ধূসর রাঙা মেঘ পর্ব-০৪

0
1090

#ধূসর_রাঙা_মেঘ
#পর্ব_৪
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি

ডক্টর শুভ্র মেঘদের দিকে এগুতে লাগলো তা দেখে আজান বলল,,

“আপু লোকটা তো একদিকেই আসছে আমার কথা শুনে ফেলল নাকি। ”

মেঘ কিছু বলবে তার আগেই শুভ্র এর সাথে থাকা মেয়েটা ভাবি বলেই মেঘকে জরিয়ে ধরলো। তা দেখে আজান তো পুরো হা হয়ে তাকিয়ে আছে।

“কেমন আছো ভাবী!”

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো? আর বাসার সবাই কেমন আছে?

“আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই ভালো আছি।”

তখন শুভ্র মুচকি হেসে আজানের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল,,

“আসসালামু আলাইকুম ছোট ভাইয়া আমি ধূসর এহসান শুভ্র ওরফে ডক্টর D.A. শুভ্র। তোমার মেঘ আপুর হাজবেন্ড।

আজান কি বলবে বুঝতে পারছে না। ও একবার ধূসর এর দিকে আবার মেঘের দিকে তাকাচ্ছে। এদিকে নোলক মেঘকে ছেড়ে আজানের দিকে তাকালো। তখন মেঘ বলল,,

“কিরে তোকে কি বলল উনি শুনতে পাস নি। ওরকম হা হয়ে কি দেখছিস।”

তখন আজান হাত মিলিয়ে বলল,,

“ওয়ালাইকুমুস সালাম। তাহলে এই এ্যাংরি ইয়ংম্যান আমার ছোট দুলাভাই। ও মাই আল্লাহ।”

ধূসর আর নোলক বসলো আর বসেই শুভ্র বলল,,

‘এ্যাংরি ইয়ংম্যান ম্যান?”

“এই যে একটু আগে ওনার সাথে এ্যাংরি ইয়ংম্যানের মতো কথা বললেন।”

“কথাই এমন ধরনের বলল যে এ্যাংরি হতেই হলো ছোট ভাইয়া। তবে আমি কিন্তু শুধু এ্যাংরি ইয়ংম্যান না। যে যেমন আমি তার সাথে তেমন বুঝতে পারলেন ছোট ভাইয়া। ”

“জি বুঝেছি!”

“গুড তা ছোট ভাইয়া কেমন আছেন?”

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আর ভাইয়া আপনি আমায় ছোট ভাইয়া কেন বলছেন আর আমি আপনার কমপক্ষে ১২ বছরের ছোট হবো।”

“আপনি নাকি আয়মান চৌধুরী সেকেন্ড ভার্সন আব্বা আমায় বলেছে তাহলে সম্মান দিতে হবে না।”

“আমার এত সম্মানের দরকার নেই কেমন লজ্জা লাগছে। আপনি আমায় তুমি করে আর নাম ধরে বইলেন।

” তাহলে আমাকেও তুমি বলতে হবে।”

“ওকে ডান।”

“তুমিও আপুর মতো আব্বা বলো।

“হুম!”

তখন নোলক বলল,,

‘আরে ভাই আমাকে আর ভাবীকে একটু চান্স দাও। আর আজান আমি হচ্ছি তোমার বোনের একমাত্র ননদ নোলক।”

“আসসালামু আলাইকুম আপু।”

“ওয়ালাইকুমুস সালাম। তা হুট করে তোমার ভাইয়াকে কিভাবে মনে পড়লো?”

“আর বলবেন না আজ না,,,

তখন মেঘ বলল,,

“কিছুই না আসলে ও ভুলে গেছিল ওর ভাইয়ার চেহারা আজ আপুর বিয়ের দিন ঠিক হলো। তখন মনে পরছে আমার বিয়ে হয়েছে অথচ সে তার ছোট বোনের জামাই চিনে না। তাই বায়না করলো। তাই না আজান।”

বোনের কথা বুঝতে পেরে আজান বলল,,

“হুম তাইতো আচ্ছা ভাইয়া আপনি ডাক্তার হলেন কবে?”

“কেন?”

“আরে আপনি যখন বিয়ে করলেন তখন তো আপনি স্টুডেন্ট ছিলেন আবার এখন নামকরা ডক্টর হয়েছেন তাই বললাম।”

“তোমায় কে বলল আমি নামকরা ডক্টর?”

