নীরবে নীরবে পর্ব ১…
দিলু লোকটির সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়ল দাসীর ভঙ্গিতে মাথা নত করে। লোকটি তার স্বামী। দিলুর হাত পেছনে বাঁধা, তার উপর তাকে এভাবে পায়ের নিচে অসহায় দেখে খুব মজা পাচ্ছে লোকটি। এতটা আত্মতৃপ্তির দেখা সে অনেকদিন হলো পায়নি।
সাখাওয়াত তৃপ্তির হাসি হেসে আলমারির দিকে চলে গেল। দিলু তার স্বামীর যাওয়া পথের দিকে চেয়ে রয়েছে। লোকটিকে এখন খুব উৎফুল্ল দেখাচ্ছে। অথচ একটু আগে টাকা চাওয়ার সময় তার মেজাজ এরূপ শান্ত ছিল না।
অথবা কে বলতে পারে, এই লোকটির সাথেই ছেলেবেলায় দিলু প্রেম করেছে? আজ সবই কুয়াশার চাদরে ঢাকা অবাস্তব দৃশ্য মনে হচ্ছে। কে বিশ্বাস করবে ওই ছেলেটিরই কোমল মন পরিণত হয়েছে পাষাণে।
সাখাওয়াত কিছু টাকা নিয়ে ফিরে এলো। কিছু নয়, এক বাণ্ডিল টাকা। এত টাকা দিলু আগে কখনও একসাথে দেখেনি। দিলু হাত বাড়াতে চায়, তার আগেই সাখাওয়াত টাকাগুলো তার মুখের উপর ছুঁড়ে মারল।
দিলু পড়ে থাকা টাকার দিকে তাকালো। এই টাকা যদি তার নিজের প্রয়োজনে চাইত, তবে এভাবে মুখের উপর ছুঁড়ে দেওয়ার পর কখনওই নিত না। কিন্তু এটার উপর হুমায়রার পরিস্থিতি নির্ভর করছে। এই টাকাটা সাময়িকের জন্য বোনের সংসার ঠিক করতে পারবে ভেবে দিলু ঠোঁট কামড়ে টাকাটা তোলে নেয়।
দিলু কিছু বলার আগে সাখাওয়াত তার হাতের বাঁধন খোলে দিয়েছে। দিলু নির্লিপ্তভাবে উঠে ফোনে হুমায়রাকে খবর দিলো তার দুলাভাই টাকা দিয়েছে। ওপার থেকেই হুমায়রার খুশিতে আটখানা হয়ে যাওয়াটা সে টের পাচ্ছে। দিলুরও ভালো লাগছে বোনটির সাহায্য করতে পেরে। তার স্বামীর লোনের উপর চলা দোকানটিতে আগুন ধরে অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে আজ একমাস। সংসার চালাতে পারছে না, তার উপর লোন চুকাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। অগত্যা হুমায়রা লজ্জার মাথা খেয়ে বোনকে ফোন দিয়ে টাকার সাহায্য চেয়েছে। দিলু ফোন রাখার পর কিছুটা লজ্জিতও হচ্ছে। বোনটি জানেই না, তাকে অনেক আগেই সে সাহায্য করবে ভেবেছে। কিন্তু স্বামীর ভয়েই করা হয়নি। কারণ সাখাওয়াত তাকে লোভী ভাবতে পারে। লোকটির কেবল উপলক্ষের দরকার হয় দিলুকে অপদস্থ করার।
“এখনও তোমার শাস্তি শেষ হয়নি ডার্লিং।”
দিলু সবে ফোনে কথা বলেছে। তাকে আর কোনো আদেশ দিতে হলো না। সে একটি ভালো মেয়ের মতো চুপচাপ এসে ওই নির্ধারিত জায়গায় হাঁটু গেঁড়ে বসে হাতগুলো পেছনে জড় করে। সাখাওয়াত মিষ্টি হেসে ওর পেছনে হাতগুলো পুনরায় বেঁধে দেয়।
“বলো ডার্লিং, এখন আমি তোমার সাথে কেমন খেলা খেলতে পারি।”
এই সম্ভাষণটা মন ছোঁয়ার মতো নয়। সাখাওয়াত মজাই করছে। কখনও দিলুকে কিছু বলতে দেয় না। সেই ওকে নিয়ে খেলতে থাকে। দিলুর গায়ে বাতাস লাগায় সে পেছনে ফিরে তাকায়। তাকে প্রতিবার বেলকনির কাছাকাছি বসতে হয়। ঠান্ডা বাতাস ওদিক থেকে আসছে। দিলুর শরীর কাঁপছে। ইশ, তার কম্পমান ঠোঁট সাখাওয়াত দেখতে পেয়েছে। অমনিই সাখাওয়াত ছোট্ট একটা দুষ্টু বাচ্চার মতো হেসে উঠল। কিন্তু সেই হাসি দৃষ্টির সাথে মানাচ্ছে না। তার দৃষ্টিতে শান্তির আগুন জ্বলছে।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
