? নিষিদ্ধ প্রেম ?
part – 7 +8
# writer : Shifa Afrien Mim
পিয়াস মুচকি হেসে দুহাতে মুনিয়ার মুখটা ধরে উঁচু করে বলে,,,,
পিয়াস – মুনি,,,, অনেক ভালোবাসি,,,
মুনিয়া পিয়াসের হাতে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে বলে,,,
মুনিয়া – হয়েছে এবার যাও নিজের রুমে গিয়ে ঘুমাউ,,,,,
পিয়াস – উহুম,,,,, আমি আজ তোর সাথে এই রুমেই থাকবো,,,, (শয়তানি হাসি দিয়ে)
মুনিয়া – মা মা মানে,,,,, ( তোতলিয়ে)
পিয়াস – মানে হলো আজ আমি তোর সাথে ঘুমাবো ( মুনিয়ার বিছানায় বসতে বসতে)
মুনিয়া – ভাইয়া প্লিজ অশান্তি করো না,,,, ( অসহায় ভাবে)
পিয়াস – তাহলে আমার উত্তর টা দিয়ে দে,,, আমিও শান্তি তুইও শান্তি ( শান্ত গলায়)
মুনিয়া – কিশের উত্তর,,,?
পিয়াস – ঐ যে বললাম ভালোবাসি,,,,
মুনিয়া – তুমি বোঝতে পারতেছ না কেনো ভাইয়া,,,, আমাদের এই সম্পর্কটা কেউ মেনে নেবে না,,,,,
পিয়াস – এইসব আমার উপর ছেড়ে দে,,, এই সব নিয়ে তোর না ভাবলেও চলবে,,,,
মুনিয়া – ( মাথা নিচু করে চুপ করে আছে)
পিয়াস – মুনি,,,,, চুপ থাকা কিন্তু সম্মতির লক্ষণ,,,
মুনিয়া মুচকি মুচকি হাসছে,,,,, পিয়াস মুনিয়ার মুখে হাসি দেখেই যেনো রাজ্য জয় করার আনন্দ পেয়েছে,,,,,
পিয়াস – মুনি,,,, আমি উত্তর পেয়ে গেছে,,,,, এ রুম থেকে যেতে পারি যদি আরেকটা শর্ত মানিস,,,,
মুনিয়া – আবার কি,,,? (অবাক হয়ে)
পিয়াস – কাছে আয়,,,,,
মুনিয়া ঠায় দাঁড়িয়ে আছে নড়ছে না,,,,
পিয়াস – মুনি,,, আমি তোকে কিছু বলছি,,,, (ধমক দিয়ে)
মুনিয়া ভয় পেয়ে ধীরে ধীরে পিয়াসের কাছে আসতেই পিয়াস মুনিয়ার কোমড়ে হাত রাখে,,,,, মুনিয়া চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,
পিয়াস মুনিয়ার কোমড়ে ধরে একটানে নিজের সাথে মিশায়,,,,,
পিয়াস উঠে মুনিয়ার কপালে হালকা করে কিস করে,,,, মুনিয়া স্থির হয়ে যায়,,,, ঠোঁটজোরা অনবরত কাঁপছে মুনিয়ার,,,,,
পিয়াস নেশা ভরা চোখে মুনিয়ার ঠোঁটের দিক তাকিয়ে আছে,,,, পিয়াস মুনিয়ার ঠোঁটের কাছে মুখ নিয়েই মুনিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়,,,,,,
মুনিয়া পিয়াসের টিশার্ট খামচে ধরে কিছুক্ষণ পর পিয়াস মুনিয়াকে ছেড়ে দেয়,,,,,
পিয়াস – কি,,,, আমার ভালোবাসায় ধরা দিলি তো,,,, (মুনিয়ার কানে ফিসফিসিয়ে বলে)
মুনিয়া – তাছাড়া আর উপায় নেই তো,,,, (মুচকি হেসে)
পিয়াস – হুম,,,
মুনিয়া – এবার তো যাও,,,, কেউ দেখলে সমস্যা হবে তো,,,,,
পিয়াস – যাচ্ছি তো,,,, তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো,,,
পিয়াসের মুখে এই প্রথম তুমি ডাকটা শুনে মুনিয়ার কেনো জানি অনেক লজ্জা লাগছে,,,,, মুনিয়া মাথা নিচু করে বলে,,,,
মুনিয়া – তুমি আমাকে তুমি করে বলো না,,,,
পিয়াস – কেনো,,,? ( ভ্রু কুঁচকে)
মুনিয়া – না মানে এমনি,,,,
পিয়াস – মুনি বল,,,
মুনিয়া – আমার তুমি ডাকতা শুনতে কেমন জানি লাগে,,,,
পিয়াস – সেটাই তো,,, কেমন লাগে বলো না,,,,
মুনিয়া – ভাইয়া প্লিজ যাও তো,,,,
মুনিয়ার মুখে আবারও ভাইয়া ডাকটা শুনে পিয়াসের মাথায় আগুন ধরে যায়,,,,,,
পিয়াস হুট করে মুনিয়াকে পেছন ঘুরিয়ে মুনিয়ার ঘাড় থেকে চুল গুলো সরিয়ে অনেক জোরে একটা কামড় বসিয়ে দেয়,,,,,
মুনিয়া তো এতো বড় শকড খেয়েছে বেচারি চিৎকার ও দিতে ভুলে গেছে,,,,
চলবে
? নিষিদ্ধ প্রেম ?
part – 8
# writer : Shifa Afrien Mim
পিয়াস মুনিয়ার ঘাড়ের চুল গুলো সরিয়ে জোরে কামড় বসিয়ে দেয়,,,,,,
মুনিয়া বেচারি এতো বড় শকড খেয়েছে যে চিৎকার দিতেও ভুলে গেছে,,,, মুনিয়া ছিটকে পিয়াসের কাছ থেকে সরে আসে,,,
মুনিয়া – মা গো,,,, কি হলো রাক্ষসের মতো কাজ করো কেনো,,,?