“রেস্টুরেন্টে আসার পর ঐ ভাইয়াটা আপনাকে দেখেই চিনতে ফেলল আমার এক বন্ধুর বাবার অপারেশন আপনি করেছেন খুব ভালো আর নামকরা ডক্টর নাকি আপনি ডক্টর.D.A. শুভ্র। অবশ্য প্রথমে বুঝিনি আপনার ইন্ট্রো দিলেন তখন মনে পরলো সেই ডক্টরের কথা।”

“ওহ আচ্ছা। আসলে যখন তোমার আপুকে বিয়ে করি তখন আমি মেডিকেলে পড়তাম। এখন তো ছয় বছর কেটে গেছে অনেকটা সময় এখন ডক্টর হয়ে গেছি।”

“ওহ আচ্ছা আপু কোন ক্লাসে পড়েন।আপনিও ভাইয়ার মতো ডক্টর হবেন নাকি।”

“আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আর ডক্টর আরে না বিয়ে করে সংসারী হবো পড়াশোনা একদম ভালো লাগে না। তুমি জানো বাড়ির সবাই আমাকে জোর করে পড়াচ্ছে।”

নোলকের কথা বলার ভঙ্গি দেখে আজান আর ধূসর হাসলো মেঘ ও মুচকি হাসলো। হুট করে নোলক বলল,,

“ভাইয়া তুমি আর ভাবি মিলে ছাদ থেকে ঘুরে আসো এই রেস্টুরেন্টের ছাদ ও অনেক সুন্দর ডেকোরেশন করা। ততক্ষনে আমি আর আজান একটু আড্ডা দিই। আমাদের দুজনের আড্ডা জমবে বেশ কি বলো আজান।

“হ্যা আপু যাও তুমি আর ভাইয়া মিলে ঘুরে এসো।”

ধূসর বোধহয় এই সুযোগের আশায় ছিল কথাটা শুনে ও মেঘের হাত ধরে বলল,,

“ওরা দুজন যখন বলছে তাহলে চলেন ম্যাডাম ঘুরে আসি ছাদ থেকে।’

ধূসর মেঘ কে নিয়ে ছাদে চলে গেল। ছাদে গিয়ে দেখল সত্যি সুন্দর। একটা নদীর তীরে রেস্টুরেন্ট টা ছাদ থেকে এর ভিউটা অনেক সুন্দর। ওখানে দোলনাও আছে। মেঘ গিয়ে দোলনায় বসলো ধূসর ও পাশে বসলো। মৌনতা কাটিয়ে মেঘ বলল,,

“কেমন আছেন ধূসর?”

“আমার নিষ্ঠুর বউ যেভাবে রেখেছে তবে যেমনই রাখুক না কেন আলহামদুলিল্লাহ।”

“জিজ্ঞেস করবেন না আমি কেমন আছি?”

“না কারন এটা তোমার কাছে সবথেকে কঠিন প্রশ্ন এর উত্তর তোমার কাছে ধূসর রঙের মতো কেমন তুমি নিজেই জানো না।”

মেঘ কিছু বললো না মুচকি হেসে ধূসরের দিকে তাকালো। তা দেখে ধূসর বলল,,

“তুমি জানো তোমার হাসি কতো সুন্দর এভাবে সবসময় হাসবে।”

“জীবনে দুইটা জিনিস খুব মূল্যবান এক হাসি দুই কান্না তাই এই দুটো জিনিসকে বুঝেশুনে খরচ করতে হয়। তবে কি জানেন তো এই দুটো জিনিস কোন সময় মুল্যহীন মানুষদের সামনে দেখাতে হয় না। হাসিটা সৌজন্যের খাতিরে দেখানো গেলেও কান্না টা একেবারেই নয়।”

” তা আমার সামনে হাসিটা সৌজন্যের খাতিরে করলেন নাকি আমি আপনার জীবনে মূল্যবান কেউ।”

“আপনি তো বলেন আমার চাহনি দেখেই আপনি সব বুঝতে পারেন তাহলে এটাও বুঝে নিন। অবশ্য আমি ধূসর রাঙা মানবী আমাকে বোঝা একটু কঠিন।”

“এই ধূসর রাঙা মেঘকেই যে আমি ভীষণ ভালোবাসি।”

“ধূসর!”

“হুম!”

“আপনার কাঁধে আমি একটু মাথা রাখি!”

“অবশ্যই কিন্তু কারন টা কি জানতে পারি।”

“আপনার সাথে আমি আমার জীবনের অনেকটা পথ চলতে চাই। অনেক কিছু করতে চাই তেমন এখন আপনার কাঁধে মাথা রেখে পড়ন্ত বিকেল টা উপভোগ করতে চাই।”

“এই তো আমার কাঁধটা ছেড়ে দিলাম তোমার নামে নাও মাথা রাখো।”

মেঘ মাথা রাখলো তখন ধূসর বলল,,

“কফি খাবেন ওয়াইফি?”

