নীলপরী (পর্ব ০৬)
#শান্তনা_ইসলাম
·
·
·
নীলঃঃযদি না আসো তাহলে কিন্তু খুব রাগ করবো,,,,কস্ট পাবো,,আ জিবনে কথাও বলবোনা,,
পরী মেছেজ করলো নীলকেঃঃহয়ছে,থাক থাক,,আর কস্ট পেতে হবে না,,রাগ করতেও হবেনা,,,আমি আসছি ক্লাস শেষ করে,,,৫ মিনিট ওয়েট করুন,৷
তারপর পরী ক্লাস শেষ করে,, ওর কলেজের নতুন বান্ধবী বৃষ্টিকে বললো
ঃঃবান্ধবি আমার একটা ফেসবুকের ভালো বন্ধু আছে,,উনি আজ কলেজে আসছে আমার সাথে দেখা করতে,,,আমার একা যেতে ভয় করছে আবার লজ্জাও করছে,,আগেতো এভাবে কোনোদিন ছেলের সাথে দেখা করিনি,তাই কেমন ভয় লাগছে গো,,, তুমি কি আমার সাথে একটু যাবে বান্ধবী??
বৃষ্টি ঃঃহুম বান্ধবী আমার,,আমি যাবো তোমার সাথে,,,বাট ওরা কোথায় আছে??আর কোথায় যেতে হবে দেখা করতে??
পরীঃঃক্্যাম্পাসে
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
বৃষ্টি ঃঃহিহিহি ওখানে তো অনেক স্টুডেন্ট আছে, এতো জনের ভিতরে দেখা করতে যেতে ভয় পাও??হিহিহ,,
পরীঃঃমজা নিচ্ছো??(গাল ফুলিয়ে বললো)
বৃষ্টি ঃঃআরে বাবা সরি সরি,রাগ করোনা,,আচ্ছা চলো যায়,,
।তারপরে দুজনে ক্্যাম্পাসে গেলো,,,নীল আর ওর বন্ধু বসে গল্প করছে
পরী আর বৃষ্টি ওদের সামনে গিয়ে,,পরী বললো
ঃঃআসসালামু আলাইকুম,,
নীলঃঃওয়ালািকহম আসসালাম, কেমন আছো??
পরীঃঃজি আলহামদুলিল্লাহ ভালো,,আপনি কেমন আছেন??(মাথা নিচু করে বললো)
নীলঃঃআলহামদুলিল্লাহ ভালো,,বাসার সবাই কেমন আছে??
পরীঃঃজি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছে,,
নীলঃঃএটা কে??
পরীঃঃআমার বান্ধবী
নীলঃঃএকটা কথা বলবো??
পরীঃঃজি বলুন,,
নীলঃঃএরকম মাথা নিচু করে কথা বলছো কেন??আর আমি জিগ্গাসা করছি শুধু তার জবাব দিচ্ছো,,,,মেছেজেতো কথার খই ফুটাও,,এখন এতো চুপচাপ, শান্ত কেমনে হলে??আর ,আমার দিকে তাকাচ্ছো না কেনো???আমি কি দেখতে পচা নাকি???
পরীঃঃআরেহ না ধ্্যাট,আপনি মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর,,
নীলঃঃতাহলে চুপচাপ,, আবার তাকাচ্ছো না আমার দিকে কেনো??
বৃষ্টি ঃঃভাইয়া আসলে ও লজ্জা পাচ্ছে মনে হয়,৷
নীলঃঃহাহাহা,,লজ্জা,, এতো লজ্জা কই থেকে আসে?
পরীঃঃকি জানি,,
নীলঃঃনিজেই লজ্জা পসও আবার কই থেকে আসে জানো না??মেয়ে মানুষ আসলেই অদ্ভুদ প্রাণি,, যাই হোক তোমায় কালো বোরকার সাথে নীল হেজাব,,চোখে হালকা কাজল,ঠোটে হালকা গোলাপি লিপস্টিকে কিন্তু দারুন লাগছে,,
পরীঃঃজানিনা,,,আমার ক্লাস আছে আমি যাবো,,,
নীলঃঃপালানোর অযুহাত দিচ্ছো??