পিয়াস – ভাইয়া ডাকবি না ওকে,,,,
মুনিয়া – ওকে যাও এখন,,,,, ( বিরক্তি ভাব নিয়ে)
পিয়াস মুনিয়ার কাছে এসে কানেকানে বলে,,,,,
পিয়াস – কামড় টায় ঔষধ লাগিয়ে নিস দাগ পরে যাবে,,,, বলেই চোখ মারে,,,,, মুনিয়া অগ্নিমূর্তি ভাব নিয়ে পিয়াসের দিকে তাকাতেই পিয়াস চলে যায়,,,,,,,
মুনিয়া ও ঘুমিয়ে পড়ে,,,,,
সকালে,,,
মুনিয়ার মা – মুনিয়া,,,, উঠ তারাতারি,,,,, বেলা ১০ টা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস,,,,
মুনিয়া চোখ ডলতে ডলতে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে যায়,,,,,
পিয়াসের মা – কিরে,,, তোর শরীর ঠিক আছে তো,,,? এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছিলি কেনো,,,?
মুনিয়া – এমনি ফুপি,,,, আমি ঠিক আছি,,,,
পিয়াসের মা – আচ্ছা ঠিকাছে তুই নাস্তা করে পিয়াসের কফি করে দিস,,,
মুনিয়া – আচ্ছা,,,
মুনিয়া নাস্তা শেষ করে পিয়াসের জন্য কফি বানাতে যায়,,,,, মুনিয়ার চোখ থেকে যেনো ঘুম সরতেই চাইছে না,,,,,
কফি বানাতে গিয়ে বেশ খানিকটা গরম পানি মুনিয়ার হাতে পড়ে যায়,,,, মুনিয়া আস্তে করে চিৎকার দিয়ে উঠে,,,,,
মুনিয়া -ওহহহ মাগো,,,,,, কি হলো আজ চোখ থেকে ঘুম সরছেই না,,, ঠিক মতো কাজও করতে পারছি না,,,, এখনই মা চিৎকার শুনে এসে যদি দেখে গরম পানি হাতে লাগছে তাহলে ত সারা বাড়ি মাথায় তুলবে,,,,
মুনিয়া কফি টা নিয়ে তারাতারি রান্না ঘর থেকে বের হয়ে যায়,,,,,
পিয়াসের রুমের সামনে দাড়িয়ে দরজায় নক করতেই ভেতর থেকে আওয়াজ আসে,,,,,
পিয়াস – আসো,,,,
মুনিয়া পিয়াসের মুখ থেকে আবার তুমি শব্দটা শুনতেই চমকে উঠে,,,,কেমন একটা অনুভব হচ্ছে তুমি শব্দটায়,,,,,
মুনিয়া কফিটা নিয়ে পিয়াসের রুমে ডুকে কফিটা টেবিলে রেখে চলে আসতে নিলেই পিয়াস ডাক দেয়,,,,,
পিয়াস – কি হইছে মুনি,,,,,? আমার উপর রাগ করে আছো,,,,? কিছু না বলেই চলে যাচ্ছো যে,,,?
মুনিয়া – ( এই খাটাস তুমি করেই বলবে,,,,,, এতোবার বলছি তুমি করে না বলতে তাও শুনছেই না,,,, হুহহহহ,,,, মনে মনে)
পিয়াস – কি হলো,,,, কী বিরবির করছো,,,?
মুনিয়া – না মানে,,, কিছু না,,,,,
পিয়াস – তো কিছু না বলেই চলে যাচ্ছিলে কেনো,,,?
মুনিয়া – কী বলবো,,,,? ( মাথা নিচু করে)
পিয়াস – কেনো,,,? ভালোবাসার কথা,,,, (মুচকি হেসে)
মুনিয়া চোখ বড়বড় করে পিয়াসের দিকে তাকায়,,,,,,,,
মুনিয়া – পারবো না হুহহ,,,মুখ ভেংচি কেটে,,,,বলেই চলে আসতে নিলে পিয়াস মুনিয়ার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে আনতেই মুনিয়া শব্দ করে উঠে,,,,
মুনিয়া – আহহহ,,,, ( মুনিয়ার যে হাতে গরম পানি পড়েছিলো পিয়াস না দেখেই ঐ হাত ধরে টান মারে)
পিয়াস – কী হলো মুনি,,,,,, চিৎকার করলে কেনো,,, বলেই মুনিয়ার হাতটা ঘুরিয়ে দেখতে থাকে,,,,
হটাৎ পিয়াসের নজরে পরে পোড়া জায়গা টা লাল হয়ে আছে ফর্সা হাতে যেনো আরও স্পষ্ট হয়ে আছে,,,,
পিয়াসের রাগ উঠে যায়,,,,
পিয়াস – এটা কী করে হলো মুনি,,,,?
মুনিয়া – গরম পানি পরে গেছিলো,,,,,
পিয়াস – সাবধানে কাজ করবা তো নাকি,,,,,, বসো এদিকে,,,,,,, বলেই মুনিয়াকে একটা চেয়ার টেনে বসিয়ে দেয়,,,,,
যারা আমার গল্পের গ্রুপে এখনো জয়েন করেননি,,,,,, জয়েন করে নিন ? শিফা আফরিন – গল্পগুচ্ছ গ্রুপে
চলবে