“না এখন মুড নেই এখন শুধু এই সময়টা উপভোগ করতে চাই।আপনি আমার জীবনের দ্বিতীয় পুরুষ যার কাঁধে মাথা রেখে আমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারি।”

“এই তোমার একটা ব্যাপার আমার খুব ভালো লাগে।’

“কি?”

“এই রোজ নিয়ম করে তুমি ভালোবাসা প্রকাশ করো!”

“আমি কখন আপনাকে ভালোবাসি বললাম!”

“আরে বোকা মেয়ে মুখে বললেই কি শুধু ভালোবাসা হয় নাকি। মুখে না বলেও কাজে কতো ভালোবাসা প্রকাশ পায়। এই যে তুমি আমার কাঁধে মাথা রাখলে আমায় নিয়ে তোমার স্বস্তি প্রকাশ করলে এটা কি ভালোবাসা প্রকাশ নয়।”

এ কথা শুনে মেঘ লজ্জা পেল। আর বলল,,

“আরে আমি যে স্বস্তির কথা বললাম সেটা বুঝলেন আমি যে আপনাকে আমার জীবনের দ্বিতীয় পুরুষ বললাম সেটা কি শুনেন নি। আপনার জায়গায় অন্যকেউ হলে তো এতক্ষনে ঝগড়া লাগিয়ে দিত।”

“আমি আমিই? আমি তো অন্যকেউ না। তুমি দ্বিতীয় পুরুষ বলেছো কারন তোমার জীবনের প্রথম পুরুষ তোমার আব্বা। তাকে তুমি জীবনের সবথেকে বেশি ভালোবাসো এমন কি আমার থেকেও বেশী। অবশ্য তুমি যে নিষ্ঠুর আমাকে কখনো মুখ ফুটে বললে না আমি আপনাকে ভালোবাসি ধূসর।”

“আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনি আপনিই আর ভালোবাসি বলি না কারণ ঐ যে আপনি বললেন আমি নিষ্ঠুর তাই।”

“তুমি খুব নিষ্ঠুর মেঘ খুব নিষ্ঠুর!”

“এই নিষ্ঠুর মেয়েটাকেই কেন ভালোবাসলেন তাহলে? এই নিষ্ঠুর মেয়েটার যে এত ভালোবাসা সহ্য হতে চায় না।”

এ কথা শুনে ধূসর চুপ করে রইল। মেঘ কিছুক্ষণ চুপ থেকে ধূসরের কাঁধ থেকে মাথা উঠিয়ে ছাদের রেলিং এর কাছে গেল। পেছনে ধূসর ও গেল। মৌনতা কাটিয়ে ধূসর বলল,,

“মেঘ!”

“হুম!”

“আমি যে এই নিষ্ঠুর মেয়েটাকেই বিনা কারনে ভালোবাসি। শুধু জানি তোমার সাথে আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাটাতে চাই। তোমার সাথে হাতে হাত রেখে সমুদ্রের পাড়ে খালি পায়ে হাঁটতে চাই। একসাথে পাহাড় দেখতে চাই। রাতের আকাশের চাঁদ দেখতে চাই। বৃষ্টির দিনে তোমাকে নিয়ে গায়ে বৃষ্টির পানি মাখাতে চাই। ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে তোমাকে দেখে মুগ্ধ চোখে তৃপ্ত হতে চাই।আমি শুধু তোমাকে চাই শেষ পর্যন্ত। তুমি কি কেমন আমি কিছু জানতে চাই না আমি শুধু তোমাকে চাই।”

এ কথা শুনে মেঘ আকাশের দিকে তাকালো হয়তো চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা না এই কান্নাটা দুঃখের না সুখের খুশির কান্না। মেঘ নিজেকে সামলিয়ে প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল,,

“ডক্টর শুভ্র! আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল?”

“তা কথা কি মেঘ বলছে ডক্টর শুভ্র এর সাথে নাকি স্বনামধন্য ল…. কাসফিয়া আয়মান মেঘ।”

“আপনি যেটা মনে করেন। আমার মনে হয় আপনার এখন উচিত ডক্টর D.A. শুভ্র থেকে ধূসর এহসান শুভ্র হওয়া । আচ্ছা আপনি কেন ফুল নামটা ইউজ করেন না।

“উম এর দুটো কারন আছে প্রথমত আমি চাইনা আমার কাছের মানুষ ছাড়া ধূসর নামটাতে কেউ ডাকুক। আর দ্বিতীয় কারন টা আমার জীবনের একটা এক্সিডেন্ট বলতে পারো।”

“মানে বুঝলাম না এই বিষয়ে তো আপনি কোনদিন বলেন নি আমায়।”