পরীঃঃনা,,সত্যি আমার ক্লাস আছে,,,,
নীলঃঃঠিক আছে যাও,,,,
।
পরী যেতে লাগলে নীল পেছন থেকে ডাক দেয়ঃঃ,,শুনো,,
পরী ঃঃহুম বলুন,,
নীলঃঃএগুলো তোমার,,,,(অনেক গুলো ললিপপ পড়ির সামনে ধরে বললো)
পরীতো পুরাই অবাক,,,চুপটি করে দাড়িয়ে আছে,,
নীলঃঃকি হলো নাও,,ললিপপ তো তোমার সবথেকে বেশি প্রিয়,,,, তাইনা??
পরীঃকেমনে জানলেন??
নীলঃঃতোমার প্রফাইলে ঢুকে দেখছিলাম,,তুমিতো বাচ্চা,,,অনার্স পড়া মেয়ে ললিপপ খাই,,, হাহহা
পরীঃঃঃহাসার কি হলো???ললিপপের গায়ে কি লিখা থাকে যে এটা বাচ্চাদের খাবার,,বড় রা খেতে পারবেনা????
নীল;ঃলিখা না থাকলেও এটা বাচ্চারাই খাই বেশি
পরীঃঃ,তাতে আমার কি,,ওরা ওদের মতো খাবে,,আমি আমার মতো,,৷ বলেই নীল এর হাত থেকে ললিপপ নিয়ে খেতে শুরু করলো,,
পরীঃঃ ধন্যবাদ,, আমার ভাইয়া আমায় রোজ ৫ করে ললিপপ এনে দেয়,,সারাদিন পেলে সারাদিন খাই
নীলঃঃহায়রে,, শুনছি মেয়েরা নাকি চকলেট পাগলি হয়,,এ তো দেখছি ললিপপ পাগলি,,,
পরীঃঃহুম,,পাগলি আমি,,, আমার ক্লাস আছেতো আমার এবার যেতে হবে
নীলঃঃআচ্ছা যাও,,ক্লাস শেষে সাবধানে বাসায় যাবে
পরীঃঃঠিক আছে,,আপনিয়ো, সাবধানে যাবেন,,
পরী ওর বান্ধবী বৃষ্টির সাথে ক্লাসে চলে গেলো,,,
পরী ক্লাসে এসে কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছেনা,,,নীলের কথা মনে পড়ছে বারবার,,,,কোনোমতে ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে গেলো,,বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নামায পড়ে খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে গেলো,,,,
মায়ের ডাকে ঘুম ভাংলো পরীর,,,
মাঃঃঐ পরি আসরের আযান দিছেতো উঠে নামাজ পড়,,,
পরী ঘুম ঘুম চোখে বললো ঃঃহুম উঠছি,,আব্বু কি বাসায় আছে??
মাঃঃনা দোকানে গেছে,,,,
পরীঃআর ভাইয়া কোথায়??
মাঃঃটিউশনিতে গেছে,,এতো খোজ নিতে হবে না,,আমিতো জানি এতো কোজ কেনো নিস,,,,ও মনে করে ললিপপ নিয়ে আসবে,,,,এতো ললিপপ খাস তো,দুদিন পর দাতে পোকা হয়ে দাত পড়ে যাবে,,তখন ফোকলা দাঁত নিয়ে বেশি করে খাইস,,
পরীঃঃএখন বচন শুরু করো নাতো,,,সুযোহ পেলেই ঙ্গান দান করতে লেগে যায়,,আমার এমনিতেই অনেক ঙ্গান আছে বুঝলে,,,,??( বলেই পরী ওয়াশরুমে চলে গেলো
ফ্রেশ হয়ে, ওযু করে নামায পড়ে,,টেবিলের ওপর থেকে ফোনটা নিয়ে, বিছানায় শুয়ে,, ফেসবুকে ঢুকতেই দেখলো
নীলের অনেক গুলো মেছেজ,,
নীলঃঃঐ কোথায় তুমি,,কি করছো,,কথা বলছো না কেনো??ফেসবুকে থেকেও কথা বলছো না কেনো?/কি হয়ছে তোমা,,,তোমার সাথে জরুরি কথা আছে,,নাম্বার টা দাও একটু,,কি হলো দাও,,দিবে না আমায়,,বিশ্বাস করো না আমায়,,,
আরো অনেক মেছেজ দিছে নীল
,
পরী মেছেজ করলো
ঃঃআসলে সরি,আমি অনলাইনে ছিলাম না,,ডাটা অন রেখেই ঘুমাই গেছিলাম,,,সরি,,,এই নিন নম্বর,,০১৩১৬২,,,,,,,,,
নীল পরীর নাম্বার পেয়ে কল দিলো
পরী ফোন রিসিভ করে সালাম দিলো
নীল সালামের জবাব দিয়ে বললোঃঃশোনো একটা কথা বলার জন্য তোমায় কল দিলাম
পরীঃঃজি বলুন
নীলঃঃতআমরা দুজন দুজনের খুব ভালো বন্ধু তাইতো??
