? নিষিদ্ধ প্রেম ?
part- 3 +4
# writer : Shifa Afrien Mim
মুনিয়া – আমার কিছু শুনার নেই বলেই দরজাটা খুলতে নিলেই পিয়াস খপ করে মুনিয়ার হাত টা ধরে ফেলে,,,
পিয়াস – মুনি শুন আমার কথাটা,,, ঐ সময়ের জন্য আমি সত্যি দুঃখিত,,, রাগ উঠে গেছিলো,,,
মুনিয়া – হইছে বলা এবার হাতটা ছাড়ো,,,
পিয়াস – আগে বল মাফ করেছিস কি না,,,( মুনিয়ার হাত টা আরও চেপে ধরে)
মুনিয়া – করেছি,,, হাতটা ছাড়ো ভাইয়া,,,
পিয়াস আবার ভাইয়া ডাকটা শুনতেই মুনিয়াকে টান মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়,,,, মুনিয়া টাল সামলাতে না পেরে খাটের কোনায় পরে গেলে কপাল অনেকটা কেটে যায়,, মুনিয়া হাত দিয়ে কপাল টা চেপে ধরে বসে পরে,,,,
পিয়াস দৌড়ে মুনিয়ার কাছে যায়,,,
পিয়াস – মুনি কি হলো,, দেখি বেশি লেগেছে,,,?
মুনিয়া – না ভাইয়া আমি আসি বলেই উঠে যেতে নিলে পিয়াস মুনিয়া কে কোলে তুলে নেয়,,,, মুনিয়া অবাক হয়ে আছে,,
মুনিয়া – ভাইয়া ছাড়ো আমায়,,,,
পিয়াস – আর একটা কথা বলেছিস তো সত্যি সত্যি ছেরে দেব,, যাতে পরে তোর কোমড় টা ভাঙ্গে,,,
মুনিয়া এ কথা শুনা মাত্রই পিয়াসের গলা জড়িয়ে ধরে,,
মুনিয়া – না না আর কিছু বলবো না,,,
পিয়াস মুচকি হেসে মুনিয়া কে খাটে শুইয়ে দেয়,, পিয়াস ফাস্ট এইড বক্স টা এনে দ্রুত মুনিয়ার কপালের রক্ত টা মুছে দিতে নিলেই,, মুনিয়া বেথায় কুঁকড়ে উঠে,,,,
পিয়াস – একটু কষ্ট কর মুনি,, দেখ কতটা কেটে ফেলেছিস,,,
মুনিয়া – আমি কয় কাটলাম তুমিই তো ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে,,
পিয়াস কোনো জবাব না দিয়ে মুনিয়ার কপালের রক্ত টা মুছে ব্যান্ডেজ করে দেয়৷,,,
পিয়াস – এখানে শুয়ে থাক,, উঠবি না কিন্তু,,,
মুনিয়া – বলছি যে,,,,আমি বরং আমার রুমে গিয়ে শুই,,,
পিয়াস – ওকে চল,,
মুনিয়া – আমি একা যেতে পারবো ভাইয়া,,,
পিয়াস – আমি তো তোকে জিগ্যেস করিনি,,, ( রেগে)
মুনিয়া পিয়াসের রাগ দেখে চুপ মেরে যায়,,, পিয়াস মুনিয়াকে ধরে মুনিয়ার বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আসে,,,,
পিয়াস – কিছুক্ষণ রেস্ট নে তুই,,,,
মুনিয়া – আচ্ছা,,,
পিয়াস মুনিয়ার রুম থেকে চলে আসে,,,
রাতে,,, মুনিয়ার মা মুনিয়াকে ডেকে নিয়ে যায়,,, খাবার টেবিলে মুনিয়া একবারও পিয়াসের দিকে তাকায় নি,,, পিয়াস কিছুটা রাগলেও মনে মনে অনেক অপমান বোধ করছে,,, তার জন্যই তো আজ মুনিয়া বেথা টা পেলো,,,
মুনিয়া খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে যায়,,,,
কিছুক্ষণ পর পিয়াস মুনিয়ার রুমে এসে দেখে মুনিয়া রুমে নেই,,, পিয়াস মুনিয়াকে ডাক দিতে নিলেই দেখে বেলকনিতে কেউ দাড়িয়ে আছে,,,
পিয়াস বেলকনিতে গিয়ে দেখে মুনিয়া দাড়িয়ে আছে,,, পিয়াস মুনিয়ার কাছে গিয়ে মুনিয়াকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেই মুনিয়া চমকে উঠে,,,
মুনিয়া – কে কে,,
পিয়াস – আমি,, ভয় পাস না,,
মুনিয়া – অহ,,, কেনো এসেছো ভাইয়া,,,?
পিয়াস মুনিয়াকে ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে বলে,,,
পিয়াস – ভাইয়া ভাইয়া ভাইয়া,, কত বার বলবো আর ভাইয়া ডাকবি নি,,, শুনতে পাস না আমার কথা,, (রেগে চিৎকার করে)
মুনিয়া কিছুটা ভয় পেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,,
মুনিয়া- সরি ভাইয়া আমি তোমাকে অন্য কিছু ডাকতে পারবো না,,,
পিয়াস এবার প্রচন্ড রেগে যায় পিয়াস রেগে মুনিয়াকে পিছনে ঘুড়িয়ে মুনিয়ার জামার চেইন টা একটানে খুলে ফেলে
চলবে
? নিষিদ্ধ প্রেম ?
part – 4
# writer : Shifa Afrien Mim
পিয়াস এবার প্রচন্ড রেগে যায়,, পিয়াস রেগে গিয়ে মুনিয়ার জামার চেইন টা একটানে খুলে ফেলে,,,, মুনিয়া ভয়ে সরে যেতে নিলেই পিয়াস বলতে শুরু করে,,,,
পিয়াস – তোর ভাইয়া ডাকার শখ মিটাবো,,,আজকের পর থেকে আর কোনো দিন ভাইয়া ডাকবি না,,,
মুনিয়া কাঁদতে থাকে,,, পিয়াস নিজের রাগটা কনট্রোল করে মুনিয়ার কাছে যায়,,,,
পিয়াস – সরি মুনি,,, রাগাস কেনো আমায়,, কত বার বারন করছি ভাইয়া ডাকিস না বুঝতে পারছিস না,,,?
মুনিয়া – বললাম তো আমার কিছু বুঝার দরকার নেই,,, ( শক্ত গলায়)
পিয়াস মুনিয়াকে পিছন ঘুরাতে নিলেই মুনিয়া সরে যায়,,,
পিয়াস – মুনি দাড়া,,, বলেই মুনিয়ার জামার চেইন টা লাগিয়ে দেয়,,,
পিয়াস মুনিয়ার কাছে এসে দুহাতে মুনিয়ার মুখটা ধরে বলে,,
পিয়াস – মুনি আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছি,, কত বার বুঝাতে চাচ্ছি তবুও তুই বুঝতে চাস না কেনো,,?
মুনিয়া – আমি তো তোমায় ভালোবাসি না পিয়াস ভাইয়া,,,
পিয়াস – তুই ভালো না বাসলেও আমি বাসি,,, তুই আমার ব্যাস,,, তুই না চাইলেও আমি তোকে চাই ই চাই,,, সেটা যদি জোর করে আদায় করতে হই তাহলে তাই করবো,,, ( রেগে চিৎকার করে)
পিয়াস মুনিয়ার রুম থেকে চলে আসে,,, মুনিয়া ধপ করে ফ্লোরে বলে কাঁদতে থাকে,,,,
পরের দিন সকালে,,,
মুনিয়া নাস্তা না করেই কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে,,,, মুনিয়ার মা অনেক বার ডাকে কিন্তু মুনিয়া তাড়া আছে বলেই বেরিয়ে পরে,,,,
পিয়াস বুঝতে পারেনা কি এমন কাজ আছে যার জন্য মুনিয়া না খেয়ে চলে গেলো,, পিয়াস ও মুনিয়াকে ফলো করতে থাকে,,,,, হটাৎ মুনিয়াকে একটা পার্কের সামনে যেতে দেখেই পিয়াস ও আড়ালে দাড়ায়,,,,
মুনিয়া একটা ছেলের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছে,,, তাদের সাথে একটা মেয়েও আছে,,, পিয়াস চেষ্টা করছে কিন্তু ওদের কোনো কথায় শুনতে পারছে না,,,,
কিছুক্ষন পর,,,, মুনিয়া আর মেয়েটা চলে আসে,,,, আর ছেলেটা ও চলে যায়,,,,
এদিকে রাগে পিয়াসের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখে মুখখানা লাল হয়ে গেছে,,, পিয়াস হনহন করে বাড়ি চলে যায়,,,,,
বাড়ি এসে দেখে মুনিয়া আসে নি,,,, পিয়াস মুনিয়াকে কয়েক বার ফোন দেয় মুনিয়া ফোন ধরে না,,,, পিয়াসের রাগটা দ্বিগুণ বেরে যায়,,,,
পিয়াস গিয়ে মুনিয়ার মাকে বলে,,,
পিয়াস – মামি মুনি আসে নি এখনো,,?
মুনিয়ার মা – না,,, ও তো ওর বান্ধবীর বাসায় গেছে,, ফিরতে সন্ধা হবে,,,, তোর কিছু লাগবে পিয়াস,,,? লাগলে আমায় বল,,,
পিয়াস – না মামি,,,, বলেই চলে আসে,,,
পিয়াস – ( বান্ধবীর বাড়ি গেছে তাই না,,, ও তো ওর বফেস সাথে দেখা করতে গেছে,, কি মনে করেছে ও আমি কিছুই জানবো না,,, মনে মনে)
এদিকে,, মুনিয়া প্রিয়ার (মুনিয়ার বান্ধবী) সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে সন্ধা হয়ে গেছে খবরই নাই,,,,
মুনিয়া – প্রিয়া আমি আসি আজ,,,
প্রিয়া – ওকে সাবধানে যাস,,,
প্রিয়া সন্ধার দিকে বাসায় আসে,,, এসে ফ্রেশ হয়েই খেতে যায়,,,, এর মাঝে পিয়াস অনেক বার মুনিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু মুনিয়া পাত্তা দেয়নি,,,,
মুনিয়া খাওয়া শেষ করে নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে শুয়ে পরে,,,, তা দেখে পিয়াস আরও রেগে যায়,,,,
পিয়াস না ঘুমিয়ে নিজের ঘরে বসে থাকে,,,,
মাঝরাতে মুনিয়ার ঘুম ভাঙে,,, মুনিয়া পানি খেতে নিলেই দেখে গ্লাসে পানি নেই,,,,
মুনিয়া ড্রয়িং রুম থেকে পানি এনে নিজের রুমে আসতেই কেউ মুনিয়ার মুখ চেপে ধরে দরজা টা লক করে দেয়,,,,,
চলবে