনি দুইজন খাইয়া লই সেই দুপুরে একটু পাউরুটি খাইসিলাম এখন প্রায় আন্ধার নাইমা আইসে।
নাইমা মাথা নাড়িয়ে সায় জানিয়ে রাস্তার ধরে বসে পরে। আনিক চা নিয়ে আসলে দুজন খেয়ে নেয়, অতঃপর পূর্ণরায় নেমে পরে ব্যাস্ত রাস্তায় অজানার উদ্দেশ্য।
নিশুতি রাত চারিদিকে ঘন আঁধার পুরোনো একটা ভাঙা-চূড়া ঘরে শুয়ে আছে আনিক আর নাইমা। বহু কষ্টে এই ঘরটি ভাড়ায় পেয়েছে তারা। একেতো মাসের মাঝামাঝিতে ঘর ভাড়া পাওয়া মুশকিল তার উপর হাতটান সব মিলিয়ে যেমন ঘর পেয়েছে এতেই তারা সন্তুষ্ট। আপাতত কোনোমতে থাকার হালত করে নিয়েছে ঘরটাকে পরে ধীরে ধীরে সব করবেই।
আবির আর অনিমা আজ বাড়িতে পার্টি করছে।বেশ বড়োসড় আয়োজনই করেছে তাদের এতদিনের উদ্দেশ্য সফল হলো বলে কথা! পুরো ঘরময় রঙীন বাতি জ্বলছে এর ভিতরেই সবাই নিজ উল্লাসে গানের তালে নাচতে মগ্ন।প্রায় সবার হাতেই দেখা যাচ্ছে আকর্ষণীয় নকশাযুক্ত মদের গ্লাস। মোট কথায় পুরো পার্টিটাই অশ্লীলতায় পূর্ণ।
অনিমা বেবি আজ আমাদের পথের সবচেয়ে বড় কাটা দূর। We ar now free baby!
হা হা হা Right. এতদিন ওই ফোকিন্নিদের দের জ্বালায় বিরক্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখন আর কোনো জ্বালা নেই। Let’s enjoy!
মিউসিক আরও লাউড করো!
হো……. ( সমস্বরে চিৎকার)
বাজার করতে যাইতেসি কিছু লাগবো তোমার?
নাহ কিছু লাগবো না, আর বাজার ও যা পারো তাই আইনো বেশি খরচ করা লাগবো না।
আনিক নাইমার দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসি দিয়ে মাথা নাড়িয়ে সায় জানায় অতঃপর বেরিয়ে পরে।
কিগো নতুন ভাড়াটিয়ার বৌ আসো নি?ভিতরে আসমু
আরে কাকিমা যে আসেন আসেন। আপনাগই তোহ ঘর-দুয়ার।আপনাগো আবার জিজ্ঞাসা করা লাগে নাকি?
আমগো ঘর-দুয়ার তোহ কী এহন এনে তোমরা থাকো তাই তোমাগো মতামত দরকার। বুঝলা বৌ আমারা গরিব হইলেও অসভ্য না। আমাগো বাকি বাড়িওয়ালার মতো এমন শয়তান মনে কইরো না।আইচ্ছা যা কইতে আইসিলাম তোমাগো এই ভাঙ্গা ঘরে থাকতে কষ্ট হয় না? কী করমু কও আমরাও বুঝি কিন্ত আমাগো যে এত সামর্থ নাইগো। পোলা মাইয়া সবগুলারে খাইয়া না খাইয়া পড়ালেহা করাইসি যোগ্য বানাইসি এখন আর আমগোই চিনে না। নিজেগো মতন নিজেরা থাকে, আগে তাও কয়ডা টেহা দিতো এহন তাও দেয় না। এই ভাঙ্গা ঘরটা ভাড়া দিয়া যা পাই তাতেই কোনো মতে দিন পার করি। তাও আইজ প্রায় ৬ মাস খালি পইড়া সিলো মাইনষের তন চাইয়া চাইয়া দিন চালাইতাম।
নাইমার চোখ অশ্রুতে টইটুম্বুর করতে লাগলো। আনিক ও তোহ আবিরকে এভাবেই নিজের সুখ আনন্দ উৎসর্গ করে যোগ্য তৈরী করলো। প্রতিদানে কী পেলো এক রাশ অপমান! এসব ভেবেই নাইমার ভিতরটা কেঁপে উঠলো। আচ্ছা তার নিজের এত কষ্ট লাগছে তোহ মানুষটার কী অবস্থা! মানুষটা বাইরে থেকে স্বাভাবিক দেখালেও তার ভিতরে কী তোলপাড় চলছে তা কল্পনাতীত।
অনেকক্ষন ধরেই বাজারে ঘুরছে আনিক কিন্ত ভালোমতো কিছুই কিনতে পারছে না। কোথাও ভালো জিনিস পেলে তার দাম বেশি আবার দাম কম হলে জিনিস ভালো না তাও টুকিটাকি যা পারছে কিনছে। বাজার করার এক পর্যায়ে মানিব্যাগ খুলে টাকা গুনে দেখলো মাত্র ৩৫০০ টাকা আছে এদিকে মাসের আরও ১৫ দিন বাকি। এই টাকা দিয়ে এখনো আরও কত খরচ বাকি, কিভাবে কী করবে ভাবতেই একটা দীর্ঘশাস ফেলে যতটুকু বাজার করেছে তা নিয়েই ছুটলো বাড়ির পথে।
পথিমধ্যে দেখলো অনেক লোকের ভীড় জমে আছে। কৌতূহলবশত ঐদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখলো এক বৃদ্ধ লোক রাস্তায় পরে হাঁসফাঁস করছে, অনেক লোকেরই ভীড় জমা হয়ে থাকলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসলো না। সে দৌড়ে গিয়ে লোকটিকে ধরলো অতঃপর হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করলো।
পেশেন্ট আপনার কী হয়?
না আমার কেউ হয় না তোহ। আসলে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পরে সিলেন তোহ আমি তারে নিয়ে আসলাম। উনি উনি ঠিক আসেন তোহ?
ওহ আচ্ছা না না তেমন কিছু হয় নি। শুধুমাত্র গরমে হিট স্ট্রোক করেছিলেন। স্যালাইন দিয়ে দিয়েছি কিছুক্ষন আরাম করলে ঠিক হয়ে যাবেন।
জি আচ্ছা তোহ আমায় কত টাকা দিতে হবে? মানে কত………
ওটা আপনাকে নার্স বলে দিবে যান।
জি আচ্ছা।
আপনার পেশেন্ট এর ৩০০০ টাকা বিল এসেছে।
জি আচ্ছা, বলে মানিব্যাগ থেকে ৩০০০ টাকা বের করে জমা দিলো আনিক। যদিও এই টাকাটা তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কিন্তু এখন এটা এখানে খরচ করাটা বেশি দরকার।
আচ্ছা আপা উনি তোহ এখনো উঠলেন না আমার বৌ বাসায় একলা অপেক্ষা করতেসে আমি কী যাইতে পারমু।
উনি কখন উঠবে তা তোহ বলতে পারছি না কিন্তু উনি আপাতত সুস্থ আছে। যেহেতু উনি আপনার পরিচিত নন তোহ আপনি চাইলেই চলে যেতে পারেন। উনি উঠলে ওনার পরিবারের লোকেদের সাথে যোগাযোগ করে নিবে।
জি তাইলে উনি যদি আমায় খুঁজেন তোহ এই কাগজটা দিয়ে দিয়েন? এখানে আমার নাম, নাম্বার দেয়া আসে।
নার্সটি হেসে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। অতঃপর আনিক বেরিয়ে পরে হাসপাতাল থেকে। অনেক দেরি হয়ে গেলো নাইমা অপেক্ষায় আছে তার।
কিগো এত দেরি করলা কেন? রাস্তায় কোনো বিপদ-আপদ হইলো নাকি? তুমি তুমি ঠিক আসো তোহ?
নাইমাকে উদ্বিগ্ন হতে দেখে আনিক হালকা হেসে নাইমাকে সহ ভিতরে ঢুকে বললো –
আরে আরে ঠিক আসি আমি রাস্তায় একটা দরকারে পরে গেসিলাম যে তাই দেরি হইলো। অতঃপর নাইমাকে সব খুলে বললো আনিক।
আচ্ছা তোহ আমি এখন যাই রান্না করি কেমন? এমনিতেই অনেক দেরি হইয়া গেসে।
হুম যাও।
নাইমা রান্না করার জন্য বাজারের ব্যাগ খুলে এক এক করে জিনিস বের করতেই বুঝতে পারলো প্রায় অনেক কিছুই নেই। কিন্ত কিছুই বললো না কেননা সে ভালো করেই জানে লোকটার যে হাতটান পড়েছে। পরবেই বা না কেন এতদিন মাথার উপর স্থায়ী ছাদ ছিলো তাই যা কামাই করতো মোটামোটি দিন চলে যেত কিন্ত এখন যে মাথার উপরের ঠাই টার জন্যও খরচ পোহাতে হচ্ছে। অতঃপর দীর্ঘএকটা শ্বাস ফেলে কোনোমতে যা আছে তা দিয়েই রান্না শুরু করে।
দুপুরে আনিক খেতে বসলে নাইমা হাসিমুখেই খাবার বাড়তে থাকে। আনিক জানে আজকের যা বাজার আনা হয়েছে তাতে নাইমার রান্না করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিছুটা লোজ্জিত কণ্ঠে বলে উঠলো সে –
আজকে রানতে অনেক কষ্ট হইসে তোমার তাইনা বৌ? এই কয়ডাদিন একটু কষ্ট করো পরে আস্তে আস্তে সব ঠিক কইরা লামু।
তুমি এমন কইরা কইয়ো না গো।আমি জানি একদিন আমাগো এই কষ্ট তুমি দূর করবাই। আমার কোনো কষ্ট হইবো না আমি সব সামলায় নিমু।
আনিক মৃদু হেসে খাবার নাইমার মুখের সামনে ধরলে নাইমাও খুশি মনে খেয়ে নেয়। কে বলে ব্যাংক ভর্তি টাকা আর ঘর ভর্তি খাবার থাকলেই মানুষ সুখী? একটু ভালোবাসা আর একটু চলার অন্ন মুখে দিতে পারলেও মানুষ সুখী হয়। সুখ জিনিসটাকে যে সংজ্ঞায়িত করা বড়োই কঠিন কাজ!
চলবে …………