নিশি_কাব্য পর্ব-৬
লেখা- Rudro Khan Himu
নিশির অবস্থা এখন অনেক ভালো । আমাদের ভালোবাসার জোরে নিশির সব সমস্যা দূর হয়ে গেছে। মানসিক অবস্থা ভালো হয়ে ওঠছে ।
শাহিন ভাই কে একটু বাইরে নিয়ে গেলাম। ডাক্তারের কথা গুলো গুপোন রাখতে বললাম। কিছুতেই নিশি কে এই কথা টা বলে যাবে না ও কখন মা হতে পারবে না।
ডাক্তার বার বার বলছে নিশি জানান কষ্ট পেয়ে এমন কিছু না করি। নিশি কে এখন শিশুদের মত আদর করে রাখতে হবে সব ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে হবে।
.
.
এসব কথা শাহিন ভাইয়ের সাথে আলোচনা করলাম। দু’জন ছাড়া এই কথা কখনো কেউ জানবে না।
নিশিকে ওদের বাসায় নিয়ে আসলাম ।গ্ৰামের মানুষ গুলো কেমন কেমন করে তাকছে। কিছু মহিলা তো বলেই ফেলল মেয়েটার চরিত্র খারাপ। নিজের ইচ্ছেতা প্রেমিকদের সাথে বিছানায় গেছে। এইসব কথা শুনে নিশি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাড়াতাড়ি করে আমি কোলে করে নিশি কে বাসায় নিয়ে গেলাম। ঔষধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিলাম।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
এই পরিবেশে নিশি কে রাখে যাবে না। সমাজের মানুষের অন্যান্য কথা শুনে নিশির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে।
তাই আমি শাহিন ভাইয়ের কাছে নিশি কে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলাম । বিয়ের পর নিশি কে নিয়ে ঢাকায় চলে যাবো । শাহিন ভাই রাজি হয়ে গেল। পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে ভাবে । বেশি মানুষ কে বলতে হবে না।
.
.
নিশি লক্ষী মেয়ের মতো শুয়ে আছে দূর থেকে একবার দেখে আমি বাসায় চলে আসলাম।
আম্মু কে সবটা বললাম একটু ভয়ে কাজ করছিল। আম্মু যদি সব শুনে রাজি না হয় । কিন্তু আম্মু আমার কথা শুনে আরও খুশি হল ।
-তোর মতো একটা ছেলে আমার আছে এটা ভাবে ভ্যাগবান মনে হচ্ছে। তোর পাশে আমি আছি বাবা।(আম্মু)
খুব কালান্ত লাগছে শুয়োরের সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকাল ১০.৩০। আমি ঘুমাচ্ছি। গভীর ঘুমে নিমগ্ন । আমার
এই মধুর ঘুমে বেঘাত ঘটাতে কল করল নিশি। খুব বিরক্তি
বোধ করছি এতো দিন পর এতো সুন্দর একটা ঘুম দিচ্ছিলাম। তাই নাম না দেখেই কল রিসিভ করলাম।
.
.
– হ্যালো। (নিশি)
– হ্যালো।
– কি মহারাজ এখনো ঘুমোচ্ছেন?????
– তো কি করব????ঘুম ছাড়া দুনিয়াতে আর কি আছে????
– তাই???? আচ্ছা এখন উঠো।
– আশ্চর্য আমাকে উঠতে বলার আপনি কে?????
– আমি যেই হই বলছি উঠ।
– মানে কি???? তখন থেকে ভাঙা রেকর্ডারের মত উঠো
উঠো বলে যাচ্ছেন।
– আজ না তোমার বিয়ে????
– তো আপনার কি???? আপনার তো আর বিয়ে না????
– আমারও বিয়ে।
– তো আমি কি করব???? আপনার বিয়ে আপনি করুন না
আমাকে জ্বালাচ্ছেন কেন?????
– আমার হবু বর এখনো ঘুমোচ্ছে।
– তো আপনার বরকে তুলুন।
– সেটাই তো করছি।
– মানে????
– মি. বদমাইশ আমি নিশি।
– এখনো তো বিয়ে হয়নি এখনি বউয়ের দায়িত্ব পালন
করছ?????
