ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__৮ম
.
দরজার সামনে তাকিয়ে দেখি লামিয়া আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি ওঠে দাড়াতেই লামিয়া দরজার সামনে থেকে
চলে গেল।আমি লামিয়ার পিছন পিছন হাটতে শুরু করলাম।
.
— লামিয়া দাড়াও যেও না।
আমার কথাটা শোন।
— লামিয়া হেটেই চলেছে।
— লামিয়া দাড়াও প্লিজ।
— তবুও লামিয়া থামছে না।
.
দেখতে দেখতে লামিয়া ছাদে চলে আসলো।আমি দৌড়ে পিছন থেকে লামিয়ার হাতটা টেনে ধরলাম।হাতটা ধরতেই লামিয়া দাড়িয়ে পড়লো।লামিয়ার চোখের দিকে তাকাতেই দেখলাম ওর দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে পড়ছে।
.
— আমার হাত ছাড়েন।
— তুমি আমার কথাটা শোন।
— আমি কোন কথা শুনতে চাই না।
আপনি আমার হাত ছাড়েন বলছি।
— না ছাড়বো না।আগে তোমাকে
আমার কথাগুলো শুনতে হবে।
— আমি আপনার কোন কথায়
শুনতে চাই না।
— না তোমাকে শুনতেই হবে আমার কথা।
— এই মেয়েটা কে জানো?
— এই সেই মেয়ে যার জন্য আজ
আমি একজন ধর্ষক।
— মানে?
— (আমি লামিয়াকে সব কথা খুলে বললাম)
.
কথাগুলো শুনে লামিয়া একদম নিস্তদ্ধ হয়ে গেল।দুজনেই নিরব হয়ে দূরের ওই নীল আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছি।এমন সময় কোন এক
মেয়ে কন্ঠে পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে তাকিয়ে দেখি মেঘলা
দাড়িয়ে আছে।
— এই যে দুলাভাই।এখানে দুজন
এভাবে দাড়িয়ে আছে কেন?
— না এমনিতেই।
— সকলে আপনাদের জন্য অপেক্ষা
করছে।আর আপনারা এখানে
দাড়িয়ে আছেন।
— তুমি যাও আমরা আসতেছি।
.
মেঘলা ছাদ থেকে নিচে নেমে গেল।লামিয়া এখনও ওই নীল আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছে।আর নিরব হয়ে কি যেন ভেবেই চলেছে।লামিয়ার
নীরবতা ভেঙে আমি বললাম:
.
— চলো এবার আমাদের রুমে যেতে হবে।
— হু চলুন।
.
তারপর আমি আর লামিয়া ছাদ থেকে নেমে রুমে চলে আসলাম।বিকেলে আমাদের লামিয়াদের বাসায় নিয়ে আসা হলো।এইটা বিয়ে বাড়ির একটা নিয়ম।বিয়ের পরের দিন মেয়ে বাড়ি থেকে লোকজন এসে স্বামী স্ত্রী এবং
ছেলের বন্ধুদের মেয়ের বাড়িতে নিয়ে আসা।আমাদের সময়ও তার কোন ব্যাতিক্রম হয়নি।আমি এবং আমার কিছু বন্ধু সহকারে আমাদের লামিয়াদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।রাতে খাওয়া দাওয়া করার জন্য
খাবার টেবিলে চলে আসলাম।আমি গিয়ে বসার কিছু সময় পর আমার সব বন্ধুরা সেখানে বসলো।মেঘলা আমাদের সবার জন্য টেবিলে সরবত বেরে দিল।কি ব্যাপার এখন সরবত দিচ্ছে কেন?আর ওদের সবার সরবতের চেয়ে আমার শরবত এতো লালই বা হয়ে আছে কেন?ডাল মে কুচ কালা হে।আমি বললাম:
.
— কি ব্যাপার এখন সরবত দিচ্ছো কেন?
— এইটা আমাদের বাড়ির নিয়ম দুলাভাই!
খাবার খাওয়ার পূর্বে শরবত খেতে হয়।
— আচ্ছা আমার শরবত এমন লাল
হয়ে আছে কে?
— আপনি তো আমাদের বাড়ির জামাই
তাই আপনার শরবতে একটু সব কিছু
বেশীই দেওয়া হয়েছে।
— তুমি তো আমার একমাত্র শালিকা।
তাই আমি যেটা খাবো তোমাকে সাথে
নিয়েই খাবো।তুমি প্রথমে খাও তারপর
আমি খাইতেছি।
— না দুলাভাই ওইটা আমার খাওয়া
যাবে না।
— কেন?
— ডাক্তারের নিষেধ আছে।আমার
কোন শরবত খাওয়া যাবে না।
আপনি খান।
— মেঘলা এতো করে বলছে খা
না ভাই।(রাফি)
— হু।
.
এই শরবতের ভিতর কোন না কোন সমস্যা তো নিশ্চয় আছে।তাইতো মেঘলা নিজে খেতে চাইছে না।হাহাহাহাহা রাফি তোর মেঘলার পক্ষ নেওয়া বের করছি দাড়া।পরীক্ষাটা আমি তোকে দিয়েই করবো।
.
— রাফি।
— হু বল।
— আজ পর্যন্ত কি আমি কোন
কিছু তোকে ছাড়া খেয়েছি।
— না রে ভাই।তোর টা আমি খেয়েছি
আর আমারটা তুই।
— তাহলে এখনো তার ব্যাতিক্রম হবে
কেন?
— না দুলাভাই এইটা শুধু মাত্র আপনার
জন্য।আর তাছাড়া ওনার তো শরবত
আছেই ওনি ওইটা খাবে।(মেঘলা)
— না এই সরবতটা আমরা দুজনই
ভাগাভাগি করে খাবো।
— তুই যখন এতো করে বলছিস দে খাই।
.
রাফির শরবতের গ্লাসটা আমার হাতে আর আমার শরবতের গ্লাসটা রাফির হাতে দিলাম।গ্লাসটা রাফির হাতে দিতেই মেঘলার মুখটা চুপসে গেল। আমি একটু একটু করে শরবত খাচ্ছি আর রাফির দিকে তাকিয়ে আছি।আল্লাহয় জানে রাফির আজকে কি অবস্থা হবে।রাফি এক নিশ্বাসে সব শরবত খেয়ে ফেললো।তার কিছু সময় পরই রাফির মুখ দিয়ে আগুন বেরুতে শুরু করবো।রাফির এমন অবস্থা দেখে আমার মুখ থেকে শরবত পড়ে আমার জামাতে লাগলো।আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম শরবতের ভিতর কোন না কোন সমস্যা তো নিশ্চয় আছে।আসলে শরবতের সাথে শুকনা মরিচের গুড়া মেশানো ছিল।তাই তো রাফির মুখ এমন আগুনের মতো দা দা করে জ্বলছে।যাক একদিক থেকে ভালই হয়েছে।আমি তো বেঁচে গিয়েছি।এদিকে রাফি ওয়াস রুমের দিকে দিছে একটা দৌড়।রাফি এক দোড়ে সোজা ওয়াস রুমে চলে গেল।আমার সব বন্ধুরা রাফির অবস্থা দেখে হাসতে শুরু করলো।এমন সময় লামিয়া খাবার রুমে আসলো।লামিয়াকে দেখেই মেঘলা খাবার রুম থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল।কিছু সময় পর রাফি ওয়াস রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।লামিয়া আমাদের সবার জন্য টেবিলে খাবার বেরে দিল।সবাই খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে গেল।আমিও আমার রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে দেখি মেঘলা আমাদের বিছানাটা গুছিয়ে দিচ্ছে।আমি রুমের ভিতরে ঢুকতেই মেঘলা বললো:
.
— দুলাভাই আপনার ওই ড্রেসটা
চেঞ্জ করে এইটা পড়ে নিন!
— ওইটা শরবত পড়ে নষ্ট হয়ে
গিয়েছে।
— তুমি যাও আমি পড়তেছি।
— আচ্ছা।
— মেঘলা শোন।
— কি কিছু বলবেন?
— এই নাও ১০০০ হাজার টাকা।
— এই টাকা আমাকে দিচ্ছেন কেন?
— আমার বন্ধুদের বিছানায় চুলকানির
ওষুধ মিশিয়ে দেবে।
— এইটা কি বলছেন দুলাভাই।
— যা বলছি তাই করো।
— টাকা লাগলে আরো দেব।
— না দুলাভাই আর লাগবে না এতেই
হয়ে যাবে।
.
মেঘলা হাসতে হাসতে আমার রুম থেকে বেরিয়ে গেল।আহা কি মজা। এবার ওরা বুঝবে চুলকানির কি সাজা।মেঘলা যাওয়ার পর আমি ড্রেসটা চেঞ্জ করে নিলাম।ড্রেস চেঞ্জ করার কিছু সময় পরই শরীরের ভিতর চুলকানি অনুভব করলাম।তার মানে মেঘলা আমার জামার ভিতর চুলকানির ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছে।ওহ কি চুলকানি।চুলকানির জন্য শরীর
একদম জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।
.
.
.
.
.
.
.
.
#______চলবে______