ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__২০

0
4250

ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__২০
.
.
গ্রামের রাস্তায় পথ চলার মজাটাই অন্য রকম।চারিদিকে মনোমুগ্ধ কর প্রাকৃতির সৌন্দর্য।কৃষক ফসলি জমিতে ফসল ফলাচ্ছে।গাছে গাছে বসম্তের ফুল ফুঁটে রয়েছে।পাখিরা কিচির মিচির করে ডাকছে।সব মিলিয়ে ভালই লাগছিল।হঠাৎ করে একটা পিচ্চি মেয়ে হাতে ফুলের ঝুড়ি নিয়ে রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে গাড়িটা থামানোর জন্য হাত দিয়ে ইসারা দিল।মেয়েটার পড়নে একটা লাল জামা।জামাটার বিভিন্ন জায়গায় সেলায় করা এবং অনেক ময়লা জমানো।আমি গাড়িটা দাড় করালাম।গাড়িটা দাঁড় করিয়ে গ্লাসটা খুলে দিতেই মেয়েটা বললো:
— ভাইয়া আপুদের জন্য ২টা ফুল নেন না।
— আমাদের তো এখন ফুল লাগবে না।
— নেন না ভাইয়া।আজ একটা ফুলও বিক্রি হয়
নি।ঘরে আমার অসুস্থ মা রয়েছে।ফুলগুলো
বিক্রি করে মার জন্য কিছু খাবার নিয়ে
যেতে হবে।
— তুমি খেয়েছো?
— না ভাইয়া।আমি খেলে মার জন্য ওষুধ
নিয়ে যেতে পারবো না।
— বাড়িতে তোমার কে কে আছে।
— একমাত্র মা ছাড়া আমার আর কেউ
নেই।
— তোমার বাবা নেই?
— না।আমার জন্মের ২ বছর পরই বাবা মারা গেছে।
— মেয়েটার কথাগুলো শুনে অজান্তেই চোখের
কনা দিয়ে অশ্রু চলে আসলো।
— আমি মানি ব্যাগ থেকে ১০০০ টাকার ২টা নোট
বের করে মেয়েটার হাতে দিলাম।
— ভাইয়া এতো টাকা দিচ্ছেন কেন?আমার ফুলের
দাম তো মাত্র ৫০ টাকা।
— এই টাকাগুলো দিয়ে তুমি রেস্তুরেন্সে গিয়ে কিছু
খেয়ে তোমার মার জন্য খাবার এবং ঔষুধ নিয়ে যাবে।
— না ভাইয়া এই টাকাগুলো আমি নিতে পারবো না।
— কেন?
— আমার মা বলেছে।কারো কাছ থেকে যেন বিনা
কাজে কোন টাকা না নেয়।
— বড় ভাইয়ের থেকে টাকা নিতে কোন কাজ
করার প্রয়োজন হয় না।
বলেই পিচ্চিটার হাতে টাকাগুলো দিয়ে চলে আসলাম।আমাদের গাড়িটা যতদূর পর্যন্ত দেখে যাচ্ছিল।পিচ্চিটা তত দূর পর্যন্ত আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।আজকাল কার দিনে কই জনই বা ওদের মতো অসহায় মানুষদের কথা ভাবে।সবাই শুধু তাদের তুচ্ছ তালিন্য করে।কেউ তাদের দিকে
করুনার দৃষ্টিতেও তাকায় না।সবাই তাদেরকে ঋৃণার দৃষ্টিতে দেখে।আরো কিছু পথ চলার পর গাড়িটা লামিয়াদের গ্রামের বাড়িতে ঢুকালাম।বাহ বাড়িটা বেশ
সুন্দর দেখতে তো।বাড়ির চারদিক ঘিরে নারিকেল এবং সুপারি গাছ।গেটের সামনে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ।বাড়ির পাশে বিশাল বড় একটা পুকুর।
বাড়িটাকে দেখে মনে হচ্ছে।প্রকৃতি যেন তার সব সন্ধর্য এখানে উজার করে দিয়েছে।
— আরে লামিয়া তোরা কখন আসলি।(চাচী)
— এইতো মাত্র আসলাম।(লামিয়া)
— আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো।
— না চাচি আম্মা।(মেঘলা)
— মা দেখেন কারা এসেছে।
— কি হয়েছে বউমা এতো ডাকাডাকি
করছো কেন?(দাদী)
— ওমাগো একি দেখছি।এতোদিন পর
তোদের দাদির কথা মনে পড়লো।
— না দাদি।তোমার কথা তো আমাদের
সব সময়ই মনে পড়ে।
— আমি গাড়িটা রেখে এসে লামিয়ার
পাশে দাড়ালাম।
— আসসালামু আলাইকুম।
— ওয়ালাইকুম আসসালাম।
— আরে নাতনি জামাই যে।
কেমন আছো ভাই।
— আমি ভালো আছি।আপনি
ভাল আছেন তো।
— আমার আর ভাল থাকা এই অসুস্থ
শরীর নিয়ে ভালভাবে হাঁটা মেলাও
করতে পারি না।
— লামিয়া জামাইকে নিয়ে আসবি
একটা বার ফোন করে বলবি না।
— তোমাদের জামাইকে গ্রামের বসন্ত
মেলা দেখাতে নিয়ে আসলাম।
— ভালো করেছিস।এখন তোরা
রুমে যা।
তারপর আমরা সকলে রুমে চলে আসলাম।অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি।
শরীরটা অনেক খারাপ লাগছে।তাই একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিছানায় শুয়ে পড়লাম।শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারি নি।রাতে
লামিয়া এসে ঘুম থেকে উঠিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে নিয়ে গেল।
খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে কিছু সময় বসে থাকার
পর লামিয়া রুমে চলে আসলো।রুমে এসে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে বিছানার সামনে আসতেই একটা চিৎকার দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরলো।
.
.
.
নীল ক্যাফের ডাইরি
.
.
পেজটা আমার পাঠক/পাঠিকাদের বিনোদনের জন্য।
এখানে প্রতিনিয়ত সেরা গল্পগুলো পোষ্ট করা হয়।
পেজ থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো।
.
.
.
— কি হয়েছে লামিয়া।এমন
করছো কেন?
— লামিয়া কিছু বলছে না।শুধু
আমাকে শক্ত করে জরিয়ে
ধরে আছে।
— কি হলো বলো কি হয়েছে।
— ওইদিকে দেখো।
— কি দেখবো।
— আরে দেখোই না।
— আমি রুমের দেওয়ালের দিকে তাকালাম।
— হিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহি।
— হাসছো কেন?
— আরে ওইটা তো একটা আরশোলা।
— তুমি জানো না।আমি আরশেলা দেখে
অনেক ভয় পায়।
— আচ্ছা দাড়াও আমি আরশোলাটাকে
তাড়িয়ে দিচ্ছি।
আমি লামিয়াকে আমার বুকে জরিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।আমাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে যেন।দুটি মনের একটি দেহ।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস
হয়ে হালকা কিছু নাস্তা করে নিলাম।নাস্তা করার পর বাড়ির পাশের পুকুরটাতে বসে আছি।আর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দল বেধে চলা দেখছি।বেশ কিছু সময় পর মেঘলা সেখানে আসলো।মেঘলা এসে বললো:
— দুলাভাই চলেন।(মেঘলা)
— কোথায়?
— আর একটু পর আমরা মেলাতে
ঘুরতে যাবো।
— আপনি রেডি হয়ে নিন।
— আচ্ছো চলো।
আমরা রুমে চলে আসলাম।রুমে আসতেই আমি তাসকি খেয়ে গেলাম।দেখি লামিয়া একটা হদুল রংয়ের শাড়ি পরে মাত্র ওয়াস রুম থেকে বের হলো।লামিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে যেন বসন্ত তার সব সৌন্ধয্য ওর মাঝে ওজার করে দিয়েছে।লামিয়ার পড়নে হদুল রংয়ের শাড়ি হাতে লাল রংয়ের চুড়ি পায়ে আলতা ঠোঁঠে লিপস্টিক সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর লাগছে।আমিও আর দেরী না করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম।মেলায় যাওয়ার সময় লামিয়ার ওর চাচাতো বোন নীলাকে সাথে করে নিয়ে গেল।কারণ এই গ্রামের সব কিছু নীলার চেনা ওকে সাথে করে নিয়ে গেলে উপকার ছেড়ে অপকার হবে না।লামিয়া মেঘলা নীলা গাড়িতে বসে আছে।আর আমি গাড়িটা ডাইভ করে নিয়ে যাচ্ছি।কিছু পথ চলার পর আমরা মেলায় চলে আসলাম।গাড়িটা একটু সাইডে রেখে এসে সবাইকে নিয়ে মেলার ভিতর ঢুকলাম।মেলায় ঢুকে ওরা নিজেদের মতো করে কেনা কাটা করছে।আর আমি মেলার এক পাশে এসে ঘোরাঘুরি করছি।হঠাৎ করে……………………







#_______চলবে________

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে