নরপশু বর
৫ম খন্ড
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
Nusrat Haq
চেয়ারম্যান এর লোকেরা যখন তাকে ধরে নিয়ে যায় আর মারে তখন আমি চেয়ারম্যান এর কাছে ছুটে যায়।
চেয়ারম্যান টাকা চায় আমার কাছে।
আমার বরের বন্ধু দের ছেড়ে দেয় কারণ ওরা টাকা দেয়। আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চায় কিন্তুু আমার থেকে তো টাকা নাই।
পরেদিয়ে তাকে ইচ্ছে মতো মাইর খাওয়াই এরপর আমার কানের দুল গুলো বেচে টাকা দিয়ে তাকে ছুটাই।
মাইর খাওয়ার পর সে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলো।
ভালো হওয়ার পর চেয়ারম্যান খবর পাঠায় আর বলে তোর বউকে কিছু দিনের জন্য আমার কাছে পাঠা। তোকে টাকা দিবো।
এরপর আমার আর চেয়ারম্যান এর কাছে পাঠায় আমাকে।
খুব লজ্জার বিষয়।
চেয়ারম্যান এর কাছে ২ দিন ছিলাম এরপর ওখানে থেকে এসে বলি তোর সাথে আর সংসার করবো না।
তখন বাপের বাড়ি চলে যায়।
প্রায় ২ বছর পর বাপের বাড়ি যাই।
যাওয়ার সময় খালি হাতে যায়। টাকা ছিলো না নাস্তা পানি কোথা থেকে নিবো।
এরপর মা আমাকে দেখে ১ প্রকার তেড়ে আসলো। কিছু বললাম না। গিয়ে দেখি ওমা আমার বড় ভাই বিয়ে করছে তার বউ আবার গর্ভবতী।
সে আমার মাকে জিজ্ঞেস করতেছে মা এটা কে। তো আমার মা উওর দেয় আমাদের ঘরে কাছ করতো।
আগে নিজের মেয়ে বলে নাই।
এরপর মা আমাকে বলে দুপুরে খেয়ে যাবি নাকি এখন যাবি।
আমার আর কিছুই বলি নি শশুর বাড়ি চলে আসি।
আসার পর বর আমাকে খুব মারে। বলে মা তো জায়গা দিলো না গেলি কেন। আরো বললও আমার চুলোই ছাড়া তোর আর কি কারো কাছে জায়গা হবে।
আরো অনেক বাজে বাজে গালাগালি করলো।
সে রাতে মরতে চেয়েছি কিন্তুু সাহসে দেয় নি।
গ্রামের মোটামুটি সবাই আমাকে খারাপ বলতো।
তেমন কেউ মিশতে চায়তো না।
আর এদিকে বাড়ি বন্ধকির টাকার জন্য আসলো। বললও কিছু টাকা হলে ও দে কিস্তি হিসাবে।
এসে উনারা আমাদের গালাগালি করে গেলো।
৮০ হাজার টাকা ছিলো বাড়ি বন্ধকির টাকা।
এরপর আমার বর অনেক পুরুষ আনে আর আমাকে তাদের চাহিদা মিটাতে বলে৷
যাইহোক এরকম চাহিদা মিটিয়ে ১০ হাজার টাক যোগার হয়।
আর তাকে বললাম যাও টাকা দিয়ে এসো।
সে টাকা দিতে গিয়ে ১ দিন আর আসলো না। আর এদিকে ওনারা টাকা দেওয়ার জন্য অনেক কথা বললও। আর বললও টাকা না দিলে কালকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
বর আসলো তো আমি জিজ্ঞেস করলাম ওনাদের টাকা দিলে না বর বললও জুয়া খেলে ফেলিছি টাকা নাই কোথা থেকে দিবো।
সমস্যা নাই আজকে ১০ জন আসবে ৫০০ টাকা করে দিলে ৫ হাজার হবে। শুধু তুই ২ দিন একটু কস্ট করবি।
বিশাস করেন সে রাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আমি মরেই গিয়েছে।
