#না_চেয়েও_তেমায়_পেলাম🖤
#Ritu_Jahan
#Part_19 ( Last)
আদি আর আরিয়ান সামনাসামনি বসে আছে,,আদির মুখে রাগের চাপ,,,
আরিয়ানে গাল চেপে ধরে,,
আদিঃ তোর তো সাহস,,, কম না আমার জানের ক্ষতি করার চেষ্টা করিস,,, তুর ভুল দুইটা,,,প্রথমতো তুই আমার জানের সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করেছিস,,,তার জন্য তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি,,,,এটাই আমার ভুল ছিলো,,ওইদিন যদি তোরে উচিত শিক্ষা দিতাম তাহলে আমাদের ক্ষতি করার কথা ভাবতিও না,,,,বাট মানতে হবে প্ল্যান টা খারাপ করিস নাই,,বাট ভুল মানুষের সাথে পাঙ্গা নিয়েছিস,,আমাকে দেখে সবাই খুব ভালো বিজনেস ম্যান ভাবে কিন্ত এছাড়া আমার একটা পরিচয় আছে, তোর মতো পশুদের শিকার করার জন্য আনার জন্ম,,তোকে ছেড়েছিলাম কারণ আমার জান তোকে ভালোবাসে তাই,,, কিন্তু এখন অপরাধ টা বেড়ে গেছে,,সো রেডি তো মিঃ আরিয়ান আপনার ফল ভোগ করার জন্য,,,
( আদি আরেকটা পরিচয় আছে,,,, আরিয়ানে মতো খারাপ লোক,ধর্ষক,, এদের যখন প্রমানের অভাবে আইন শাস্তি দিতে না পারে,, তখন তাদের জন্য আদিই হয় আইনদাতা,, আর এসব পশুদের জন্য আদির একটাই আইন তা হলো মৃত্যুদন্ড,,,)
আরিয়ানঃ ভাই আমাকে মাপ করে দাও আমি আর কিছু করবে না,,,( ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে)
আদিঃ সেটাতো একবারই করে দিয়েছি আর তুই শুধু আমাকে না আমার কলিজার ক্ষতি করতে চেয়েছিস,,কেমনে ছাড়ি তোকে বল ,,হাসিব,,,
হাসিবঃ বল দেস্ত,,
আদিঃ ওর সাথে কি করাতে হবে তাতো বলার দরকার নাই,,
হাসিব বাকা হেসে,,,
হাসিবঃ তা আর বলতে তুই নিশ্চিত থাক,,,বাট ভাবীকে এসব বলবি না,,
আদিঃ না রে মেয়েটাকে এমনিতেই ঠিক করতে অনেক সময় লেগেছে আমি চাই না আর কোন বিষয় নিয়ে ওর চোখের পানি যাক,,,,,
হাসিবঃ ওকে,,,,
আদি বাড়ি আসতে আসতে রাত হয়ে গেলো আসলো,,,এসে দেখি ঋতু না খেয়ে আমার জন্য বসে আছে,,,অনেক কষ্টে ওকে বুজালাম,,,বুজিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম,,
সকালবেলা নাস্তা রেডি করছি এমন সময় আমার শাশুড়ী বলে ওনি নাকি গ্রামের বাড়ি,, আদির এক্সিডেন্টে এর জন্য থাকতে পারে নাই,,, তাই যাবে,,,আমাকে সব দেখিয়ে শুনিয়ে দিচ্ছ,,,হঠাৎ কিন্তু শাশুড়ী মা এমন কথা বলবে তা ভুলেও ভাবিনি,,,
শাশুড়ীঃ বিয়ের তো অনেক দিন হলে এবার আমার নাতি,,নাতনি আনবি তো,,এই বুড়ো বয়সে ওদের সাথে কাটাবো,,
আমি তো লজ্জায় শেষ,,,কি বলবো বুঝতে পারছি না,,,
শাশুড়ীঃ আরে এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেন তুই তো আমার মেয়েই,,,মায়ের কাছে কেউ লজ্জা পায় নাকি,,,
আমি মুচকি হাসি দিলাম,,রুমে এসে নিজে নিজে ভাবছি,,,আমাদের বিয়ের আট মাস হয়ে গেছে,,আর আমি টেরই ফেলাম না,,,,সম্পর্কটা যদি ঠিক থাকতো হয়তো আম্মুর কথাটি সত্যি হতো,,,এখনও তো হতে পারে,,কিন্তু,, আদি তো আমি না বলা পর্যন্ত সম্পর্ক টা ঠিক করবে না,,আর আমি বা এসব কিভাবে বলবো,,,ভাবছি
আদি আমার সামনে এসে আমার কান্ড দেখছে,,,
আদিঃ আমার মহারাণী এতো কি ভাবছে শুনি মাঝে মাঝে দেখি ব্লেসিং হচ্ছে,,,
আমিঃ ভাবছি আমাদের বিয়ের কতোদিন হয়ে গেলো,,,
আদিঃ তো এখন,,সময়তো আর তোমার জন্য বসে থাকবে না,,,,,,
আমিঃ আম্মুরা এখন চলে যাবে,,ওনি কি বলেছেন?
আদিঃ কি বলেছে,,,
আমিঃওনি নাকি নাতি নাতনি মুখ দেখতে চায়,,( অনেক লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নললাম)
আদি আমার কথা শুনে অবাক হলো,,,আমার সাথে মজা করার জন্য,,,
আদিঃ তো নাতি নাতনি আনো কে বারণ করছে,,,
আমিতো আদির কথা শুনে কান দিয়ে ধোঁয়া বেরুচ্ছে,,,
আমিঃ আমি কোথায় থেকে আনবো আজব,,,
আদিঃ আমি কি করে জানবো,,,
বলে ওয়াশরুম ডুকে গেল,,,
আমি হাবলার মতো তাকিয়ে রইলাম,,,,
আম্মুরা চলে গেল,, বিকেলে আমি বেলকনিতে বসে আছি তখনি আদির কল আসলো,,
আদিঃ কি করে জানু?