সাখাওয়াত তাকে ঘর থেকে বের করিয়ে নিয়ে চলল। এসব বাবার দেখার সম্ভাবনা নেই। তিনি বেঘোরে ঘুমোচ্ছেন। এই রাতে বিল্ডিং-এর অন্য কেউ জেগে থাকার কথাও নয়। সাখাওয়াত তার গায়ে একটা জ্যাকেট জড়িয়েছে। কিন্তু দিলুর শরীরে একটা পাতলা শাড়িই আছে। সাখাওয়াত তার ঘাড়ে হাত রেখে দারোয়ানকে ডেকে গেটের দরজা খোলায়। দারোয়ান এই জুটির দিকে তাকাতে লজ্জা পাচ্ছে। অথচ দিলুর হাতের বাঁধন ঢাকার জন্যই সাখাওয়াত হাতটা তার ঘাড়ের উপর রোমান্টিক স্বামীর মতো করে রেখেছে।
দারোয়ানের হয়ে গেলে সে তার ঘরে চলে যায়। সাখাওয়াত দিলুর পিঠে ধাক্কা দিয়ে গেইট থেকে বের করিয়ে দেয়। সামনে একটা ইটের তৈরি বৈঠকখানা। দিলুকে সে এখানে বসিয়ে দেয়। নিঃসন্দেহে এই জায়গায়ই এসে গরমে ভাড়াটেরা বসে থাকে বাতাস উপভোগ করার জন্য। কিন্তু এখন সেই বাতাসকে শীতের এই ঋতুতে শত্রু বলে মনে হচ্ছে। দিলু কেঁপে কেঁপে উঠছে। কিন্তু তার মুখে কোনো অভিযোগ নেই। এই লোকটির শাসনই এখন সে ‘সুইট অত্যাচার’ বলে মনে করে। এসব না করলে লোকটির ছোঁয়া সে পেতই না।
গেইটের কাছে দাঁড়িয়ে সাখাওয়াত দিলুর কম্পন উপভোগ করছে। বলা যায়, দিলু খানিকটা ইচ্ছাকৃতভাবেও কাঁপছে লোকটিকে মজা দেওয়ার জন্য। কারণ সে মজা না পেলে আরও গর্হিত কিছু করবে। হতে পারে আজকে টাকা চাওয়ার শোধটা আরও আদায় করবে। দুর্ভাগ্যক্রমে দিলুর কিছু কৃত্রিম কম্পন সাখাওয়াতের চোখে পড়ে গেল। লোকটির চোখ আবারও তৃষ্ণায় জ্বলে উঠল, মেয়েটিকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। ঠিক এই জায়গায় দিলুর তাকে খুব ভালো লাগে। লোকটি অফিসের কাপড় এখনও ছাড়েনি। টাইটা এখনও রয়ে গেছে সাদা প্লেইন শার্টের উপর। কেবল উপরে জ্যাকেট জড়িয়ে নিয়েছে। সেই সাথে চোখের জ্বালিয়ে ফেলার মতো সেই আগুন। অফিস থেকে আসার পর দিলু তার কাছে টাকা চায়। এরপর থেকে সাখাওয়াত সুযোগ পেয়ে একটুও সময় অপচয় না করে দিলুকে নানাভাবে শাস্তি দিয়েছে। টাকা পেতে হলে সায় দিয়ে সব কাজ করতে হবে। খাবার সারার পর অবশেষে বলেছে, এতকিছু তো করলে এবার আমার পায়ের কাছে পড়ে ভিক্ষা চাও তবেই টাকা দেবো।
সাখাওয়াত নড়ে উঠল। জ্যাকেট সে খুলে ফেলল। কিন্তু দিলু জানে, তাকে দেওয়ার জন্য নয়। সাখাওয়াত তার এই আনন্দে ঝামেলা পছন্দ করে না। সে তার টাইটা এক খলনায়কের মতো করে মাথা এদিক-ওদিক দুলিয়ে আলগা করল। তারপর খুলে নিল। রুদ্ধশ্বাসে দিলু বসে রয়েছে। শেষবারের মতো তাদের একবার চোখাচোখি হওয়ার পর সাখাওয়াত টাইটা দিয়ে দিলুর চোখ বেঁধে দেয়। ইশ, এখন সে আর ওই উত্তপ্ত চোখদুটোকে দেখতে পাচ্ছে না। চারিদিকটা অন্ধকার মনে হচ্ছে। এদিকে হাত বাঁধা। ইতোমধ্যে ঠান্ডায় শরীরও জমে গেছে। সাখাওয়াতের মাতাল করা ঘ্রাণটাও এখন আর নেই। মনে হয়, খুব বড় কিছু একটার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কী করবে এই লোকটি? কিসের জন্য চলে গেছে? অবশ্য সে ভয় পাচ্ছে না। দিলুকে সে অক্ষত রাখে। সর্বোচ্চ কেবল কোমরের বেল্ট দিয়ে একবার মেরেছিল। সেই একটা দাগই পিঠে আছে। অন্তত সাখাওয়াত এতটা কঠিন শাস্তি তেমন একটা দেয় না। নাকি এতকিছুকে দিলুর কঠিন মনে হয় না লোকটির জন্য মনে ভাবনা আছে বলেই?