পরীঃঃহুম,,
নীলঃতাহলে শোনো আমার ছোট কাকুর হঠাত করে বিয়ে ঠিক হয়ছে পরশু বিয়ে,,কাল গায়ে হলুদ,,,তোমাকে কাল এবং পরশু আমাদের এখানে আসতে হবে,,আমার সব বন্ধু কেই ইনভাইট করেছি,তারা সবাই আসবে,,আর তুমিতো আমার স্পেশাল মেয়ে বন্ধু তোমারে আসতে হবেই,
পরীঃঃবাসায় বলে জানাচ্ছি,, তবে মনে হয় যেতে দিবেনা,,
নীলঃঃদিবে দিবে দিবে,,বলবে তোমার বান্ধবীর কাকুর বিয়ে,,মেয়ে বান্ধবীর কথা বললে যেতে দিবে,,না দিলে কান্না করবে
পরীঃঃপরে যদি বান্ধবীকে দেখতে চাই,তখন??আমিতো একা কোথাও যায় না,,, আর যদি আমার সাথে আপনাদের বাড়ি ওবদি পৌছে দিতে আসে তখন যদি বলে তোর বান্ধবী কোথায়??
নীলঃঃআহা এতো টেনশন নিতে হবেনা,,আমিতো আছি,,আমার বোনকে তোমার বান্ধবী বানাই দিবো,ও তোমার সেইম ইয়ার আর তোমার ডিপার্টমেন্ট এ একি সাথেই পড়ে,,বাট কলেজে তেমন একটা যায় না,,তুমি হয়তো দেখলে চিনতে পারবে,,,ওরে আমি সব বলছি,,তারপর ওরে দিয়ে তোমার বাসায় ফোন করে রাজি করাবো,,
পরীঃঃএতো হিটলারের মতো বুদ্ধি কোতায় পান???
নীলঃঃআমার সাথে থাকলে তোমারো হয়ে যাবে,,আচ্ছা এখন রাখি,, রাতে বোনকে দিয়ে তোমার ভাইয়ারে রাজি করাবো,তুমি মেছেনজারে নাম্বারটা দিয়ে রাখবে কেমন??
পরী ঃঃঠিক আছে বাই,,বলেই ফোন কেটে দিলো
রাতে নীলের বোন পরীর ভাইকে ফোন করে রাজি করালো,,,
পরের দিন পরীর ভাই নীলের বোনের থেকে ঠিকানা নিয়ে ওদের বাসায় পরীকে নিয়ে গেলো,,,নীলের বোনের কাছে দিয়ে চলে আসলো,,
পরী নীলের বোনের সাথে ওদের বাাসায় ঢুকলো,,,বাট, নীলকে দেখতে পেলে না,,,,পুরো বাসা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো,,,,হঠাত পায়ের নিচে শাড়ির আচল পড়াতে বেধে গিয়ে পড়ে যেতে লাগে,,
পরী ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,,
পরী পড়ার আগেই নীল এসে ধরে ফেলে,,,,
পরী তাকিয়ে দেখে নীল,,,
নীল পরীর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,
নীল এখনো দুহাতে কোমর জড়িয়ে ধরে আছে,,,
নীলের হাতের ছোয়া কোমড়ে
.
পেয়ে পরীর শরির কাপছে,,,,নীলের ওভাবে তাকিয়ে থাকাতে পরীর ভিষন লজ্জা লাগছে,,ও মাথা নিচু করে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,নীল পরীকে কিছু বলতে যাবে তখনি…..
·
·
·
চলবে………………