আমিঃ কি করবো বসে আছি,,,
আদিঃ এখন বসে না থেকে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচপ নামে একটু শপিং করবো,,
আমিঃ আচ্ছা,,, বাট গাড়ি চেক করছেন তো?
আদিঃ হুম বাবা ওইগুলা নিয়ে টেনশন করতে হবে না।
আমিঃ ওকে,,,
আমি একটা কালো শাড়ি কালো আদির প্রিয় কালার,,,,, রেডি হয়ে নিছে নামলাম,, দেখি ওনি নেয় ড্রাইভার পাঠিয়েছে,, মুখটা কালো হয়ে গেলো,, তবুও গাড়ি করে একটা শপিং মলে আসলাম,,,দেখি আদি বাইরে দাড়িয়ে আছে,, ওনার সাথে ভিতরে গেলাম,,ভিতরে গিয়ে আরিশা আর একটা ছেলেকে দেখলাম,,,,আদি পরিচয় করিয়ে দিলো,,ছেলেটা আরিশার হাসবেন্ড,,, ( আরিশার বিয়ের সময় আদি অসুস্থ ছিলো তাই যেতে পারিনি)আদি আমাকে ওনাদের কাছে কোথায় চলে গেল,,আমার রাগ সেই পর্যায় চলে গেছে,,এদের সামনে কিছু বলতেও পারছি না,,,,ইচ্ছে না থাকা সত্বেও ওদের সাথে শপিং আর ডিনার করলাম,,পরপ গাড়ি করে চলে আসলাম,,আদি একটু আমাকে নিতেও আসে নাই,, খুব অভিমান হলো,,,
বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিতে আদি দরজা খুলল,, পুরা রুম অন্ধকার,, আদি পিছন থেকে আমার চোখ বেঁধে দিলে,, আমাকে ধরে ধরে আমাদের রুমে নিয়ে গেলো,,আস্তে আস্তে চোখ খুললো,,, আমি দেখে হা হয়ে গেছি,, পুরা রুমে মোমবাতি আর গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে,,আমিতো দেখে আমার সব রাগ,অভিমান সব ঝরে গেছে,,, আদি আমার সামনে হাত বাড়িয়ে হাঁটু গেটে বসলো,,
আদিঃ তুমি কি পাশে সব সময়ে থাকবে,,,তোমার ভালোবাসা লাগবেনা আমার ভালোবাসাই আমাদের জন্য যথেষ্ট,, শুধু সারাজীবন আমার পাশে থাকবে? সকল সুখ,দুঃখের সাথী হবে,,,?( হাত বাড়িয়ে)
আমিঃ ইয়েস,,আমি সব সময় সব সিচুয়েশনে আপনার সাথে থাকবো,,,কিন্তু আপনি আমাকে সারাজীবন এইভাবে ভালোবাসবেন?( ওর হাতে হাত রেখে)
আদিঃ আমার শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত তোমাকে এইভাবে ভালোবেসে যাবো৷,, একটু ও কমবে না,,
বলে আমার হাতে একটা রিং পরিয়ে দিলো,,,তারপর দাড়িয়ে আমার কপালে ভালোবাসার পরশ একেঁ দিলো,,
আদিঃ তো মেরি জান এবার কি আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে,,আম্মুর ইচ্ছেটা পূরণ করা যাবে,,,,
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম,,
আদি আমার মুখ তুলে,,,
আদিঃ নিরবতা কিন্তু সম্মতির লক্ষন,,,
আমি আদি কে জড়িয়ে ধরলাম,,মনে হচ্ছে এই বুকে নিশ্চিন্তে সারাজীবন কাটানো যাবে,, আদি আমার মুখ তুলে আমার ঠোঁট জোড়া আবদ্ধ করে নিলো,,,হঠাৎ এমন করাই আমি যেন কারেন্টের শকট খেয়েছি,, এক অন্যরকম অনূভুতি লাগছে,,আজ আদি কে বাধা দিচ্ছি না আমি চাই আমাদের পবিত্র ভালোবাসা পূর্ণতা পায়,,,,অনেকক্ষণ পর আদি আমাকে ছেড়ে কোলে তুলে নিলে,,,,আমি তখনও লজ্জায় আদির বুকে মাথা লুকালাম,,
আদিঃ এতে লজ্জা পেলে তুমি আম্মু হবা কেমনে,,,,
বলে খাটে শুয়ে দিলো,,
আর আদি ঋতুকে উপহার দিলো এক সুন্দর ভালোবাসার রাত,,,পূর্ণতা পেলো আরেকটি ভালোবাসা,,🖤
আদি আমাকে আরো আগে থেকে চেয়েছে কিন্ত আমার খুব বলতে ইচ্ছে করছে #না_চেয়েও_তোমায়_পেলাম🖤
সমাপ্ত 🖤
( জানি না গল্পটা কতোটা ভালো লেগেছে আপনাদের,,কিন্তু সব সময় ভালো লিখার চেষ্টা করেছি,,,,ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন,,এটাই আমার প্রথম গল্প,, হয়তো বা তেমন ভালো লিখতে পারিনি বাট চেষ্টা করেছি,,,,আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে 🙂)