“আসলে আমি তখন মেডিকেল এ থার্ড ইয়ারে পড়তাম আমাদের বিয়ের কিছুমাস পর তখন হুট করেই আমি জানতে পারি আমাদের একজন স্যার অবৈধ ওষুধ দেয় মানে সরকারের ওষুধ না দিয়ে নিজের নতুন বানানো ওষুধ দেয়। এতে পেশেন্ট দেরিতে সুস্থ্য হয়। তাতে তাদের লাভ হয় সরকারী ওষুধ বিক্রি করে তাদের আরো আলাদা আয় হয়। এটার সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের একজন সাথে ছিল। তাই বিষয়টা তার জন্য সহজ হয়েছে। একদিন একটা এ্যাসাইনমেন্ট করতে দেরি হয়ে যায়। তারা দুজনে কেবিনে কথা বলছিল এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে যাওয়ার সময় আমি কিছুটা তাদের কথা শুনে ফেলি। সেদিনের মত এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে আমি চলে যাই এরপর থেকে আমি একটু একটু করে তাদের ফলো করে এগুলো জানতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত তাদের মধ্যে একজন আমাকে দেখে ফেলে তিনি আমাকে চিনতো ধূসর নামে । সেদিনের মতো কোনমতে আমি পালিয়ে যাই দুদিন কলেজে আসি নি তারপরের দিন বাবার এক্সিডেন্ট হয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা বলে অবস্থা খারাপ। তারপরে তো তুমি সব জানোই তারপরে কয়েকদিন আর বাবার জন্য কলেজে যাই নি। তারপর মা বলল বাবার চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবে। আর সবাইকে নিয়ে যাবে কারন পুলিশ বলেছিল বাবার এক্সিডেন্ট ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়েছিল কেউ ট্রাক চালককে হায়ার করেছিল মা আমাদের কারো জীবনের ঝুঁকি নিতে চায় না। এ কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে যাই যে ঐ দুজন না তো। মায়ের কথায় রাজি হয়ে যাই এরপর লুকিয়ে প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা বলে ওনার থেকে সকল কাগজপত্র নিয়ে আসি আসার সময় তাদের মধ্যে একজনের কেবিনের সামনে দিয়ে আসার সময় শুনতে পাই আমাকে নিয়ে গবেষনা আমাকে পেলেই মেরে ফেলবে দরকার পরলে আমার পরিবার কে মেরে ফেলবে। তখন তো ভীতু ছিলাম বিদেশ গিয়ে নিজেকে নতুন রুপে তৈরি করি আমি। কিন্তু দেশে আসার পরে আমি তাদের দুজনকে খুঁজেছি কলেজে গিয়ে কিন্তু দুজনের একজনকেও পাইনি। আর সে নাকি তার কথা বলতে বারন করেছে তাই কলেজ থেকে তার বিষয়ে কিছুই জানতে পারি নি। বেশি কথা বললে যদি তারা জেনে যায় তাই আমিও ঘাটিনি নিজের মতো তাদের খুঁজে চলেছি। আর কলেজ কর্তৃপক্ষের একজন তখন ওনাকে আমি ঠিকভাবে চিনতাম না কারন উনি ডক্টর ছিল না। ফুল নাম ইউজ করি না কারন যদি তাদের সাথে দেখা হয় তাহলে যেন তাদের সাথে থেকে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রমান কালেক্ট করতে পারি তারা যেন আমায় না ধরতে পারে আমিই সেই ধূসর। এই কারনে হসপিটালে সবসময় আমি চশমা পড়ে থাকি তাতে আমাকে একটু কম চিনতে পারা যায়। এখন শুধু তাদের সাথে দেখা হওয়ার অপেক্ষা।

“ও মাই আল্লাহ এগুলো আগে আমাকে জানান নি কেন?”

“তোমাকে জানালে তুমি ভয় পেতে তাই বলি নি।”

“সেই ডক্টরের নাম কি ছিল?”

“ডক্টর জামান!”

“ডক্টর জামান আচ্ছা ঠিক আছে। বলেছেন যখন তখন হেল্প করতে পারবো। আচ্ছা ওনাদের কথা বাদ দিন।
রাতে আপনাকে একটা ওষুধ পাঠাবো সেটা শরীরে কতদিন এফেক্ট করে আমাকে জানাবেন দেখে। আমার কাজে লাগবে।

“আচ্ছা ঠিক আছে।”

“চলুন এবার নিচে যাওয়া যাক বাড়ি ফিরতে হবে তো!”

“ছয় বছর হলো বিয়ের অথচ বউ আর জামাই আলাদা বাড়িতে যাবে বলে রওনা হবে। আর বউটাই টা কেমন একবারও ভালোবাসি বললো না।

“নিষ্ঠুর মানুষ কে ভালোবাসলে যা হয় আর কি।”

“সবই কপাল!”

