ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__৫ম

0
6545

ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__৫ম
.
.
সত্যি তো।আমি তো একজন ধর্ষক।আর ধর্ষক কখনো কারো বর হতে পারে না।জানি না লামিয়া আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে কিনা।মনে
হয় হবে না।আমার সাথে তার বিয়েটা ভেঙে দেবে হয়তো।আমি ছাদ
থেকে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে আমার বন্ধু রাফির কাছে যা শুনলাম তা শুনে তো আমি নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছি না।
— রাফি এই সেই মেয়ে যাকে আমি
সেদিন ধর্ষণ করে ছিলাম।(রাফির
কানে কানে বললাম)
— কি?সত্যি।
— হু।
— তাহলে তো ভালই হলো।
বিয়ের আগেই বাসরটা করে
ফেলছিস।
— লামিয়া নিশ্চয় বিয়েটা ভেঙে
দিয়েছে তাই না।
— আরে না।লামিয়া তো তোকে
বিয়ে করতে রাজি।সবাই তোদের
বিয়ের জন্য দিন দেখছে।
— সত্যি দোস্ত।
— হু।
.
আজ আমি অনেক খুশি।লামিয়াকে নিয়ে আমি নতুন করে ঘর বাধবো।
যেখানে আমি আর তুমি ছাড়া কেউ থাকবে না।নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য একটা সুযোগ পাবো।লামিয়াকে নিজের হাতে আংটিটা পরিয়ে দিয়ে।বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে চলে আসলাম।সামনে শুক্রবারে আমাদের বিয়েটা ঠিক করা হলো।আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।
বিয়েতে আসবেন কিন্তুু।আজ আমার গায়ে হলুদ।বাড়িটাকে অনেক
সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।বাড়িটাকে দূর থেকে দেখে চেনায় যাচ্ছে
না।কনে বাড়ি থেকে মেয়ের বোনেরা আমার জন্য হলুদ নিয়ে আসলো।ব্যাপারটা কি মেয়ের বোনেরা হলুদ নিয়ে আসছে কেন?নিশ্চয় খারাপ কোন মতলব আছে।দেখায় যাক না কি হয়।আমার হবু শালিকারা হলুদের
বাটিটা নিয়ে আমার কাছে চলে আসলো।বউ যদি হবু হয়।তাহলে শালীকারা হবু হবে না কেন?বাহ কি বুদ্ধি আমার।এই জন্যই তো পরীক্ষায় এতো কম নম্বর পায়।হিহিহিহিহিহিহি।যাই হোক শালিকারা আমার সামনে
এসে দাড়ালো।তখন মেঘলা বললো।মেঘলা লামিয়ার এক মাত্র
ছোট বোন।
— দুলাভাই আপনার গাল দুটা
দেন তো।
— কেন গাল দিয়ে কি করবে কিস
করবে বুঝি।
— জ্বি না।আপনার কিস খাওয়ার
ইচ্ছে হয়।আপনি আপুর থেকে
খাইয়েন।
— তাহলে কি করবে।
— এই হলুদ দিয়ে আপনার দু গালে
একটু আদর করবো।
— কি ব্যাপার হলুদ এমন লাল
দেখা যাচ্ছে কেন?
— কি হলো দুলাভাই দেব।
.
কি আর করবো।হাজার হলেও তো শালিকা বলে কথা।তার কথা কি আর ফেলতে পারি।আমার দু গাল মেঘলার দিকে এগিয়ে দিলাম।নিজের
ইচ্ছা মতো সবাই আমার গালে হলুদ মেখে দিয়ে হাসতে হাসতে চলে
গেল।ওরা যাওয়ার কিছু সময় পরই আমার গাল দিয়ে আগুন বেরুতে শুরু করলো।দু গাল ঝালে জ্বলে পুরে যাচ্ছে।তার মানে হলুদের সাথে
মরিচের গুরা মেসানো ছিল।খাইছে আমারে।বলেই দিলাম এক দৌড়।
এক দোড়ে সোজা বাড়ির পাশের পুকুরটাতে নেমে পরলাম।সেখানে অনেক সময় থাকার পর বাসায় এসে গোসল করলাম।বিকেলে আমার
বন্ধু রাফিকে বললাম:
— দোস্ত আমার একটা কাজ
করতে পারবি।(আমি)
— কি কাজ বল।
— ৫০০ টাকার একটি এবং ১ হাজার
টাকার তিনটি নোট হাতে দিয়ে বললাম
এই নে।
— কি করবো এতো টাকা দিয়ে।
— এই টাকাগুলো বাজার থেকে
ছাপিয়ে নিয়ে আয়।
— কেন বলতো।
— এতো প্রশ্ন করিস কেন যা বলছি
তাই কর।
.
রাফি টাকাগুলো ছাপাতে বাজারে চলে গেল।রাতে টাকাগুলো ছাপিয়ে নিয়ে এসে আমার হাতে দিল রাফি।তারপর রাফি আর আমি একসাথে শুয়ে পড়লাম।কিছু সময় পর আমি বললাম:
.
— রাফি কাল একটা কাজ করবি।
— তোর কোন কাজটা আমি করি
নি বলতো।
— কালকে ওরা যখন টাকা নেওয়ার
জন্য গেটে আটকাইবে।তখন এই
ছাপানো টাকাগুলো ওদের দিয়ে
চলে আসবি।
— কি বলছিস ভাই।ওরা জানতে পারলে
আমাকে হেব্বি মাইর দিবে।
— তোকে যা বলছি তাই করবি।আর এতো
ভয় পাচ্ছিস কেন?আমি তো আছিই।
— সেটাই তো বড় ভয়।
— কি বললি তুই।
— কই কিছু না তো আমি আমার কি
বললাম।
— আচ্ছা এখন ঘুমা।কাল
তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।
.
তারপর দুজন একসাথে ঘুমিয়ে পড়লাম।আজ আমার বিয়ে।সেই
কখন থেকে ফেন্ডের সাথে মাইক্রোতে বসে আছি এখন পর্যন্তু আমার চাচাতো খালাতো ফুপাতো বোনদের আসার কোন নাম গন্ধই নেই।
আসলে মেয়ে মানুষ এইরকমই ১ বার সাজতে বসলে আর উঠতেই
চায় না।আমার বিয়ের জন্য একটা বাস আর একটা মাইক্রো ঠিক করা
হয়েছে।ওই তো ওরা সবাই চলে এসেছে।তারপর সবাই চললাম।কনে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য।মাইক্রোতে বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পর
আমরা বিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।বাহ্ বাড়িটাকে বেশ সুন্দর করে
সাজানো হয়েছে তো।বিয়ে বাড়ির গেটেই আমাদের সকলকে আটকে
দেওয়া হলো।মিষ্টি আর শরবত খাওয়ানোর পর।রাফি বললো:
–গেটটা এখন খুলে দিলে আমরা
ভেতরে যেতে পারি।
— না না আগে ৫০০০ টাকা দিন।
তারপর গেট খুলে দেওয়া
হবে।(মেঘলা)
— ও মোর খোদা।এতো টাকা
আমরা দিতে পারমু না।
— ১ হাজার টাকা দেয়।
— জ্বি না।১ হাজার টাকা আমরা
নেব না।
— তাহলে কম কত চান বলুন।
— ঠিক আছে আপনারা ৩ হাজার
টাকায় দেন।
— আচ্ছা এই নেন ৩ হাজার টাকা।
এর সাথে আপনাদের ৫০০ টাকা
বাড়িয়ে দিলাম।
.
তারপর গেট খুলে দেওয়া হলো।সকলেই যে যার মতো করে ভেতরে ঢুকলো।আসায় সময় আমি আর রাফি রাজ্য জয়ী একটা হাসি দিয়ে
চলে আসলাম।হাহাহাহাহাহাহা আমার গালে মরিচের গুরা দেওয়া।
এবার দেখো কেমন লাগে।ওগুলো তো আসল টাকা না।ওগুলো ছিল
বাজারের ছাপানো টাকা।রাতের বেলা দেখে বুঝতে পারে নি।কি ঘোলটাই
না খাওয়ালাম ওদের।হিহিহিহিহিহি।যাই হোক আমাকে নিয়ে বরের আসনে বসানো হলো।সবাই আমার সাথে যে যার মতো সেলফি তুলছে।মনে হচ্ছে মনে যেন আমি মানুষ না আমি একটা পোষা বাঘ।চিরাখানা থেকে এখানে চলে এসেছি। তাই সবাই যে যার ইচ্চা মতো সেলফি তুলেই যাচ্ছে।এদিকে রাফি একা একা একটি টেবিলে বসে আছে।আর বার বার শুধু মেঘলাকে বোকা বানানোর কথা ভাবছে।আর মনে মনে হাসছে।এমন সময় মেঘলা রাগি লুক নিয়ে রাফির সামনে এসে দাড়ালো।মেঘলাকে দেখেই রাফি ভয়ে দাড়িয়ে পড়লো।
— এইটা কি?(ছাপানো টাকাগুলো
দেখিয়ে বললো মেঘলা)
— কেন টাকা।
— এইটা টাকা।আমারে বোকা
বানানো।
— দাড়ান দেখাইতেছি মজা।
.
রাফিরে আর পায় কে কথাটা শেষ হওয়ার আগেই দিছে একটা দোড়।
মেঘলাও রাফির পিছন পিছন দোড় দিল।রাফি দোড়ে শিঁড়িঁ বেয়ে ছাদে উঠে পড়লো।মেঘলাও তার পিছন পিছন আসছে।হঠাৎ মেঘলা………..
.
.
.
.
.
.
.
.
#_______চলবে_______

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে