ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১৩
.
আমি লামিয়ার হাতটা সরিয়ে দিয়ে ওর ঠোঁঠের সাথে আমার ঠোঁঠ লাগিয়ে কিস করতে শুরু করলাম।লামিয়া কেমন যেন উনমুক্ত হয়ে গেল।তারপর আমি লামিয়ার বুকের উপর থেকে ওর ওড়নাটা সরিয়ে ফেললাম।ওড়নাটা
সরাতেই লামিয়া আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো আমিও লামিয়াকে আমার
বুকের মাঝে জরিয়ে নিলাম।তারপর কি হলো তা আপনাদের না জানলেও
চলবে।সকালে কারো চুলের পানি চোখে পড়ায় ঘুমটা ভেঙে গেল।চোখটা খুলে সামনে তাকিয়ে দেখি লামিয়া এইমাত্র গোসল করে এসেছে।লামিয়াকে দেখতে এখন অনেক মায়াবী লাগছে।আমার সামনে দাড়িয়ে ওর ওই ভেজা
চুলগুলোর পানি আমার চোখের উপর দিচ্ছে আর মিষ্টি মিষ্টি হাসছে।
আমি বললাম:
.
— ওই এইটা কি করছো?
— কি করলাম?
— তোমার ভেজা চুলের পানি আমার
চোখের উপর দিচ্ছ কেন?
— আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই দিয়েছি।
— তাছাড়া এতো বেলা হয়েছে তাও ঘুম
থেকে উঠছো না কেন?
— আর একটু ঘুমায় না।
— না আর একটুও ঘুমানো যাবে না।
— এখন ঘুমালে শুধু চুলের পানি না।পুরো
বালতি ভর্তি পানি এনে উপরে ঠেলে দেব।
— তাই বুঝি।(আমি লামিয়াকে টান দিয়ে আমার
বুকের উপর ফেলে দিয়ে বললাম।)
— এই ছাড়ো ভালো হচ্ছে না কিন্তুু।
— কি ভাল হচ্ছে না শুনি।(আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার
দিকে এগিয়ে নিতে নিতে বললাম)
— এই না প্লিজ এখন এই সব কিছু করো না।
আমি এইমাত্র গোসল করে এসেছি।
— এখন তো আমি তোমার কোন কথায় শুনবো না।
— আম্মু।
.
কথাটা শুনেই আমি লামিয়াকে ছেড়ে দিলাম।লামিয়া আমার উপর থেকে উঠে দৌড়ে পালিয়ে গেল।কোথায় আম্মু।রুমের ভিতর কোথাও তো আম্মুকে দেখছি না।তার মানে লামিয়া আমাকে বোকা বানিয়েছে।তাই তো বলি আম্মুর কথা বলেই এমন করে দৌড়ে পালিয়ে গেল কেন?উফফফফ আর একটু হলেই লামিয়ার ঠোঁঠের লিপস্টিকের স্বাদ নিতাম।কিন্তুু সেই সৌভাগ্য আর হয়ে উঠলো না।আমি ফোনটা হাতে নিয়ে রাফিকে একটা ফোন করলাম।বেশ কয়েকবার রিং হওয়ার পর রাফি ফোনটা রিসিভ করলো:
.
— হ্যালো রাফি?
— হ্যা বল?
— আজকে ১০ টায় কলেজ
ক্যাম্পাসে আসতে পারবি?
— কেন বলতো?
— আসতে বলছি আসবি।
— আচ্ছা।
.
আমি ফোনটা রেখে দিলাম।তারপর বিছানা থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাইকটা নিয়ে সোজা কলেজ ক্যাম্পাসে চলে আসলাম।কলেজ
ক্যাম্পাসে এসে দেখি রাফি ক্যাম্পাসের বটগাছটার নিচে বসে আছে।আমি বাইকের উপর থেকেই রাফিকে ডাক দিলাম।
.
— রাফি এদিকে আয়।
— কি বলবি বল?(রাফি আমার
বাইকের সামনে এসে বলো)
— চল বাইকে উঠ।
— কেন?
— তোকে উঠতে বলছি উঠ।
.
রাফি বাইকে উঠে বসলো।আমি বাইকটা স্টাট দিয়ে পাড়ার লোকাল রাস্তা পেরিয়ে মেইন রাস্তায় উঠলাম।মেইন রাস্তা থেকে সোজা পার্কে চলে আসলাম।
পার্কে এসে রাফিকে নিয়ে উত্তরের একটি বেঞ্চে বসলাম।বসে কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমি মেঘলাকে ফোন করলাম।
.
— হ্যালো মেঘলা তুমি কোথায়?
— এই তো আমি পার্কের উত্তর
দিকে আসছি।
— রাফি ভাইয়া আমি আপনাকে
দেখতে পেয়েছি।
.
কথাটা বলেই মেঘলা ফোনটা রেখে দিয়ে সোজা আমাদের সামনে এসে দাড়লো।আমাকে দেখে মেঘলা আর মেঘলাকে দেখে রাফি অবাক হয়ে গেল।
আমি বললাম:
.
— এই যে শালিকা এইভাবে কি দেখছো?
— ইয়ে মানে দুলাভাই আপনি এখানে?
— আমার বন্ধুর সাথে প্রেম করবে আর
আমি থাকবো না।
— না দুলাভাই আপনি ভুল বুঝছেন।সে
আসলে আমাকে না অন্য একজনকে
ভালবাসে।
— হাহাহাহাহাহাহাহাহা।
— হাসছেন কেন দুলাভাই?
— ওইটা রাফির নাম্বার না।ওইটা
আমার নাম্বার।
— আপনার নাম্বার!
— হ্যা আমার নাম্বার।তোমার সাথে এতোদিন
আমি মজা করেছি।রাফি অন্য মেয়েকে না
রাফি শুধু তোমাকে ভালবাসে।
— কিন্তুু আমি তো এখন ওনাকে ভালবাসি না।
— কেন?
— দেখেন না দুলাভাই এখন পর্যন্ত আমাকে প্রপোজই
করতে পারলো না।আর বলে কি না ভালবাসি।
.
এদিকে রাফির দিকে তাকিয়ে দেখি রাফি আমাদের কথা শুনে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে কোথাও ফুলের দোকান দেখতে পেলাম না।অবশেষে পাশের বাগান থেকে বাঁশের পাতা নিয়ে এসে রাফির হাতে দিয়ে বললাম।
.
— এই নে ধর।
— কি করবো এগুলো দিয়ে?
— কি করবি মানে?মেঘলারে
প্রপোজ করবি।
— শেষ পর্যন্ত এই বাঁশের পাতা
দিয়ে প্রপোজ করবো।
— হু করবি।নে ধর।
.
মেঘলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেঘলা মিষ্টি মিষ্টি হাসছে।রাফি বাঁশের পাতাগুলো হাতে নিয়ে হাটু ভাজ করে বাঁশের পাতা গুলো মেঘলার দিকে এগিয়ে দিয়ে মেঘলাকে প্রপোজ করবো।মেঘলাও সেটা একসেপ্ট করতে সময় নিল না।শুরু হলো ওদের নতুন পথ চলা।আমি বাইকের চাবিটা রাফির হাতে দিয়ে বললাম:
.
— এই নে বাইকের চাবি।
— এটা আমাকে দিচ্ছিস কেন?
— আজ সারাদিন বাইকটা তোর।
— তোর যেখানে ইচ্ছা সেখানে
মেঘলাকে নিয়ে যাস।
— দোস্ত তোকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেন।
— আরে এখানে ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে।
এইটা তোর ফেন্ড হিসাবে তো আমার
দায়িত্ব ছিল।
— আচ্ছা আমি এখন আসি তাহলে।
.
তারপর পার্ক থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তায় চলে আসলাম।কিন্তুু একি রাস্তায় তো একটা রিক্সাও দেখছি না।এখন কি আমাকে হেঁটেই বাসায় যেতে হবে।
এতোটা পথ হেঁটে গেলে তো আমার পায়ের ১২ টা বেজে যাবে।অবশেষ
একটা রিক্সা দেখতে পেলাম।
.
— এই যে মামা যাবেন?
— কোথায় যাবেন?
— আমি ঠিকানা বললাম।
— যাবো তবে ১০ টা টাকা
বাড়াইয়া দিয়েন।
— আচ্ছা চলেন।
.
আমি রিক্সাতে উঠে বসলাম।রিক্সাতে উঠে বসতেই কোন এক মেয়ের
কথায় পিছনে ফিরে তাকলাম।পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি দৌড়ে
রিক্সার দিকে আসছে।
.
— এই যে মামা আমিও যাবো।
— বৃষ্টি তুমি?
— হ্যা আমি।আমি তোমার সাথে
এক রিক্সায় গেলে তোমার কোন
সমস্যা হবে?
— আরে না আমার কি সমস্যা হবে?
— উঠো।
— তা এখন কোথায় গিয়েছিলে?
— এই পাশেই একটা কাজ
ছিল সেখানে।
.
বৃষ্টি রিক্সাতে উঠে বসলো।রিক্সা তার আপন গতিতে চলছে।একটু খানি ছুটে
চলা আবার একটু খানি জামে আটকে থাকা সব মিলিয়ে ভালই লাগছিল।
আমরা দুজন নিরব হয়ে বসে আছি কেউ কোন কথায় বলছি না।দেখতে দেখতে আমার বাসা চলে আসলো।আমি রিক্সা থেকে নেমে আমার এবং বৃষ্টির দুজনেরই ভাড়া দিয়ে চলে আসলাম।বৃষ্টি আমাকে ভাড়া দিতে দিচ্ছিল না তবুও এক প্রকার জোর করেই ভাড়াটা দিয়ে চলে আসলাম।বাসায় এসে রুমে ঢুকতেই দেখি লামিয়া আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
.
.
.
.
.
.
.
#________চলবে________