নীল ডায়েরির সেই মেয়েটি পর্ব-১৯

0
670

#নীল_ডায়েরির_সেই_মেয়েটি
#আরদ্ধিতা_রুহি
#পর্বঃ১৯

🍁

পরের দিন সকালে,, বুকের মধ্যে ভারী কিছু অনুভব করতেই আঁধারের ঘুম ছুটে যায়। ভ্রুকুঁচকে চোখ খুলতেই আরোহীকে বাচ্চাদের মতো তার বুকে গুটিশুটি মেরে ঘুমাতে দেখেই আঁধারের মন ভালো হয়ে যায়।

কালকে যখন আরোহীকে কোলে তুলে নিয়ে রুমে এসেছিলো,তখন আরোহী একদম নিশ্চুপ হয়েই ছিল! আঁধার আরোহীকে নামিয়ে দেওয়ার পর পরই আরোহী ওয়াশরুমে চলে গিয়েছিল, প্রথমে আঁধার অবাক হলেও পরে আরোহীকে কিছুক্ষণ একা থাকতে দেওয়া উচিত ভেবেই বাহিরে চলে গিয়েছিল।

পরে সোহেলদের সাথে আড্ডা দিতে দিতেই রাত হয়ে যায়।বাসায় আসার পর আরোহীকে আর রুমে আসতে দেখেনি।আরোহীর বাবা মা বিকেলের দিকেই চলে গিয়েছে।

আরোহী আঁধারের মায়ের রুমেই ছিল, শাশুড়ী বউমা মিলে কিসের জানি সিরিয়াস আলোচনা করছিলো।তাই আর কিছু বলেনি!আর বিরক্ত ও করেনি, কিন্তু আঁধার আরোহীর আসার অপেক্ষা করছিলো মূলত আরোহীকে কিছু কথা বলতে চেয়েছিলো।কিন্তু আরোহীর আসার আর সময় হচ্ছিল না তাই আঁধার কখন ঘুমিয়ে যায় বুঝতেই পারে না।

আঁধার হাসি মুখে আরোহীর কপালে একটা চুমু দেয়, আরোহী খানিকটা নড়ে ওঠে! আঁধার এবার আরোহীর বাম গালে একটা চুমু দেয় আবার আরোহী কিছুটা নড়ে ওঠে। আঁধার যেনো এতে অনেকটাই মজা পায় তাই সে আবার আরোহীর বাম গালে একটা চুমু দেয় আরোহী ঘুমের মাঝেই বিরক্ত হয় ।

আঁধার হেসে ফেলে আরোহীর কান্ডে, আর বিরক্ত করে না তাকে। আসতে করে বালিশে শুয়ে দিয়ে চোখমুখে একটা ফুঁ দেয় আরোহী বিরক্ত হয়ে উল্টো দিকে ঘুরে যায়।আঁধার এবার শব্দ করেই হেসে উঠে, আর বিরক্ত করে না কিন্তু আরোহীকে বিরক্ত করতে তার অনেক মজাই লাগছিলো। টাওয়াল নিয়ে হাসতে হাসতেই ওয়াশরুমে ঢুকে যায় সে।

ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ও আরোহীকে ঘুমাতে দেখে কফি নিয়ে আসে উঠিয়ে সকাল বিলাস করবে, আরোহীর সাথে ভেবেই বেরিয়ে যায় কিচেনের উদ্দেশ্যে।

কিচেনের কাছাকাছি যেতেই টুংটাং আওয়াজে ভ্রুকুঁচকে যায় আঁধারের! ড্রয়িং রুমের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৭:১০ বাজে।আর এতো সকালে তো কেউই উঠে না, তাহলে কিচেনে কে? ভাবতে ভাবতেই এগিয়ে যায় আঁধার, হঠাৎ কিচেনের দরজায় চমকে দাঁড়িয়ে যায় সে।শুধুই চমকে নি একদম ভূত দেখার মতো চমকে গিয়েছে সে।

–‘কিছু লাগবে ভাইয়া?’

আলিশার কথা শুনে আরও বেশি অবাক হয়ে যায় আঁধার। এতো সকাল সকাল রান্না করছে আলিশা আবার তাকে ভাইয়া বলেও ডাকছে! আসলে সে কি সত্যিই দেখছে নাকি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছে?

–‘ভাইয়া, এই নিন!’

আঁধারের অবাক হওয়ার মাত্রা আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আলিশা একটা কফির কাপ আঁধারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে।

আঁধার এবার ভ্রুকুঁচকে তাকায় একবার আলিশার দিকে তো একবার তার বাড়িয়ে দেওয়া কফির দিকে! আলিশা উৎসুক দৃষ্টিতে আঁধারের দিকে তাকিয়ে আছে, মূলত আঁধার কি করে সেটাই দেখতে চাচ্ছে। আঁধার নিজের অবাকের মাত্রাটাকে প্রকাশ না করেই কফির কাপটা হাতে নিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে,,,

–‘থ্যাক্স,আর এক কাপ কফি দাও!’

