ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__৬ষ্ঠ
.
.
রাফিরে আর পায় কে কথাটা শেষ হওয়ার আগেই দিছে একটা দৌড়।
মেঘলাও রাফির পিছন পিছন দৌড় দিল।রাফি দৌড়ে শিঁড়িঁ বেয়ে ছাদে উঠে পড়লো।মেঘলাও তার পিছন পিছন আসছে।হঠাৎ মেঘলা পা স্লিপ কেটে রাফির উপর পড়ে গেল।রাফি নিচে আর মেঘলা উপরে।দুজন দুজনের দিকে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।এরকম কিছু সময় থাকার পর রাফি বললো:
— এইটা কি হলো।
— কি হলো?
— আপনি এভাবে আমার
উপর পড়লেন কেন?
— আমার কি দোস পা স্লিপ কাটলো
বলেই তো……..
— মেয়ে তো নয় যেন তিন মণের
লবনের বস্তা।
— কি বললেন আমি লবনের বস্তা।
— তা নয়তো কি?
— তবে রে।
.
বলেই মেঘলা রাফিকে মারতে শুরু করলো।রাফি মেঘলার হাতটা টান দিল।হাতটা টান দিতেই মেঘলার ঠোঁঠ এসে রাফির ঠোঁঠের উপর
পড়লো।দুজনেই নিরব হয়ে আছে।কিছু সময় পর।মেঘলা রাফির উপর থেকে উঠে মিষ্টি মিষ্টি হাসতে হাসতে চলে গেল।রাফি মেঘলার দিকে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর ওর চলে যাওয়া দেখছে।মেঘলা চলে যাওয়ার পর রাফি তার পকেটে হাত দিতেই হা হয়ে গেল।রাফি পকেটে হাত দিয়ে দেখলো ওর মানিব্যাগ নেই।ওর আর বুঝতে বাকি রইলো না এই কাজটা কে করেছে।তাইতো বলি মেয়েটা যাওয়ার সময় এমন মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে গেল কেন?ওই শালা শাকিলের জন্য আমার মানি ব্যাগে থাকা ৫ হাজার টাকা হারিয়ে গেল।আল্লাহ তুমি আমারে উপরে উঠায়া নাও।এদিকে আমি একা একা বরের আসনে বসে আছি।আর ওই দূরে আমার হবু বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছি।এমন সময় রাফি এসে আমার সামনে বসলো।
— কিরে রাফি এতোক্ষণ কোথায় ছিলি।
— ভাই তুই তো আমারে পুরাই বাঁশ
খাওয়ায়য়া দিছোস।
— কেন রে আমি আবার কি করলাম।
— কি করিস নি তাই বল।
— তোর ওই নকল টাকার জন্য
মেঘলা আমার পকেট মেরেছে।
— কিভাবে?
— রাফি আমাকে সব ঘটনা খুলে
বললো।
— হাহাহাহাহাহাহা।তাই নাকি।
— হু। ৩ হাজার টাকার জন্য আমার
মানিব্যাগে থাকা ৫ হাজার টাকা
মেরে দিয়েছে।
— ভালো তো।
— দাড়া তোর হাসা বের করছি।
— তোর ফোনটা দে তো।
— কেন রে?ফোন দিয়ে কি
করবি।মেঘলার থেকে টাকা
ফেরত চাইবি নাকি।
— তোকে দিতে বলছি দে।
.
আমি আমার ফোনটা বের করে রাফির হাতে দিলাম।কিছুক্ষণ চাপার পর রাফি ফোনটা আমার হাতে দিয়ে চলে গেল।আহহহ মেঘলার কি বুদ্ধি।শেষ
পর্যন্ত এভাবে নিজের টাকা আদায় করে নিল।যাক এক দিক থেকে ভালই হয়েছে।আমার টাকাটা তো বেচে গিয়েছে।যা গিয়েছে সব রাফির গিয়েছে।কিছু সময় পর আমার ফোনে বিকাশ থেকে একটা মেসেজ আসলো।Your account hass ben 15000 TK।হায় হায় আমার বিকাশে
আর মাত্র ১৫ হাজার টাকা আছে কেন।কালকেই তো দেখলাম ২০ হাজার টাকা।তার মানে রাফি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা ওর বিকাশে
মেরে দিয়েছে।রাফি আমার বিকাশের পাসওয়ার্ড পূ্র্বে থেকেই জানতো তাই ওর টাকা ওইট করতে কোন সমস্যা হয়নি।তাইতো বলি রাফি আমার ফোন নিয়ে এতোক্ষণ চাপতে ছিল কেন।এবার আমি কি করি।সব টাকা শেষ পর্যন্ত আমার থেকেই চলে গেল।আল্লাহ রে আল্লাহ আমারে মাইরা হালা।আমার ৫ হাজার টাকাই জলে চলে গেল।তারপর আমাদের বিয়েটা
সম্পর্ণ হয়ে গেল।আমরা বউ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে বউকে বাসর ঘরে রেখে এসে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিতাছি।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল।এদিকে আমার বন্ধুরা আমাকে ছাড়ছেই না।বাসর ঘরে কখন থেকে বউ আমার জন্য অপেক্ষা করছে।আর এরা তা বুঝতেই চাচ্ছে না।আমি আমার বন্ধুদের বললাম:
— দোস্ত তোরা থাক আমাকে এখন
রুমে যেতে হবে।
— কেন রে এতো তাড়া কেন?
— বাসর ঘরে তোদের ভাবি আমার
জন্য অপেক্ষা করছে।
— ভাবির কাছ থেকে আর দূরে
থাকতে মন চাইতাছে না।
— আচ্ছা যা।তবে বাসর ঘরে
বিড়ালটা ঠিক মতো মারিস।
.
তারপর আমি আমার বন্ধুদের কাছে থেকে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমের দরজার সামনে দাড়াতেই চোখ পড়লো আমার চাচাতো মামাতো খালাতো বোনদের উপর।দেখি ওরা লামিয়ার সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।আমি রুমের ভিতরে ডুকতেই ওরা সকলেই রুম থেকে বেড়িয়ে আসলো।বেরিয়ে আসার সময় আমার মামাতো বোন মায়া বললো:
— তোর সাথে এখানে আমি থাকতাম
কিন্তুু কিছু স্বপ্ন… স্বপ্ন হয়েই থেকে
যায়।তা কখনো বাস্তবে রূপ নিতে
পারে না।ভালো থাকিস তোরা।ে
লামিয়ারে কখনো কষ্ট দিস না।
কথাটা বলেই মায়া রুম থেকে বেরিয়ে গেল।তখন আমার
খালাতো বোন তানজিলা বললো:
— ভাইয়া বিড়ালটা একটু জোরে
মারিস কিন্তুু।
.
বলেই সবাই হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল।আমি রুমের দরজা আটকে দিয়ে লামিয়ার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।লামিয়ার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে
ওর ওই গোলাপী ঠোঁঠ দুইটার দিয়ে তাকালাম।ওর ঠোঁঠ দুইটার দিকে তাকিয়ে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না।আমি লামিয়ার দিকে হাত বাড়াতেই লামিয়া বললো:
— আমাকে একদম স্পর্স
করার চেষ্টা করবেন না।
— কিন্তুু কেন?
— আমি তো এখন তোমার স্বামী।
— ধর্ষক কখনো কারো স্বামী হতে
পারে না।
— তাহলে আমাকে বিয়ে করেছো কেন?
— আপনার পাপের শাস্তি দেওয়ার জন্য।
— আপনি কখনো আমার থেকে স্ত্রীর
অধিকার পাবেন না।
.
.
.
.
.
.
.
#________চলবে_______