তার বন্ধ চোখে পুরনো মধুর স্মৃতি ভাসতে লাগল। তখন দিলু পিচ্চি একটি মেয়ে ছিল। বয়স মাত্র পনেরো তার। যদিও ঠিক এত কমবয়সেই তার বিয়ে হয়, তবু বিয়ের আগের স্মৃতিগুলো ভুলার মতো নয়। তার মনে পড়ে যায় যখন তারা একে অপরের হাত ধরেছিল। দুজনই সেই ছোঁয়ায় কাঁপছিল। দিলুর হৃদয়পাড়ে ঠান্ডা বাতাসই বয়ে যায়, যখন তাকে সাখাওয়াত বিচলিত হয়ে বলল, “জানো দিল, আমি এই প্রথম কোনো মেয়ের হাত ধরছি। আমার কেমন লাগছে ঠিক বলে বুঝাতে পারব না।”
টাইয়ের নিচ থেকে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে দিলুর গাল বেয়ে। ইশ, যুগ হয়ে গেছে, কারও গলায় সে এভাবে ভালোবাসা মাখা দিল সম্ভাষণটা শুনেছে। তার কানে বাজছে সেই মাত্র একুশ বছরের ছেলেটির কোমল গলায় ডাকা নামটি, “মেরা দিল”। দিলুর বন্ধ চোখ থেকে আরও দু’ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। সে গলা ফাটিয়ে বলতে চায়, প্লিজ, আমায় একটু দিল বলে ডাকুন। আমার তৃষ্ণার্ত মনটার পিপাসা মিটুক। কিন্তু সে পারবে না। দিলুর যতসব পছন্দের দিক আছে, এখন তা সবই সাখাওয়াতের কাছে অপছন্দের। এই ছেলেটির কিছুটা কুঁকড়ানো থাকা চুলগুলো দিলুর খুব পছন্দের ছিল। এখন সাখাওয়াত চুলগুলোকে স্ট্রেইট করে স্টাইল বদলিয়ে ফেলেছে। যদিও এখন তাকে কম সুন্দর দেখায় না, তবু উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের স্বামীটির কাছে দিলুর চোখগুলোর একটি চাওয়া রয়েই যায়।
সময়টা ছিল নভেম্বরের মাঝামাঝি, যখন সাখাওয়াত তাদের বাসায় অনেক বছর পর গিয়েছিল। বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় এবং তাদের এক আত্মীয়ের এক বিয়ে থাকায় দিলুর খালারা তাদের বাসায় চলে আসে। এমন সুযোগ মাঝে মাঝেই হয় এভাবে একত্রিত হওয়ার। কেননা এখানে ফরিদপুরে তাদের আত্মীয়-স্বজন বলতে গেলে নেই। আত্মীয় বলতে এখানে তার মেঝ খালা থাকে। থাকে দিলুর মায়ের জেঠাতো বোন, ওই মেঝ খালারই সমবয়সী। যার বিয়ে, সে হলো দিলুর মায়ের মামাতো ভাই।
দিলু সেদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে এতগুলো মেহমান দেখে উত্তেজনা তাকে ভর করল। অবশেষে আনন্দে মেতে উঠবে সবার সাথে। সাথে এসেছে তার বড় বোন রোমেনাও। কিন্তু একজনকে দেখে তার ভ্রূ কুঁচকে গেল। সাখাওয়াত ভাই সহজে এখানে আসে না। অথচ তাদের কাছ থেকে পনেরো মিনিটের দূরত্বেই তাদের বাড়ি। সাখাওয়াত ভাইয়ের সাথে তার কুশলাদি বিনিময় ব্যতীত আর কোনো কথা হয়নি। কিন্তু তার ছোট ভাই রাগীবের সাথে তার ভালোই কথা হলো। ছেলেটি যার-তার সাথে কথা বলে এবং সহজেই মিশুক হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দিলু অস্বীকার করতে পারে না, রাগীব ভাই সাখাওয়াত ভাইয়ের চেয়ে আকর্ষণীয় বেশি ছিল। রীতিমতো দিলুর মনে তা একটা দাগ কেটে যায়। যেমনটা হয় প্রতিটি কঁচি মেয়ের প্রথম ভালো লাগায়, তেমনিভাবে দিলুরও ইচ্ছে হয় কাউকে ভাইয়ের সম্বন্ধে বলতে। কিন্তু সমবয়সী একজন ব্যতীত কেউ ছিল না। সে হলো তার খালাতো বোন লাভলী। বয়সে একটু বড় হলেও দুজন একই শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু তাকে সে বলতে গিয়েও দ্বিধায় পড়ে বলতে পারল না। কারণ সে সামনের ঘরে লাভলী আর সাখাওয়াতকে নির্দ্বিধায় কথা বলতে দেখেছে। এমনটা কি দিলু সহজে রাগীব ভাইয়ের সাথে বলতে পারবে? বিশেষ করে যখন এই ছেলেটি তাদের স্কুলের সেরা প্রশংসনীয় ছেলেদের মাঝে একজন? সেদিন তারা খুব মজা করেছে। কিন্তু রাতে তার নিয়মমাফিক পড়তে বসতেই হলো। পরবর্তী তিন-চারটি দিন বিয়েতে চলে গেলে পড়াশোনা হবে না। কিন্তু পরক্ষণে দিলুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। সে গণিতের একটা চ্যাপ্টার খুলে বসে। মাকে সে বলল, একটা অংক করতে পারছে না। ধারণা মতোই তার মা রাগীবকে বুঝিয়ে দিতে বলল। দিলুর খুশি দেখে কে। রাগীব এসে মুখ কুঁচকিয়ে বলল, এটা তো আমি পারব না দিলু। ভাইয়ার কাছে জিজ্ঞেস করো। ও অংকে ভালো। দিলুর খুশির বাতিটা ঠুস করে ফেটে গেল। সে একহাতে কলম চেপে ধরল রাগ আর অভিমানকে দমিয়ে রাখতে। অপরদিকে সাখাওয়াত এসে শব্দ করে চেয়ার টেনে বসে।
“বলো, কোথায় তোমার সমস্যা আছে।”
সে তার মুখের কাছে আসা চুলগুলো কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে অতি কষ্টে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
সাখাওয়াত অংক করিয়ে দিতে দিতে পাশাপাশি বলল, “এক্সট্রা কোনো টিউটর নেই?”
“না, আমি নিজেই পড়ি।”
“এটা ঠিক না। আমরা সবকিছু নিজ থেকে পারি না। তাছাড়া সামনে না তুমি এসএসসি দিবে?”
প্রশ্ন করে সে দিলুর দিকে তাকায়। দিলুর কেন যেন ওই চোখে চোখ রাখতে অস্বস্তি হচ্ছে। যতই হোক, এই ছেলেটিকে সে তেমন দেখেনি। কিন্তু কত সুন্দর করেই না কথা বলছে, যেন অনেকদিন ধরে দিলুকে সে চেনে। দিলু অকারণেই মাঝে মাঝে তার মুখের দিকে তাকাচ্ছে। চোখ দুটো খুব সুন্দর মনে হচ্ছে। আগে তো এমন মনে হয়নি। দিলু কোথায় যেন এই সুন্দর চোখদুটোকে দেখেছে। মুহূর্তে তার কাছে ওই ছেলেটির কথা মনে পড়ে গেল। তবে কি সাখাওয়াত ভাইই সেই ছেলেটি? দিলু আরেকবার তার দিকে তাকালো। সে ওই চোখের পাপড়ি থেকে চোখ সরাতে পারছে না।
(চলবে…)
লেখা: ফারিয়া কাউছার