প্রচুর রক্ত পাত হয়েছে।
কিন্তুু আমাকে সে ডাক্তার কাছে নিলো না সারাদিন কস্ট করলাম শুধু রক্ত যাচ্ছে বন্ধ হচ্ছে না।আমার বর অমানুষটা আমার অসুস্থতা দেখে ও রাতে তিন জন আনলো।
তারা কোনো কিছুই মানলো। অনেক কেঁদেছি চিৎকার করেছি।
উলটো অনেক গুলো মাইর খেতে হলো।
আমার বর মাতাল সে কি বুজবে।
তারপর আর জানি না।
নিজকে হাসপাতালে দেখতে পেলাম। এক আয়া বললও আমাকে নাকি ভোর ৪ টা বাজে হাসপাতাল এনেছে অজ্ঞান অবস্থায়।
রক্ত দিয়েছে ১ ব্যাগ।
আরো ২ ব্যাগ এর মতো দরকার।
আমার বর আসলো আমি তখন ও কথা বলতে পারছিলাম না।
সে আমায় বললও নাটক করে উলটে কত টাকা খরচ করতেছোস।
আমি কেঁদে দিলাম। খুব ব্যাথা হচ্ছিলো গায়ে। আর বললাম তোর বিচার খোাদায় করবে।
বিকালের দিকে অবস্থা আপুটার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায় উনাকে ইমার্জেন্সি চিটাগাং মেডিকেল এ পাঠায়।
এর পর উনার বর লাপাত্তা হয়ে যায়।
আপুটার মা আসে৷ কিন্তুু দেখা করে চলে যায়।এরপর উনার অবস্থার অবনতি হলে ওনার পরিবারের লোকদের ডাকে হাসপাতাল কর্মরত রা।কিন্তুু কাউকে পায় না। আর আপুটা ও বলে উনার কেউ নেই।
এরপর হাসপাতাল থেকে পুলিশ ডাকা হয়।
আর পুলিশকে আপুটা সব বলে।
আপুটার রক্ত শুন্যতা দেখাদেয়।
এরপর রাত ২ টায় ওনি চিটাগাং মেডিকেল এ মারা যান৷
মারা যাওয়ার আগে ওনি এগুলো পুলিশ কে বলেছিলো। আর এ ঘটনা চট্টগ্রাম এর সংবাদ পএে ২০১২ তে ব্যাপক ভাবে ছড়াই। দৈনিক আজাদিতে।
আপুটার মা আপুটার লাশটা নেয়নি।
ওনার বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে কেউ যোগাযোগ করে নি।
উনি যখন মারা যায় হাসপাতালে কেউ ছিলো না উনার।
এমনকি উনার মা ও না।
পরে মেডিকেল এর কর্মরতরা পুলিশ কে আবার খবর দেয় আর উনার লাশ পুলিশ রাই দাফন করে।
কারন ওনার পরিবারের কেউই যোগাযোগ করেনি। আর যোগাযোগ করে ও কাউকে পাওয়া যায় নি।
হাসপাতালের বিলটা সরকার বহন করে৷
এরপর কেউ আর মামলা টা নিয়ে ঘাটেনি।
কারন পুলিশ তো টাকা ছাড়া নড়ে ও না
দোয়া করবেন আপুটার জন্য।
পরিশেষে এটাই বলবো সবাই সাবধান। কারন দিন শেষে আমরা নারীরা অনেক অসহায়।
আর অনেকেই বলে এটা কি সত্যি হতে পারে তাদের বলব আমার পুরো গল্পের সব গুলো কমেন্ট চেক করুন ওখানে অনেক বোনই লিখেছেন আপন ভাইয়ের ধারা ও অনেকে রেপ হয়ছে।
তাছাড়া সত্য মিথ্যা যাচাই করার দায়িত্ব আপনাদের দিলাম।
ভালো থাকুন সবসময় পাশে থাকুন।
আর কেমন হলো কমেন্ট এ জানাবেন। কারন এটাই আমার পাওয়া।
এত কস্ট করে লিখে যদি এতটুকু ও না পায় তাহলে লিখে আর কি করব বলুন।
সালাম।
লজ্যিত এই পুরুষদের জন্য
আসলেই কিছু পুরুষ আছে যাদের জন্য পুরো পুরুষ জাতিকে অপমান সইতে হচ্ছে । কেন তারা এমনটা করে?