“হুম মহাশয় চলেন।”

ওরা দুজন নিচে এলো ততক্ষনে আজান আর নোলকের খুব ভালো বন্ডিং হয়ে গেছে। আজান ও নোলক কে বড় বোন বানিয়ে তুমি করে বলছে। মেঘ এসে বলল,,

“নোলক কি খাবে বলো তোমার ভাবি আজ তোমায় খাওয়ার বিল দেবে।”

“না ভাবি আর কিছু খাবো না আমি আর আজান দুজনে একটা পিজ্জা অর্ডার করে খেয়েছি। আর বিলটাও আমি দিয়েছি আমার নিউ ভাইয়ের ওনারে।”

তখন ধূসর বলল,,

“তোর ভাই বানাতে সময় লাগে না তাই না। আচ্ছা তাহলে আজ উঠি এখন আবার হসপিটালে যেতে হবে নোলক কে নামিয়ে।”

“ভাইয়া আমাদের বাড়িতে কবে যাবে সবাইকে নিয়ে?”

“ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি আজান!”

“ইনশাআল্লাহ!”

ওরা চারজন একসাথে বের হলো। বের হওয়ার সময় ধূসর বলল,,

“তোমরা এক মিনিট দারাও। আমি এখনি আসছি।”

ধূসর একটা প্যাকেট আজানের হাতে দিয়ে বলল,,

“এখানে তোমার পছন্দের চকলেট আছে। আমার তরফ থেকে গিফট। আমার দেখা তুমিই একমাত্র এত বড় ছেলে যে নাকি চকলেট খায়। তোমায় প্রথম আলাপেই কি দেব ভেবে পাচ্ছিলাম না তখন চকলেটের কথা মাথায় এলো তাই নিয়ে এলাম।”

“শুকরিয়া ভাইয়া। আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ সাবধানে যেও।’

“আল্লাহ হাফেজ।তোমরাও সাবধানে যেও। আর মেঘ বাড়ি পৌঁছে ফোন দিও।”

“হুম!”

ওরা দুজনে দুজনের দিকে তাকালো মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই অনেক কিছু বলে দিচ্ছে। মেঘ আজানকে নিয়ে গাড়িতে উঠলো। আর ওদের গন্তব্যে চলে গেল। ধূসর রাও নিজেদের গন্তব্যে চলে গেল।

_________________

সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মাগরিবের নামাজ পড়ে মেঘ আয়মান চৌধুরীর ঘরের সামনে গিয়ে বলল,,

“আব্বা আসবো?”

আয়মান চৌধুরী নিজের ঘরেই ছিল মায়মুনা চৌধুরী ও ছিলেন। মেঘের কথায় দু’জনেই দরজায় তাকালো আয়ামান চৌধুরী বললেন,,

‘আসেন! আম্মা কিছু বলবেন?

“হুম!”

“বলেন?”

“আমাকে দুদিনের জন্য সিলেট যেতে হবে কাজে তাই অনুমতি নিতে এসেছি।”

“কে কে যাবেন আপনারা ?”

“যারা সবসময় যাই তারাই যাবো।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। রওনা দেবেন কখন?

“কাল ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে।”

“আব্বা আরেকটু কথা ছিল একা!”

এ কথা শুনে আয়মান চৌধুরী মায়মুনা চৌধুরীর দিকে তাকালো আর বলল,,

“আম্মা চলেন আমরা স্টাডি রুমে যাই আপনার সাথেও আমার কিছু কথা ছিল।”

“ঠিক আছে!”

মেঘ চলে গেল পেছনে আয়মান চৌধুরীও গেল মায়মুনা চৌধুরী শুধু তাকিয়ে দেখলো এদের মাঝে কি কথা হয় তিনি জানেন না আর জানার চেষ্টাও করেন না। এমন কি মেঘ কি কাজ করে সেটাও জানে না।
দু’জনে স্টাডি রুমে গেল মেঘ বলল,,

“আব্বা আকাশ মাহমুদ ফিরে এসেছে এবার কি করবো?”

“আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না আগে যেমন ভাবে করতেন তেমন ভাবেই করতে হবে। আর আপনি আপনার কাজ ভালোভাবেই করতে পারেন।”

“ও আমার থেকে ওকে কেড়ে নিবে না তো? আমার একটু ভয় হচ্ছে আব্বা।”

“না না ভয় এটা মেঘের সাথে যায় না। মেঘকে ধরা ওতো সোজা না মেঘকে ধরতে গেলে মেঘ পানি হয়ে হাতের আঙুল দিয়ে বেরিয়ে যাবে।”

“আপনার কাজ কতোদূর আব্বা!”

