ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১২
.
আমি আমার হাতটা লামিয়ার দিয়ে এগিয়ে দিলাম।আমার হাত থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হচ্ছে।লামিয়া ওর ব্যাগ থেকে ব্যান্ডেজটা বের করে আমার হাতটা ব্যান্ডেজ করে দিল।তারপর আমি বাইকটা স্টাট দিয়ে লামিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে বাইকটা রেখে আমরা দুজন ভিতরে চলে আসলাম।ভেতরে আসতেই আম্মু এসে আমাদের সামনে দাড়ালো।
.
— কিরে তোর হাত ব্যান্ডেজ করা কেন?
— আসলে হয়েছে কি আম্মু………
— থাক আপনাকে আর বানিয়ে মিথ্যা
কথা বলতে হবে না।
— আসলে আম্মু (লামিয়া আম্মুকে সব
কথা খুলে বললো)।
— ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলি।
— না আম্মু লামিয়ায় ব্যান্ডেজ করে
দিয়েছে।
— আচ্ছা যা হবার হয়েছে।আমি টেবিলে
খাবার দিচ্ছি এগুলো রেখে খাবার খেতে
আয় কেমন।
— আচ্ছা আম্মু।
.
তারপর আমি আর লামিয়া রুমে চলে গেলাম।লামিয়া রুমে এসে কাপড় – চোপড় রেখেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল।আমি ফ্রেস হয়ে খাবার রুমে চলে আসলাম।খাবার টেবিলে গিয়ে বসতেই লামিয়া আমার জন্য প্লেটে খাবার বেড়ে দিল।কিন্তুু আমি খাবো কিভাবে আমার হাত তো কাটা।এই কাটা হাত নিয়ে তো খাবার তুলতেও পারবো না।আমি চামিজ হাতে নিয়ে খাবার নড়াচড়া করছি আর এই সব কথা ভাবছি।এমন সময় লামিয়া বললো:
.
— কি হলো?খাচ্ছো না যে।
— আমার চামিজ দিয়ে খেতে
ভাল লাগে না।
— তো কিভাবে খাবে?
— তুমি খাইয়ে দাও।
— আমি পারবো না।তাছাড়া
অন্যরা দেখলে কি বলবে।
— কেউ কিছুই বলবে না।তুমি
আমাকে খাইয়ে দাও।
— আচ্ছা হা করো।
.
লামিয়া ওর নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি লামিয়ার দিকে।লামিয়ার উপর থেকে আমার চোখ যেন সড়তেই চাইতেছে না।কিছু সময় পর আমি বললাম:
.
— তুমি খাবে না।
— তোমার খাওয়ার পর খাবো।
— তুমিও আমার সাথে খেয়ে নাও।
— না।আমি পরে খাবো।
— আমার সাথে খাইতে বলছি কিন্তুু।
(চোখগুলো বড় বড় করে একটু
রাগ দেখিয়ে বললাম)
— আচ্ছা খাইতেছি।
.
তারপর লামিয়াও আমার সাথে খেয়ে উঠলো।খাবার খাওয়ার পর আমি আমার রুমে চলে আসলাম।রুমে আসতেই আমার ফোনটা বেজে উঠলো।
স্কিনে সুন্দর করে রাফি নামটা ভেসে উঠলো।আমি ফোনটা রিসিভ
করতেই ওপাস থেকে বলে উঠলো:
.
— হ্যালো শাকিল।(রাফি)
— হ্যা রাফি বল?
— তুই এখন কোথায়?
— কেন বাসায়?
— দোস্ত এখন তুই আমার সাথে
দেখা করতে পারবি?
— কেন বলতো।
— তোকে একটা প্রয়োজনীয়
কথা বলবো।
— কি কথা?এখানেই বল।
— না এখানে বলা যাবে না।তুই আয়
পরে বলতেছি।
— আচ্ছা কোথায় আসবো বল?
— রাফি ঠিকানা বললো।
.
আমি বাইটা স্টাট করে সোজা রাফির কাছে চলে গেলাম।সেখানে গিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় দুজন নিরব হয়ে বসে আছি।কিছু সময় পর আমি বললাম:
.
— রাফি বল কি বলবি?
