ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__৭ম
.
.
লামিয়া তো সত্যি কথায় বলেছে।আমি তো একজন ধর্ষক আর
ধর্ষকের কখনো কারো স্বামী হওয়ার কোন অধিকার নেই।ধর্ষকরা
হলো সমাজেরসবচেয়ে নূকৃষ্ট ব্যাক্তি।যাদের সমাজের কেউই পছন্দ
করে না।আমি মাথা নিচু করে ঘুমানোর জন্য বিছানার দিকে
পা বাড়ালাম।তখন লামিয়া বললো:
— আমি আপনার সাথে এক
বিছানায় ঘুমাতে পারবো না।
— তাহলে এখন কি করবো?
— আপনি নিচে ঘুমাবেন নাকি
আমি নিচে ঘুমাবো।
— আপনাকে নিচে ঘুমাতে হবে না।
আমিই নিচে ঘুমায়তেছি।
.
কথাটা বলেই আমি একটা চাদর আর একটা বালিশ নিয়ে নিচে বিছানা করে শুয়ে পড়লাম।একতে শীতের রাত তার উপর নিচে শুয়ে আছি।বুঝতেই তো পারছেন এখন আমি কি অবস্থায় আছি।এরকম করে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারিনি।সকালে ঘুম থেকে উঠে
দেখি আমার উপর একটা কাথা আর একটা কম্বল জরানো।কি ব্যাপার
এই কাথা আর কম্বল কোথায় থেকে আসলো।এমন সময় লামিয়া আমার রুমে আসলো।
— রাতে শীতে আপনি শীউরে
উঠেছিলেন।তাই ওগুলো আমি
আপনার উপর দিয়েছি।
.
লামিয়াকে দেখতে এখন অনেক সুন্দর লাগছে।ওর এই এলোমেলো চুলগুলোতে হাত বুলিয়ে দিতে খুব ইচ্ছে করছে।কিন্তুু কি বা করবো ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই।আমি অপলক দৃষ্টিতে লামিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।তখন লামিয়া বললো:
— এমন করে কি দেখছেন।
তাড়াতাড়ি ওঠে ফ্রেস হয়ে
খেতে আসেন।
— তুমি যাও আমি আসতেছি।
.
লামিয়া রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ করে লামিয়া পা স্লিপ কেটে মাটিতে পড়ে গেল।আমি লামিয়ার সামনে গিয়ে ওকে ওঠানোর জন্য আমার হাত বাড়িয়ে দিলাম।
— আমাকে আপনি স্পর্স করবেন না।
আমি একাই উঠতে পারবো।
— দেখো সব সময় এমন জেদ করা
ভাল না।
— কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ
তা আমার একজন ধর্ষকের কাছ
থেকে শিখতে হবে না।
.
লামিয়ার কথাটা শুনেই বুকের ভিতরটা কেপে উঠলো।আমি সেখান থেকে রুমে চলে আসলাম।লামিয়া আসতে আসতে উঠে পায়ে আঘাত নিয়েই খাবার রুমে চলে গেল।পরে আমি ফ্রেস হয়ে খাবার রুমে চলে আসলাম।
সেখানে এসে দেখি আমার বন্ধুরা সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে।আমি গিয়ে বসতেই লামিয়া সকলের জন্য টেবিলে খাবার বেরে দিল।তারপর আমি খাওয়া দাওয়া করে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিতে বের হলাম।বিকালে লামিয়াদের বাড়ি থেকে লোকজন আসলো।বাড়ি ভর্তি লোক।আমার লোক জনের কোলাহল তেমন ভাল লাগে না।তাই একটু
ফাঁকে নিরব হয়ে বসে আছি।এমন সময় আব্বু আমাকে ডাক দিল।
— শাকিল এদিকে আয়।
— কেন আব্বু।
— তোকে আসলে বলছি আয়।
.
আমি সেখান থেকে সোজা আব্বুর কাছে চলে আসলাম।সেখানে এসে একটা মেয়ের দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম।আরে এইটা তো বৃষ্টি।
যার জন্য আমি নিজের অবস্থান থেকে খারাপ পথে চলে গিয়েছিলাম।
যার জন্য আজ আমি একজন ধর্ষক।আব্বুর কথায় বাস্তবে ফিরে আসলাম।
— এনি হলো আমার বন্ধু সাজ্জাদ চৌধুরী।
— আর এনারা হলেন তার স্ত্রী এবং মেয়ে।
— হ্যালো আমি শাকিল।
— আমি বৃষ্টি।
— বাবা আমরা একটু ফাঁকে
গিয়ে কথা বলি।(বৃষ্টি)
— আচ্ছা যাও।
.
আমি বৃষ্টিকে নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।সেখানে দুজন নিরব
হয়ে বসে আছি।কিছু সময় পর বৃষ্টি নিরবতা ভেঙে বললো:
.
— কেমন আছো।(বৃষ্টি)
— অনেক ভাল।
— কিন্তুু আমি তো ভালো নেই।
— ভালো নেই কেন?ভাল থাকার
জন্যই তো আমাকে ছেড়ে চলে
গিয়েছো।
— তোমার সাথে বেইমানি করেছি
বলেই হয়তো আমার সাথে এমনটা
হয়েছে।
— কেন কি হয়েছে।
— সিয়াম আমাকে ভাল বাসতো না।ও
শুধু ভাল বাসতো আমার শরীরকে।
— ওর সাথে তোমার আর কোন কথা
হয় না।
— না।তুমি চলে যাওয়ার কিছুদিন পরেই
ও আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
— তোমার ফোন নাম্বারটা দাও তো।
— কেন আমার ফোন নাম্বার দিয়ে তুমি
কি করবে।
— জীবন সঙ্গীনি হয়ে তো সাথে থাকতে
পারলাম না।তাই ফেন্ড হয়েই না হয়
সারা জীবন তোমার পাশে থাকবো।
— আচ্ছা নাও।
[017******40]
— ধন্যবাদ।
— হু।তুমি….
.
কথাটা শেষ না হতেই দরজার সামনে তাকাতেই আমার চোখ
আটকে পড়লো।দরজার সামনে তাকিয়ে দেখি…………
.
.
.
.
.
.
.
#______চলবে______