– আজ হবে তো।
– এখনো তো হয়নি।
– রিয়ের্সাল করছি।
– ও তাই।
– হ্যা।
– আজ একটু ঘুমোতে দাওনা প্লিজ।
– না বিয়ের দিন এতো ঘুমাতে নেই।
– আর একটু ঘুমাব।
– আমি এদিকে না ঘুমিয়ে সারারাত কাটিয়েছি আর
বাবু ঘুমাবেন।
– তাই কেন????
– তোমার কথা ভেবে।
– আচ্ছা উঠব তবে ঐটা দিতে হবে।
– কোনটা????
– ঐ যে কি যেন বলে???? ও “পাপ্পি।”
– যা দুষ্টু
– দাওনা প্লিজ।
.
.
এমন সময় আম্মুর আগমন। রোমান্টিক মুহুর্তগুলোতে বেঘাত
ঘটাতে কেন যে এরা আসে???? এসে আম্মুও শুরু করল।
.
.
– এই তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস???? (আম্মু)
– উঠতেছি।
– তাড়াতাড়ি উঠে তৈরী হ।
– বিয়ে তো রাতে এখন কি????
– উঠতে বলছি উঠ।
.
.
তো আর কি করব উঠলাম। নাস্তা করে বসতে না বসতেই
নিশির ফোন।
.
.
– এই নাস্তা করছ???? (নিশি)
– হ্যা। আচ্ছা বিয়ের দিন কেউ হবু বরের সাথে এত কথা
বলে????
– বলে তবে পুরনো বয়ফ্রেন্ডের সাথে। আমার তো নাই
তাই তোমার সাথে কথা বলছি।
– ও থাকা উচিত ছিল বুঝি?????
– না। থাকলে তো আর তোমাকে পেতাম না।
– তাই???? আচ্ছা এখন রাখ।
– ওকে বাই।
.
.
এই মেয়ে তো এখন থেকেই বউয়ের দায়িত্ব পালন শুরু
করছে। বিয়ের পর কি হবে কে জানে?????
সন্ধ্যা ৭.২৫। পান্জাবী পড়ছি। এমন সময় আবার নিশির
কল। বিরক্তি……।ঠিকমত পান্জাবীটাও পড়তে
দেবেনা।
.
.
– এই হয়েছে তোমার?????(নিশি)
– কি হবে????
– আরে গাধা তৈরী হয়েছ নাকি????
– হ্যা।
– তাড়াতাড়ি আস।
– ওকে।
– এই একটা পিক পাঠাওনা।
– এখন????
– তো কখন????
– বিয়েতে গেলেই দেখতে পারবে।
– না পাঠাতে হবে।
– ওকে।
.
.
পিক পাঠালাম।এই মাইয়া তো এখনি জ্বালাইয়া
মারতাছে। বিয়ের পর যে আমার অবস্থা কি হবে
আল্লাহই জানে। বিয়েতে গেলাম। বিয়ের সময় আমার
দিকে এমন ভাবে তাকাল যেন কাঁচা খেয়ে ফেলবে।
মনে মনে বললাম মসলা আর লবন দিয়ে নিস খেতে ভাল
লাগবে।
.
.
বিয়ে হয়ে গেল। বাসর রাত। বাচাল মেয়েটি চুপটি করে
বসে আছে। দরজা লাগাতেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে
কাঁদতে লাগল। আমি তো অবাক। এই মেয়ে করে কি?????
.
.
– এই কাঁদছ কেন??????
– এমনি।
– এমনি কেউ কাঁদে????
– বললাম তো এমনি।
– আচ্ছা চোখ মুছ।
চোখ মুছল।
– দেখেছ চাঁদটা কি সুন্দর????(আমি)
– হ্যা।
– আমার সাথে চাঁদ দেখবে???
– হ্যা দেখব।
– চলো।
.
.
আমরা বারান্দায় বসে চাঁদ দেখছি। আমার কাধে
মাথা দিয়ে আছে নিশি। নিশিকে চাঁদের হালকা
আলোয় অপরূপ লাগছে।
.
.
নিশি চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি আমার চাঁদকে দেখছি।
চলবে ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/