— দোস্ত আমি তো এক জন রে
ভালবেসে ফেলেছি।
— সত্যি নাকি দোস্ত?
— হু।
— কারে?
— তোর শালিকা মেঘলা রে।
— কি বলছিস ভাই।
— হ্যা আমি ঠিকিই বলছি।আমি মেঘলা রে
ভালবেসে ফেলেছি।সেই প্রথম যেদিন ওরে
দেখে ছিলাম সেই দিনই মেঘলার প্রতি আমার
ভাল লাগা কাজ করতে শুরু করেছিল।আসতে
আসতে সেটা ভাল লাগা থেকে ভালবাসাতে
রূপান্তিত হয়েছে।আমি ওরে ছাড়া বাসবো না।
ভাই তুই প্লিজ আমার প্রেমটা করিয়ে দে।
— তা না হয় দেব কিন্তুু আমার ট্রিট কই।
— দেবো আগে তুই আমার প্রেমটা করে দে
তারপর তুই যা খেতে চাইবি আমি তোকে
সে সব কিছুই খাওয়াবো।
— ওকে Done…
.
তারপর রাফির সাথে আরো কিছু সময় আড্ডা দেওয়ার পর সন্ধায় বাসায় ফিরলাম।রাতে খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে শুয়ে আছি।এমন সময় মেঘলার নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে ফোন আসলো।আমি ফোনটা
রিসিভ করলাম:
.
— ভাইয়া কেমন আছেন?
— আমি ভালো আছি।তুমি
কেমন আছো।
— আমিও ভাল আছি।
— তা কি করেন এখন?
— এইতো শুয়ে আছি।
— রাফি ভাইয়া আপনাকে একটা
কথা বলবো রাগ করবেন না তো।
— কি কথা বলো।
— আগে বলেন রাগ করবেন না।
— না করবো না বলো?
— আমি আসলে…..
— আমি আসলে আপনাকে ভালবেসে
ফেলেছি। I love u…
— What..কি বলছো এই সব।
— হ্যা ভাইয়া।আমি ঠিকিই বলছি।সেই প্রথম
যেদিন আমি আপনাকে দেখেছি সেই দিনই
আমি আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
— কিন্তুু আমি তো তোমাকে ভালবাসি না।
— আমার দোসটা কি জানতে পারি?
— তোমার কোন দোসই নেই।আমি আসলে
অন্য একটা মেয়েকে ভালবাসি।
— কাকে?নাম কি তার?
— নাম তো বলা যাবে না?কালকে আমি
পার্কে ওকে নিয়ে উত্তরের একটা বেঞ্চে
বসে থাকবো।তখন তুমি এসে দেখে নিও
কেমন।
— ঠিক আছে।আমি ও দেখতে চাই সে
আমার থেকে কতটা সুন্দরী।
.
কথাটা বলেই মেঘলা ফোনটা কেটে দিল।হাহাহাহাহাহা আমার জামাতে চুলকানীর ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া এবার বোঝ কেমন লাগে।মেঘলা তুমি সের হলে আমি শোয়া শের।এর কিছুসময় পরই লামিয়া রুমে চলে আসলো।লামিয়া রুমে এসে সোজা আমার পাশে শুয়ে পড়লো।লামিয়া এতো সুন্দর করে ঠোঁঠে লিপস্টিক দিয়ে রাখে যে আমার শুধু লামিয়ার ঠোঁঠের লিপস্টিকের স্বাদ নিতেই ইচ্ছে করে।লামিয়ার লিপস্টিকের স্বাদ নিতে আমি আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে আসলাম।আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঠের সামনে নিয়ে আসতেই লামিয়া ওর হাতটা আমার মুখের উপর রেখে বাধা সৃষ্টি করলো।আমি লামিয়ার হাতটা সরিয়ে দিয়ে ওর ঠোঁঠের সাথে আমার ঠোঁঠ লাগিয়ে কিস করতে শুরু করলাম।লামিয়া কেমন যেন উনমুক্ত হয়ে গেল।তারপর আমি লামিয়ার বুকের উপর থেকে ওর ওড়নাটা সরিয়ে ফেললাম।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
#________চলবে_______