“শেষের দিকে তবে ভাবতে পারি নি আমার বন্ধু হয়ে ও আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। ও ইচ্ছে করে আপনার ওপর আঘাত করেছিল। সেটা কোন দূর্ঘটনা ছিল না। তার লোকের মাধ্যমেই আপনি সেখানে পৌঁছেছিলেন। যদি সেদিন সাহায্যের জন্য সে না থাকতো তাহলে আপনাকে শেষ করেই দিতো আম্মা।”

“তার খেল খতম করতেই তো সিলেট যাচ্ছি আব্বা!প্রমান আনতে। তবে আরেকটা কারন আছে সিলেট যাওয়ার পেছনে পরে বলবো আপনাকে। আর এবার ধূসর ও আমার সাথে যাচ্ছে।

“তাহলে আমার আর চিন্তা নেই। কিন্তু তাকে রেখে যাবেন কার কাছে ?”

“আমরা সবাই তো যাচ্ছি না শুধু দুজন যাচ্ছি বাকিরা তার সাথে থাকবে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম তাকে ঘুরিয়ে আনতে কিন্তু ধূসর বললেন উনি যাবে তাই তাকে নেওয়া সম্ভব না। আর ধূসর কে বললেও আমার কথা শুনবেন না যাবেই। তাই তাকে নিয়ে যাওয়া ক্যানসেল।

“এতো রিস্কের মধ্যে তাকে না নেওয়াই ভালো এর থেকে ধূসর যাক আমিও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো।”

“আরে ওখানে রিস্ক কোথায় যাবো প্রমান খুজবো আর আনবো কিন্তু আপনি আর ধূসর তো এমন ভাবে বলছেন যেন আমি যুদ্ধ করতে যাচ্ছি।”

“আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ নয়। ধূসর ডক্টর ও এই বিষয়ে আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করতে পারবে। আর আপনি সহজে ঢুকতেও পারবেন সেখানে।”

“হুম বুঝেছি সেই জন্যই তো ধূসরকে মানা করি নি। অবশ্য আরেকটা কারন ও আছে।

“ওকে বেস্ট অফ লাক আম্মা এবারও আপনিই জিতবেন ইনশাআল্লাহ্।”

“ইনশাআল্লাহ আব্বা সে যদি শুধু আমার ক্ষতি করতো তাহলে তাকে আমি কিছুই বলতাম না। কিন্তু সে আপনার ক্ষতি করতে চেয়েছে আরো অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে এবং করে যাচ্ছে একে কি করে ছেড়ে দিই।”

“হুম আম্মা আল্লাহর ওপর ভরসা করে সামনে এগিয়ে যান। আপনারই জয় হবে নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।”

“ইনশাআল্লাহ আব্বা দোয়া করবেন যেন সব সহজভাবে করতে পারি।”

______________

এহসান ভিলা ,,,

ধূসরের বড় ভাই দিশান বলল,,

“ধূসর আজ নাকি মেঘের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলি?”

তখন ধূসর বলল,,

“আসলে মেঘের ছোট ভাই আজান দেখা করতে চেয়েছিল তাই আর কি?”

“তা কেমন দেখলো তোকে ?”

“প্রথমেই এ্যাংরি ইয়ংম্যান বলেছে।”

এ কথা শুনে সকলেই হেসে উঠলো তখন ধূসর এর মা দিলরুবা খানম বললেন,,

“সেখানে গিয়ে আবার কি রাগ দেখিয়েছিস এমনিতে তো তুই খুব রাগী এমনি এমনিই তো আর তোকে এ্যাংরি ইয়ংম্যান বলেনি।”

তখন নোলক বলল,

“আমি বলছি”,,‌ নোলক সব বলল সব শুনে ওদের মা বলল,,

“ঠিকই আছে তাহলে।”

“তবে জানো মা ভাবির ভাই না একদম ভাবীর মতো কিউট। যদিও ভাবীর থেকে অনেক সুন্দর তবে ভাবীর থেকে বেশি কিউট কেউ হতেই পারে না।”

তখন ধূসর বলল,,

“হইছে ভাবীর চ্যালা এবার থাম।”

“ঐ একদম আমাকে চ্যালা বলবে না এই যে তোমাকে ছেড়ে ভাবীর প্রশংসা করছি তোমার জ্বলছে নাকি।”

“আমার জ্বলবে কেন রে!”

“হইছে ভাই তোরা থাম।”

দিশানের কথায় ওরা দুজন চুপ হলো। তখন ওদের বাবা জুবায়ের এহসান বলল,,

“আমাদের একবার ও বাড়িতে যাওয়া উচিৎ। আয়মান ও বলছিল। সেই কবে গিয়েছিলাম তারপর এত ঝামেলার মধ্যে সব এলোমেলো হয়ে গেল আয়মান ছাড়া আর কারো সাথে তেমন আলাপ ও নেই। আমরা নাকি চৌধুরী বাড়ির কুটুম।”

তখন দিলরুবা খানম বললেন,,

“যা হয়েছে তা কিছুই আমাদের হাতে নেই। তুমি মন খারাপ করো না কালই আমরা যাবো তাহলে আয়মান ভাইকে বলে দাও।”

“তাহলে কাল না আরো দুদিন পর যাও।”

ধূসর এর কথায় সবাই ওর দিকে তাকালো‌ । আর বলল,,

“কেন?”

“কারন আমি আর মেঘ দুদিনের জন্য সিলেট যাচ্ছি কাজে।’

এ কথা শুনে দিলরুবা অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করল,,

“সিলেট! ওখানে আবার কেন ?”

“রিল্যাক্স মা ওখানে মেঘের কাজের জন্য যাচ্ছি। তাছাড়া অনেক দিন হলো আমি আর মেঘ কোথাও ঘুরতে যাই না তাই এই সুযোগটা কাজে লাগাই।”

“আচ্ছা ঠিক আছে তবে ঐ বাড়ির আশেপাশেও যাবে না।”

“আচ্ছা ঠিক আছে।”

কিন্তু ধূসর মনে মনে বলল,,

“সরি মা মাফ করো পুরো সত্যি টা বলতে পারলাম না। বললে যে তুমি আরো অস্থির হয়ে পরতে। আমি যে তোমাকে আর টেনশন দিতে চাই না।”

“আমরা তাহলে দুদিন পরেই যাবো মেঘ ফিরুক। ফিরেই সারপ্রাইজ পাবে সেটাই দারুন হবে।”

“হুম। ভাবি আর রিম, ঝিমরা কবে আসবে ভাইয়া ?

“এই তো আজই আসার কথা ছিল আমার শাশুড়ি মা বললেন কাল আসবে। আসুক তার সময় মতো পরে নাহলে তোর ভাবি বলবে আমি তাকে বাপের বাড়ি থাকতে দিই না।”

‘তোমার তো তাও বউ বাপের বাড়ি যায় আর আসে কিন্তু আমার বউ যে নাকি বিয়ের এবছর ধরে শুধু বাপের বাড়ি থাকে মাঝে মাঝে আমাদের সাথে দেখা করে যায়। কি নিষ্ঠুর মেয়ে একদিন আগ বাড়িয়ে কল ও দেয় না।

“ওর সিচুয়েশন আর তোর ভাবির সিচুয়েশন এক নাকি। বাকিটা তোদের ব্যাপার আমাদের বলছিস কেন?

তখন নোলক বলল,,

“ভাইয়া আর বলো না ছোট ভাইয়া একটু বেশি বেশি।”

এ কথা শুনে সকলে একটু হাসলো কিন্তু ধূসর মুখ ছোট করে খেতে লাগলো।

( নায়ক ধূসর এহসান শুভ্র সেই কারনে ধূসর এহসান যুক্ত করে না । । বাবা এহসান খান তাদের বিজনেস আছে। সেও একজন বিজনেস ম্যান।মা দিলরুবা খানম হাউজ ওয়াইফ। ধূসরের বড় ভাই দিশান এহসান খান তার স্ত্রী রোহিনী খান তাদের টুইন মেয়ে রিমঝিম বয়স চার বছর। দিশান ও বিজনেস করে তাদের পারিবারিক বিজনেস । বোন নোলক এহসান খান এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। এই হলো ধূসর দের পরিবার।)
__________________

রাতে চৌধুরী বাড়ির ডিনার টেবিলে,,
আয়মান চৌধুরী একপাশে মেঘ আরেক পাশে আজান বসেছে। আয়মান চৌধুরী আজানকে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করল,,

“তো মিস্টার আজান চৌধুরী ছোট দুলাভাই কেমন দেখলেন?”

“একদম ফাস্ট ক্লাস।”

তখন শায়লা বলল,,

“মামা আমরা কাল সকালেই চলে যাবো।”

তখন আয়মান চৌধুরী মাথা উঠিয়ে বলল,,

“মুনের বিয়ের আগে লেডিসরা কোথাও যাচ্ছো না।”

“আহ হা মামা আবার তো কয়েকদিন পর আসতে হবে তখন নাহয় আসবো আবার।”

“আমি কিছু শুনতে চাই না আর হ্যা দুদিনের মধ্যে জায়মাও আসছে আমার কথা হয়েছে ওর সাথে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে মেঘ কাল আমরা ঘুরতে যাবো।”

তখন মেঘ বলল,,

“সরি আপু হবে না কাল সকালে আমি সিলেট যাচ্ছি কাজে দুদিনের জন্য।”

তখন আয়না চৌধুরী বলল,

“কি এমন কাজ করিস জানলাম-ই তো না। পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত তো শুধু শুনলাম।”

তখন আয়মান চৌধুরী বলল,,

“ওর বিষয়ে তোদের না জানলেও চলবে আমার মেয়ে আমি জানলেই হলো। আমি জানি মেঘ কেন যাচ্ছে। বাকিদের এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো।

খাবার টেবিলে মেঘকে নিয়ে আর কোন কথা হলো না। খাওয়া শেষে আজান সবাইকে চকলেট বিলাচ্ছে। সবাই সোফায় বসে আছে শায়লার জন্য মেঘ ও বসে আছে।আসলে ধূসর ওকে অনেকগুলো চকলেট দিয়েছে এতগুলো চকলেট তো আর একসাথে খাওয়া যায় না। তাই সবাইকে দিচ্ছে। মেঘকেও দিল আর বলল,,

“আপু এই চকলেট গুলো খেয়ে আমার জন্য একটু আর যে দিয়েছে তার জন্য একটু দোয়া করো যাতে একটা করে ভালো বউ পায়।”

তখন মেঘ বলল,,

“তবে রে?”

“হুম তার জন্য নতুন একটা হলেও মন্দ হয় না।”

“এই তুই দারা তোর হচ্ছে,,,

বলেই মেঘ উঠে দাঁড়ালো তা দেখে আজান দৌড় দিল। মেঘ এখন আজানের পেছনে দৌড়াচ্ছে এই বিষয়টা যেন কারো হজম হচ্ছে না। মেঘ এভাবে দৌড়াচ্ছে এটা ও ছোট বেলায় করতো হুট করেই সব বন্ধ করে একা থাকতো। এতদিন পর এভাবে দেখে আয়মান চৌধুরী বেশ খুশি হলেন বুঝতে পারলো তার মেয়ের মন আজ খুব ভালো। আজান হাঁপিয়ে গেছে ও দাড়ালো তা দেখে মেঘ গিয়ে ওর কান ধরে বলল,,

“আরো বলবি এরকম কথা ?”

“আরে আপু লাগছে আমি তো মজা করছিলাম।”

“কোন বিষয় নিয়ে অহেতুক মজা করা একদম উচিৎ নয় আজান এ কথা আগেও বলেছি তোকে।”

“আচ্ছা সরি আর করবো না এই যে ওয়াদা করলাম তোমায়!”

“ঠিক আছে!”

তখনি আজানের নজর গেল সামনের দেয়ালে ও বলল,,

“দাঁড়াও আপু আমি একটা লাঠি নিয়ে আসি আর হ্যা ওটার দিকে নজর রাখবে কোথাও যেন না যায় আর গেলেও কোথায় যাচ্ছে।”

আজান মেঘকে হাত দিয়ে দেখালো মেঘ দেখতে পেল একটা টিকটিকি তা দেখে মেঘ মুচকি হাসলো । ততক্ষনে আজান চলে গেছে মেঘ সেটাকে পাহাড়া দিতে লাগলো। মেঘ আর আজান দৌড়ে ওপরে চলে এসেছে তাই নিচের কেউ এটা লক্ষ্য করে নি। আজান একটা লাঠি নিয়ে এলো তখন মুন ওপরে ছিল ও আজানের হাতে লাঠি দেখে বলল,,

“কিরে তুই কোথায় যাচ্ছিস লাঠি নিয়ে?”

“দেখতেই পাবে আসো!”

আজান দেখলো টিকটিকি টা সেখান থেকে একটু সরে গেছে ও আস্তে আস্তে ভালোভাবে একটা বাড়ি মারলো এক বাড়িতেই টিকটিকি টা মার গেল তা দেখে আজান বলল,,

“আলহামদুলিল্লাহ এক বাড়িতেই শেষ!”

তা দেখে মুন বলল,,

“তুই টিকটিকে মেরে বলছিস আলহামদুলিল্লাহ!”

“আরে আপু তুমি জানো না মেঘ আপু বলেছে,,আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতেই টিকটিকি মারতে সক্ষম হবে, তার নেকীর খাতায় একশত নেকী লিখে দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় আঘাতে মারলে, প্রথমের থেকে কম পাবে এবং তৃতীয় আঘাতে মারলে, তার চেয়েও কম পাবে।” (মুসলিম ২২৪০)

আমি টিকটিকিটা মেরে নেকী পেলাম আলহামদুলিল্লাহ বলবো না।

এ কথা শুনে মুন চুপ করে গেল তখন মেঘ বলল,,

“হুম এখন চল এটাকে তুলে ফেলে দে।”

“হুম চলো!”

অতঃপর সকাল,,

~চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে