নিশি কাব্য ১১ পর্ব

0
1059

নিশি কাব্য ১১ পর্ব
(রোমান্টিক সংসারে গল্প)

লেখা-Rudro Khan Himu
কিন্তু আমি রুমের মধ্যে না থাকায় ফোন ধরেছে নিশি।
>> হ্যালো সাব্বির কেমন আছ?
>> কে তুমি?
>> তুমি কে? আর সাব্বির কোথায়?
>> এই বেয়াদব মেয়ে। তুমি কে?
আমাকে বলছ। আমি কে? আমার সাব্বিরের বউ।
>> ও ভাবি। তুমি। আমি সাব্বিরের অফিসের কলিগ। বিয়ে বাড়িতে আমাদের দেখা হয়েছিল।
>> ও। তুমি এই মেয়ে। কেন ফোন করেছ?
>> অফিসের কিছু কাজ জানার জন্য। সাব্বির কে কি ফোনটা দেওয়া যাবে।
>> সাব্বির এখন রুমে নেই।
>> ও আচ্ছা। ভাবি এখন রাখি।
>> কে ফোন করেছিল?( সাব্বির)
>> তোমার কলিগ। তোমার লজ্জা করে না। বাসায় বউ রেখে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম কর।
>> প্রেম করতে যাবো কেন? হয়তো কোন দরকারে ফোন করছে। আর ফোন করলে অসুবিধা কোথায়?
>> আমার অনেক কিছু। তুমি আমার বর। তুমি কারো সাথে কথা বলতে পারবে না। তুমি কারো সাথে ঘুরতে পারবে না।
>>ও তাই একটু দুষ্টু হাসি দিয়ে বললাম বেশী বেশী ঘুরতে যাবো।
>> না না। তুমি কারো সাথে ঘুরতে পারবে না।
>> আমি যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়ে ঘুরব। তাতে তোমার জ্বলে কেন?
>> আমার জ্বলতে যাবে কেন। তোমার যা ইচ্ছা তা কর। আমি তোমাকে আর কোনো ধরণের কথা বলব না।

তুমি ছাড়া আমার জীবন কেউ কখনো আসবে না গো পুতুল বউ। তুমি অভিমান করে থাকো না।
আজকে আমরা দুজন বাইরে যাবো তুমি রেডি হয়ে থাকো ।
নিশির চোখে জল কাছে যায়ে জরিয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দিয়ে অফিসে চলে গেলাম। এই কাজটা প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে করি।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


যেভাবেই হোক আজ দ্রুত অফিস থেকে ফিরেই নিশি কে নিয়ে বাইরে খেতে যাবো। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, মাঝখানে একটা ঘটনা ঘটে গেল।

কিন্তু অফিসের কলিগ তিশারে
মেয়ে জম্মদিন । আর এটার বলার জন্য সকালে ফোন করছিল ।
আজকে আমাকে সন্ধ্যায় ওদের বাসায় যায়ে জন্য।

তিশা নাছোরবান্দা! ছাড়াছাড়ির কোন উপায় নেই। এছাড়া অনেকদিন হল, ওর কাছে খাওয়ার আবদার করছিলাম!
তিশা একরকম জোড় করেই নিয়ে গেলেন, অনিচ্ছা সত্বেও যেতে হল। তারপরে বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেছে!
.
.
.

যতক্ষণে ফিরলাম, দেখি ঘরে তালা ঝুলছে!
২য় চাবিটা দিয়ে ঘর খুলে দেখি, ঘরের ভিতর মোটামুটি টর্নেডো বয়ে গেছে। সবকিছু এলোমেলো, বিছানা উল্টাপাল্টা।

ঘরের ভিতর কিছু দ্রব্যাদির ভাঙ্গা অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অ্যাকুরিয়ামের মাছটা মেঝেতে মরে পরে আছে।
এসব দেখে আমি ঠিক কি করব? বুঝে উঠতে পারলাম না।
আমার খুব রাগ লাগছিল ধৈর্য্য ধরতে পারছিলাম না।
তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়াও কাজ করল না। সাতপাঁচ না ভেবে কোনমতে বিছানা ঠিক করে ঘুমুতে গেলাম।
এপাশ-ওপাশ করছি, আর ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু, ঘুম যেন আমার সাথে আড়ি দিয়েছে!

কিছুতেই দু-চোখের পাতা এক হচ্ছে না। তবুও বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে জানিনা। হইত হালক ঘুম ঘুম এসেছিল।

ঠিক তখনই ফোনটা বেজে উঠে জানান দিল, কেউ একজন আমাকে স্বরণ করেছে।

ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম নাম্বারটা “পুতুল বউ” লেখা দিয়ে সেভ করা। মোবাইল স্কিনে তখন রাত ১ টা ৩৫। ফোনটা রিসিভ করলাম……
—-হ্যালো………
—-হ্যালো সাব্বির……
—-ওহ, শাহিন ভাই!
—- তোমাদের মাঝে কি হয়েছে?
আসবেন না আমাদের বাসায়?
—-বেশি কিছু না……
—-নিশি কিন্তু অভিমান করে আছে। অনেকক্ষণ হল, পুকুরপাড়ে দাড়িয়ে আছে। আমি ডাকতে গেলাম, আমার সাথে রাগারাহি করে পাঠিয়ে দিল! ফোনটাও ওর রুমে পড়ে আছে……
—-আচ্ছা থাকুক, দেখি আমি আসছি……
শাহিন ভাই ফোন করেছিল। এর আগেও এমন টা হয় নেই।

কেননা, বউকে নিয়ে ঘুমুতে ঘুমতে একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। প্রতিদিন রাতে ঘুমন্ত বউয়ের কপালে একটা চুমু না খেলে এখন আর ঘুম আসেনা।

নিশি আমার বাহুতে মাথা না রাখলে ঘুম হয় না। আর আমি জানি, ওরও ঘুম হবে না।
প্রতিদিন রাতে ওই আগে ঘুমিয়ে যায়। আমার বাহুতে মাথা রাখে, ওর চুলের ভিতরে আমি হাত বুলিয়ে দেয়,

হঠাৎ করে দেখি ও ঘুমো ঘুমো চোখে আমার দিকে তাকায়।

তারপরে ঘুমন্ত অবস্থায়ই অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে ভেংচি কাটে, তারপরে আরেকটু কাছে এসে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়।

আর এই দৃশ্যটা আমার কাছে পৃথিবীর যেকোন জিনিসের থেকে মূল্যবান।

খুব ভাললাগে, এটা না দেখলে আমার ঘুম হয় না।

নিজের অজান্তেই হাসে ওঠলাম । এই রাতেই নিশির কাছে যাতে হবে। সত্যি আমি ভুল করেছি। নিশি কে একটা ফোন করে বলা উচিত ছিল। আর বাসায় এসে আমার অভিমান করে একদমই উচিত হয় নেই।
.
.
রাতে ২ টায় বাসে উঠলাম নিশি কে ফিরিয়ে আনার জন্য।
.
.
ভোর ৫ টায় নিশিদের বাসায় চলে আসছি। শাশুড়ি আম্মা নামাজ পরছে ।
.
.
আমি সরাসরি নিশির ঘরের চলে গেলাম।
সারারাত জেগে ছিল বুধায় যাচ্ছে।
একটু আগে ঘুমেয়ছে মনে হচ্ছে। নিশির হাতটা ধরে পাশে বসে রইলাম।
৮ টার দিকে নিশির ঘুম ভাঙ্গলো। চোখ খুলে আমাকে দেখে অবাক হলো।
চলবে ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে