ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__৯ম
.
ড্রেস চেঞ্জ করার কিছু সময় পরই শরীরের ভিতর চুলকানি অনুভব করলাম।তার মানে মেঘলা আমার জামার ভিতর চুলকানির ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছে।ওহ কি চুলকানি।চুলকানির জন্য শরীর একদম জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।আল্লাহ বাচাও আমারে।আমি সোজা ওয়াস রুমে চলে গেলাম।
ওয়াস রুমে গিয়ে শাওয়ার নিলাম।শাওয়ার নিয়ে রুমে আসতেই আমার সব বন্ধুরা শরীর চুলকাইতে চুলকাইতে আমার রুমে আসলো।আমি ওদের
অবস্থা দেখে মিষ্টি মিষ্টি হাসতেছি।বাহ মেঘলা তো অনেক ভাল কাজ করেছে।আমার একটা টাকাও বৃথা যায়নি।এবার ওরা বুঝবে চুলকানি
কি জিনিস।হাহাহাহা ওদের সবার কি অবস্থাটায় না করেছে মেঘলা।
আমি বললাম:
.
— কিরে তোরা এমন করছিস কেন?
— ভাই তোর শালিকা তো আমাদের
পুরাই বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।(রাফি)
— কেন রে?কি করেছে ও।
— কি করেনি তাই বল।(রকি)
— তোর শালিকা আমাদের বিছানায়
চুলকানির ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছে।
— ওহহহহহহ কি চুলকানি রে বাবা।
— হাহাহাহাহাহাহা।তাই নাকি?
— হু।
.
কথাটা শেষ হতেই লামিয়া রুমে আসলো।লামিয়াকে দেখে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেল।লামিয়া আসতেই আমি নিচে বিছানা করার
জন্য কাথা আর বালিশ হাতে নিলাম।এমন সময় লামিয়া বললো:
.
— দাড়ান কি করছেন?
— নিচে ঘুমানোর জন্য
বিছানা করছি।
— আপনার নিচে বিছানা করা
লাগবে না।
— তাহলে আমি ঘুমাবো কোথায়?
— আপনি বিছানায় আমার সাথে
ঘুমাবেন।
.
কথাটা শুনেই বুকের বাম পাশটা কেমন যেন করে উঠলো।যে মেয়েটা
আমার সাথে ঘুমাতে চায়নি বলে আমাকে নিচে থাকতে হয়েছে।আজ
সেই মেয়েটাই আমাকে তার সাথে ঘুমাতে বলছে।মেয়েদের মন বোঝা
নয় রে নয় সোজা।আমি অবাক দৃষ্টিতে লামিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
.
— এই যে এইভাবে কি দেখছেন?
— না কিছু না।
— এই শীতের রাতে আপনাকে
আর কষ্ট করে নিচে ঘুমাতে
হবে না।
— আপনি এখন থেকে আমার
সাথেই ঘুমাবেন।
.
লামিয়ার কথাগুলো শুনে আমার দুচোখে অশ্রু চলে আসলো।তবে এইটা কষ্টের অশ্রু না।এইটা হলো আনন্দের অশ্রু।আমি বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম।তার কিছু সময় পরই লামিয়া এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো।মানুষ বড়ই অদ্ভদ।কখন যে কে কার আপন হয় আর কখন যে কে কার পর হয়ে ওঠে তা বোঝা বড় কঠিন।দেখতে দেখতে লামিয়া ঘুমিয়ে পড়লো।আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি লামিয়ার দিকে।ঘুমের ঘোরে লামিয়ার ওই মায়াবি মুখটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।লামিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারি নি।সকালে সূর্যের রশ্মি চোখে পড়ায় ঘুমটা ভেঙে গেল।ঘুমটা ভাংঙতেই আমার পাশে তাকিয়ে দেখি লামিয়া আমার পাশে নেই।এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি লামিয়া রুমের ভিতরও নেই।কি ব্যাপার লামিয়া এতো সকালে কোথায় গেল।মন মরা হয়ে দরজার সামনে তাকাতেই আমার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।দরজার সামনে তাকিয়ে দেখি
লামিয়া গোসল করে আসছে।চুলগুলো এতো মেলো।ঠোঁঠে হালকা লিপস্টিক দেওয়া।সব মিলিয়ে লামিয়াকে দেখতে এখন অনেক সুন্দর লাগছে।লামিয়ার ঠোঁঠের ওই লিপস্টিক দেখে আমার লিপস্টিকের সাদ নিতে ইচ্ছে করলো।দেখতে দেখতে লামিয়া আমার কাছে চলে আসলো।
আমি লামিয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।লামিয়া আমার সামনে এসে বললো:
.
— ওই এমন করে কি দেখছো?
— তোমাকে।
— আমাকে আবার দেখার কি
আছে।
— দেখছি তোমার ওই লিপস্টিক
মাখা ঠোঁঠ দুটাকে।
— এখন তোমার ঠোঁঠের লিপস্টিকের
স্বাদ নিতে খুব ইচ্ছে করছে।
— না এখন তুমি এই সব কোন কিছুই
করবে না।
— যাষ্ট একবার প্লিজ।
— না।দেখো একদম সামনে আসবে
না বলছি।
.
সামনে আসতে আসতে আমি একদম লামিয়ার কাছে চলে আসলাম।লামিয়া এক পা দু পা পিছাতে পিছাতে একদম দেওয়ালের সাথে আটকে
গেল।আমি লামিয়ার কাছে আসতেই লামিয়া ওর দুচোখ বন্ধ করে ফেললো।আমি আমার ঠোঁঠটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে আসলাম।
লামিয়ার দু ঠোঁঠ কাপছে।আমি আমার ঠোঁঠটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিতেই কারো ডাকে চমকে উঠলাম।তাকিয়ে দেখি মেঘলা দাড়িয়ে আছে।
.
— এই যে দুলাভাই খাবার খেতে
আসেন।আম্মু আপনাকে খেতে
ডাকছে।
— তুমি যাও আমি আসতেছি।
— হু তাড়াতাড়ি আসেন।
— শুধু কিস খেলে পেট ভরবে
না।
.
কথাটা বলেই মেঘলা মিষ্টি মিষ্টি হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।মেঘলা বেরিয়ে যেতেই আমি আবার লামিয়ার দিকে আসলাম।এমন সময় লামিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেল।এটা কি হলো।লামিয়ার কাছে আসার যে একটা সুযোগ পেয়েছিলাম।তাও মেঘলার জন্য মিস হয়ে গেল।তারপর আমি ফ্রেস হয়ে খাবার রুমে চলে আসলাম।সেখানে এসে দেখি আমার সব বন্ধুরা আমাকে রেখেই খেতে বসে গিয়েছে।শালারা একেকটা কি ভাবে খাচ্ছে দেখেন।গরুও মনে হয় ওদের মতো করে খায় না।আমি আমি গিয়ে বসার কিছু সময় পর ওদের সবার খাওয়া হয়ে গেল।ওরা যার যার মতো করে রুমে চলে গেল।এমন সময় লামিয়া খাবার রুমে আসলো।সেখানে এসে লামিয়া আমার পাশে এসে বসলো।মেঘলা আমাদের দুজনের জন্য প্লেটে খাবার বেরে দিল।আমি খেতে শুরু করলাম।লামিয়া খাচ্ছে না শুধু আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।কিছু সময় পর পায়ের উপর একটা আঘাত অনুভব করলাম।নিচে তাকিয়ে দেখি লামিয়া ওর পা দিয়ে আমাকে আঘাত করেছে।
.
— আহহহহহহহহহহহহহহ।
— দুলাভাই কি হলো?(মেঘলা)
— ট্রাকের একটা চাকা পায়ের
উপরে উঠছে।
— দুলাভাই আপনি এখানে ট্রাক
পাইলেন কোথায়?
— তোমার আপুর পা একটা ট্রাকের
চাকার থেকে কম কি?
— কি বললি তুই।(লামিয়া চোখগুলো বড়
বড় করে বললো)
— কই কিছু না তো।
— আমাকে না খাইয়ে দিয়ে তুই খাচ্ছিস কেন?
— এখন তোমাকে আমি খাইয়ে দিতে
পারবো না।
— খাইয়ে দিতে পারবি না তাই না।দাড়া
(বলেই পা দিয়ে দ্বিতীয় আঘাত করলো)
— আহহহহহহহহহহহ।কে বললো খাইয়ে দেব না
দিচ্ছি তো।হা করো।
.
লামিয়া ইয়া বড় একটা হা করলো।আমি নিজে হাতে লামিয়াকে খাইয়ে দিচ্ছি।আহহহহ কি বউ পেয়েছি।বউ আমাকে না আমাকেই বউকে খাইয়ে দিতে হচ্ছে।মেঘলা আমার অবস্থা দেখে মিষ্টি মিষ্টি হাসছে।তখন
আমি বললাম:
.
— মেঘলা তুমি খেয়েছো?
— না আপনারা খাওয়ার পর
খাবো।
— নাও হা করো।
— না দুলাভাই আপনারা খান।
আমি পরে খাবো।
— হা করো বলছি।
.
মেঘলা হা করতেই আমি মেঘলাকে খাইয়ে দিলাম।আহা কি শান্তি দুই সাইডে দুই বউকে খাইয়ে দিচ্ছে।এরকম কিছু সময় পর মেঘলা বললো:
.
— দুলাভাই আপনি হা করেন তো।
— কেন?
— আপনাকে আমি একটু খাইয়ে দেই।
— আচ্ছা দাও।
.
মেঘলা আমার প্লেট থেকে খাবার নিয়ে আমার মুখে তুলে দিল।একটু খাওয়ার পরই মুখের ভিতর ঝাল অনুভব করলাম।আমার প্লেটের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার প্লেটে রাখা কাঁচা মরিচটা নেই।তার মানে মেঘলা আমার খাবারের সাথে মরিচটা মিশিয়ে দিয়েছে।মুখটা খুললেই মনে হচ্ছে আমার সমস্ত মুখ দিয়ে আগুন বেরুতে শুরু করবে।
.
.
.
.
.
.
.
.
#______(চলবে)_______