আঁধারের কথাশুনে আলিশা খুশি হয়ে যায়,খুশি মনে আর একটা মগে কফি ঢালতে ঢালতে বলে,,,

–‘আরোর জন্য নিশ্চয়ই আর একটা কফি রাইট!’

–‘হুম!’

আলিশার হাসি মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে আঁধার।

আলিশা হাসি মুখে কফির মগটি এগিয়ে দিয়ে বলে,,

–‘কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতাম ভাইয়া!’

আঁধার ভ্রুকুঁচকে তাকায়। আলিশা উত্তরের অপেক্ষায় চেয়ে আছে তার পানে, বিরক্ত হয় আঁধার কিন্তু মুখে বলে,,

–‘হুম!’

–‘আসলে ভাইয়া আমি কালকে আরোহীর প্রতি সবার বিশ্বাস দেখার জন্যই আরোহীকে দোষারোপ করেছিলাম, তার জন্য আই এ্যাম এক্সট্রেমলি সরি!’ আমি জানি আপনি হয়তো আমার কথাগুলো শুনে অবাক হচ্ছেন, হওয়ারই কথা! তবে কালকের পর থেকে আমি মন থেকেই দুঃখিত, আমি অনেক ভুল করেছি জানি কিন্তু আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। আমার ভুলের জন্য হয়তো কেউ আমায় মাফ করবে না তবে আমি সবার সাথে নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চাই। নিজেকে শুধরে নিতে চাই ভাইয়া, আমায় কি একটা সুযোগ দেওয়া যায় না। আই প্রমিস কখনো কাউকেই আর অভিযোগের সুযোগ দিব না। আমি আপনাকে ও বড় ভাইয়ের মতো সন্মান করবো!

মাথা নিচু করে চোখের জ্বল ফেলতে ফেলতেই কথাগুলো বলে আলিশা।আঁধার আলিশার থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আলিশার কথাগুলো শুনে তার মনে হচ্ছে যে আলিশা সত্যি বলছে। কিন্তু এতোকিছু করার পর আসলেই কি আলিশা নিজেকে বদলিয়ে নিতে চায়? আঁধারের থেকে উত্তর না পেয়ে আলিশা চোখ মুছে আঁধারের দিকে তাকায়।

আলিশার মাথায় হাত রাখে আঁধার, আলিশা অবাক হয়ে যায়। আঁধার মুচকি হেসে বলে,,,

–‘আদর উঠেছে?’

–‘না ভাইয়া আসলে!’

–‘থাক আর কিছু বলার দরকার নেই, তুমি ওকে উঠিয়ে নিয়ে একদম ছাদে নিয়ে আসো ঠিক আছে!’

আঁধারের কথা শুনে আলিশা অবাক হয়। আলিশাকে অবাক হতে দেখে আঁধার মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলে,,

–‘অবাক হওয়ার কিছু নেই, বড় ভাই বলেছো যখন তখন বড় ভাইয়ের সব কথা মানতে হবে তো!’

আলিশা তাকায় আঁধারের দিকে, কিন্তু যখন আঁধারের কথার মানে বুঝতে পারে নিজেও হেসে মাথা নাড়িয়ে বলে,,

–‘হুম ঠিক আছে!’

আঁধার মুচকি হেসে চলে যায়। আরোহী আঁধারকে যেতে দেখেই আড়াল থেকে বের হয়, এতোক্ষণ সে আঁধার আর আলিশার কথাগুলোই শুনছিলো! আঁধারকে বের হতে দেখে আড়ালে লুকিয়ে পড়ে সে, কারণ সে চায় না এইসময় আঁধার তাকে দেখুক।

আরোহীর চোখ মুখে আজকে আর অন্যদিনের মতো সন্দেহের আভাস নেই, আঁধার যে আলিশাকে পছন্দ করে না সেটা সে বুঝতে পারছে কালই। তবে এতোকিছুর পরও যে আঁধার আলিশাকে সহজে ক্ষমা করে দিবে সেটা আরোহীর ভাবনার বাহিরে ছিলো।

মুচকি হেসে আরোহী আলিশার দিকে তাকায়, তার বোনটা হয়তো এবার সত্যিই অনুতপ্ত কিন্তু আবার যদি আগের মতো ভালো মানুষের নাটক করে কথাটা ভাবতেই আরোহীর হাসি মুখ চুপসে যায়।সত্যিই কি আলিশা নিজেকে বদলাতে চায়, নাকি অন্য কিছু! এরইমধ্যে আলিশা আরোহীকে দেখে ডাকে,,,

–‘আরে আরো ওখানে কি করছিস এদিকে আয়?’

আলিশার ডাকে আরোহীর হুস ফিরে,মনে মনে ভাবে ডাকছে কেনো! এগিয়ে গিয়ে আলিশার কাছে এসে দাঁড়ায়। আলিশা মিষ্টি হেসে বলে,,,

–‘তুই নিচে কি করছিস, ভাইয়া যে কফি নিয়ে উপরে গেলো তোর জন্য!’

–‘হ্যা আমি ও উপরেই যাব তবে তোকে কিচেনে দেখে অবাক হয়েছিলাম আর কি।’

আরোহীর কথায় আলিশা আরোহীকে জড়িয়ে ধরে বলে,,

–‘হ্যা, এখন থেকে আমিই রান্না বান্না করবো বুঝলি!’ তুই আমায় সাহায্য করবি না?

–‘করবো না কেনো অবশ্যই করবো!’

হেসে বলে আরোহী। আলিশার আরোহীর কথা শুনে মন খারাপ হয়ে যায়,,,এতো কিছু করার পরও এরা সবাই কতো ভালো ব্যাবহার করছে ওর সাথে আর ও কি না এদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছে, কষ্ট দিয়েছে! আর আরোহীকে তো সে নানান ভাবে অপমান করতে ও ছাড়েনি,সেসব ভেবেই কেঁদে ফেলে আলিশা!

আরোহী হঠাৎ করেই আলিশার কান্না দেখে ভরকে যায়।

–‘কি হলো আপু, তুই কাঁদছিস কেনো?’

আরোহীর কথা শুনে আলিশা আর নিজেকে সামলাতে পারে না, আরোহীকে জড়িয়ে ধরেই হুহু করে কেঁদে উঠে। আরোহী কি করবে ভেবে পায় না,,,

–‘আমায় ক্ষমা করে দে আরো,আমি তোর সাথে এতোদিন অনেক অন্যায় করেছি!’ তুই আমায় ক্ষমা করে দে বোন, আমি যে এতো পাপ আর অন্যায়ের বোঝা নিতে পারছি না রে। তোর সাথে আমি এতো অন্যায় করার পরও তুই আমায় সবসময় আগলিয়ে রেখেছিস, আমার সাথে ভালো ব্যাবহার করেছিস! আমায় ক্ষমা করে দে আরো, আমি ও নতুন করে বাঁচতে চাই সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চাই।

এরই মধ্যে আলিশার কান্নারত অবস্থায় বলা কথা গুলো শুনে আলিশাকে জড়িয়ে ধরে আরোহী।আলিশার চোখের জ্বল মুছিয়ে দিয়ে বলে,,,

–‘আমি সেসব কিছুই মনে রাখিনি আপু,তুই ও ভুলে যা!’ নতুন করে সব কিছু শুরু কর আমি তোর পাশে আছি।

আরোহীর কথা শুনে আলিশার মনটা হালকা হয়ে যায়, তবুও অপরাধ বোধ যায় না! এই ছোট মেয়েটাই তাকে বলছে সে তার পাশে আছে কিন্তু আমি কি কখনো তাকে বলেছি যে আরো আমি তোর পাশে আছি। ভেবেই আলিশা মাথা নিচু করে নেয়!

আরোহী আলিশাকে বলে এবার,,,

–‘আপু তুই আমায় ক্ষমা করে দে প্লিজ, আমি ছোট হয়ে তোর গায়ে হাত তুলেছি!’ আমি..

আরোহীকে আর কিছু বলতে না দিয়েই আলিশা বলে,,,

–‘ধুর পাগলি আমি কিছু মনে করিনি রে,আমি ভুল করেছিলাম তাই তুই প্রতিবাদ করেছিস মন খারাপ করিস না!’ আমি ও তো তোকে কতো কিছু খারাপ খারাপ কথা বলছিলাম।

–‘আচ্ছা বাদ দাও তো, আজকে চলো একসাথে রান্না করবো!’

আরোহীর কথা শুনে আলিশা হেসেই বলে,,

–‘আমি তো সকালের ব্রেকফাস্ট বানিয়ে ফেলেছি রে! ‘

–‘তো কি হয়েছে দুপুরেরটা একসাথে করবো কেমন!’

আলিশা মাথা নাড়ায়।

এতোক্ষণ উপর থেকে দু বোনের দিকে তাকিয়ে ছিলো আঁধার।আরোহীকে রুমে না দেখে খুঁজতে এসেছিলো আঁধার কিন্তু উপর থেকে নিচে আসতেই দু’বোনের দিকে নজর যায় তার। আলিশার সাথে আরোহীর সবকিছু স্বাভাবিক হতে দেখেই মুচকি হেসে ঘরে চলে যায় সে।

কিছুক্ষণ পরেই আরোহীর উদ্দেশ্যে ডেকে ওঠে আঁধার। আলিশা আরোহীকে বলে,,

–‘চল তুই ও ঘরে যা,আমিও যাই! ‘

আরোহী মাথা নাড়িয়ে বলে,,

–‘চলো!’

আরোহী রুমে ঢুকতেই আঁধারকে দেখতে পায় না তাই সরাসরি বেলকনিতেই চলে যায়।আঁধার আরোহীকে পাশে বসতে বলে,আরোহী খুশি মনে পাশে বসে পড়তেই কফির মগটা এগিয়ে দেয় আঁধার। আরোহী হাতে নিয়ে একবার চুমুক দিয়ে আঁধারের দিকে তাকায়, আঁধার আরোহীর মুখের দিকেই তাকিয়ে আছে। আরোহী অস্বস্তিতে পড়ে যায়, আঁধার ঠোঁট কাঁমড়ে হাসে।

হুট করেই আরোহীর হাত থেকে কফির কাপটা নিজের হাতে নেয় আঁধার। আরোহী ভেবাচেকা খেয়ে যায়! আঁধার কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে আরোহীর দিকে এগিয়ে দেয়। আরোহী অবাক হয়ে যায়,,,

–‘এই আপনি আমার খাওয়া কফিটা খেলেন কেনো?’

–‘কেনো খেলাম জানতে চাও নাকি?’

ঠোঁট কাঁমড়ে কথাটা বলে আঁধার। আরোহী বিরক্ত হয়ে বলে,,

–‘জানতে না চাইলে নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করতাম না তাই না!’

আরোহীর আর একটু কাছে এগিয়ে গিয়ে বসে আঁধার! আরোহী একটু অবাক হয় তবে প্রকাশ না করেই সরে বসে একটু।

আঁধার বাঁকা হেসে আর ও একটু এগিয়ে যায়, আরোহীর অসস্তি যেনো আরও কয়েকগুন বেড়ে যায়।আর একটু সরে বসলে হয়তো পড়েই যাবে সে, মনে মনে ভাবে এবার এগিয়ে আসলে উঠে দাঁড়িয়ে যাবে সে। কিন্তু তার ভাবনা আর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না তার আগেই আঁধার তার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে।

আরোহী ভয়ে কাঁপতে শুরু করে, আর তার হাতের কফির মগের কিছু গরম কফি আঁধারের হাতে ছিটকে পড়ে। সামান্য আর্তনাদ করে ওঠে আঁধার, কিন্তু আরোহীকে ছাড়ে না! আরোহী আঁধারের আর্তনাদ শুয়ে তড়িঘড়ি করে তার হাতের দিকে তাকায়।কফির মগের প্রায় অনেকটা কফিই লোকটার হাতে ছিটকে পড়েছে কিন্তু তাকে দেখো নির্বাক হয়ে এক হাত দিয়ে কোমড় চেপে ধরে আছে।

–‘একি আপনার হাত তো পুড়ে গিয়েছে, দেখি ছাড়ুন!’

আরোহীর কথাতে আঁধারের কিছু যায় আসে বলে মনে হলো না, সে তো নির্বাক হয়েই আরোহীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

–‘কি হলো ছাড়ুন!’ জ্বালা করছে তো?

–‘প্রতিবারেই নিজে ব্যাথা দিয়ে নিজেই সারিয়ে দেন মিসেস চৌধুরী!’

আঁধারের কথা শুনে আরোহীর ভ্রু আপনা আপনি কুঁচকে যায়,,,

–‘এখানটায় ব্যাথা হচ্ছে মিসেস চৌধুরী, এখানের ব্যাথাটা কিভাবে সরাবেন?’

আরোহীর হাত থেকে কফির মগটা নিয়ে রেখে দেয়, আর আরোহীর হাতটা তার বুকের বাঁ পাশে রেখে কথাটি বলে আঁধার। আরোহী সামান্য লজ্জা পায়, কি করবে ভাবতে পারে না!

–‘আরো মা কোথায় তোরা!’

মিসেস আঁকলিমা চৌধুরীর গলা শুনে দু’জন দু’দিকে ছিটকে সরে যায়, এর আগের সেই ঘটনার জন্য এখন ও লজ্জা পায় আরোহী আঁকলিমা চৌধুরীকে দেখলে কিন্তু তিনি তো সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিয়েছেন। বুঝিয়েছেন তবে আরোহী কেনো জানি না এখন ও লজ্জা পায় সেটার উত্তর তার নিজের কাছেই নেই।

#চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে