ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__২১

0
4260

ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__২১
.
ওরা নিজেদের মতো করে কেনা কাটা করছে।আর আমি মেলার এক পাশে এসে ঘোরাঘুরি করছি।হঠাৎ করে আমরা চোখ পড়লো একটা সাদা রংয়ের ঝিনুকের নুপুরের উপর।নুপুরটাকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।এই নুপুর দুটি
লামিয়ার পায়ে অনেক সুন্দর মানাবে।আমি দোকানিকে নুপুরটা
দেখিয়ে বললাম:
— ভাইয়া ওই নুপুরটা দেখি তো।
— কোনটা এটা?
— হ্যা ওটাই।
— এই নিন।
— এইটার দাম কতো ভাইয়া।
— জ্বি।এইটার দাম ৫০০ টাকা।
— ওকে এইটা প্যাক করে দিন।
দোকানি নুপুরটা প্যাক করে দিল।আমি সেখান থেকে লামিয়াদের কাছে চলে আসলাম।সেখান এসে দেখি ওরা এখনো জিনিস পত্র কেনা কাটা করতেই ব্যাস্ত হয়ে আছে।মেয়ে মানুষ কেন যে এমন হয় বুঝি না।পুরো দোকান ধরে নিলেও ওদের ইচ্ছা শেষ হবে না।আমি গিয়ে লামিয়ার পিছনে দাড়ালাম।লামিয়ার পিছনে দাড়িয়ে বললাম:
— তোমাদের হলো।(আমি)
— আর একটু দুলাভাই।
— আচ্ছা দেখ তো এই
শোপিসটা কেমন?
— বাহ্ শোপিসটা বেশ সুন্দর
দেখতে তো।
— এইটা নেই।
— আচ্ছা নাও।
তারপর আরো কিছু কেনা কাটা করে মেলা থেকে একটু বাহিরে চলে আসলাম।বাহিরে বেরিয়ে এসে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটছি আর চারিদিকের মন মুগ্ধকর সৌন্দয্য উপভোগ করছি।একটু সামনে এসে দেখলাম।রাস্তার পাশে একজন শীতের পিঠা বিক্রি করছে।আমি লামিয়াকে বললাম:
— শীতের পিঠা খাবে?
— এখানে পিঠা কই পাবে।
— ওই যে সামনে তাকিয়ে দেখ।
— সত্যি তো পিঠা বানিয়ে বিক্রি
করছে।(লামিয়া)
— আমাদের গ্রামে শীতের সময় পিঠা
বানিয়ে বিক্রি করে।(নীলা)
— দুলাভাই চলেন পিঠা খাবো।(মেঘলা)
— হু চলো।
আমরা সকলে পিঠার দোকানের সামনে গিয়ে দাড়ালাম।এক প্লেট এক প্লেট করে মোট চার প্লেট পিঠার ওডার দিলাম।পিঠাটা মুখে দিতেই অজানা এক সুখে হারিয়ে গেলাম।পিঠাগুলো খেতে বেশ মজা লাগছে।গ্রাম বাংলার পিঠা
বলে কথা এর সাথে অন্য কোন খাবারের তুলনায় হয় না।মুখে দিতেই মনে হচ্ছে যেন অমৃত খাচ্ছি।লামিয়া একটা পিঠা আমার মুখের সামনে ধরে বললো নাও হা করো।আমি হা করতেই লামিয়া পিঠাটা আমার মুখের ভিতর দিল।আমি অপন মনে পিঠাটা খেয়ে যাচ্ছি।এদিকে লামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম লামিয়া আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আরে।আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না।লামিয়া চাচ্ছে আমি ওকে খাইয়ে দিই।আমি বললাম:
— এবার তুমি হা করো।
— হাহহহহহহহহহহহহহ
— মুখটা খুলতেই আমি পিঠাটা লামিয়ার
মুখে দিলাম।পিঠাটা মুখে নিতেই লামিয়া
আমার হাতে কামড় বসিয়ে দিল।
— আহহহহহহহহহহহহহহ।
— কি হয়েছে দুলাভাই।
— বিড়াল হাতে কামড় দিছে।
— কি আমি বিড়াল?
— তবে রে।
কথাটা বলেই লামিয়া আমাকে মারতে শুরু করলো।আমি লামিয়ার হাতটা টান দিয়ে ওকে আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম।লামিয়া আমার থেকে ওকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তুু পারছে না।এদিকে সবার দৃষ্টি আমাদের দিকে।আর আমাদের দৃষ্টি একে অপরের দিকে।
— এই কি ছাড়ো আমাকে।
— না ছাড়বো না।
— সবাই দেখছে তো।
— দেখুন।আমি আমার বউকে
জরিয়ে ধরেছি তাতে কার কি?
— হয়েছে আর বউয়ের অধিকার
দেখানো লাগবে না এবার চলো।
— হু।
আমরা সেখান থেকে গাড়ির সামনে এসে দাড়ালাম।তারপর গাড়িটা স্টাট করে মেলা থেকে বাড়িতে চলে আসলাম।বিকালে রুমে বসে থেকে ভাল লাগছিল না।তাই একটু ছাদে চলে আসলাম।ছাদে এসে বসে আছি আর গ্রামের চারদিকের অপরূপ সৌন্দয্য দেখছি।আকাশটা আজ বেশ নীল হয়ে আছে।
উত্তর দিক থেকে শীতল হওয়া আসছে সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগছিল।এমন সময় কেউ একজন আমার দুচোখ হাত দিয়ে আকড়ে ধরলো।নিশিমেই চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল।হাতের স্পর্শটা খুব চেনা লাগছে।আমার মনে হচ্ছে এইটা লামিয়া ছাড়া অন্য কেউ না।
— বলো তো আমি কে?
— তুমি লামিয়া তাই না।
— তুমি জানলে কিভাবে?
— কাউকে মন থেকে ভালবাসলে
তার সব কিছুই খুব চেনা লাগে।
— তাই বুঝি?
— হু।
লামিয়া বসে আছে আর আমি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে রয়েছি।লামিয়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখছি।এমন সময় অন্য কারো কথায় পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে ফিরে
তাকিয়ে দেখি…………………………..






#_________চলবে_________

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে