#নসীব
#পার্ট_৬
#আরবি_আরভী
উনি আমার হাতটা ধরে ঘুরিয়ে উমার বুকের সাথে মিশিয় এক হাত আমার হাতে আর অন্য হাত কোমরে রেখে গানের সাথে তাল মিলাতে থাকেন,,,
পরেরদিন আবিরের রুম পরিষ্কার করতে এলে উনি আমাকে তাচ্ছিল্যের সাথে বলতে থাকেন,,,
-রাতে ইচ্ছে করে আমার উপর এসে পড়েছিলে যেন কোনো একটা নাটক শুরু করতে পারো তাই না,,
-আপনার যা ইচ্ছে ভাবোন,,,
-তোমার বাবার কি সামান্যতম লজ্জাটুকু নেই কিভাবে পারলেন মেয়েকে এখানে পাঠিয়ে দিতে আত্মামর্যাদাহীন মানুষ,,, তোমার বাবা কি আমার উপর প্রতিশোধ নিতে চাইছেন ,, বুড়ো বাস্টার্ড টা আমার কিছুই করতে পারবে না বলে দিও উনাকে,,
-বাবা মারা গেছে আবির,,, আমার জন্য নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন,,,প্লিজ উনাকে কিছু বলবেন না আমি পাপী যা বলার আমাকে বলেন,,
আবির নিস্তব্ধ হয়ে আমার কথাগুলো শুনছেন।। দুঃখ পেয়েছেন নাকি খুশি হয়েছেন তা বোঝা বড় ভাড়।।পৃথিবীতে উনি একমাত্র ব্যক্তি যাকে হয়তো আমি কোনোদিন ভালোবাসতে পারবো না।।আমি ঘৃণা করে উনাকে।।
গভীর রাতে বারান্দায় এসে দাড়িয়ে আছি।। বারান্দা থেকে আবিরের রুমটা স্পষ্ট দেখা যায়।।একটু পরেই আবির ফোনে কথা বলতে বলতে জানালার দ্বারে এসে আমাকে দেখে ফোনটা সরিয়ে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।। যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেন না।।আমার প্রতি আবার উনার মায়া-টায়া হলো নাকি।। ধ্যাৎ।। কি যে ভাবছি।। আমি বিরক্তিকর লুক নিয়ে ওখান থেকে চলে এলাম।।
পরেরদিন আমি আর নিপা বাসার খরচের জন্য বাজারে গেলে ফেরার সময় কোনো রিকশা টেক্সী কিছুই পাচ্ছি না।। বাধ্য হয়ে দুজন হাটা শুরু করলাম।।শুনশান রাস্তায় অনেকটা পথ চলে এসেছি।।পা ব্যাথায় আর হাটতে পারছি না।। হঠাৎ একটা প্রাইভেটকার দেখে নিপা প্রায় মাঝ রাস্তায় গিয়ে লিভ নেয়ার জন্য গাড়িটাকে সিগন্যাল দিয়ে থামায়,,, মেয়েটা পারেও বটে আর একটু হলেই জানে মরতো,,,।।
-হ্যালো হায় ভাইয়া আমাদের একটু সাহায্য করেন দেখেন না আমার ম্যাডাম অনেক অসুস্থ,,,, (আমার দিকে ইশারা করে )
আমি দু হাতে খরচের ব্যাগ নিয়ে ভেবাচেকা খেয়ে দাড়িয়ে আছি।। এরই মধ্যে ছেলেটা আমার দিকে এক নজর তাকিয়ে গাড়িতে উঠার পারমিশন দিয়ে দেয়,,,
-কি হয়েছে আপনার ম্যাডামের,,,
-কিচ্ছু হয়নি,,
-ওয়াট,,
-ও হ্যা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা,,,
-আচ্ছা আপনার ম্যাডামের নাম কি,,
-এত কিছু জেনে আপনার লাভ কি,,,, এই যে এই বড় গেইটার সামনে রাখেন,,
তারাহুরা করে দুজন গাড়ি থেকে নেমে চলেই আসছিলাম লোকটা পেছন থেকে ডেকে বলল,,
-একটা থ্যাংকস তো দিতে পারতেন নাকি,,,
নিপা মুখ ঘুরিয়ে,,
-থ্যাংকু আসেন বাড়ি এসে চা কফি খেয়ে যান মন চাইলে একটু শুয়েও যেতে পারেন,, যত্তসব।। মেয়ে দেখলেই শুধু কথা বলতে ইচ্ছা করে তাই না।। লোচ্চা ছেলে কোথাকার,,
ছেলেটা নিপার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।। শতহলেও উনি আমাদের সাহায্য করেছেন।। তাই আমি গাড়ির জানালার কাছে গিয়ে বললাম,,,
-থ্যাংকস,,
সুযোগ বুজে ছেলেটা তার হাতটা বারিয়ে বলতে লাগল,,
-মাই সেল্ফ নীলয় এড ইউ,,
-নীলা,, (তার সাথে হ্যান্ডসিপ করে)
-এ বাড়িতে থাকেন,,
-জ্বি
বাসায় ফিরে দেখি আবির অফিস থেকে চলে এসেছেন।।ফ্রেশ হয়ে গ্রিন অ্যাপেল খেতে খেতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামছেন ।। আমি উনাকে পাত্তা না দিয়ে খরচের ব্যাগগুলো গোছাতে লাগলাম।।আবির আমার কাছে এসে পাশ দিয়ে হেটে যেতে যেতে নিচু স্বরে বলতে থাকেন,,,
-আজকেই লাস্ট আর কোনোদিন যদি দেখেছি অন্য ছেলের হাত ধরেছ তাহলে হাতগুলো কেটে ফেলব বুঝেছ,,,,,নিপা এক কাপ ব্লেক কফি,,
চলবে,,,